রাজনৈতিক অপমৃত্যু হয়েছে কাজী জাফরউল্লাহ’র!



রেজাউল করিম বিপুল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ফরিদপুর, বার্তা২৪.কম
কাজী জাফরউল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

কাজী জাফরউল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা-সদরপুর-চরভদ্রাসন) আসনে ভোটের মাঠে পরাজিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সাংসদ কাজী জাফরউল্লাহ। আর এই পরাজয়কে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই তার রাজনৈতিক অপমৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে। কাজী জাফরউল্লাহ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্যও।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকেও ফরিদপুর-৪ আসনের সাধারণ মানুষ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর কাছে যেতে পারেননি কাজী জাফরউল্লাহ। এ কারণে সুযোগ বুঝে ব্যালট পেপারেই তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ। পাশাপাশি তারা গ্রহণ করে নিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে।

নিক্সন সাবেক সংসদ মরহুম ইলিয়াছ চৌধুরীর ছেলে ও হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনের ভাই। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো এবারো বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, ফরিদপুর-৪ আসনটি সব সময়ই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। এই আসনটি ৩০ বছর আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। অর্থাৎ ৬টি সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয় দলটি। কাজী জাফরউল্লাহ নিজেই এই আসন থেকে ২০০১ সালে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে অযোগ্য হওয়ায় তার স্ত্রী নিলুফার জাফরউল্লাহ নির্বাচন করেন এবং বিজয়ী হন। আর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে পরাজিত হন কাজী জাফরউল্লাহ।

এদিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েও এলাকার মানুষের জন্য কোনো উন্নয়ন বা খোঁজ খবর নেননি কাজী জাফরউল্লাহ। এ কারণেই মূলত স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়। পাশাপাশি রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে নিক্সন চৌধুরীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় তাদের।

ওই আসনের চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক মাস্টার বলেন, ‘কাজী জাফরউল্লাহ রাজধানীর গুলশান-বনানী-ধানমন্ডির নেতা। তৃণমূল নেতাকর্মী থেকে তিনি একেবারেই বিচ্ছিন্ন। সাধারণ নেতাকর্মীদের সঙ্গে তিনি বুক মেলানো তো দূরের কথা, হাতটা পর্যন্ত মেলাতে চান না। সেই নেতা কীভাবে নির্বাচনে জয়ী হবেন?’

তিনি বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী পাশের জেলা থেকে এসেও এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তার ব্যবহারও ভালো। এ কারণে এই অঞ্চলের মানুষ তাকে বুকে টেনে নিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্নতাই কাজী জাফরউল্লাহের পরাজয়ের কারণ। আর এই পরাজয়ে তার রাজনৈতিক অপমৃত্যু হয়েছে। এখন তার আর এই এলাকায় রাজনীতি না করাই মঙ্গল।’

সদরপুর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কাজী জাফরউল্লাহের কাছে নেতাকর্মীদের কোনো দাম নেই। অপরদিকে নিক্সন চৌধুরী স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করলেও আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তিনি দলের কর্মীদের ভালোবাসেন। বিপদে-আপদে পাশে থাকেন। এ কারণে এই আসনে কাজী জাফরউল্লাহের পরাজয় হয়েছে। তৃণমূলের কাছে তার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।

ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বিশ্বাস জানান, এই আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এই এলাকার ৮০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক। কাজী জাফরউল্লাহের কাছে নেতাকর্মীদের কোনো দাম নেই। এ কারণে তার পরাজয় হয়েছে।’

   

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

সিইসি কাজী কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, দেশের নির্বাচনে আবেগ অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোন মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে। 

সভায় দেশের সকল জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত আছেন। পুলিশপ্রধান সহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: রাজশাহীর তিন উপজেলায় বৈধ ৩১ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া, দূর্গাপুর ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। প্রার্থীদের জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধতার ঘোষণা দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রিটার্নিং অফিসার কল্যাণ চৌধুরী বলেন, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২ মে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের মূল প্রচারণা শুরু হবে। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচনী সভা এবং প্রচার-প্রচারণা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সকল প্রার্থীদের যথাযথভাবে মানতে অনুরোধ জানান।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে ২৩ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ২৪-২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি হবে ২৭-২৯ এপ্রিলের মধ্যে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। প্রচার শেষে আগামী ২১ মে হবে ভোটগ্রহণ।

এসময় জানানো হয়, এই তিনটি উপজেলায় ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। চেয়ারম্যান ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ১১ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৩১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হলেন- দূর্গাপুর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম, মো. শরিফুজ্জামান, মো. আব্দুল মজিদ; পুঠিয়া উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান জি.এম হিরা বাচ্চু, মো. মখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সামাদ, মো. আহসান উল হক মাসুদ; বাগমারা উপজেলার মো. জাকিরুল ইসলাম, মো. আ. রাজ্জাক সরকার, মোহা. নাছিমা আক্তার।

এসময় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী ঘোষিত হন- দূর্গাপুর উপজেলা মো. আ. কাদের মন্ডল, মো. হাসেম আলী, মো. আ. মোতালেব, মো. শামীম ফিরোজ, মো. মোসাব্বের সরকার জিন্নাহ, মো. আব্দুল হক; পুঠিয়া উপজেলার মো. ফজলে রাব্বি মুরাদ, মো. আব্দুল মতিন মুকুল, মো. জামাল উদ্দিন বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান; বাগমারা উপজেলার মো. আতাউর রহমান, মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা. বানেছা বেগম, মোসা. সারমিন আহম্মেদ, মোসা. কহিনুর বেগম; পুঠিয়া উপজেলার মৌসুমী রহমান, মোছা. পরিজান বেগম, মোছা. শাবনাজ আক্তার; বাগমারা উপজেলার মোছা. শাহিনুর খাতুন, কহিনুর বানু, খন্দকার শাহিদা আলম, মোছা. মমতাজ আক্তার বেবী।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পর্কে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা জানান, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তারা বৈধতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসন চুল ছেঁড়া যাচাই-বাছাই শেষে প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা করেছেন।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন- সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সাকিব হাছান খাঁন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সানিয়া বিনতে আফজাল, উপজেলা নির্বাচন অফিসার দূর্গাপুর মো. জয়নুল আবেদীন, রাজশাহী জেলার ডিএসবি মো. আলাউদ্দিন প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ার দুই উপজেলায় প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে কুষ্টিয়ার দুই উপজেলার প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা নির্বাচন অফিসের সভাকক্ষে কুষ্টিয়া সদর ও খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ২৩ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ আবু আনসার উপস্থিত প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।

এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী রয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই প্রার্থীরা মঙ্গলবার থেকে প্রচারণায় নেমে পড়েন। আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচন ৫ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুর পর শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোট গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের ৩২তম সভায় শেষে গণমাধ্যমকে তিনি এই তথ্য জানান।

সভা শেষে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম জানান, ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিজয়ী আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।

উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক ইসি সচিব বলেন, উপনির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। এ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

;