স্বপ্ন থেকে সাফল্যে

ফিরে দেখা প্রথম এভারেস্ট বিজয়: পর্ব-৫



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
বরফে-মোড়া চূড়াগুলোর কাছ থেকে উঁকি মারে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া/ ছবি: সংগৃহীত

বরফে-মোড়া চূড়াগুলোর কাছ থেকে উঁকি মারে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালের অনেকগুলো ছোট্ট নয়নাভিরাম গ্রামের একটিতে তেনজিংয়ের জন্ম। টুকরো টুকরো সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ছিল গ্রামটি। বছরের বেশির ভাগ সময় সে পাহাড়ের চূড়াগুলো ঝকঝকে সাদা বরফের চাদরে ঢাকা থাকে। মাঝে থিয়াংবোচে বৌদ্ধ গুম্ফা। এই বরফে-মোড়া চূড়াগুলোর কাছ থেকে উঁকি মারে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া, স্থানীয় নেপালি ভাষায় সাগরমাথা, আর তিব্বতিতে চোমালাংমা।

আরেক বঙ্গ সন্তান রাধানাথ শিকদারের জরিপ করার পর নাম হয় ’পিক ফিফটিন’। এটাই মাউন্ট এভারেস্ট নামে পরিচিত। উচ্চতা ২৯ হাজার ০২৮ ফুট।

এই হিমালয়কে দেখতে দেখতে নেপালের উত্তর-পূর্ব অংশে খুম্বু অঞ্চলের সোলো খুম্বুতে ১৯১৪ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে জন্ম হয় নামগ্যাল ওয়াংদি’র। বাবা খাংলা মিংমা ও মা ডোকমার। বাবা ইয়াক পালক। ১৩ ভাইবোনের মধ্যে নামগিয়াল ছিলেন ১১তম। পরবর্তীকালের তিনিই বিশ্বখ্যাত তেনজিং।

ছোটবেলা থেকে বরফ মোড়া পাহাড় চূড়ার ফাঁক থেকে এভারেস্ট দেখে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকত নামগ্যাল ওয়াংদি। রং বুক গুম্ফার প্রধান লামা নামগিয়ালের তার নতুন নামকরণ করেন তেনজিং নোরগে।

কৈশোরে রোমাঞ্চকর অভিযানের নেশায় দু’ দু’ বার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তেনজিং/ ছবি: সংগৃহীত
কৈশোরে রোমাঞ্চকর অভিযানের নেশায় দু’ দু’ বার বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তেনজিং/ ছবি: সংগৃহীত

 

কৈশোরে রোমাঞ্চকর অভিযানের নেশায় তেনজিং দু’দু’বার পালিয়ে যান বাড়ি থেকে। প্রথমবার কাঠমান্ডু, দ্বিতীয়বার দার্জিলিং। এরপর বাড়ির লোক তাকে পাঠিয়ে দেন থিয়াংবোচে গুম্ফায়। লক্ষ্য ছিল তেনজিং গুম্ফায় পাঠ নিয়ে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী হবেন। তা হলেই না, হলেন পর্বতারোহী।

কিছুদিন পরে তেনজিং বুঝতে পারেন, সন্ন্যাসধর্ম তার জন্য নয়। ১৯ বছর বয়সে তিনি পাকাপাকিভাবে দার্জিলিংয়ে তু সুং শেরপা বস্তিতে বসবাস শুরু করেন। ঠিক করলেন, এভারেস্টে তাকে যেতেই হবে। শুরু করলেন মাল বাহকের কাজ।

১৯৩৫ সালে প্রখ্যাত ব্রিটিশ পর্বতারোহী এরিক শিপটন তার এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিলেন। মালবাহক আর শেরপা বাছাইপর্বে হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে তার নজর পড়ে একটা সুঠাম হাসিখুশি মুখ। পাকা জহুরির মত এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে তিনি বেছে নেন তেনজিংকে।

পরে এরিক বলেছিলেন, ‘কয়লার মধ্যে হিরের দ্যুতি ঢাকা পড়ে না। সেরকম একঝাঁক মালবাহকের মলিন মুখের মধ্যে হঠৎ নজরে এল একটি যুবকের ঝকঝকে তামাটে মুখ। যেন না-কাটা হিরের ঝলক। আমি সেদিনই বুঝেছিলাম এভারেস্টকে বাগ মানাতে পারে এই যুবক।’

১৯৩৫ সাল থেকে শুরু হয়ে গেল লাগাতার অভিযান। বছরের পর বছর ধরে। শুরুতে তেনজিং ছিলেন নিছকই মালবাহক মাত্র। কিন্তু প্রথম অভিযানেই তিনি তার জাত চিনিয়ে দেন। বছর কয়েক ধরে নানা দলের সঙ্গে চলতে থাকে তার পাহাড় অভিযান আর গিরিশৃঙ্গ জয়। সরাসরি চিনতে থাকেন তিনি অপার রহস্যময় হিমালয়কে।

বছরের বেশির ভাগ সময় পাহাড়ের চূড়াগুলো সাদা বরফের চাদরে ঢাকা থাকে/ ছবি: সংগৃহীত
বছরের বেশির ভাগ সময় পাহাড়ের চূড়াগুলো সাদা বরফের চাদরে ঢাকা থাকে/ ছবি: সংগৃহীত

 

বারবার চেষ্টা করেও বহু দিন পর্যন্ত এভারেস্ট ছিল তেনজিংয়ের অধরা। দুর্ভাগ্যও যেন তাড়া করে ফিরছিল তাকে। ১৯৫২ সালে সুইস দল লম্বেয়ারের সঙ্গে এভারেস্ট অভিযান যেমন। নেপালের দক্ষিণ পথ দিয়ে এভারেস্ট চূড়ার মাত্র ৭৭৮ ফুট দূর থেকে খালি হাতে ফিরে আসতে হয় দলটিকে। চূড়ার কাছে পৌঁছে হঠাৎ লম্বেয়ারের শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে যায়।

তেনজিংয়ের কাছে তখন এভারেস্ট জয়ের থেকেও লম্বেয়ারকে সুস্থ অবস্থায় ক্যাম্পে ফিরিয়ে আনাটা ছিল খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

পরের বছরই এলো তার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন। ২৯ মে, ১৯৫৩। এভারেস্ট বিজয়ের ক্ষণ।

আরও পড়ুন: একজন অসামান্য পর্বতারোহী তেনজিং

আরও পড়ুন: বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ

আরও পড়ুন: ইভেন-বরিলিয়ান আউট, হিলারি-তেনজিং ইন

আরও পড়ুন: ১৬ বার ব্যর্থ হয়েছিলেন তেনজিং!

   

ইতিহাসের পাতায় ১৯ মার্চ: পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির নেতাদের বৈঠক



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দেশ ভাগের পর পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির নেতাদের প্রথম বৈঠক

দেশ ভাগের পর পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির নেতাদের প্রথম বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যালেন্ডারের প্রতিটি তারিখ কিছু বিশেষত্ব বয়ে বেড়ায়। প্রতিটি তারিখ জুড়ে বিরাজ করে ঐতিহাসিক নানা ঘটনা। তারিখের সাথে এসব স্মৃতিও প্রতিবছর পৃথিবী প্রদক্ষিণের মাধ্যমে ঘুরে আসে বার বার। 

আজ ১৯ মার্চ, ২০২৪। ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায়, আজকের তারিখে ঘটে যাওয়া নানা ঐতিতহাসিক ঘটনা। চলুন, সেসব জেনে নেওয়া যাক!  

১৯৪৯ সালে জার্মানি পূর্ব এবং পশ্চিম দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এরপর ১৯৭০ সালের ১৯ মার্চ প্রথমবার দুই দেশের নেতাগণ একে অন্যের সম্মুখে আসেন। পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর উইলি ব্র্যান্ড পূর্ব এবং পশ্চিম ভাগের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছিলেন। পূর্ব জার্মানির প্রধানমন্ত্রী উইলি স্টোফের সাথে এই উদ্দেশ্যে তিনি পরামর্শ করার উদ্দেশ্যে দেখা করতে যান।

১৯২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনেট ২য় বারের মতো ভার্সাই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেন। এর পাশাপাশি তারা ‘লীগ অব নেশনস’ এর চুক্তির অনুমোদন করতেও অস্বীকার করে।

আর্জেন্টিনার প্রায় ৫০ জন নাগরিকের একটি দল জর্জিয়ায় অবতরণ করে ১৯৮২ সালে। নিজদেশের উপকূল থেকে ১৪০০ মাইল পূর্বে দক্ষিণ আটলান্টিক ফকল্যান্ডে দেশের পতাকা উত্তোলন করে সে দল।

লন্ডনের সম্ভ্রান্ত পরিবারের প্রিন্সেস মার্গারেট এবং লর্ড স্নোডনের বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৭৬ সালে। ১৬ বছরের সংসার জীবনে তাদের ২টি সন্তান ছিল।

;

১৭ মার্চ : ইতিহাসে আজকের এই দিনে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। আজ রোববার, ১৭ মার্চ ২০২৪। একনজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনদের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি:

০৬৩৬ - রোমানদের পরাজয়ের পর মুসলমানরা বায়তুল মোকাদ্দাস জয় করে।

১০৯৭ - খৃষ্টানরা বায়তুল মোকাদ্দাস দখলের জন্য ক্রুসেডের যুদ্ধ শুরু করে।

১৭৬৯ - বাংলার তাঁত ও মসলিন শিল্প ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ব্রিটিশ রাজের নির্দেশে বাংলার তাঁতিদের হাতের বুড়ো আঙ্গুল কাটা শুরু হয় ।

১৯৪৪ - মার্কিন বিমান বাহিনী ভিয়েনায় বোমাবর্ষণ করে।

১৯৪৮ - ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, হল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের প্রতিনিধিরা বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে।

১৯৯০ - ইংল্যান্ডের ইয়র্কে ৫ শতাধিক ইহুদীকে গণহত্যা করা হয়।

১৯৯২ - দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ অবসানের জন্য শ্বেতাঙ্গ ভোটাররা সংস্কারের পক্ষে গণভোট দেয়।

১৯৯৪ - এল সালভাদরে গৃহযুদ্ধের খবর সংগ্রহ কালে ৪ জন ডাচ সংবাদিক নিহত হয়।

১৯৯৪ - মিশরে ৯ জন ইসলমাপন্থীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

২০০০ - উগান্ডায় গীর্জায় অগ্নিকান্ডে ৫৩০ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং পরবতীতে আরো ৩৯৪টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

২০০১ - চীনে বোমা বিস্ফোরণে ৪টি হোটেল বিধ্বস্ত হয়; এতে ১০৮ জন নিহত হয়।

২০০৪ - কসোভোতে সার্ব ও আলবেনীয়দের জাতীগত দাঙ্গায় ২২ জন নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়।

জন্ম

৭৬৩ - হারুনুর রশিদ, আব্বাসীয় খলিফা।

১০৭৮ - আব্দুল কাদের জিলানী, ইসলাম ধর্মে অন্যতম প্রধান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ত্ব ও ধর্মপ্রচারক।

১৪৭৩ - চতুর্থ জেমস, স্কটল্যান্ডের রাজা।

১৮৩৪ - গোটলিব ডেইমলার, জার্মান মোটর গাড়ির পুরোধা।

১৮৫৬ - মিখাইল ভ্রুবেল, রাশিয়ান চিত্রশিল্পী।

১৮৭৩ - মার্গারেট বন্ডফিল্ড, ইংল্যান্ডের প্রথম নারী কেবিনেট মন্ত্রী।

১৮৮১ - ওয়াল্টার রুডলফ হেস, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী সুইস শারীরবিজ্ঞানী।

১৯১২ - মনোহর আইচ, ভারতীয় বাঙালি বডি বিল্ডার।

১৯২০ - শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতি।

১৯৩৮ - রুডলফ নুরেয়েভ, রাশিয়ান বংশোদ্ভূত ফরাসি নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার।

১৯৪২ - সঙ্গীতশিল্পী পূরবী দত্ত, ভারতীয় বাঙালি নজরুলগীতি বিশেষজ্ঞা।

১৯৪৫ - এলিস রেজিনা, ব্রাজিলিয়ান গায়িকা।

১৯৫৫ - গ্যারি অ্যালান সিনিস, মার্কিন অভিনেতা, পরিচালক ও খাদ প্লেয়ার।

১৯৬২ - কল্পনা চাওলা, ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী ও মহাকাশচারী।

১৯৭৫ - পুনীত রাজকুমার, ভারতীয় অভিনেতা, গায়ক ও প্রযোজক।

১৯৭৬ - আলভারো রেকোবা, সাবেক উরুগুয়ের ফুটবলার।

মৃত্যু

০১৮০ - মার্কাস অরেলিয়াসের, রোমান সম্রাট।

১০৪০ - হ্যারল্ড হারেফোট, ইংরেজি রাজা।

১৭৮২ - দানিয়েল বার্নুয়ি, ডাচ সুইস গণিতবিদ ও পদার্থবিজ্ঞানী।

১৮৪৬ - ফ্রিডরিশ ভিলহেল্ম বেসেল, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ।

১৯৩৭ - অস্টিন চেম্বারলেইন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ইংরেজ রাজনীতিবিদ।

১৯৫৬ - আইরিন জোলিও-কুরি, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি পদার্থবিদ।

১৯৫৭ - রামোন ম্যাগসেসে, ফিলিপিনো জেনারেল, রাজনীতিবিদ ও ৭ম প্রেসিডেন্ট।

১৯৮৩ - হ্যাল্ডান কেফার হার্টলাইন, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন শারীরবিজ্ঞানী।

১৯৯৩ - হেলেন হায়েজ, মার্কিন অভিনেত্রী।

দিবস

জাতীয় শিশু ‍দিবস। 

;

'বহে না সুবাতাস'



ড. মাহফুজ পারভেজ, অ্যাসোসিয়েট এডিটর, বার্তা২৪.কম
'বহে না সুবাতাস'

'বহে না সুবাতাস'

  • Font increase
  • Font Decrease

চৈত্র মাস শুরু হয়েছে। শুষ্ক বাতাস। প্রকৃতিতে দাবদাহ। দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা লাফ দিয়ে উঠছে চৈত্রের শুরুতেই। বাকী দিনগুলো তাপদহনে রুক্ষ হবে, আন্দাজ করা যায়।

ঢাকার বাতাস ধারাবাহিকভাবে 'অস্বাস্থ্যকর' তকমা পাচ্ছে। আসন্ন গরমকালে রাজধানীর বায়ুমানের আরো অবনতি অনিবার্য।

গরমের সূচনাতে প্রতিদিনই একাধিক অগ্নিকাণ্ড হচ্ছে। সড়কে মৃত্যুর মতো আগুনে হতাহতের ঘটনা নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হচ্ছে।

এরই মাঝে চলছে কৃচ্ছ্রসাধনার মাস রমজান। তাপ, দুষিত বায়ু, যানজটের সঙ্গে বাজারের অগ্নিমূল্যে নাকাল হচ্ছে রোজাদার সাধারণ মানুষ। কোনোক্রমেই বাজারের অগ্নিমূর্তি শীতল হচ্ছে না। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল করা যাচ্ছেনা নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েও।

এসবের সঙ্গে আরেক দুঃসংবাদ হলো, জলদস্যু কবলিত বাংলাদেশের জাহাজের অনিশ্চিত ভাগ্য। আফ্রিকার উপকূলে জিম্মি হয়ে নাবিকরা জীবন ও মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।

এদিকে, গাজায় চলছেই ইসরাইলি গণহত্যা। ত্রাণ পাচ্ছে না বিপন্ন ফিলিস্তিনিরা। যুদ্ধবিরতির শত আবেদনেও কর্ণপাত করছে না জায়নবাদী ইসরায়েল।

চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই রাশিয়ায় নির্বাচনে যুদ্ধবাজ পুতিন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। পোপ যুদ্ধবিরতির পক্ষে কথা বলে যুদ্ধংদেহী নেতাদের দ্বারা সমালোচিত হয়েছে।

চারিদিকে শুধু উগ্র, তপ্ত, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি। কোথাও 'বহে না সুবাতাস'। না প্রকৃতি, না সমাজ, কোথাও সুবাতাস ও সুখবরের স্বল্পতা প্রকট। বিপন্নতা, আহাজারি, চাপাকান্না, মানবিকতার আর্তনাদ কাউকে আর্দ্র করে না। কোনো বিপর্যয়ের মনুষ্যত্বে তীব্র হুঙ্কার সঞ্চারিত হতে কমই দেখা যায়।

সামগ্রিক পরিস্থিতির দমবন্ধ ও গুমোট পটভূমিতে উপমা হিসাবে লাগসই মনে হয়, 'বহে না সুবাতাস' শব্দবন্ধ। সত্তর দশকের শেষপ্রান্তে কৈশোরকালে কিশোরগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরিতে পড়ে ছিলাম 'বহে না সুবাতাস' নামে একটি গল্পগ্রন্থ। ১৯৬৭ সালে প্রকাশিত বইয়ের লেখক কথাশিল্পী জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত।

জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত কলেজের বার্ষিকীতে জীবনের প্রথম গল্প চর্চা শুরু করেন। এরপর জীবনযাপনের বিচিত্র নিয়মে অবিরাম লিখে যাওয়াই তাঁর নিয়তি। একের পর এক গল্পে তিনি বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন। যেজন্য তাঁকে ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়।

একেবারে শুরু থেকে তাঁর গল্পে উচ্চারিত হয়েছে। ভিন্ন স্বর। ষাটের দশকে যে কজন গল্পকার তাদের গল্পের মধ্যে জনজীবনের বঞ্চনা, শােষণ, শ্রেণি সংগ্রাম, নিরন্ন মানুষদের জীবনচিত্র তুলে ধরেছেন তিনি তাদের মধ্যে অন্যতম।

'বহে না সুবাতাস'-এর আটটি গল্পে জীবনের অপার দুঃখকষ্ট আর আনন্দ বেদনার দীর্ঘশ্বাস খুঁজে পাওয়া যায়। পাঠক এই বইয়ের গল্প পাঠে সন্ধান পাবেন অন্য এক জীবনের, অন্য এক ভুবনের, যা কিনা পুনরাবৃত্তির চক্রে অর্ধ শতক পরে পুনরায় ফিরে এসেছে আজকের বাস্তবতায়।

;

আজকের ইতিহাস: মহাকাশ বিজ্ঞানে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মহাকাশ বিজ্ঞানে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড

মহাকাশ বিজ্ঞানে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

বছর পেরিয়ে আসে নতুন বছর। তবে তারিখগুলো থাকে আগের মতোই। সময়ের আবর্তনে পার হয় যুগ, পরিবর্তন হয় প্রজন্ম। ফিরে আসা তারিখ গুলো মনে করিয়ে দেয়, পূর্ব প্রজন্মের স্মৃতিগুলো। 

আজ ১৪ মার্চ, ২০২৪। অঅজকের এই তারিখে অতীতে ঘটে গেছে নানান ঐতিহাসিক ঘটনা। জেনে নেওয়া যাক সেসব!   

১৯৬০ সালে রেডিও টেলিস্কোপ মহাকাশ বিজ্ঞানের ইতিহাসে বিশেষ অর্জন করে। যুক্তরাজ্যের চেশায়ারের জোড্রেল ব্যাঙ্কের রেডিও টেলিস্কোপ ৪ লাখ ৭ হাজার মাইল দূর থেকে আমেরিকান  পাইওনিয়ার ভি স্যাটেলাইটের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে সামর্থ্য হয়। এর আগে ২ লাখ ৯০ হাজার মাইল দূরত্বের রেকর্ড ছিল সোভিয়াত ইউনিয়নের লুনিক-৩ স্যাটেলাইটের।  

টেক্সাসের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকারীকে খুন করেছিলেন জ্যাক রুবি। লি হার্ভে অসওয়াল্ড প্রেসিডেন্ট কেনেডির হত্যার দায়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে আদালতে বিচারকের সামনে তাকে নেওয়ার আগেই জ্যাক রুবি তাকে হত্যা করেন। সেই অপরাধেই তার শাস্তি হয়। ১৯৬৪ সালে জ্যাককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। 

২০১৮ সালে বিখ্যাত মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং বিগব্যাঙ তত্ত্বের জনক স্টিফেন হকিং ৭৬ বছর বয়সে দেহত্যাগ করেন।

রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২ বারের মতো ক্ষমতায় আসেন ২০০৪ সালে। সেই থেকে এখনো অবধি ক্ষমতায় আছেন তিনি।  এর আগে ১ম বারের মতো ১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন তিনি।   

১৯৮৪ সালে ‍সিন ফেইনের প্রধান গেরি অ্যাডামসের উপর হামলা করা হয়।  ততার গাড়িতে ২০ টি গুলি ছোড়া হয় এবং তার ঘাড়ে ও হাতে গুলি লাগে। সেন্ট্রাল বেলফাস্টের রাস্তায় কিছু সন্ত্রাসীর সেই হামলায় তার গাড়িতে থাকা আরও ৩ জন আহত হয়েছিল। একজন অক্ষত ছিলেন তবে কেউ নিহত হননি।

 

;