টেলিভিশনগুলোকে কি বাঁচানো যাবে



মাজেদুল নয়ন; স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
টেলিভিশন/ছবি: সংগৃহীত

টেলিভিশন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ধুঁকছে ঢাকার টেলিভিশন চ্যানেলগুলো। ব্যয়ের তুলনায় আয় না থাকায় কর্মচারী ছাঁটাই করছে নিয়মিত। অন্যদিকে, মানসম্মত অনুষ্ঠান বা খবর প্রকাশ করতে না পারায় বিজ্ঞাপনদাতারাও আর উৎসাহী হচ্ছে না।

একটি বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্ণধার জানান, দেশে টেলিভিশনের মোট দর্শকদের মাত্র ২১ শতাংশ বাংলাদেশি চ্যানেল দেখেন। বাকি ৭৯ শতাংশ বিদেশি চ্যানেলের দর্শক। দেশের যে কোনো চ্যানেলের তুলনায় ভারতের জি নেটওয়ার্কের চ্যানেলগুলোর দর্শক অনেক বেশি।

বাংলাদেশে কিছুদিন আগে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় অনুষ্ঠান ছিল দীপ্ত টেলিভিশনের বাংলায় ডাবিং করা তুর্কি সিরিয়াল ‘সুলতান সোলেমান।’ বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের ইতিহাসে এটি রেকর্ড সংখ্যক দর্শক পেয়েছে। ‘সুলতান সোলেমান’ চলাকালে বিজ্ঞাপনের জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রতি মিনিটে লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে। তবে সেই অনুষ্ঠানের বিপক্ষেও দাঁড়িয়ে যায় অন্য টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানগুলো এবং প্রযোজকদের সংগঠন। আবার খেলা চলাকালে সংশ্লিষ্ট চ্যানেলগুলোর মিনিটের মূল্য বেড়ে যায়।

তবে দেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর মানসম্মত অনুষ্ঠান না বানানো এবং দর্শক টানতে ব্যর্থ হওয়াকেই এই বিজ্ঞাপন সংকটের জন্য দায়ী করছেন বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘সুলতান সোলেমান’ এর পর দীপ্ত টিভি নিয়ে আসে ‘কোসেম সুলতান’ এবং ‘এইজেল’। তবে এই সিরিজগুলো কিন্তু আগের মতো দর্শক জনপ্রিয়তা পায়নি। কারণ একঘেয়ে হয়ে গিয়েছিল দর্শক। অন্য চ্যানেলগুলোতেও ডাবিং সিরিয়ালের জোয়ার চলে আসে। তবে সবকয়টিই ব্যর্থ হয়।

ওই প্রতিষ্ঠাটির জরিপ থেকে জানা যায়, বর্তমানে খবরের চ্যানেলের মধ্যে ‘সময়’ টেলিভিশন ছাড়া অন্য চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনের হার সন্তোষজনক নয় মালিকদের জন্য। এক মিনিট সময়ের জন্য ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার বেশি খরচ করতে রাজি হচ্ছে না বিজ্ঞাপন দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।

দেশের গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত কয়েক বছরে অনেক বেশি সংবাদ চ্যানেল হয়েছে। এমনকি অনুষ্ঠান চালানোর জন্য চ্যানেল খোলা হলেও, পরে সংবাদ চালু করা হয়েছে। ভাবা হয়েছিল, সংবাদ না থাকলে বিজ্ঞাপন পাওয়া যাবে না। তবে ধারণা ভুল হয়েছে তিন বছর না পেরোতেই। মানুষ এখন সংবাদের জন্যে অনলাইন মাধ্যমে বেশি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ফলে সংবাদ চ্যানেলগুলোও ঝুঁকছে অনলাইনে। ঘরে বসে টিভিতে সংবাদ দেখার দর্শকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে প্রতিদিন।

এদিকে, বেসরকারি চ্যানেলগুলোকে বাঁচাতে এবার সরকারও পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশে পহেলা এপ্রিল থেকে ডাউনলিঙ্ক করা বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

শনিবার (৩০ মার্চ) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এপ্রিল থেকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তথ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা হলে দেশীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে বিজ্ঞাপনের হার বাড়বে এবং দেশের টেলিভিশন শিল্প আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তবে বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞাপন দাতারা বলছেন, মানসম্মত অনুষ্ঠান বা খবর না হলে দর্শক যেমন পাবে না টেলিভিশনগুলো, তেমনি বিজ্ঞাপনের বাজারও বাড়বে না। কারণ বিজ্ঞাপন দাতা দেখবে দর্শকের অংশগ্রহণ কেমন এবং অনুষ্ঠানের গুরুত্ব কতটুকু। আর তারা বিদেশি চ্যানেলের জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ করতেন, সেই পরিমাণ অর্থ এখন তৃতীয় মাধ্যমে খরচ করবেন। সেটি ডিজিটাল মিডিয়াতেই যাবে বলে মনে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন সংস্থার ওই কর্মকর্তা বলেন, দেশে এখন ভালো দর্শক পাচ্ছে দূরন্ত টেলিভিশন। কারণ সেখানে শিশুদের অংশগ্রহণ রয়েছে উল্লেখযোগ্য। ভালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে একটি বড় সংখ্যক শিশু দর্শককে তারা চ্যানেলের দর্শক বানাতে পেরেছে। তবে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকে সেটি কমে এসেছে। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেলে শিশুদের জন্য যে সৃষ্টিশীল অনুষ্ঠানগুলো করা হচ্ছে সেগুলো দর্শক টানছে।

বর্তমানে দেশে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের যে বাজেট তার মাত্র ১৯ শতাংশ খরচ হচ্ছে দেশি চ্যানেলে। আর ৮১ শতাংশই দেওয়া হচ্ছিল বিদেশি চ্যানেলে।

বিজ্ঞাপন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং বিজ্ঞাপন দাতারা বলছেন, সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে যে বিজ্ঞাপনের টাকাটা বিদেশি চ্যানেলে যেতো সেটি এখন অনলাইন বা ডিজিটাল মিডিয়ায় খরচ করবে প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ এখন মানুষ টেলিভিশনের চেয়ে ফেসবুক, টুইটার বা ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইন সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন অ্যাপসে বেশি সময় কাটাচ্ছে। ফলে সে অনুযায়ী ক্রিয়েটিভ বিজ্ঞাপন তৈরি এবং এসব মাধ্যমে এই অর্থ ব্যয়ের দিকে মনোযোগ বিজ্ঞাপন দাতাদের। কারণ সেখানেই টার্গেট গ্রুপের উপস্থিতি বেশি।

তিনি বলেন, যাই হোক জোর করে বিজ্ঞাপন আদায় করলেও, দর্শক না থাকলে সেই বিজ্ঞাপন বেশিদিন স্থায়ী হয় না। ফলে টিভি চ্যানেলগুলো নিজেদের পরিবর্তন না করলে সরকারের এই পদক্ষেপেও কোন পরিবর্তন আসবে না।

   

বাংলালিংকের আয় বেড়েছে ১৪.৪ শতাংশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক, তাদের দুই অংকের প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রেখেছে। অপারেটরটির বার্ষিক আয় আগের বছরের তুলনায় ১৪.৪ শতাংশ বেড়ে ২০২৩ অর্থবছরে ৬ হাজার ১৫০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।

বাংলালিংক-এর এই অর্জনে ভূমিকা রেখেছে এর ফোর-জি গ্রাহক সংখ্যার উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, ‘ডিজিটাল অপারেটর ১৪৪০’ কৌশলের সঠিক বাস্তবায়ন, যার অর্থ হলো দিনের প্রতি মিনিটে গ্রাহকদের সাথে যুক্ত থাকা এবং দেশব্যাপী নেটওয়ার্কের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ। এই কৌশলগত পদক্ষেপগুলো বাংলালিংককে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন মান প্রতিষ্ঠা করেছে।

সম্প্রতি, বাংলালিংক তার নেটওয়ার্ক কভারেজ দ্বিগুণ করেছে, তাদের মোট টাওয়ার সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজারের বেশি। বাংলালিংক-এর উচ্চ গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্কের পাশাপাশি মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবাগুলো এই ভালো ফল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্য অনুসারে, ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলালিংক-এর গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ। সম্প্রতি বাংলালিংক-এর মূল কোম্পানি ভিওন প্রকাশিত ২০২৩ সালের বার্ষিক আয়ের প্রতিবেদন অনুসারে অপারেটরটির ফোর-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২৪.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২ কোটি ফোর-জি গ্রাহকের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

ইতোমধ্যে ডিজিটাল স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিনোদনের মতো ক্ষেত্রে বাংলালিংক তাদের ডিজিটাল সেবার সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বাংলালিংক-এর মাইবিএল সুপার অ্যাপ, দেশের টেলিকম খাতের প্রথম সুপার অ্যাপ যা অন্য মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকরাও ব্যবহার করতে পারবে এবং যা এক প্ল্যাটফর্ম থেকেই বিস্তৃত ডিজিটাল সেবা প্রদান করছে। অ্যাপটি ব্যবহারকারীদের প্রাত্যহিক জীবনকে করে তুলে আরও সহজ।

গুগল প্লে স্টোর-এর লাইফস্টাইল বিভাগে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, যা এর জনপ্রিয়তা ও ব্যবহার উপযোগিতা প্রতিফলিত করে।

২০২৩-এ চতুর্থ প্রান্তিকের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো, প্রায় আশি লাখ, যা ৩৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বাংলালিংক-এর টফি বর্তমানে অডিও ও ভিডিও স্ট্রিমিং সংবলিত দেশের শীর্ষস্থানীয় বিনোদন অ্যাপ্লিকেশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। দেশের সকল মোবাইল নেটওয়ার্ক থেকে গ্রাহকগণ টফি ব্যবহার করতে পারেন। দেশজুড়ে বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্কের সুবিধা নিয়ে, বাংলালিংক গত চার বছরে বাংলাদেশের ‘দ্রুততম মোবাইল নেটওয়ার্ক’-হিসেবে ধারাবাহিকভাবে ওকলা স্পিডটেস্ট অ্যাওয়ার্ড জিতেছে যা বাংলালিংক-এর ডেটা গ্রাহক বৃদ্ধিতে এটি বিশেষ অবদান রেখেছে।

বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, উদ্ভাবন, বিশ্বাস ও মানসম্মত সেবা প্রদানের কারণেই বাংলালিংক দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। গ্রাহকদের অগ্রাধিকার দিয়ে, ডিজিটাল অপারেটর কৌশলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেবা খাতে আমরা আরও নতুন মাত্রা যোগ করতে চাই। দেশব্যাপী ব্যাপক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সারা দেশে আমাদের কভারেজকে দ্বিগুণ করেছি। সবচেয়ে বেশি গতি ও মানসম্মত নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করার মাধ্যমে মাইবিএল সুপার অ্যাপ, টফি ও বিপ-এর মতো উন্নত ডিজিটাল সেবাগুলির মান আরও বাড়াতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

;

ডিজিটাল মার্কেটিং ও সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছেন রায়হান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

মুশফিক আর. রায়হান, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তরুণরা দেশের সম্পদ। তবে অধিকাংশ শিক্ষিত তরুণ চাকরি নামক সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে বেকারের খাতায় নাম লেখান। তারা সম্পদে রূপান্তর না হয়ে দেশের বোঝা হয়ে যান। এমন সংকটে ১৯ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিং করে সফল হওয়ার চেষ্টায় তরুণ উদ্যোক্তা প্রকৌশলী মুশফিক আর. রায়হান।

প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ যেভাবে অনলাইনের ওপর নির্ভরশীল হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। যার ফলে অনেক তরুণই ক্যরিয়ার হিসেবে ডিজিটাল মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছেন। কারণ এ ক্যারিয়ার একজন মানুষকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলছে, অন্যদিকে জীবনকে করে তুলছে স্বাচ্ছন্দ্যময়।

এমনই এক তরুণ উদ্যোক্তা ও ডিজিটাল বিপণনকারী মুশফিক আর. রায়হান। নিজের নামেই একটি ফেসবুক পেজ দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন এ তরুণ। দেখতে দেখতে দীর্ঘ পথচলায় এখন তিনি বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি এবং ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে পরিচিত।

বর্তমান যুগের ডিজিটাল মার্কেটিংকে বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র বলে মনে করেন মুশফিক আর. রায়হান। তিনি বলেন, ‘দিন দিন এর গুরুত্ব বাড়ছে। ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এ সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়।’

তার মতে, ‘এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কী ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে মানুষ, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে: পলক

  • Font increase
  • Font Decrease

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। এটাকে আমরা চলমান রাখতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ভিশন-২০৪১ ঘোষণা করেছেন, এবং যুক্তরাজ্য সরকার ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করেছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারে যুক্তরাজ্যের হাই-কমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন ।

তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ রয়েছে। সেগুলো হলো- স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সিটিজেন, এবং স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট সোসাইটির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল ডেভেলপমেন্ট স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অনেকটাই মিল রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দুই দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃবাণিজ্য, আন্তঃবিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি ইনোভেশন, সাইবার সিকিউরিটি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে দেশের তরুণ প্রজন্মের ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ কমিউনিকেটিং স্কিল বাড়ানোর জন্য আলোচনা হয়েছে। যাতে করে আমাদের ফ্রিল্যান্সার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়াররা লাভবান হতে পারে। অতীতের মতো আগামীদিনেও আমরা এই জায়গাতে কাজ করতে চাই।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে মিলে আইটি সেক্টরের বিজনেস বাড়ানো, সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা এবং দক্ষতা উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে। এছাড়াও অন্যান্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনা অব্যাহত রাখবো এবং ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাজ্য একসঙ্গে কাজ করবে।

;

উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) এর উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জীবন’ সেবা যুগে প্রবেশ করলো পটুয়াখালী।

শনিবার (২৩ মার্চ) রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক পটুয়াখালী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে জীবন সেবার উদ্বোধন করেন।

এসময় পটুয়াখালী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে জুনের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগের নির্দেশ দেন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

উদ্বোধন শেষে প্রতিমন্ত্রী বিটিসিএল কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনসাধারণকে "জীবন" সম্পর্কে অবহিত করতে হবে। জুনের ৩০ এর মধ্যে যদি লাভজনকে না যাইতে পারেন তখন কিন্তু আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবো তখন আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না সন্দেহ আছে। বসে বসে বাবুগিরি চলবে না কাজ করে খাইতে হবে। সরকারের এ অবস্থা নাই যে শত শত হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিবো। তিনি আরও বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনিও ৫ মাসের মধ্যে ৩ হাজার সংযোগ দিতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্কিটেক্ট বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের মেধাবী ও সাহসী পরিকল্পনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্যাসিভ অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক জীবন হবে বিটিসিএল এর লাইফ লাইন। ভবিষ্যতে বিটিসিএলকে বাঁচিয়ে রাখা, সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং লাভজনক কোম্পানিতে পরিণত করতে জীবন ফলপ্রসূ অবদান রাখবে।

এর আগে তিনি বিকেলে পটুয়াখালী সদর উপজেলার ভূরিয়া শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ কাজ অগ্রগতি পরিদর্শন করেন ও সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন করেন।

;