বলিউডের গান থেকে উর্দু ধ্বনি উধাও!



বৃষ্টি শেখ খাদিজা, নিউজরুম এডিটর
গুলজার

গুলজার

  • Font increase
  • Font Decrease

করণ জোহরের ‘মাই নেম ইজ খান’ (২০১০) ছবির কথা ধরা যাক।

প্রধান চরিত্র রিজওয়ান খাঁন (শাহরুখ খান) অটিজমে ভোগে।

আলজিভ দিয়ে নিজের নামের শেষ অংশ ‘খাঁন’ উচ্চারণ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে।

উর্দুতে ‘খাঁন’-এর ‘খ’ আর ‘খোঁয়াব’-এর ‘খ’ শুনতে একই লাগে। দুটোই কণ্ঠনালী থেকে উচ্চারণ করতে হয়। তবে ‘খ’ অক্ষরের কিছু শব্দ থেকে এই ধ্বনি আলাদা। যেমন ‘খেল’ (খেলা)।

হিন্দি গানে ও সাহিত্যে উর্দু ধ্বনির ব্যবহার কমে যাওয়া প্রসঙ্গে ফ্রন্টলাইন ম্যাগাজিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রখ্যাত কবি গুলজার।

তিনি উল্লেখ করেন,

ভুল উচ্চারণের কারণে উর্দু ধ্বনিতে ‘দাওয়াখাঁনা’ (ফার্মেসি) শব্দ হয়ে যায় ‘দাওয়া খানা’। এর অর্থ কিছুটা আলাদা, অর্থাৎ ওষুধ খাওয়া।

বোঝা যাচ্ছে, উচ্চারণের দিক থেকে উর্দু ও হিন্দির মধ্যে অনেক পার্থক্য।

কিংবদন্তি গায়িকা লতা মঙ্গেশকর উর্দু উচ্চারণের নিয়ম অনুযায়ী ‘খ’ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে পেরেছেন।

‘মুঘল-এ-আজম’ (১৯৬০) ছবির ‘খুঁদা নিগেহবান হো তুমহারা’ গানটি শুনলেই তা বোঝা যায়।

যদিও তার মাতৃভাষা মারাঠি।

উচ্চারণের প্রভাব
লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে লেখা একটি গ্রন্থে ভারতীয় কথাশিল্পী নাসরীন মুন্নি কবিরের বর্ণনা থেকে উর্দু উচ্চারণের তাৎপর্য বোঝা যায়।

মারাঠি ভাষাভাষির মানুষ লতা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে উর্দু শব্দ সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারতেন না। এসব শব্দ কতটা জটিল তা বুঝতে পেরেছিলেন তিনি। তাই উর্দু শেখার মনস্থির করেন।

লতা স্মৃতিচারণ করে জানান, ১৯৪৯ সালে ‘মহল’ ছবির ‘আয়েগা আনে ওয়ালা’ গানের রেকর্ডিং শেষ করার পরের ঘটনা। তখন তার প্রশংসা করেন অভিনেত্রী নার্গিসের মা কণ্ঠশিল্পী জাদ্দানবাই। তার মন্তব্য ছিল, উর্দু শব্দ ‘বেগায়ের’ (বাংলা অর্থ ব্যতিত) যথাযথভাবে উচ্চারণ করতে পেরেছেন লতা।

লতার বোন ভারতের আরেক বিখ্যাত গায়িকা আশা ভোঁসলে মনোমুগ্ধকর গায়কীতে কয়েক প্রজন্মকে মোহাবিষ্ট করেছেন। হিন্দি গানে ও সুরে উর্দু ধ্বনি উপেক্ষিত থাকায় হতাশা ঝরলো তার কণ্ঠে।

আশা ভোঁসলে বলেন,

‘এখনকার শিল্পীরা হিন্দি জানে না। একইভাবে তাদের উর্দু জ্ঞানের অভাবও উদ্বেগজনক। এ নিয়ে কথা না বলাই ভালো।’

পুরনো দিনে শুধু গায়ক-গায়িকারাই উর্দু দীক্ষাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতেন তা নয়, সংগীত পরিচালকরাও এদিক দিয়ে সচেতন ছিলেন। তারা সব গানেই মান ধরে রাখার ব্যাপারে কোনও আপস করতেন না।

লতার ৭০তম জন্মদিনে তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সুরস্রষ্টা নওশাদ বলেছিলেন,

‘মেহবুব সাহেব (প্রযোজক মেহবুব খান) আমাকে আগেভাগে জানিয়েছেন, লতা মঙ্গেশকর মারাঠি মেয়ে। তার উচ্চারণ সঠিক হয় না। অথচ তাকে দিয়ে গজল গাওয়ানোর দায়িত্ব নিয়েছিলাম। তিনি ঠিকই যথাযথ উচ্চারণে গাইতে পেরেছেন।’

বাঙালি সংগীতশিল্পী মান্না দে শুরুর দিকে উচ্চারণগত সমস্যায় পড়তেন। কারণ উর্দু ধ্বনির কোনও অস্তিত্ব নেই বাংলায়। উচ্চারণ কেনো গুরুত্বপূর্ণ সেই বিষয়ে তাকে দীক্ষা দিয়েছিলেন সংগীত পরিচালক সি. রামচন্দ্র। তার সুরে কোনও শব্দই ভুল উচ্চারণে গাওয়া যেতো না।

পরিবর্তনের সূত্রপাত
ষাটের দশক থেকে শুরু করে ২০১০ সাল ও পরবর্তী সময়ে বলিউডের গানে ভাষাগত পরিবর্তন বিষয়ক বিভিন্ন গবেষণা হয়েছে। এগুলোতে দেখা গেছে, সময়ের সঙ্গে হিন্দি গানের উচ্চারণ থেকে উর্দু ধ্বনি ‘খঁ’, ‘ঘঁ’ ও ‘কঁ’ উহ্য হয়ে গেছে।

ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস জয়ী গানগুলো নিয়ে একটি সংকলন করলেই বোঝা যাবে। সেই ‘ইয়াহুদি’ (১৯৫৮) থেকে ২০১৪ সালের ‘তালাশ: দ্য অ্যানসার লাইস উইদিন’ পর্যন্ত ২২৬টি গান পাওয়া যাবে। ভিন্ন ভাষাভাষির ৪৪ জন কণ্ঠশিল্পী এগুলো গেয়েছেন।

আশির দশকের শেষ অবধি পর্যন্ত উর্দু ফোনেটিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিল্পীরা গাইতে পেরেছেন। হিন্দি ভাষায় কিংবা লোকজ চরিত্রের জন্য লেখা হলেই কেবল এর ব্যত্যয় ঘটতো।

 উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,

‘গঙ্গা যমুনা’ (১৯৬১) ছবিতে গ্রামের অশিক্ষিত চরিত্র গঙ্গার জন্য মোহাম্মদ রফি গেয়েছিলেন, ‘ন্যায় লাড় জায়হে তো মানবান মান কাসাক হোইবে কারি’। এই গানে ‘রোজগার’ (কাজ) ও ‘গজল’ শব্দের উচ্চারণে উর্দু ধ্বনি রাখা হয়নি।

হতাশার কথা হলো, নব্বই দশকের পর থেকে বলিউডে যেসব গান হয়েছে, সেগুলোতে পুরনো দিনের মতো একই মানের উচ্চারণ পাওয়া যায়নি।

গায়িকারা হিন্দি ফোনেটিক নিয়মেই মূলত গান করেন এখন। শ্রেয়া ঘোষাল যেমন ২০১২ সালে ‘বরফি’তে উর্দু শব্দ ‘শাখেঁ’ (শাখা) ও ‘খঁরচা’ (ব্যয়) গেয়েছেন ‘শাখে’ ও ‘খরচা’।

একইভাবে শঙ্কর মহাদেবার সঙ্গে শ্রেয়া ‘মাই নেম ইজ খান’ ছবির ‘নূর-এ-খুঁদা’ ও এই গানে ‘খোঁয়াবো’ (স্বপ্ন) শব্দটি হিন্দি ফোনেটিক নিয়মেই উচ্চারণ করেছেন।
আরেকটি উদাহরণ হিসেবে বলা যায়,

‘আন্দাজ’ ছবিতে কুমার শানু ও অলকা ইয়াগনিকের গাওয়া ‘কিসি সে তুম পেয়ার কারো’। এতে উর্দু ধ্বনি ‘কঁ’ ও ‘খঁ’র পরিবর্তে তারা উচ্চারণ করেছেন ‘ক’ ও ‘খ’। যেমন ‘ইকরার’, ‘খুশি’, ‘আশিকো’।

নব্বই দশকে উর্দু ধ্বনির উহ্য হয়ে যাওয়ার রীতি শুরু হয়। তখন চাঙ্গা হয়ে ওঠে হিন্দুত্ব রাজনীতি। একইসঙ্গে ক্যাবল টেলিভিশন নেটওয়ার্কগুলো পরিণত হতে থাকে ভুঁইফোঁড় প্রতিষ্ঠানে।


সাধারণভাবে এই উধাও হওয়াটা ভারতে উর্দু ভাষাকে প্রত্যাখ্যানের প্রতিফলনও হতে পারে।

প্রবীণ লেখক, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও সংগীত পরিচালকদের দৃশ্যপট থেকে সরে যাওয়ার কারণেও উর্দুর দৈন্যদশা তৈরির আরেকটি কারণ। তারা বেড়ে উঠেছিলেন উর্দু ভাষা ও সংস্কৃতিতে।

কিন্তু ভারতে এখন নতুন প্রজন্ম পড়াশোনা করে হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায়। উর্দু ভাষায় আগ্রহ জন্মানোর মতো তাদের জন্য তেমন কিছুই নেই।

এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী একাধিক কারণ নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। তবে সন্দেহ নেই, বলিউড অভিধানের বাগ্বৈশিষ্ট্যের অন্তঃসার হলো উর্দু। কিন্তু ধীরে ধীরে তা মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

 

   

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;

বিরতি ভেঙে ঈদের নাটকে ফের মেহজাবীন



বিনোদন ডেস্ক ,বার্তা২৪.কম
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলা নাটক দুনিয়ায় অভিনেত্রীর তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছেন ২০০৯ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টারজয়ী মেহজাবীন চৌধুরী। ১ যুগেরও বেশি সময় ধরে বাঙালি দর্শকের মন জয় করেছেন তার অভিনয় প্রতিভা দিয়ে। মডেলিংয়ের পাশাপাশি ছোটপর্দায় নাটক, বিজ্ঞাপন করে আসছেন তিনি। গত কয়েক বছরে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের দিকে দর্শকের ঝোঁক বেড়েছে। মেহজাবিনকেও দেখা গেছে ডিজিটাল প্লাটফর্মের কাজ করতে। বিগত দুই বছর তার প্রায় সব কাজই ওয়েব সিরিজ। তুলনামূলকভাবে টিভি নাটকে গত দুই বছর তার তেমন কোনো কাজ দেখা যায়নি। এমনকি ঈদ-উল-ফিতরেও মেহজাবিনের কোনো নাটক আসেনি।

মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে এই বছর ঈদে নাটক নিয়ে আসছেন মেহজাবিন। নাটকের নাম, গল্পের ধরন বা মেহজাবিনের সহশিল্পী হিসেবে কে থাকবেন তা এখনো অজানা। তবে গণমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যদি সবকিছু ঠিক থাকে, তাহলে এবার ঈদের নাটকে অভিনয় করবেন তিনি। নাটকের স্ক্রিপ্টের কাজ এখনো চলছে। প্রযোজনাও চলছে জোড়সোড়ে। কাজ শেষ হলেই শ্যুটিংয়ের কাজ শুরু হবে।   

অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত
অনন্যা নাটকে মেহজাবিন চৌধুরী / ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েক বছরের ওটিটিতে চমৎকার কাজ করেছেন মেহজাবীন। কাজলের দিনরাত্রি, রেডরাম, আরারাত, নীল জলের কাব্য, সাবরিনার মতো বাঘা বাঘা সিরিজে কাজ করেছেন তিনি। সেখানে ভিন্ন ধারার বিভিন্ন চরিত্র নিঁখুতভাবে ফুটিয়ে তুলে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন ভক্তরা তাকে সেরা অভিনেত্রী দাবি করে।  ২০২৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর মেহজাবিনের ‘অনন্যা’ নাটক প্রকাশ পায়। গল্প , অভিনয়, পরিচালনা- সবকিছুই ভক্তদের হৃদয় স্পর্শ করে। ঈদেও মেহজাবিনের নাটক দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন দর্শক। তাদের মনের আশা এবার পূরণ হতে চলেছে।


;