‘টাকা দিলে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নাম উঠবে’



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন। ছবি: বার্তা২৪.কম

মুক্তিযোদ্ধা ওয়াজ উদ্দিন। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়াজ উদ্দিনের বয়স ৭৭ বছর। অংশগ্রহণ করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও ৪৮ বছরেও (চার যুগ) পাননি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। তবে ২০১৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সাময়িক একটি সনদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও পাচ্ছেন না অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের মতো সরকারি সুযোগ-সুবিধা।

বর্তমানে বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে পড়েছেন ওয়াজ উদ্দিন। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়ায় ভারাক্রান্ত তার হৃদয়। এখনো তিনি অপেক্ষা করছেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য।

ওয়াজ উদ্দিন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের পাত্রখোলার তাহেরা চা বাগান এলাকার মৃত আছিম উদ্দিনের ছেলে। তার সংসারে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে রয়েছে। যুদ্ধের পরে সর্বস্ব হারিয়ে এক আত্মীয়ের আশ্রয়ে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের দুলা মিয়া মোল্লাবাড়িতে বসবাস করছেন। এই ঠিকানাটিই তার জাতীয় পরিচয়পত্রে নিবন্ধিত হয়েছে।

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ শেষে সেক্টর নম্বর-৩ মৌলভীবাজার জেলায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ওয়াজ উদ্দিন। কমান্ডার মরহুম মোখলেছুর রহমানের নেতৃত্বে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত যুদ্ধ করেছেন তিনি।

ওয়াজ উদ্দিন জানান, আব্দুল মান্নান (মুক্তিবার্তা নং-০৫০৪০২০০৭৯), আবদুল হামিদ (মুক্তিবার্তা নং-০৫০৪০২০০৬৬) ও রফিক মিয়ার (মুক্তিবার্তা নং-০৫০৪০২০০৯৯) সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তারাও তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শনাক্ত করেছেন। যুদ্ধ শেষে তিনি শ্রীমঙ্গলে গ্রুপ কমান্ডার আবদুল হামিদের কাছে অস্ত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর শ্রীমঙ্গল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার কুমুল রঞ্জন দেব তাকে যোদ্ধা হিসেবে শনাক্ত করেন।

তিনি আরও জানান, ২০১৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সাময়িক একটি সনদপত্র দেওয়া হয়েছে। মৌলভীবাজারে মুক্তিযুদ্ধের গেজেটের তালিকায় (ক্রমিক নম্বর-১১০৫) তার নাম রয়েছে।

ওয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী রোকেয়া খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা। তার প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রও আছে। তার সঙ্গে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীরা মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধাও পাচ্ছে। কিন্তু আমার স্বামী এসব থেকে বঞ্চিত। আমার স্বামীর নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে গিয়ে কমান্ডারসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে হয়রানির শিকার হয়েছি। সবাই টাকা চাচ্ছে। টাকা দিলে তালিকায় নাম ও গেজেট প্রকাশ হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছে। আমার স্বামী খুব অসুস্থ। এ অবস্থায় তার চিকিৎসার খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন কাটছে।’

মৌলভীবাজারের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মমিন মুঠোফোনে জানান, ওয়াজ উদ্দিনকে তিনি চেনেন। তাহেরা চা বাগানে তাদের বাড়ি ছিল। তবে কাগজপত্র না দেখে বিস্তারিত কিছু বলতে পারছেন না তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;