পুলিশ-যুবলীগের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৮, আটক ১০



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-যুবলীগের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ছবি: বার্তা২৪

লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-যুবলীগের সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের ভেতরে পুলিশ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। সেখান থেকে কয়েকটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়।

বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে শহরের তমিজ মার্কেটে জেলা যুবলীগের কার্যালয় ঘেরাও করে পুলিশ। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

আহতরা হলেন, সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আলিম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গিয়াস উদ্দিন, কনস্টেবল নয়ন পাল, মেহেদী হাসান, সাংবাদিক মীর ফরহাদ হোসেন সুমনসহ ৮ জন। আহত পুলিশরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/02/1546424466007.gif

আটককৃতরা হলেন, সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব, সদর (পূর্ব) যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপম হাওলাদার, যুবলীগ নেতা সাইমুন, ছাত্রলীগ নেতা আসিক আহমেদ ও মো. রনি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান ফজলু ও একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর আগে ফজলুকে হত্যা চেষ্টা মামলায় দেলোয়ার হোসেন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পায়।

খবর পেয়ে আহত আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখতে কয়েকজন নেতাকে নিয়ে জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু হাসপাতালে যান। এ সময় টিপুর সঙ্গে থাকা লোকজন দেলোয়ারকে মারধর করে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে পুলিশ-যুবলীগ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/02/1546424486094.gif

এ সময় ৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে অভিযান চালিয়ে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ নেতাকে আটক করে। হাসপাতাল এলাকা থেকে যুবলীগ নেতাকর্মীদের কয়েকটি মোটরসাইকেল জব্দ করে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ জেলা যুবলীগ কার্যালয় ঘেরাও করে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন জানান, হাসপাতালে রোগী দেখতে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে-পুলিশের মারামারি হয়। আহত ফজলুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। দেলোয়ার পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানের মোবাইল ফোনে কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন বলেন, 'মারামারির ঘটনায় আহতদের দেখতে গেলে যুবলীগ নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। অভিযান চালিয়ে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;