বাংলাদেশে তথ্য মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের বিদায় ঘণ্টা!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বার বার ধাক্কা খাচ্ছে। আমেরিকার নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগে সিনেটের মুখোমুখি হতে হয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে। ইতোমধ্যে কেমব্রিজ এ্যানালিটিকা ডেটা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে একের পর এক নানা প্রাইভেসি উদ্বেগ জন্ম দিয়েছে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি। দুনিয়া জুড়ে ফেসবুক এখন ফেইক নিউজ বা মিথ্যা সংবাদ ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ফলে এখন অনেকে মজা করে ফেসবুককে ‘ফেইকবুক’ হিসেবে উল্লেখ করছেন।

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই সহপাঠী হত্যার বিচারের দাবিতে গত ২৯ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রধান সড়কে অবস্থান নেয় সমবয়সী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ধীরে ধীরে একটি গণ আন্দোলন গড়ে ওঠে। প্রথম দিন থেকেই এই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় ছিলেন। শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর ঘটনায় দেশের নৌপরিবহনমন্ত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের নেতা শাজাহান খানের হাসিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর তিরস্কার এবং ক্ষমা চেয়ে দৃশ্যপট থেকে নিজেকে রক্ষা করেন তিনি।

তবে ঘটনার দু’দিন পর অন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান নিতে থাকেন অনেকে। শিক্ষার্থীরা হাতে যেসব প্লেকার্ড নিয়ে আন্দোলন করছিলেন সেগুলোর ছবি এডিট করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকে একটি পক্ষ। আন্দোলনের বিপরীতে অবস্থান করা পক্ষটি সহজেই সেটি বিশ্বাস করে নেয়। শেয়ার দিয়ে, মত প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদের ছবিগুলোকে ছড়িয়ে দেন। তবে কোনো ভিডিওতে শিক্ষার্থীদের হাতে এই ধরনের অশ্লীল শব্দের প্লে-কার্ড দেখা না গেলেও ফেসবুকে এসব ছবিতে সয়লাব হয়ে উঠে। শহরের আন্দোলনকারীরাও ফেসবুককে বেছে নেন আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। সেখানেও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদদের অপমানকার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হতে থাকে। এতে একটি পক্ষ যেমন হাত তালি দিতে থাকে, আরেকটি পক্ষ মুষড়ে পড়েন। যারা ছবিগুলো পোস্ট করছিলেন, তারা একবারও এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সর্ম্পকে ভাবলেন না। নিজেদের মত ছড়িয়ে দিতে এই চরম আপত্তিকর কাজটি তারা করতেই থাকলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531227002.jpg

জানা গেছে, মুম্বাইসহ পুরো ভারতে স্যানিটেশন একটি বড় সমস্যা। সকালে মানুষ টয়লেট ব্যবহার করার চেয়ে রাস্তার দু’ধারে পয়ঃনিস্কাশনের জন্যে বসে যান। তাদের ঠেকাতে মুম্বাই সিটি কর্পোরেশন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোর বেলায় অভিযানে নামেন। যারা পথের দু’ধারে বসে যেতে চাইতেন, তাদেরকে জরিমানা করা শুরু হয়। এমনকি কান ধরে ওঠবসও করানো হতো। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন যখন নিজেদের ফেসবুক পেইজে এসব মানুষদের ছবি পোস্ট করতে থাকেন, তখনই বাধে গোল। কারণ একজন মানুষ আইন ভাঙ্গলে তার শাস্তি দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় না। মুম্বাই মিরর থেকে শুরু করে ইন্ডিয়ান টাইমস পত্রিকা এই অপমানকার ছবিগুলোর বিপক্ষে সরব হয়ে ওঠে। কারণ এটা মানুষের সামাজিক অবস্থানের ওপর হস্তক্ষেপ।

কিন্তু বুঝে না বুঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার সর্ম্পকে অপরিণামদর্শীতার অভাবে বাংলাদেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও এসব করতে থাকেন। আন্দোলনের সপ্তম দিনে এসে ফেসবুক হয়ে উঠলো ফেইক নিউজে ঠাসা। চার জন খুন, দুই জন ধর্ষিত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়তে থাকলো। মূলধারার গণমাধ্যমে নিজেদের মনের মতো খবর প্রকাশ না হওয়াতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেই বেছে নিলেন আন্দোলনের পক্ষ বিপক্ষ শক্তি। দুই একটি ছাড়া বেশিরভাগ মূল ধারার গণমাধ্যম যেখানে বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে খবর যাচাই করে প্রকাশ করে, সেখানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেরা নিজেদের মত প্রকাশ করে সেটাকেই তথ্য হিসেবে বেছে নিতে থাকেন বিভিন্ন মতাবলম্বীরা। তবে এক সময় যেমন খুন বা ধর্ষণের খবর মিথ্যা প্রকাশ হয়, তেমনি শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার বাস্তব চিত্রও উঠে আসে মূল ধারার গণমাধ্যমে।

রোববার ধানমন্ডি-সায়েন্সল্যাব এলাকাজুড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হয় পুলিশ এবং সরকারদলীয় বাহিনীর সেই খবরগুলোও যথাযথভাবেই তুলে ধরে মূল ধারার গণমাধ্যম। তবে এরই মধ্যে মতের পক্ষ বিপক্ষ যখন ঘৃণা ছড়ানোর জন্যে ফেসবুকে নিজেদের মনের মতো ছবি, ভিডিও পোস্ট করে অস্থীতিশীল অবস্থা তৈরি করতে তৎপর তখন কিন্তু সাধারণ মানুষ বেছে নিয়েছেন মূল ধারার গণমাধ্যমকেই। কারণ গত কিছুদিনের অভিজ্ঞতায় অন্তত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এটুকু বুঝতে পেরেছেন, সত্যিকারের সংবাদ পেতে হলে মূল ধারার গণমাধ্যমেই ঢুঁ মারতে হবে।

মার্কিন সাময়িকী ফরচুন’র এক প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, ডেটা বা তথ্য নিরাপত্তা লঙ্ঘণ নিয়ে মার্কিন আর ইউরোপীয় সরকারগুলোর কড়া তদন্তের মুখে রয়েছে ফেসবুক এবং তার প্রতিষ্ঠাতা জাকারবার্গ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেতে হলো ফেসবুককে। গত ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ফেসবুকের শেয়ার দর ২০ শতাংশ কমে যায়। ফলে ফেসবুকের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা টাকার অঙ্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারে কোনো কোম্পানির একদিনে সবচেয়ে বড় ক্ষতি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/06/1533531251003.jpg

বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এখন আর্ন্তজাতিক মিডিয়াগুলোর প্রধান খবরগুলোর একটি। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও ফেইক নিউজের বাহক হিসেবে নিজেকে পরিচিত করে তুলেছে ফেসবুক। অন্তত এটুকু অনুমান করা যায়, ব্যবহারকারীরা অন্তত নিজেদের পক্ষ না হোক বিপক্ষ মতের প্রচারণা যাচাই করার জন্যে হলেও মূলধারার গণমাধ্যম থেকে যাচাই করবে। আর সেক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে হবে অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোকেই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে।

২০১৬ সালের আগেও আমেরিকান নির্বাচনের আগে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ এবং সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞদের একটি বড় বিতর্কের জায়গা ছিল, ফেসবুক বা টুইটার অথবা ইউটিউব কি মূলধারার গণমাধ্যমের জন্যে ঝুঁকি হয়ে উঠবে? ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়েন ভোটাররা। তবে নির্বাচনের পরে হলেও সেখানকার মানুষ বুঝতে পারে যে ফেসবুকের ফেইক নিউজ দ্বারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা। তখন থেকেই বিশ্বব্যাপী নতুন ধারণার জন্ম নেয় যে ফেসবুকের নিজের মৃত্যুর কারণ হবে ফেসবুক নিজেই। এতো বেশি মিথ্যা আর ভ্রান্তি ছড়ানো শুরু হবে যে মানুষ আবারো ট্রেডিশনাল মিডিয়াতে প্রবেশ করতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেই বিষয়টি বাংলাদেশিদের কাছে পরিস্কার হয়ে উঠেছে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে। ফেসবুক এখানেও ফেইক বুক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে পড়ছে। গণমাধ্যমে নিজেদের প্রমাণ করার সুযোগ আবারও জোরালো হয়ে উঠেছে। মানুষকে সত্য জানতে মূলধারার গণমাধ্যমেই ভরসা রাখতে হচ্ছে। তথ্যের মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশে ফেসবুকের মৃত্যু ঘণ্টা হয়তো এখান থেকেই বাজতে শুরু করেছে।

   

মেটা AI স্মার্ট নতুন ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াটসঅ্যাপকে আরও স্মার্ট করার উদ্যোগ নিয়েছে মেটা। তাও এআই স্মার্ট। সম্প্রতি ভারত-সহ বিশ্বজুড়েই ইউজারদের জন্য জেনারেটিভ এআই, মেটা এআই-এর মতো ফিচার ধীরে ধীরে আনতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ WhatsApp।

চ্যাটজিপিটি জেনারেটিভ এইআই ইউজারদের প্রম্পটের উপর ভিত্তি করে লেখা বা ছবি তৈরি করে দেয়। মেটা এআই ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেবে, জোকস শোনাবে, ছবি বানিয়ে দেবে, আর সবটাই করবে হোয়াটসঅ্যাপ’র মাধ্যমে। ইউজাররা ডেডিকেটেড চ্যাটবট তো বটেই ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটের মধ্যেও মেটা এআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

শুরুতে এই ফিচার থাকবে সীমিত সংখ্যক ইউজারের জন্য। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষা থাকবে। মেটা এখনও ফিচারটা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। ধীরে ধীরে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। যেমন মেটা এআই আগে শুধুমাত্র ছবি তৈরি করতে পারত, এখন সেই ছবিকে জিআইএফে আনতে অ্যানিমেট করতে পারে।

ইউজার এখন আরও মজাদার এবং আকর্ষক চ্যাটিংয়ের জন্য মেটা এআই-এর তৈরি যে কোনও ছবিকে জিআইএফ-এ অ্যানিমেট করতে পারবেন।

হোয়াটসঅ্যাপে মেটা এআই অ্যানিমেট ফিচার ব্যবহার করা যাবে যেভাবে

প্রথমে মেটা এআই খুলতে হবে। চ্যাট ইন্টারফেসের উপরে নীল রঙের গোলাকার আইকন রয়েছে। এতে ক্লিক করতে হবে। এবার চ্যাটে ডাকতে হবে মেটা এআই-কে। ব্যক্তিগত বা গ্রুপ চ্যাটে মেসেজ ফিল্ডে মেটা এআই-কে ট্যাগ করে সেন্ড করতে হবে। প্রম্পটে এআই-কে বলতে হবে পছন্দের ছবি তৈরির কথা।

ছবি তৈরি হয়ে গেলে সেই ছবিতেই মেটা এআইকে অ্যানিমেট করার কথা বলতে হবে। এই প্রম্পট পেলেই মেটা এআই জেনারেট ছবি থেকে জিআইএফ তৈরি করে দেবে।

মনে রাখতে হবে, ইউজার সরাসরি মেটা এআই-কে জিআইএফ তৈরি করার কথা বলতে পারবে না। প্রথমে ছবি করতে বলতে হবে। তারপর সেই ছবিকে জিআইএফে বদলানোর প্রম্পট দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, মেটা এআই-কে ডেটা ডিলিটের অনুরোধও করতে পারবেন ইউজাররা। গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্য এটা জরুরি।

;

হোয়াটসঅ্যাপে আসছে নতুন ফিচার, দুর্দান্ত সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা!



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত তথা সারা বিশ্বে সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হোয়াটসঅ্যাপেই থাকা হয়! বলা যায়, যোগাযোগের অপরিহার্য মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ।

মেটা-মালিকানাধীন এই সংস্থা ব্যবহারকারীদের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দিতে বেশ কিছু নতুন ফিচার আনার কথা ঘোষণা করেছে। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।

ডব্লিউ বেটা ইনফো’র প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যান্ড্রয়েডের জন্য নতুন ফিচার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে হোয়াটসঅ্যাপ। মেসেজিং অ্যাপটি ডকুমেন্ট প্রিভিউ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। অর্থাৎ যখন কোনও ব্যবহারকারী কোনও ডকুমেন্ট শেয়ার করবেন, তিনি সেটা খোলার আগেই একটা ছোট্ট ছবি দেখতে পেয়ে যাবেন।

এতে চ্যাটের সঠিক নথি খুঁজে বার করা অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। কারণ ব্যবহারকারীরা না খুলেই এটি এটি দেখতে পাবেন। ফটো-ভিডিও শেয়ার করার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে। আর প্রিভিউ দেখার ফলে ব্যবহারকারীরা বুঝতে পারবেন, কন্টেন্ট খোলা উচিত না কি উচিত নয়।

এখন হোয়াটসঅ্যাপ-এ কোনও ছবি বা ভিডিও ডকুমেন্ট হিসেবে যদি শেয়ার করা হয়, প্রাপক সেটা ডাউনলোড না করলে দেখতে পারেন না। আসন্ন এই ফিচার আনা হলে সমস্যার সমাধান হবে।

এর পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ আরও একটি ফিচার নিয়েও কাজ করছে। যেখানে কোন কন্ট্যাক্টের সঙ্গে চ্যাট করা যাবে, তার সাজেশনও আসবে। এই ধরনের কন্ট্যাক্টগুলি এমন কন্ট্যাক্ট হবে, যাদের সঙ্গে বহুদিন যোগাযোগ হয়নি।

প্রথমে এই ফিচার শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন। কিছুটা দেরীতে হলেও আইওএস ব্যবহারকারীরাও এই ফিচার পাবেন। এখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যোগাযোগের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতেই এই উদ্যোগ হোয়াটসঅ্যাপের।

;

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল টেলিটকের নেটওয়ার্ক



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমনিতেই রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ খুবই দুর্বল। এরপর গরমে লোডশেডিংয়ে টেলিটকের গ্রাহকেরা আরো বেশি নেটওয়ার্ক বিভ্রাটে পড়েছেন।

গরম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাসহ সারাদেশে লোডশেডিং বাড়ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভ্রাট অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় টেলিটকের গ্রাহকদের নেটওয়ার্ক সমস্যায় চরম ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টেলিটকের ৫ হাজার ৬শ ৬১টি বিটিএস (বেস ট্রান্সিভার স্টেশন) রয়েছে, যার মাধ্যমে তারা নেটওয়ার্ক কাভারেজ নিশ্চিত করে থাকে। টেলিটকের ৩ হাজার ৮শ ৫৬টি টাওয়ার ব্যাটারি সাপোর্ট রয়েছে। তবে টেলিটকের ৮শ ৩০টি টাওয়ারে এক মিনিটের ব্যাটারি সাপোর্ট দেওয়ার সক্ষমতা নেই।

এছাড়া টেলিটকের ৪০ শতাংশ টাওয়ার এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ না থাকলে নেটওয়ার্ক সচল রাখতে পারে না।

সাধারণত, একটি বিটিএসে ৪ থেকে ৮ ঘণ্টা ব্যাটারি সাপোর্ট থাকার কথা, যাতে বিদ্যুৎ চলে গেলে টাওয়ারগুলোকে সচল রাখা যায়। টেলিটক ২০১৩ সালে ৩জি রোল আউটের সময় এসব টাওয়ারে ব্যাটারি সাপোর্ট বসিয়েছিল। যে হারে লোডশেডিং হচ্ছে, তাতে করে টেলিটকের টাওয়ারের একটি বড় অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হচ্ছে এবং গ্রাহকেরা কাভারেজ পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান এই দূরবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, এটি অস্বীকার করার উপায় নেই যে, টেলিটকের ব্যাটারি সাপোর্ট খুবই স্বল্প। একবার যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তাহলে গ্রাহকেরা নেটওয়ার্ক পেতে দুর্ভোগে পড়ছেন।

তিনি বলেন, ‘টাওয়ারগুলোকে সচল রাখতে আমরা ৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছি, যা এখন পরিকল্পনা কমিশনে মূল্যায়নের অপেক্ষা করছে’।

এছাড়াও ৫জি প্রকল্পের জন্য ২ হাজার ২শ ৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে যদি কোনো অর্থ সাশ্রয় করা যায়, তা দিয়ে ব্যাটারি সাপোর্ট নিশ্চিতে কাজে লাগানো হবে। বর্তমানে টেলিটের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লাখ। বিগত বছরে টেলিটক গ্রাহক বাড়ার পরিবর্তে উল্টো ২ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক হারিয়েছে।

সম্প্রতি, দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয়ে বসে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যযোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক টেলিটকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুনের মধ্যে লাভে আনার নির্দেশনা দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই সময়ের মধ্যে লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভে না এলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টেলিযোগাযোগ বিভাগের কোনো কোম্পানি লোকসানে থাকতে পারবে না।

এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির দেনার পরিমাণ পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে দুইবার শুধু লাভের মুখ দেখেছিল। সরকারের কাছেই দেনা আছে দুই হাজার কোটি টাকা।

বিটিআরসির কাছে পাওনা আছে, একই পরিমাণ অর্থ। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কাছে দেনা ৩শ ৮৯ কোটি টাকার বেশি। এর বাইরে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক ও ঋণ প্রদানকারীদের কাছে ঋণের পরিমাণ ৩শ ৬০ কোটি টাকা। দেনার বিপরীতে টেলিটকের কাছে পাওনা ১শ ৪১ কোটি টাকা।

 

;

এবার পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ!



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এখন গুগল পিক্সেল ৯ সিরিজে পাওয়া যাবে জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগ। অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ পিক্সেল ৯ সিরিজে আসা কিছু মডেম আপগ্রেড করেছে যা জরুরি স্যাটেলাইট সংযোগসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আপগ্রেড নিয়ে বাজারে আসছে। প্রতিবেদন- অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

বেশিরভাগ ব্যবহারকারী মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে মডেমের প্রতি গুরুত্ব দেন না। তবে এটা কিন্তু সবচেয়ে জরুরি। কারণ ইন্টারনেট সংযোগে ব্যঘাত ঘটলে তা মোটেও কাজের ক্ষেত্রে সুফলদায়ক হয় না।

এদিকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সংযোগের এই সমস্যাগুলো সিরিজের অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবার এ পরিস্থিতির উন্নতি স্বরুপ আসন্ন পিক্সেল ৯ সিরিজ আরও ভাল কিছু নিয়ে আসছে বলে আশা অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষের।

পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমেই যে বিষয়টি অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিয়েছে তা হল এর মডেম। ২০২১ সালে গুগল টেনসর চিপগুলোতে স্যুইচ করার পর থেকে মডেমগুলো পিক্সেলে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেহেতু চিপগুলো স্যামসাংয়ের এসএলএসআই বিভাগের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছিল, তাই গুগল পূর্ববর্তী পিক্সেলগুলোর বিপরীতে বিকাশকে সহজ করার জন্য এক্সিনোস মডেম বেছে নিয়েছিল। যা কোয়ালকমের সমাধানে ব্যবহার কড়া হয়েছিল।

তবে দুর্ভাগ্যবশত, নতুন মডেমগুলোতে চলমান সফ্টওয়্যারটির স্থায়িত্ব খুবই কম ছিল, বিশেষ করে শুরুর দিকে। উদাহরণস্বরূপ, পিক্সেল ৬ ব্যবহারকারী একজন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেছেন, আমি এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি যেখানে মডেমটি ক্র্যাশ হওয়া এবং এমনকি অন্যান্য সাবসিস্টেমগুলো যেমন এটির সেন্সরগুলো অফলাইনে নিয়ে যাওয়ার মত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। তবে শুধু আমি একাই পিক্সেল ৬ সংযোগের সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হওয়ার ক্ষেত্রে একা ছিলাম না।

এছাড়াও পিক্সেল ৭ এবং ৮ ব্যবহারকারীরা মার্চ ২০২৪ আপডেটের পর থেকে এর ধরনের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, প্রায় ৬০ শতাংশ উত্তরদাতারা এই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

টেনসর জি ৪, পিক্সেল ৯ সিরিজে প্রথমবারের মতো একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্যামসাং মডেম ৫৪০০ আনছে অ্যান্ড্রয়েড কর্তৃপক্ষ। যদিও এটি কোয়ালকম মডেম নয়। তবে তারা আশা করছে এটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় দ্রুত এবং আরও শক্তিশালী হবে। এছাড়া এটির সফ্টওয়্যার স্ট্যাক আপগ্রেড করা হয়েছে, যা পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনার দীর্ঘস্থায়ী হবে। এর ৫ জি নন-টেরেস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক (এনটিএন), বা অন্য কথায় উপগ্রহ-ভিত্তিক যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে আসছে।

ধারণা করা হচ্ছে পিক্সেল ৯ সিরিজই প্রথম অ্যান্ড্রয়েডের নেটিভ স্যাটেলাইট বাস্তবায়নকে সমর্থন করবে।

প্রাথমিকভাবে এই বৈশিষ্ট্যটি মোবাইল (স্পেসএক্সের সহযোগিতায় নির্মিত) দ্বারা সরবরাহ করা হবে এবং ভবিষ্যতে অন্যান্য সরবরাহকারীদের সাথে যুক্ত হবে। স্যাটেলাইট লিঙ্কটি দিয়ে টেক্সট করা গেলেও কল করা যাবে না। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি বিশেষ স্যাটেলাইট গেটওয়ে অ্যাপ্লিকেশন 'জরুরি এসওএস' নামে একটি বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে জরুরি যোগাযোগের সুবিধা দেবে।

মডেমটি পিক্সেল ৯ সিরিজ এবং পরবর্তী প্রজন্মের পিক্সেল ফোল্ড সহ সমস্ত সেলুলার-সক্ষম টেনসর জি ৪ ডিভাইসে আসছে। অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির সূত্র অনুযায়ী, গুগল একই মডেমসহ একটি ৫ জি ট্যাবলেট, কোডনেম 'ক্লিমেন্টাইন' বিকাশের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডিভাইসটি কখন বাজারে আসবে তা এখনো জানা যায়নি।

;