আইয়ুব বাচ্চুর শেষ ৩ দিন



বিনোদন ডেস্ক
আইয়ুব বাচ্চু

আইয়ুব বাচ্চু

  • Font increase
  • Font Decrease

শোকাচ্ছন্ন বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গন। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে না ফেরার দেশে চলে গেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ু্ব বাচ্চু। তার মৃত্যুতে শুধু সঙ্গীতাঙ্গন নয়, পুরো দেশেই নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ফেসবুক যেনো হয়ে গেছে শোকবই। প্রিয় তারকার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ওপার বাঙলাও।

তবে মৃত্যুর আগে কেমন ছিলো আইয়ুব বাচ্চুর শারিরীক অবস্থা, তার জীবনের শেষ তিনটি দিন কেমন ছিলো, তার পরিবারের কে কোথায় সবকিছু ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সকলকে জানিয়েছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফেরদৌস বাপ্পি।

কেমন ছিল আইয়ুব বাচ্চুর শারীরিক অবস্থা?

বাচ্চু ভাই বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন তবে অসুস্থতাকে পাত্তা দিতেন না একদম। কারো সাথে অসুস্থতা নিয়ে কথাও বলতেন না। কেউ অসুস্থতার কথা বললে বরং রাগ করতেন। কোনভাবেই মানতে পারতেন না তিনি তাঁর এই অসুস্থতাকে।

২০০৯-এ প্রথম হৃদযন্ত্রে ব্লক ধরা পড়ে আইয়ুব বাচ্চুর। অপারেশনের মাধ্যমে ২০০৯ সালেই তার হার্টে রিং পরানো হয়। তখন থেকেই ডাক্তারের নির্দেশ ছিলো বিশ্রামে থাকার। কিন্তু ডাক্তারের কথা মানেননি তিনি। কয়েক বছর পরেই আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবার ফুসুফুস। ২০১২ সালের ২৭ নভেম্বর ফুসফুসে পানি জমার কারণে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসা গ্রহণের পর তিনি সুস্থ হন।

২০১৫ সালে আবারো হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। এরপর থেকে নিয়মিত চেক আপে ছিলেন স্কয়ারে। নিয়মিত ওষুধও খেতেন। এমনকি দুই সপ্তাহ আগেও হার্টের চেকআপ করিয়েছেন তিনি। তখনও দিব্যি সুস্থ ছিলেন। কিন্তু তারপর কয়েকদিনের টানা কাজ তাকে ভেতরে ভেতরে ক্ষয় করে ফেলে।

স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক ও মুখপাত্র মির্জা নাজিম উদ্দিন জানান, আইয়ুব বাচ্চু দীর্ঘদিন ধরে কার্ডিও-মাইওপ্যাথি নামক হৃদরোগে ভুগছিলেন। তার হৃদযন্ত্র ৩০ শতাংশ পাম্প করে। যেটা সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ দরকার। একজন স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে কম রক্তচাপ ছিল তার হার্টের।

তিনি আরও বলেন, ‘সকালে ড্রাইভার আইয়ুব বাচ্চুকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার তথ্য মতে, আইয়ুব বাচ্চুর মুখ থেকে ফেনা বের হচ্ছিল। এর অর্থ তার হার্টের কার্যকারিতা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়ে এই তরল পদার্থ বের হয়েছে। মানে হার্ট ফেল করেছে।’

মৃত্যুর আগে শেষ তিনদিন যা যা করেছেন আইয়ুব বাচ্চু

গত পরশু ১৬ অক্টোবর রংপুরে উন্নয়ন কনসার্টে অংশ নেন তিনি। কনসার্টে সবাইকে নিয়ে পরিবেশন করেন "উড়াল দেবো আকাশে"। সদ্য প্রয়াত পিয়ানিস্ট তুষারকে নিবেদন করেন গানটি। এই কনসার্টেই বাজানোর কথা ছিল তুষারের। তুষারের কিবোর্ড রংপুরে স্টেজে পৌছে গিয়েছিল কিন্তু তুষারই পৌঁছাতে পারেনি। তার আগেই ঢাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তুষার মৃত্যুবরণ করেন।

বাচ্চু ভাই তুষারের মৃত্যু সংবাদে শোকাহত ছিলেন। কনসার্ট শেষে ছিলেন বেশ টায়ার্ড। যদিও কাউকে বুঝতে দেননি। গতকাল ১৭ অক্টোবর দুপুরের ফ্লাইটে রংপুর রওনা দেন ঢাকায় উদ্দেশে। বিমানে উঠেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বিমানে কিছু খান নি। হয়ত শরীর খারাপ লাগছিল তখন। কিন্তু নিজের শরীরের ব্যাপারে কাউকে কিছু বুঝতে দিতে চাইতেন না বাচ্চু ভাই।তখনও দেননি। রাতে বাসায় ফিরে রেস্ট নেন। সকাল ৮টায় তার ধানমন্ডির বাসায় হঠাত করেই ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। বাসার লোকজন তাকে দ্রুত নিয়ে আসেন স্কয়ার হাসপাতালে। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে ডাক্তাররা তাকে অফিসিয়ালি মৃত ঘোষণা করেন এবং জানান তার হৃদযন্ত্র মাত্র ৩০% কার্যক্ষম ছিল।

পরিবারের কে কোথায়?

আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের সহধর্মিণী ফেরদৌস আইয়ুব চন্দনা। চন্দনা ভাবী সকাল থেকেই স্কয়ারে। আপনজনেরা তাকে শান্তনা দিচ্ছেন। কিন্তু বাঁধ মানছিল না চন্দনা ভাবীর চোখ। কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলে গেছে তার। এমন চরম দুঃসময়ে তাদের দুই সন্তান বড় মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব এবং ছোট ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব দেশের বাইরে। মেয়ে ফাইরুজ থাকে অস্ট্রেলিয়ায় আর ছেলে আহনাফ কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে। দুজনকেই জানানো হয়েছে বাবার মৃত্যু সংবাদ। দুজনেই ফোনে মায়ের সাথে, আত্মীয়স্বজনের সাথে কথা বলছেন, কাঁদছেন।

ফাইরুজ ও আহনাফের দেশে ফেরার বিমানের টিকেট কনফার্ম করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামীকাল ১৯ অক্টোবর রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছাবে ওরা। সন্তানেরা যেন বাবাকে শেষবারের মত দেখতে পারে সে জন্য মরদেহ স্কয়ার হাসপাতালের ফ্রিজিং মরচুয়ারীতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহের পাশে হাইকোর্টের মসজিদে আইয়ুব বাচ্চুর নামাজে জানাজা হবে। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল সাড়ে ১০টা ২৫ মিনিটে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ।

পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

   

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;