টেলিযোগাযোগ খাতে ইউনিফাইড লাইসেন্স প্রবর্তন করা উচিত-রবি সিইও



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রবি সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ/ছবি: শাহরিয়ার তামিম

রবি সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ/ছবি: শাহরিয়ার তামিম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম মোবাইল ফোন ও ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, টেলিযোগাযোগ খাতে দেশে ব্যবসা পরিচালনার জন্য সমন্বিত বা ইউনিফাইড লাইসেন্সিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা উচিত। ইউনিফাইড লাইসেন্সিংয়ের মতো ব্যবসাবান্ধব সঠিক নীতিমালা ও পরিবেশ নিশ্চিত না করা হলে মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর আগামীতে ব্যবসা করে টিকে থাকা কঠিন হবে।
সম্প্রতি বার্তা২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এ সব কথা বলেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। রবির মতো একটি বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ কোম্পানিতে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি সিইও।
ইউনিফাইড লাইসেন্সের ব্যাখ্যায় মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এই লাইসেন্সের অর্থ হচ্ছে আমরা সব ধরনের টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে পারবো। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের লাইসেন্সের মাধ্যমেই টেলিযোগাযোগ খাতের ব্যবসা পরিচালিত হয়। ২০ বছর আগে যখন আমরা এ দেশে ব্যবসা শুরু করি তখন সব সেবা দেওয়ার সুযোগ থাকলেও এখন তা নেই। এই সুযোগটা না দেওয়ায় ব্যবসায়িকভাবে আমরা ক্রমাগত লোকসান দিয়ে যাচ্ছি, একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার ক্ষেত্রে যে হারে উন্নতির দরকার ছিল তা হচ্ছে না। বাজারে এখন শত শত আইএসপি রয়েছে, অথচ তারা ইন্টারনেট সেবা নিয়ে গ্রামেগঞ্জে যেতে পারছে না। আবার আমাদেরও আটকে দেওয়া হচ্ছে। এ সব বিষয় উন্মুক্ত করা উচিত।

মালয়েশিয়াভিত্তিক এই কোম্পানির সিইও বলেন, নতুন কোনো অপারেটর দেশে আসছে না। অথচ ৩জি ও ৪জি এর সময় সরকার উৎসাহিত করেছিল আরো অপারেটর আসুক। আমাদের অবস্থা দেখে কেউ কিন্তু এ বাজারে আসতে আগ্রহী হচ্ছে না। আমাদের এই শিল্পের প্রকৃত অবস্থা নিয়ে সরকারের একটি বিশদ বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা দরকার।

মাহতাব বলেন, ‘‘আমরা সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। ওনারা যে আমাদের সমস্যাগুলো বুঝতেই পারছেন না, এগুলো নিয়েকাজ করছেন না-তা নয়। এই শিল্পকে সহায়তা দিতে ওনারা পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে তা যথেষ্ঠ নয়। প্রক্রিয়াটা আরো দ্রুত হতে হবে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের স্বাধীনতা দিতে হবে। আমরা যখন এ দেশে টেলিকম লাইসেন্স নেই তখন আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, ফাইবার বসানো, টাওয়ার স্থাপনসহ সব কাজ আমরা করতে পারতাম। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলো একে একে আমাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে আমাদের ব্যবসা পরিচালনার খরচ কমছে না, আরো বাড়ছে। যাদের ব্যবসা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাদের লাভ হলেও আমাদের অবস্থা খারাপ।’’

মোবাইল ফোন অপারেটরদের সমস্যার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, একটি সমন্বিত ব্যবস্থার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রাহকের কাছে পৌছানো হয়। এখানে অপারেটরদের পাশাপাশি আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, এনটিটিএনের মতো সব প্রতিষ্ঠানের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। একসময় এ সব কাজ আমরাই করতাম, কিন্তু এখন আর সে অবস্থা নেই। কিন্ত গ্রাহক প্রান্তে কোনো সমস্যা হলে আমাদের ওপরই দোষারোপ আসে। গ্রাহকেরা জানেন না যে পেছনে কারা কাজ করছে। এখন সেবা দিতে যে সব সমস্যা হয় তার অধিকাংশই বিদ্যুৎ ও ফাইবার সম্পর্কিত। এসব কিছুই আমাদের হাতে নেই, আমরা এগুলো নিয়ন্ত্রণও করতে পারি না। আমরা লোকসান করছি, আবার নীতিমালার কারণে আমরা কিছু করতেও পারছি না।
মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক নীতিমালা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। এই খাতে মোবাইল অপারেটরদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেনিয়াতে এমএফএস-এ মোবাইল অপারেটর দিয়ে বিপ্লব হয়েছে। বিশ্বে মোবাইল অপারেটর নিয়ন্ত্রিত ও ব্যাংক নিয়ন্ত্রিত- দুই ধরনের মডেলই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অপারেটরদের সুযোগ দেওয়া হলে সেবাটি আরো সমৃদ্ধ ও প্রতিযোগিতামূলক হতে পারতো। কিন্তু কার স্বার্থে, কিসের স্বার্থে আমাদের এ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হলো, আমরা তা জানি না? অথচ রবিই প্রথম অপারেটর যারা বিকাশের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিল। আমাদের সাপোর্ট সিস্টেম নিয়েই পুরো ব্যবসাটি চলে। সেখানে কেন আমাদের রাখা হবে না? আমরা সবকিছুতে অবদান রাখছি। কিন্তু আমাদের সব জায়গা থেকে বের করে আনা হচ্ছে। এটি দেশ ও টেলিযোগাযোগ শিল্পের জন্য ভালো নয়।

মোবাইল ফোন অপারেটরদের ই-কমার্স ব্যবসায় সুযোগ দেওয়ার বিরোধিতার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশীয় কোম্পানিকে সহযোগিতা করা উচিত। তবে উম্মুক্ত অর্থনীতির যুগে তা এমনভাবে করা উচিৎ নয়, যা দেশের ভালো নয়। এখানে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকতে হবে। ই-কমার্সে বিপুল পরিমান বিনিয়োগ লাগে। আমাজান কতবছর লোকসান দিয়ে আজকের পর্যায়ে এসেছে তাও মাথায় রাখতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের চিন্তা থেকে এই ব্যবসায় নামতে হবে। এখানে যদি সঠিক নীতিমালা না নেওয়া হয়, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে সুযোগ তা পিছিয়ে যাবে। এখানে যত দেরি করবো ততো তা আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। একটা সময় সরকার বিষয়টি উপলদ্ধি করবে।

রবির সিইও হিসেবে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর সুপুন বিরাসিংহের স্থলাভিষিক্ত হন মাহতাব উদ্দিন আহমদ। রবিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ১৭ বছর ধরে আরেক বহুজাতিক কোম্পানি ইউনিলিভারের সাথে কাজ করেছেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। যেমন, ইউনিলিভার পাকিস্তান, ইউনিলিভার আরাবিয়া ও ইউনিলিভার বাংলাদেশের মত অপারেটিং কোম্পানিগুলোতে ফিন্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন মাহতাব ।

ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপের মতো ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন ওটিটি(ওভার দ্য টপ) সেবার প্রসঙ্গে রবির প্রধান নির্বাহী বলেন, এগুলোর ব্যবহার নিয়ে সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। আমাদের যদি ১০০ টাকা আয় হয়, তার ৪৬ টাকা সরকার কর হিসেবে নিয়ে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওটিটিকে করের আওতায় আনার প্রক্রিয়া নেই। তারা আমাদের অবকাঠামো ব্যবহার করছে কিন্তু তাদের চার্জ করতে পারছি না। এতে অপারেটর ও দেশ ভোগান্তি পোহাচ্ছে। এটি আরো খারাপ পর্যায়ে চলে যাবে। এখনো আমাদের ৬৬ শতাংশ আয়ই আসে ভয়েস কল থেকে। তবে ৪জি এর যত প্রসার হবে ওটিটির আগ্রাসন আরো বাড়বে। তাই এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
৫জি নিয়ে রবির পরিকল্পনার বিষয়ে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৫জিতে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। এ ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে এবং সেটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। ৪জিতে এখন ম্যাসিভ মাইমো (ম্যাক্সিমাম ইনপুট ম্যাক্সিমাম আউটপুট) নামের একটি প্রযুক্তি এসেছে, এটি ইনস্টল করা হলে ৫জি দরকার হবে না। এতেই গতি বেড়ে যাবে। ওই জায়গায় কাজ করার একটি পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। তবে এর আগে ৪জিকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। কারণ এখানে আমরা ইতিমধ্যে অনেক বিনিয়োগ করেছি। এর আগে ৩জিতে বিপুল বিনিয়োগ করে লোকসান করেছি। ২০২১ সালের দিকে জিএসএমএ ৫জি নিয়ে একটি স্ট্যান্ডার্ড ঠিক করবে। তবে কেন আমি ৫জি চাই এজন্য সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঠিক করতে হবে। এরপর ৫জিতে বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হবে। ইউটিউব দেখার জন্য ৫জি দরকার নেই, ৩জি যথেষ্ট। যে শিল্পের সমর্থনের জন্য ৫জি করা তা আগে তৈরি করতে হবে। তা না হলে এটি অপারেটরদের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়াবে।

শুধু ভয়েস কল আর ইন্টারেনট ডেটাকে কেন্দ্র করে আগামী দিনের ব্যবসায় টিকে থাকা যাবে না বলে মনে করেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এ জন্য ডিজিটাল লাইনে নতুন আর কি কি করা যায় তা নিয়ে কাজ করছি। আইটি প্লাটফর্ম, অ্যাপস তৈরিসহ বিভিন্ন দিকে মনোযাগ দিচ্ছি, এন্টারপ্রাইজ ব্যবসায় ফোকাস করছি। নন-টেলকো বা নন-কোর ববসা গুলো শুরু করতে চাই। এটা নিয়ে গ্রুপের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। আর এজন্যই গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে প্লট নিয়েছি। নন-কোর টেলিকম ব্যবসার বাইরে আজিয়াটার অনেক কাজের পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন কোম্পানি গঠন করে এসব ব্যবসা এখানে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশকে রিজিওনাল হাব হিসেবে বানাতে কাজ করছি। এখনকার যে নীতিমালা রয়েছে তা বেশ আকর্ষণীয়। যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োগ করলে এটি বিনিয়োগের ভালো সুযোগ করে দেবে।

সম্প্রতি চালু হওয়া মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা নিয়ে রবির সিইও বলেন, পৃথিবীর খুব কম দেশেই এমএনপি সফলতা পেয়েছে। আমরা যেমন ফ্রিডম অব ইনভেস্টমেন্টের কথা বলি তেমনি গ্রাহকদেরও স্বাধীনতা থাকা উচিত। এমএনপির মাধ্যমে সে সুযোগ করে দেওয়ায় সরকারকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তবে এটি যে শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে তা মনে করি না। এমএনপি চালুর প্রথম ৫দিনে গ্রাহকের একটি বড় অংশ রবিতে এসেছে। অপারেটর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক ও কলরেট গ্রাহকের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুটি বিষয়েই আমরা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছি। এমএনপিতে আমরা যে সাড়া পাচ্ছি তাতে আমরা খুবই আনন্দিত। সারাদেশে রবি ভালো সেবা দিতে পারছে বলেই সবাই এখানে আসছে।
অভিন্ন কলরেট নিয়ে মতামত জানতে চাইলে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি নিয়ে গণমাধ্যম ও কিছু আলোচনায় ভুল বোঝাবুঝি দেখেছি। অন-নেট ও অফ-নেট পদ্ধতি বড় অপারেটরকে সুবিধা দেয়। এটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেবে না। এটি গ্রাহকের জন্য ভালো নয়। যে কারণে বিশ্বের কোনো দেশে এটি নেই। সর্বশেষ দেশ হিসেবে আমরা এটি তুলে দিয়েছি। এটি নিয়ে কারো অভিযোগ থাকা উচিত নয়। আর অভিন্ন কলরেটের আগে সব মোবাইল অপারেটরের কলরেটই মিনিট প্রতি ৫৫ থেকে ৫৭ পয়সা ছিল। এখন রবিতে মিনিটে ৫০ পয়সা খরচে গ্রাহকেরা কথা বলতে পারছেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কারণে এই রেটও থাকবে না। এটি ৪৫ পয়সাতে চলে আসবে। ফলে আগে যে কলরেট ৫৫ থেকে ৫৭ পয়সা ছিল প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কারণে তা এক সময় ৪৫ পয়সায় নেমে আসবে। অথ্যার্ৎ রেটের সুফল গ্রাহকরাই পাবে।

৪জি নেটওয়ার্ক প্রসারে রবির কর্মপরিকল্পনা নিয়ে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ৪জিতে আমরা যে বিনিয়োগ করেছি তা যৌক্তিক করতে হলে পেনেট্রেশন বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় নেই। আপনারা জানেন, ইতিমধ্যেই দেশের ৯৯ শতাংশ উপজেলায় আমরা ৪জি পৌছে দিয়েছি। যেটা আমরা আগে কখনো করিনি। এবার শহরের পাশাপাশি গ্রামীণ বাজারে আমরা সুনির্দিষ্টভাবে মনোযোগ দিয়েছি। নেটওয়ার্কের পাশাপাশি ৪জির ব্যবহার বাড়ানোর আরেকটি গুরত্বপূর্ণ বিষয় হলো ডিভাইস। এই ব্যাপারে এখনো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যেমন ভারতে জিও ১৫০০ টাকায় ৪জি ডিভাইস ছাড়তে পেরেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার পরেও আমরা তা করতে পারিনি, ৪/৫ হাজার টাকার নিচে কোনো ডিভাইস বাজারে দেখছি না। দেশে মানসম্মত ৪জি ডিভাইস হলে তা ৬/৭ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যায় না। যদি ফিচার একটু বেশি খারাপ হয় তাহলে ৪জি এক্সপেরিয়েন্স পাওয়া যাবে না, তখন নেটওয়ার্ক নিয়ে অভিযোগ করা হবে। ডিভাইস যতক্ষণ পর্যন্ত সঠিক দাম সঠিকভাবে সাধারণ গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে না পারছি ততক্ষণ ৪জি যে পর্যায়ে নিয়ে নিয়ে যেতে চাইছি তা হবে না। সেখানে আমি মনে করি সরকার এবং ভেন্ডর ও ম্যানুফ্যাকচারারকে একটি দায়িত্ব নিতে হবে। কারণ অপারেটর চাইলেই ডিভাইস আমদানি করে বিক্রি করতে পারে না। এমন লো-কস্ট ডিভাইস আমদানির ক্ষেত্রে অপারেটরদের তেমন স্বাধীনতা নেই। আসল ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা সঠিক অর্থে পৌছে দিতে ডিভাইস পেনেট্রেশন একটি বড় বাধা ৪জি পেনেট্রেশনে। প্রতি মাসে আমরা কয়েক লাখ ফোন বিক্রি করতে পারি। আমরা যদি সরাসরি বিক্রি করতে পারি তাহলে মূল্য কমে যাবে।

লোকসানের বেড়াজাল থেকে কেন রবি বেরিয়ে আসতে পারছেনা-এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা মুনাফা করা শুরু করেছিলাম ২০১২-১৩ সালের দিকে। এরপর আবার লোকসানে চলে যাই। ৩জি আসার পর ২০১৭ পর্যন্ত বড় বিনিয়োগ করতে হয়। সব অপারেটর মিলে ৩জিতে ৩২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করেছে। এখন পর্যন্ত এই বিনিয়োগের এক তৃতীয়াংশও আমরা তুলে আনতে পারিনি।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;