উদ্বোধনের ১বছরেও শুরু হয়নি চিকিৎসা কার্যক্রম



অনিক চক্রবর্ত্তী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রোগীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে গত বছরের ২৮ অক্টোবর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহম্মদ নাসিম। ওই ভবনে চিকিৎসা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার কথা। কিন্তু নতুন ভবন উদ্বোধনের প্রায় এক বছরেও শুরু হয়নি চিকিৎসা কার্যক্রম। ফলে দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত থাকায় ভবনটিতে বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566049590969.jpg

 

সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এখনও ৫০ শয্যার লোকবল দিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। এটাকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল বলা হলেও এখনও অনুমতি মেলেনি। আর ১০০ শয্যার অনুমতি না মিললে ২৫০ শয্যার নতুন ভবনটিরও অনুমতি পাওয়া যাবে না।

এদিকে সাধারণ মানুষের প্রশ্ন- অনুমতিই না নিয়ে তড়িঘড়ি করে কেন কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হলো?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566049376617.jpg

 

শনিবার (১৭ আগস্ট) সরেজমিনে হাসপাতালের সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তবে সেই সময় থেকেই হাসপাতালে রয়েছে লোকবল সংকট, ডাক্তার-নার্সসহ নানান সমস্যা। বর্হিবিভাগে প্রতিদিন এক হাজার ৩০০-৫০০ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। আন্তঃবিভাগে ভর্তি থাকছেন ৫০০ রোগী। ফলে এই অল্প জনবল দিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। রোগীদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেই স্থানীয় সংসদ সদস্যর প্রচেষ্টায় ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালটির ২৫০ শয্যায় রূপ দিতে হাসপাতালের একপাশে ৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566049683341.jpg

 

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর দাবি, নতুন ভবন চালু হলে রোগীদের সেবার মান বাড়বে। নতুন ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে রাখা হয়েছে আধুনিক সব সুবিধা। ভবনটিতে রয়েছে- ৮টি ওয়ার্ড, ৬টি আইসিইউ, ৬টি অপারেশন থিয়েটার,  ৩টি ওপিডি, ডে হসপিটাল ১৮টি, ১২৫০ কেজি ক্ষমতা সম্পন্ন ২টি লিফট, ৫০ হাজার গ্যালন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আন্ডার গ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার, কনসালটেন্ট রুম ১৮টি, ১০৩৫ বর্গফুটের একটি মাল্টিপারপাস কক্ষ, ২৫০ কেভিএ ১টি জেনারেটর, ৫০০ কেভিএ বিদ্যুতের সাবস্টেশন, ১টি ডিপ টিউবওয়েল, মেডিকেল গ্যাস সিস্টেম এবং অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা।

হাছেমা বেগম নামের এক রোগী জানান, সকাল ৯টায় নাতিকে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে এসে দুপুর ১২টায় ডাক্তার দেখাতে পারেন নি। হাসপাতালে রোগীদের এত ভিড় যে ডাক্তাররাও ভালো করে রোগী দেখছেন না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566049826641.jpg

 

কলেজছাত্র রাব্বী জানান, হাসপাতালে তার মাকে নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৩ দিন। মেডিসিন ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশি থাকায় প্রথম আট দিন রোগীকে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

সার্জারি বিভাগের রোগী বৃদ্ধা স্বর্ণলতা রাণী জানান, রোগীর চাপে হাসপাতালের প্রতিটি ওয়ার্ডে খুবই দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের এক স্বেচ্ছাসেবক জানান, নতুন ভবন উদ্বোধনের পর এক বছর পার হতে চললেও চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ, এটা তাদের ব্যর্থতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/17/1566049468832.jpg
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল

 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শামীম কবীর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে নানা সংকট রয়েছে। যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে বর্তমানে হাসপাতালের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় একটু সমস্যায় পড়তে হয় ডাক্তারদের। তবে সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় রূপ দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা সিভিল সার্জন আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। ২৫০ শয্যার নতুন ভবনটি চালু হলে রোগীদের দুর্ভোগ করবে।’

২৫০ শয্যার নতুন ভবনের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডাক্তার এ এস এম মারুফ হাসান এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;