ভুলে যাওয়া রোগ - অ্যালঝেইমার্স



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
এইমাত্রই চাবির গোছাটি রাখলেন কোথাও, মুহুর্তের মধ্যেই আবার সারা ঘর উজাড় করে খুঁজছেন চাবির গোছা। অথবা কাউকে ফোন দিলেন খুব জরুরি কোন কথা বলার জন্য কিন্তু ওপাশের মানুষটি ফোন ধরার পর আর মনেই করতে পারছেন না কেন ফোন দিয়েছেন! নাকি প্রায়দিনই আপনি ভুলে যাচছেন জরুরি তারিখগুলো? পরিচিত লোকের নামও ভুলে যাচ্ছেন, চেনা পথও ভুল হয়ে যাচ্ছে, প্রয়োজনীয় জিনিসও মন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে, কথা বলার সময়ে ঠিক শব্দটা খুঁজে পাচ্ছেন না -এটা একটা অসুখ। অ্যালঝেইমার্স কি? যদি আপনার বয়স ষাট ছাড়িয়ে থাকে, আর ভুলে যাওয়ার সমস্যাটি যদি ঘনঘন হয়, তা হলে বুঝতে হবে এটা ‘ডিমেনশিয়া’। যাকে বলা হয় স্মৃতিলোপ ।স্মৃতিলোপের এই সব ঘটনা যদি নিয়মিত হতে থাকে, তাহলে সেটা অ্যালঝেইমার্স। মানসিক রোগের মধ্যে অন্যতম বিপজ্জনক একটি রোগ অ্যালঝেইমার্স। স্মৃতিশক্তি নষ্ট করা এ রোগটিতে প্রচুর বয়স্ক লোককে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এটি ৬৫ উর্দ্ধ ব্যক্তিদের মাঝে সাধারণত হয়। তবে প্রতি বছর তার চেয়ে কম বয়সী প্রচুর নারী-পুরুষের এতে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ। অ্যালঝেইমার্স নামে মারাত্মক এ মানসিক রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর স্মৃতিশক্তিই শুধু বিনষ্ট হয় না, রোগীর নানা আচার-আচরণেও মারাত্মক অসঙ্গতি দেখা যায়। আর এতে শুধু রোগী নয়, রোগীর আত্মীয়-স্বজনও প্রায়ই বিভ্রান্ত ও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তবে কিছু উদ্যোগ নিলে এ রোগটি কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব। বয়স ভেদে ভুলে যাওয়া
  • যে সব শিশু একটু চঞ্চল বা দুরন্ত তাদের ভুলে যাওয়ার একটা সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মনো:সংযোগের সমস্যার কারণেই ১৮’র কম বয়সের বাচ্চারা সব কিছু ভুলে যায়।
  • ১৮-৬৫ বছর বয়সে ভুলে যাওয়ার সমস্যার জন্য অনকেটাই দায়ী দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। প্রতিদিনের দুশ্চিন্তা, বেশি ভাবনা-চিন্তা থেকেই এই বয়সীদের ভুলে যাওয়ার সিনড্রোম তৈরি হয়।
  • ৬৫’র উপরে যাদের বয়স বার্ধক্যজনিত কারণেই এই বয়সের মানুষ ভুলে যেতে পারে। কিন্তু ভুলে যাওয়া যদি প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায় তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত।
ভুলে যাওয়ার কারণ
  • মাথায় বড় ধরণের কোন আঘাত পেলে অথবা দীর্ঘদিন মাদক সেবনের ফলে সাময়িকভাবে স্মৃতিলোচ পেতে পারে। এ ধরণের রোগীরা দু’ তিনদিন আগের ঘটনাও সম্পূর্ণ ভুলে যান।
  • ডাক্তারের পরামর্শ না মেনে ঘুমের ওষুধ খেলেও স্মৃতিলোপ পায়।
  • থাইরয়েডের সমস্যার কারণে ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।
  • শরীরে ভিটামিনের অভাব হলেও ভুলে যেতে পারে মানুষ।
  • ডায়াবেটিস, হাই কোলেস্টরল, ক্লান্তি, বিষন্নতা, নিঃসঙ্গতা এসব কারণেও স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে।
ভুলে যাওয়া যখন রোগ
  • বর্তমানে সব বয়সের মানুষের মাঝেই ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর প্রধান কারণ ‘ইনফরমেশন ওভারলোড’। আমাদের এখন এত কিছু মনে রাখতে হয় যে, মাঝে মাঝে মানুষের মস্তিষ্কও আর বেশি চাপ নিতে পারে না। এতে খেই হারিয়ে ফেলে মানুষ। সেখান থেকেই এই ভুলে যাওয়ার বাতিক দেখা যায়। তার সঙ্গে যোগ হয় মানসিক অবসাদ, মানসিক চাপ। আধুনিক জীবনযাত্রার নানা ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেও এমনটা হতে পারে। তবে কারণ যাই হোক না কেন, বয়সও যাই হোক না কেন, ভুলে যাওয়াটা যদি দৈনন্দিন কাজকে ব্যাহত করে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
প্রচলিত ধারণা স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এখনও বড়রা বলেন বাদাম বা শাক সবজি খেতে। প্রচলিত ধারণা আছে, এসেনশিয়াল ফ্যাটি এসিড আছে এমন খাবার যেমন পাম অয়েল, ইলিশ মাছ এসব খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলেন এই ধারণার কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। মনে রাখার সহজ উপায়
  • নিয়মিত শরীরচর্চা, ব্যায়াম বা ধ্যান করলে মনো:সংযোগ বাড়ে।
  • গল্পের বই পড়লে বা গান শুনলে সর্বোপরি যে কাজে আপনাকে মনোযোগ দিতে হবে তেমন কাজের চর্চার মধ্যে থাকলে মনোযোগ বাড়ে।
  • সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, নতুন কোন বাদ্যযন্ত্র বাজাতে শিখলে মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ে।
অ্যালঝেইমার্সের পাঁচ ওষুধ বিশেষজ্ঞরা বলেন, এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর প্রতি হতাশ হওয়া যাবে না। তাকে ভালোবাসা দিতে হবে। সহানুভূতির সঙ্গে তার সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করতে হবে। অন্যথায় রোগীর অবস্থা আরও অবনতি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে যে পাঁচটি ওষুধের কথা বলছেন চিকিৎসকরা তা হলো-
  • রোগীকে সর্বদা সমর্থন করতে হবে। তাকে নানা কথার মাধ্যমে বোঝাতে হবে যে আপনি তার মতামতকে সমর্থন করছেন।
  • রোগীর সঙ্গে সর্বদা ভালোভাবে সময় কাটান। তাকে আনন্দের মাঝে রাখুন। তার প্রতি মনোযোগ দিন।
  • মানসিক রোগীকে অনেকেই উপহার দিতে চান না। তবে অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগীদের মানসিক শান্তির জন্য উপহার দিন। এটি তার প্রতি আপনার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাবে।
  • অ্যালঝেইমার্সের রোগীদের দিকে সর্বদা সহায়তার হাত বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের কাজের বোঝা কমানো কিংবা কোনো কাজে সহায়তা করার মাধ্যমে পাশে থাকার অনুভূতি যোগাতে হবে।
  • হাত মেলানো কিংবা নিকট আত্মীয়দের শারীরিক সংস্পর্শ এ ধরনের মানসিক রোগীদের সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
   

মাঝরাতে আইসক্রিম, পিৎজা খাওয়া নিষিদ্ধ করল মিলান!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: স্কাই নিউজ

ছবি: স্কাই নিউজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আইসক্রিম, পিৎজা অনেকের কাছেই ভীষণ পছন্দের খাবার। তবে ইউরোপসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে মাঝরাতে এসব মুখরোচক খাবার ও পানীয় খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। ইতালিতে জেলাটিনের তৈরি আইসক্রিম খুব বিখ্যাত। এজন্য ইতালিতে 'জেলাটো সংস্কৃতি' নামে একটা কালচার গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি ইতালির মিলানের বাসিন্দাদের জন্য একটি নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিবেদন- স্কাই নিউজ।

মিলানে বসবাসকারীদের অধিকাংশই মাঝরাতে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করে আইসক্রিম, পিৎজা, ফাষ্টফুড জাতীয় খাবার ও পানীয় পান করে থাকে। এতে করে সেখানকার এলাকাবাসীদের রাতের ঘুম বিঘ্নিত হয়। নতুন প্রস্তাবিত আইনে শহরবাসীর রাতের ঘুম নির্বিঘ্ন করতে মধ্যরাতের পর পিৎজা ও পানীয়সহ সব ধরনের টেকওয়ে খাবার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে মধ্যরাতের পর আইসক্রিম নিষিদ্ধ করার চেষ্টা এবারই প্রথম নয়। ২০১৩ সালে, তৎকালীন মেয়র গিউলিয়ানো পিসাপিয়া অনুরূপ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু 'অকুপাই জেলাটো' আন্দোলনসহ তীব্র প্রতিক্রিয়ার পরে তিনি এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।

এরপর আবারও মিলানে এ আইনটি প্রস্তাব করেছেন ডেপুটি মেয়র মার্কো গ্রানেল্লি। দেশটির ১২টি জেলা এই প্রস্তাবের আওতাভুক্ত হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মিলানের মেয়র গ্রানেল্লি বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিকতা ও বিনোদন এবং বাসিন্দাদের শান্তি ও প্রশান্তির মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা।

প্রস্তাবটি নিম্নলিখিত এলাকাগুলোতে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে মিলান কর্তৃপক্ষ: নোলো, লাজারেটো, মেলজো, ইসোলা, সারপি, ভায়া সিজারিয়ানো, আরকো ডেলা পেস, কোমো-গাইআউলেন্টি, পোর্টা গ্যারিবল্ডি, ব্রেরা, টিসিনিজ এবং দারসেনা-নাভিগলি।

জানা যায়, প্রস্তাবটি মে মাসের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর থাকবে এবং নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এটি প্রতিদিন রাত ১২.৩০ টায় এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন এবং সরকারী ছুটির দিনে রাত ১.৩০ টা থেকে প্রয়োগ করা হবে। তবে এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে নাগরিকদের মে মাসের শুরু পর্যন্ত আপিল করার এবং আইন পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়ার সময় রয়েছে।

 

 

 

;

অস্ট্রেলিয়ায় নিখোঁজ কুকুর ফিরলো যুক্তরাজ্যের মালিকের কাছে



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ায় ঘুরতে এসে নিখোঁজ হয় যুক্তরাজ্যের এক দম্পতির পালিত কুকুর। যুক্তরাজ্যে আসার ১৭ দিন পর মিলো নামের কুকুরটিকে ফিরে পেয়েছেন জেসন হোয়াটনাল নিক রোল্যান্ডস দম্পতি।

হোয়াটনাল এবং তার সঙ্গী নিক সম্প্রতি তাদের কুকুর মিলোকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া পরিদর্শনে যান। তারা যখন সোয়ানসিতে বাড়িতে যাচ্ছিলেন তখন মেলবোর্ন বিমানবন্দরে তার হ্যান্ডলার থেকে কুকুরটি পালিয়ে যায়।

সাড়ে পাঁচ বছর বয়সী কুকুরটিকে অবশেষে মেলবোর্নের শহরতলিতে ১৭ দিন পর খুঁজে পাওয়া যায়।


হোয়াটনাল স্কাই নিউজকে বলেন, ‘মিলোকে ফিরে পাওয়াটা খুবই আশ্চর্যজনক ছিল আমার জন্য। যখন আমি আমার প্রিয় মিলোর (কুকুর) সাথে পুনরায় মিলিত হয়েছিলাম, তখন আমি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। আমার কান্না দেখে অন্যরাও কেঁদেছিল। এটি সত্যিই আবেগপ্রবণ ছিল।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্য প্রান্তে থেকে মিলোর কথা চিন্তা করে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলাম। আমরা জানতাম না মিলো কোথায় আছে। এটি বেশ হতাশাজনক ছিল আমাদের জন্য, কিছুটা আশা হারিয়ে ফেলেছিলাম। তাকে ফিরে পাবো ভাবিনি।

মিলোকে পাওয়ার জন্য সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছিলাম, তখন স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে সাহায্য আসে, তারা মিলোর সন্ধান দেয়। মিলোকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ।

;

আমার হাতের পাখা যেন তাদের আরাম দিচ্ছে!



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

ছবি: বার্তা২৪, তালপাতার পাখা বিক্রি করছে পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আবু বক্কর (৬২)। বয়সের ভারে অসুস্থ হয়ে তিনি এখন পাকা বিক্রেতা। প্রচণ্ড তাপদাহে মানুষ যখন ঠান্ডা বাতাসের প্রশান্তি খুঁজছে, তখন তিনি গ্রামে গ্রামে গিয়ে তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন।

আবু বক্কর বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্ত্রীসহ ছয় মেয়ে নিয়ে আমার সংসার। তবে মেয়েদের বিয়ে দিতে পেরেছি। কিন্তু বয়সের ভারে ঠিকই আমরা একা থেকে গেলাম। শেষ বয়সে গ্রামে গ্রামে তালপাতা পাখা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছি। শুধু সংসার না, এই টাকায় আমার পায়ের শিরার ব্যথার ওষুধও কিনতে হয়। একবেলা ওষুধ না খেলে চলতে পারি না।

এদিকে, পুরনো ব্যবসার ঋণের বোঝা আর অন্যদিকে অসুস্থ হয়ে ওষুধসহ সংসারের খরচ। শেষ বয়সে তালপাতার পাখাই আমার একমাত্র জীবনসঙ্গী বলেন আবু বক্কর।

তালপাতার পাখা বিক্রি করছেন আবু বক্কর, ছবি- বার্তা২৪.কম

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের কবিগানের অনুষ্ঠানে সরেজমিন দেখা যায়, একপাশে তালপাতার পাখা বিক্রি করতে ব্যস্ত ছোট্ট পাঁচ বছরের শিশু মাহমুদুল্লাহ। এই গরমে যখন তার ঘরে থাকার কথা, তখন সে নানা-নানীর সঙ্গে এসে তালপাতার পাখা বিক্রি করছে। কবিগানে বসে থাকা সব শ্রোতার কাছে গিয়ে বলছে, পাখা লাগবে, পাখা! কথা বলতে চাইলেও এ পাশ ওপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে, ক্রেতার কাছে।

এক ফাঁকে তাকে কাছে পেয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়, এই বয়সে পাখা বিক্রি করছো কেন! এ প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে মাহমুদুল্লাহ বলে, প্রচণ্ড গরমে স্কুল ছুটি। তাই, নানা-নানীর সঙ্গে চলে এসেছি মেলায় পাখা বিক্রি করতে। মানুষজন আমার কাছ থেকে যেন বেশি পাখা কেনে (ক্রয়), তাই আমি মেলায় তাদের সঙ্গে এসেছি।

অনেক উৎসাহের সঙ্গে সে বলে, গরমে আমার হাতের পাখায় যেন তাদের আরাম দিচ্ছে! মেলা হলে আমি সেখানে চলে যাই পাখা বিক্রি করতে। ঘোরাঘুরিও হয় আর টাকা ইনকামও হয়। টাকার জন্য বের হয়ে পড়েছি। আমরা পাখা বিক্রি করে পেট চালাই। নানা-নানী বুড়ো হয়ে গেছে। তাই, আমি সঙ্গে এসে তাদের কষ্টটাকে একটু ভাগাভাগি করে নিচ্ছি।

যেখানে প্রচণ্ড তাপে মানুষজন নাজেহাল, সেখানে ছোট্ট মাহমুদুল্লাহ ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পাখা বিক্রি করতে। ছোট্ট শিশু হলেও গরম যেন তার কাছে কিছু না, পেটের তাগিদে!

আরেক পাখা বিক্রেতা তালা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের বাসিন্দা ভদ্রকান্ত সরকার (৭০)। ১২-১৪ বছর ধরে এই পেশায় আছেন তিনি।

চলছে তালপাতার পাখার বিকিকিনি, ছবি- বার্তা২৪.কম

শেষ বয়সে পাখা কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বার্তা২৪.কমকে ভদ্রকান্ত বলেন, চাল কিনে খেতে হয়। খুব কষ্টের সংসার! ছেলে-মেয়ে আছে। তারা তাদের মতো কাজ করে খায়। মা বাবার বয়স হয়ে গেলে ছেলে আর আমাদের থাকে না। আমরা বৃদ্ধ বয়সে কেমন আছি, সেটা জানার সুযোগ তাদের থাকে না। শেষজীবনটা এভাবে পাখা বিক্রি করে কাটিয়ে দেবো। কী আর করবো! কপালে যা আছে, শেষপর্যন্ত তাই হবে। কপালে ছিল, এমন বৃদ্ধ বয়সে গ্রামে গ্রামে পাখা বিক্রি করতে হবে!

;

৪ লাখ বছর আগে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

ছবি: সংগৃহীত, নিউ সায়েন্টিস্ট থেকে

  • Font increase
  • Font Decrease

৪ লাখ বছর আগে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আদিম মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে নতুন এক গবেষণা থেকে জানা গেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করে এই গোত্রের মানুষ পরে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায়।

নতুন এক গবেষণা জানাচ্ছে, সাইবেরিয়ায় নতুন একটি এলাকার সন্ধান পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ১৭ হাজার বছর আগে হোমিনিনস (Hominins) গোত্রের মানুষের উপস্থিতি ছিল। এই গোত্রের মানুষ ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বাস করতেন। সেখান থেকে তারা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছে যায় বলে জানিয়েছেন চেক প্রজাতন্ত্রের এক গবেষক।

১৬ এপ্রিল চেক অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সেসের গবেষক জন জেনসেন এক সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ তথ্য প্রকাশ করেন। গবেষণাবিষয়ক সংবাদ সাময়িকী নিউ সায়েন্সটিস্ট এ বিষয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জন জেনসেন বলেন, আমরা আগে যে ধারণা করতাম, তারও আগে থেকে হোমিনিনস গোত্রের মানুষ সাইবেরিয়ার ডিরিং ইউরিআখ এলাকায় বসবাস করতেন। ৪ লাখ ১৭ বছর আগে থেকেই তারা এই এলাকায় বসবাস করতে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের অবস্থান ছিল উত্তর অক্ষাংশে।

তিনি বলেন, আরেকটি আদিম গোত্রের মানুষের সন্ধান পাওয়া যায়, যারা আর্কটিক অঞ্চলে বাস করতেন। ৪৫ হাজার বছর আগে তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

 

;