রংপুর-৪ আসন: তিন ব্যবসায়ীর ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুর-৪ আসন: তিন ব্যবসায়ীর ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর-৪ আসন: তিন ব্যবসায়ীর ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন সাটানোর পাশাপাশি চলছে গণসংযোগ। টেলিভিশনের টক-শো থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার চায়ের টেবিল পর্যন্ত নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। তরুণ-বৃদ্ধ, নবীন-প্রবীণ সবার মুখেই এখন ভোটের আলাপ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর-৪ আসন।

এরশাদের জাতীয় পার্টি ২০০১ সালে এই আসনটিতে জয় পেলেও হাতছাড়া হয়ে যায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে। ওই নির্বাচনের পর থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির করিম উদ্দিন ভরসা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন তারই আপন ভাই বিএনপির রহিম উদ্দিন ভরসা। এখন সিনিয়র ভরসার সন্তানরা বিএনপি ও জাতীয় পার্টির হয়ে রাজনীতিতে নেমেছেন। বিএনপি থেকে এমদাদুল হক ভরসা ও জাতীয় পার্টি থেকে সিরাজুল ইসলাম ভরসা স্বপ্ন বুনছেন লাঙ্গল ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যুদ্ধে মাঠে নামার জন্য।

রংপুর-৪ আসনে এবার নৌকা, লাঙ্গল ও ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও আলোচনায় রয়েছেন বিশিষ্ট তিন ব্যবসায়ীর নাম। যাদের একজন বর্তমান সংসদ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। নৌকা প্রতীক নিয়ে পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সুযোগ পেলেই নিজের নির্বাচনী এলাকায় আসেন। ছুটে যান সাধারণ মানুষের কাছে। দলের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা টিপু মুনশির বিকল্প আওয়ামী লীগ নেতা এখানে নেই বললেই চলে। এ কারণে টিপু মুনশির বিকল্প কাউকে খুঁজছে না স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

এদিকে এক যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি রাজনীতিতে উজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করলেও মাঠে নামতে পারছেন না গ্রেফতার আর মামলা ভীতিতে। আর জাতীয় পার্টি মুমূর্ষু অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে সাংগঠনিকভাবে নিজেদের শক্তি জানান দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীদের।

নির্বাচনকে ঘিরে রংপুর-৪ আসনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির মধ্যে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও আওয়ামী লীগে রয়েছেন শুধু একজন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। তাকে ঘিরে নেই জোড়ালো কোনো অভিযোগ। দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবি, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুনশির বিকল্প নেই।

রংপুর-৪ আসনের কাউনিয়ায় হারাগাছ বিড়িশিল্প এলাকা। এখানকার বেশিরভাগ ভোটারই কোনো না কোনোভাবে বিড়িশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদেরই কয়েকজন আবুল মিয়া, মিজানুর, খয়রাত ও আইনুল ইসলাম।

এই বিড়ি শ্রমিকরা জানান, ভোট এলেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন এখানকার ভোটাররা। কারণ বেশিরভাগ ভোটার বিড়ি শ্রমিক হওয়ায় মালিকপক্ষের গ্রিন সিগন্যালের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের। বেশিরভাগই ভোটার প্রভাবিত হন মালিকের কথায়।

এই হারাগাছে রয়েছে ভরসা গ্রুপের মালিক বিএনপির প্রবীণ নেতা শিল্পপতি রহিম উদ্দিন ভরসা। তার ছেলে রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি এমদাদুল হক ভরসা এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে উন্মুখ। সংসদে নতুন মুখ দেখতে তাকে ঘিরে এখানকার অনেক ভোটারও স্বপ্ন দেখছেন। তবে এখানে আওয়ামী লীগেরও কিছু নির্ধারিত ভোট রয়েছে। কারণ হারাগাছ পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন।

এই আসনে বিএনপি থেকে এমদাদুল হক ভরসা ছাড়াও ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রাঙা ও জেলা বিএনপির সদস্য কর্নেল আবদুল বাতেন (অব.)। তবে প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে এখন পর্যন্ত শিল্পপতি এমদাদুল হক ভরসাই এগিয়ে আছেন।

অন্যদিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলেও প্রচারণা থেকে পিছিয়ে নেই এরশাদের জাতীয় পার্টি। এখানে এক সময় জাতীয় পার্টির বেশ জনপ্রিয়তা ছিলো। কিন্তু এখন তা নেই বললেই চলে। আর এরশাদ প্রীতি দিনদিন কমছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, সাবেক এমপি করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে শিল্পপতি সিরাজুল ইসলাম ভরসা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবুর রহমান। তবে এরশাদের আগাম সিগন্যাল পাওয়ায় নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তফা সেলিম বেঙ্গলকে দেখা যেতে পারে।

এ আসনে বিএনপির অবস্থানও কিছুটা ভালো। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর একটি বিরাট সংখ্যক সমর্থক বা ভোটার রয়েছে এখানে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। শেষ পর্যন্ত কোন ব্যবসায়ীর গলায় উঠবে বিজয়ের মালা, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

   

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

উপজেলা নির্বাচন: ছুটির দিনেও খোলা থাকবে অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অফিস খোলা রেখে কাজ করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান এ সংক্রান্ত নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরে পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে অফিস খোলা রেখে নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারিতে বিজয়ী নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ১৫২ নির্বাচনে একই পদে প্রার্থীরা সমান ভোট পেলে লটারি করে বিজয়ী নির্ধারণে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৭ মার্চ) সংস্থাটির ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান এই নির্দেশনাটি মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে, ভোট গণনার ফালাফল একত্রীকরণের পর যদি দেখা যায় যে, দুই বা ততোধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অনুকূলে সমান সংখ্যক ভোট দেওয়ার কারণে উপ-বিধি (২)’র অধীন কোনো প্রার্থীকে নির্বাচিত করা সম্ভব নয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করবেন, লটারি যে প্রার্থীর অনুকূলে যাবে সেই প্রার্থী সবোর্চ্চ ভোট প্রাপ্ত হয়েছেন বলে গণ্য হবে এবং রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন, রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক সম্পাদিত লটারির সম্পূর্ণ কার্যক্রম লিপিবদ্ধ করে একটি কার্যবিবরণী প্রস্তুত করবেন এবং উক্ত কার্যবিবরণীতে উপস্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা নির্বাচনী এজেন্টের স্বাক্ষর গ্রহণ করবেন।

এছাড়া ভোট গ্রহণের পূর্বে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত বৈধ কোনো প্রার্থীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের নির্বাচন কার্যক্রম রিটার্নিং অফিসারগণ বিজ্ঞপ্তির দ্বারা বাতিল করে দেবেন।

পরবর্তীতে কমিশন সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার সংশ্লিষ্ট পদে নতুন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন এবং কমিশনের উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে রিটার্নিং অফিসার নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। তবে শর্ত থাকে যে, ইতোপূর্বে কোন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে সাব্যস্ত হয়ে থাকলে এবং তিনি তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করে থাকলে তাকে নতুন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে না। ভোট গ্রহণের পূর্বে মহিলা সদস্য পদে মনোনীত বৈধ কোন প্রার্থীর মৃত্যু হলে ভোটগ্রহণ অবশিষ্ট প্রার্থীগণের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

উপজেলা ভোটে প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, দলগুলোকে জানাতে বলল ইসি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৫২ উপজেলা নির্বাচনে ভোটে দলগুলোর প্রার্থী কে মনোনয়ন দেবে, তার নাম ও স্বাক্ষর জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২৪ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছেন সাংবিধানিক সংস্থাটির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম।

ইসি জানায়, তফসিল ঘোষণার সাত দিনের মধ্য এই তথ্য জানাতে হবে। সেই অনুযায়ী আগামী ২৮ মার্চের মধ্য জানাতে হবে।

ইসি জানায়, আগামী ৮ মে বিভিন্ন উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৩ এর বিধি ১৫ এর উপবিধি (৩)(গ)(ইইই) অনুযায়ী চেয়ারম্যান/ভাইস চেয়ারম্যান/মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারী বা তাহাদের নিকট হতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির স্বাক্ষরসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারগণকে প্রেরণের জন্য এবং একই সাথে উক্ত পত্রের অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে প্রেরণের জন্য বলা হয়েছে।

আগামী ৮ মে দেশের ১৫২টি উপজেলায় প্রথম ধাপের নির্বাচন হবে। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

;

‘স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ইসি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)।

রোববার (২৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং এক্সেস টু সার্ভিসেস-আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।

কর্মশালায় ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, আইডিইএ প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান, আইডিইএ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান এবং সিস্টেম ম্যানেজার, সিনিয়র জেলা/জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইসি আহসান হাবিব জানান, স্বাধীনতার মাস মার্চ। আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল দেশের স্বাধীনতাকামী জনগণ। আমি স্মরণ করছি অমর শহিদদের ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, যাদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি জানান, বাংলাদেশ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি অনুবিভাগ ও আইডিইএ প্রকল্প (২য় পর্যায়) মাধ্যমে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা, স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রস্তুতে কারিগরি সহায়তা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

জ্যেষ্ঠ এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, নাগরিকের তথ্য/উপাত্ত সংশোধন আবেদন সিএমএস-এ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘আবেদনের ধরণ/ক্যাটাগরি’ দিতে হবে। যাতে সম্মানিত নাগরিকগণকে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করা যায়। উপজেলা পর্যায়ে নাগরিকদের বায়োমেট্রিক যাচাই করা করার সুবিধা চালু করা, বর্তমানে একজন নাগরিককে জেলা পর্যায়ে আসতে হয়। এ সেবাটি সহজ করে, উপজেলা থেকে দেয়া সম্ভব হলে বিপুল সংখ্যক নাগরিকের ভোগান্তি লাঘব হবে। আমি আশা করি দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় বিস্তারিতভাবে আলোচিত হবে এবং সংশ্লিষ্ট সমস্যাসমূহ ও এর উত্তরণের উপায় বেরিয়ে আসবে।

;