ফার ফ্রম হোম ব্যাংককের থিয়েটারে ‘স্পাইডারম্যান’



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকক (থাইল্যান্ড) থেকে: ব্যাংককের চাতুচাকের বিশাল মল সেন্ট্রাল প্লাজা লাওপ্রাও। এটা সড়কের এপাশ-ওপাশ নিয়ে এক এলাহি মার্কেট। এই প্লাজার বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে যেমন একটি পাশ উচ্চবিত্তদের জন্যে, তেমনি নিম্নবিত্তের সাধ্যেরও সমন্বয় রয়েছে।

দুপুরে খাবার শেষে আমি আর কানালাউই ওয়াক্লেহং মলের এই পাশ ওই পাশ ঘুরে চলে এলাম টপ ফ্লোরে। এখানে রয়েছে এসএফএক্স সিনেমার মুভি থিয়েটার হল আর বিস্তর জায়গাজুড়ে ফান জোন। এখানে ফান জোনের একাংশে চলছে পাবজি গেমের টুর্নামেন্ট। ১৪টি টেবিলে ১৪টি গেমার দল অংশ নিয়েছে। আর বড় স্ক্রিনে গেমিং উপভোগ করছেন আমাদের মতো এখানে ঘুরতে আসা লোকেরা। রোববারে ছুটির দিনে এখানে ভিড়টা একটু বেশিই। এখানে কিডস জোনেও রয়েছে গেমিংয়ের সুযোগ। আমরা সেখানেই কিছুটা সময় কাটানোর আগেই কেটে নিয়েছিলাম মার্বেল ফিল্মসের সাম্প্রতিক মুভি, 'স্পাইডারম্যান, ফার ফ্রম হোম' -এর টিকিট। এখানে যেমন হাতে হাতে টিকিট কাটা যায়, তেমনি ভিসা বা ক্রেডিট কার্ড দিয়েও টিকিট কাটতে পারেন দর্শকরা।

মাত্র গত ২ জুলাই দুনিয়াজুড়ে মুক্তি পেয়েছে সুপার হিরো সিরিজের সর্বশেষ ছবি। তাই ভিড় কিছুটা বেশি। সুপার হিরো সিরিজ ছেলে বুড়ে সকলের। তাই সব বয়সী দর্শকই রয়েছে। এখানে ১০টি হলের সাতটিতে চলছে বিদেশি ছবি আর তিনটি হলে দেশীয় সিনেমা।

থাইদের ইংরেজিতে দুর্বলতাকে অনেকে যেমন দুঃখ হিসেবে নিয়েছেন, আবার অনেকে গর্ববোধও করেন। গর্ববোধকারীরা বলে থাকেন, থাইল্যান্ড কখনো পশ্চিমের উপনিবেশ ছিল না। তাই ইংরেজিকে কখনোই আবশ্যক মনে হয়নি। আর এখানে হলিউডের মুভি থেকে শুরু করে পশ্চিমের বা পূর্বের জনপ্রিয় সব লেখকের বই থাই ভাষায় পাওয়া যায়। ফলে বিদেশি ভাষাকে রপ্ত করা হয়নি ভালো করে।

ব্যাংককে এর আগেও সিনেমা দেখেছিলাম- 'গ্রিন বুক'। তবে সেই হলে দর্শকের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা ৫ বা ৬ জন। এবার কিন্তু বড় সংখ্যক দর্শক। হল প্রায় কানায় কানায় পূর্ণ। এখানেও থিয়েটারের ক্যাফে থেকে খাবার কিনতে হলে অনেক বেশি টাকা খরচ করতে হয়। এক বোল পপকর্ন আর কোল ড্রিংকসের খরচ পড়ে যাবে ৫০০ টাকার মতো। তবে কেউ যদি বাইরে থেকে খাবার কিনে প্রবেশ করে, তাতেও অপরাধ নেই। আমরা এই ধরনের কোন সুযোগ না নিয়ে তড়িঘড়ি করে স্থাণীয় সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে প্রবেশ করলাম থিয়েটারে।

spider-man

৪টা ২০ মিনিটে থিয়েটারের স্ক্রিনে আলো আসল। কানালাউই কেন এর আগে আমার তাড়াহুড়োতে মুচকি হাসছিল, সেটা বোঝা গেলো এবার। কারন মূল সিনেমা শুরু হতে ঢের বাকি। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে চলবে আসন্ন মুক্তি পাওয়া ছবিগুলোর ট্রেইলার আর বিজ্ঞাপন।

বাংলাদেশে সিনেমার আগে যেমন দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয় আর সবাই দাঁড়িয়ে যায়, এখানেও এমনটা রয়েছে। তবে এখানে হচ্ছে রাজা এবং রাজপরিবারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আয়োজন। বর্তমান রাজা মহা ভিজরালংক্রানের শৈশব থেকে শুরু করে, কৈশোর, যৌবনে এয়ারফোর্সের প্রশিক্ষণ থেকে সিংহাসনে বসা পর্যন্ত ঘটনাগুলো রাজ সংগীতের মাধ্যমে দর্শকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলো। এসময়টা রাজপরিবারের সম্মানে সবাইকে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

প্রায় ৪টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিমেনা শুরু হলো। স্পাইডারম্যান চরিত্রটি কিশোর চরিত্র। যেখানে কিশোর বয়সের অ্যাডভেঞ্চার আর রোমান্টিকতার সংমিশ্রন থাকে। স্পাইডারের ম্যানের পিটার পার্কার চরিত্রটিতে টম হল্যান্ডের অভিনয় ছিল সত্যি অসাধারণ। কিশোর বয়সের লজ্জায় লাল হওয়া প্রেমে পড়া মুখটির অসাধারণ ছবি একেছেন তিনি। অ্যাভেঞ্জার্স: অ্যান্ড গেম সিকোয়েলে আয়রন ম্যান, টনির মৃত্যুর পর এখানে সময়ে সময়ে কিছুটা হতাশ দেখা যায় পিটারকে। তবে একই সঙ্গে বারবার শেষ সুপার হিরো হিসেবে এই মনুষ্য জগতকে টিকিয়ে রাখার লড়াই থেকেও পিছপা হতে পারে না। এই ছবিতে টনি না থাকলেও তার বন্ধু সহকারী হ্যাপী হোগান এগিয়ে আসে স্পাইডারম্যানকে রক্ষায়। কারণ মার্ভেল সিরিজের এই অসাধারণ চরিত্রটি প্রেমে পড়েছে স্পাইডারম্যানের আন্টির।

spider-man

বাংলাদেশের মুভি থিয়েটারগুলোতে যেমন হাত তালি বা অট্ট হাসি থাকে, এখানে তেমনটা না। বরং অনেক হাসি আসলেও সেটা মৃদুর বেশি শব্দ যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হয়।

এন্ড গেমের পরে বেশ ক্লান্ত পিটার এই মুভিতে ইউরো ট্রিপে বের হয় স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে। যেখানে গাইড হিসেবে রয়েছে শিক্ষক রোজার হ্যারিংটন। সিনেমায় রোজার হ্যারিংটন চরিত্রে মার্টিন স্টার এবং নেড লিডস চরিত্রে জ্যাকব ব্যটালনের অভিনয়ে দম বন্ধ হওয়া হাসি আসবেই। তবে সেখানে কিন্তু এখানে হো হো করে হাসার উপায় নেই। মানুষ যেন যতোটা চেপে হাসি আটকে রাখা যায়।

এই ছবিতে স্পাইডার ম্যানের লড়াই করতে হয়েছে কোয়েন্টিন বেকের বিরুদ্ধে। যে কিনা ডিজিটাল ইলুইশন তৈরি করে বার্লিন এবং লন্ডনের মতো শহর ধ্বংসের পরিকল্পনায় মেতে ওঠে। প্রেমিকা মিশেল মারফত যখন পিটার এই ইলুইশন সর্ম্পকে জানতে পারে, ঠিক একই সময়ে মিশেল নিশ্চিত হয় পিটারই যে স্পাইডারম্যান।

লন্ডনে শেষ যুদ্ধে ইলুইশন ভেঙ্গে কোয়েন্টিন বেকের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে স্পাইডারম্যান। তবে একেবারে শেষ চিত্রে, দেখা যায় শহরের টিভি স্ক্রিনগুলোতে ব্রেকিং দেওয়া হচ্ছে, সাধারণ মানুষের কাছে ভালো চরিত্র হিসেবে পরিচিত কোয়েন্টিন মৃত্যুর আগে তার খুনি হিসেবে স্পাইডারম্যানকে দায়ী করে যায় এবং এটাও জানিয়ে দেয় যে- স্পাইডার ম্যানের আসল নাম পিটার পার্কসন।

spider-man

পরিচালক জন ওয়াটস পুরো ২ ঘণ্টা ৯ মিনিট উত্তেজনার মধ্যে রাখেন দর্শকদের। স্পাইডারম্যান, ফার ফ্রম হোম দর্শকদের এক মিনিটের জন্যেও হতাশ করেনি। বরং সময়ে সময়ে হাসি এবং অ্যাডভেঞ্চার রেখেছেন।

মার্ভেল সিরিজের ছবির শেষ দৃশ্য দেখতে হলে পুরো ছবির কলা কুশলী সকলের নাম পড়ে বের হয়ে আসতে হয়। কারণ সিনেমার শেষ মিনিটের আগে মাঝখানে তিন মিনিট প্রোডাকশনের বিস্তারিত চলে আসতে থাকে।

এটা বলতেই হবে, ছুটির বিকেল কাটানোর জন্যে এই স্পাইডারম্যান, ফার ফ্রম হোম একটি পারফেক্ট মুভি। যে কারণে ১ হাজার ৬০০ লাখ ডলারের এই ছবি প্রথম ৪ দিনেই বক্স অফিসে আয় করেছে ১ হাজার ৬৪০ লাখ মার্কিন ডলার; যা এই বছরে সেরা আয়ের ছবিগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ।

   

নতজানু হয়েও কোন পক্ষের সমর্থন পেলেন না জোভান



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

ভিডিও বার্তায় জোভান ও ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ফারহান আহমেদ জোভান পড়েছেন দারুণ ঝামেলায়। তার একটি নাটককে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একপক্ষের সমালোচনায় অবশেষে নতজানু হয়ে ভিডিও বার্তা দিলেন তিনি। তাতেও সেই পক্ষের মন গলাতে পারলেন না। উল্টো তারা জোভানের বাকী নাটকগুলোকেও বয়কটের সুর তুলছে!

ঝামেলা এখানেই শেষ নয়। জোভান নতজানু হয়ে দুঃখ প্রকাশ করায় আরেকপক্ষ তাকে দারুণভাবে করছেন সমালোচনা। এই পক্ষে আবার রয়েছেন তারই সহকর্মীরা। তারা জোভানের সাহস ও শিনদাঁড়ার শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত গেল ঈদুল ফিতরে প্রচারিত জোভানের নাটক ‘রূপান্তর’ নিয়ে। রাফাত মজুমদার রিংকু পরিচালিত এই নাটক প্রচারের পরই এটি নিয়ে অন্তর্জালে ফুঁসে ওঠে একাংশ দর্শক। নিরুপায় হয়ে নাটকটি ইউটিউব থেকেও নামিয়ে ফেলা হয়।

 ‘রূপান্তর’ নাটকের দৃশ্যে সামিরা খান মাহি ও জোভান

কিন্তু রেহাই মেলেনি তাতেও। অগত্যা অভিনেতা জোভান নিজেই গা ঢাকা দেন, বন্ধ করে রাখেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেল। অবশেষে আজ ১৯ এপ্রিল ভোর রাতে দেখা দিয়েছেন তিনি। একটি ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হলেন। যেখানে আকুতিভরা কণ্ঠে ক্ষমা চেয়েছেন দর্শকের কাছে।

আতঙ্ক আর অসহায়ত্বে ভরা চাহনিতে জোভান বলেন, ‘এই ঈদে আমার বেশ কিছু নাটক এসেছে। প্রথম দিন থেকেই ভালো রেসপন্স পাচ্ছি। এই ঈদটা আমার খুব সুন্দর ঈদ হতে পারতো আপনাদের ভালোবাসায়, সাপোর্টে। কিন্তু সেটা হয়নি। একটা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে আপনারা যেমন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও কষ্ট পাচ্ছি। আমি কিন্তু একদমই ভালো নেই।’

‘রূপান্তর’ নাটকের প্রসঙ্গে জোভানের জবাবদিহি এরকম, “রূপান্তর’ নাটককে ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা একদমই অপ্রত্যাশিত। এই নাটকের মাধ্যমে কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার উদ্দেশ্য আমাদের ছিল না। আমি নিজেও একটা মুসলিম পরিবারের ছেলে। আমি জানি, ধর্মকে কতটা বিশ্বাস করি, আল্লাহকে শ্রদ্ধা করি। এই নাটকের মাধ্যমে আমরা কোনও কিছুকে নরমালাইজ করা বা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করিনি। কেবল একটি চরিত্র উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটার মাধ্যমে এতগুলো মানুষকে কষ্ট দিয়েছি, এর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সবার কাছে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।”

ফারহান আহমেদ জোভান

সবশেষে অনুরোধের সুরে জোভান বলেছেন, ‘দীর্ঘ এগারো বছর যাবত নাটক করছি। আজকে আমার যে অবস্থান, এর পেছনে আমার একার নয়, অবশ্যই দর্শকের ভালোবাসা ও সাপোর্ট ছিল। আমার কাজ করার মূল উদ্দেশ্য হলো দর্শককে একটু বিনোদন দেওয়া, সেজন্যই এত কষ্ট। এরপর থেকে আরেকটু বেশি সচেতন থাকবো চরিত্র বাছাই করতে। যাতে তাদের মনঃক্ষুণ্ণ না হয়, কষ্ট না পায়। আমার যে কাজগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে, তার চেয়েও ভালো কাজ উপহার দেবো। শুধু একটাই অনুরোধ, আমার ওপর কষ্ট রাখবেন না। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

যদিও জোভানের ভিডিও বার্তার কমেন্ট বক্স দেখলে আঁচ করা যায়, তার এই আর্তনাদ গলাতে পারছে না নেটিজেনদের মন। গণহারে তার নাটক বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছে তারা। বিপরীতে অনেকেই জোভানের এই পরাজিত কণ্ঠ ও মুখ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। বলছেন, প্রকৃত শিল্পী কখনোই এতোটা নতজানু হয় না।

উল্লেখ্য, নীহার আহমেদের চিত্রনাট্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটি নির্মিত হয়েছে। এর গল্পটি মূলত একজন তরুণ চিত্রশিল্পীকে ঘিরে। যিনি শৈশবে ট্রেন দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। যার ফলে তিনি জানতেই পারেননি তার বাবা-মা কে কিংবা কোন ধর্মের মানুষ। বড় হয়েছেন শিশু আশ্রমে। বড় হয়ে হয়েছেন চিত্রকর। পেয়েছেন খ্যাতিও। এর মধ্যে একজন ধনীর দুলালী তার আঁকায় মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েন। বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দেওয়া হয় চিত্রকরকে। কিন্তু তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে দিয়ে সেটা সম্ভব নয়। এরপর তার চিকিৎসকের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি আসলে একটি হরমোন জনিত বিরল জটিলতায় ভুগছেন। তিনি দেখতে পুরুষের মতো হলেও মানসিকভাবে তিনি একজন নারী।

ফারহান আহমেদ জোভান

গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় ‘রূপান্তর’ নাটকটি উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে। রাতে বেশ কিছু দর্শকের পক্ষ থেকে আপত্তি পেয়ে সেটি ১৬ এপ্রিল সকালে তুলেও নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও রক্ষা হয়নি। একই নাটক ডাউনলোড করে অসংখ্য ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করছে সমালোচনাকারীদের একটা বড় অংশ। তারাই আবার এমন নাটক নির্মাণ ও প্রচারণার প্রতিবাদ করছেন! এমনকি নির্মাতা-শিল্পীদের হুমকিও দিচ্ছে অনেকে। যা নিয়ে আতঙ্কিত সংশ্লিষ্টরা।

;

আগামী মাসেই সোহেল-নীলা জুটির ‘শ্যামাকাব্য’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র জুটি সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

গুণী নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে। এই ছবির মাধ্যমে বড়পর্দায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন সদ্য ভারতের ফিল্মফেয়ার পুরস্কারজয়ী অভিনেতা সোহেল মণ্ডল ও জনপ্রিয় লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। তারা ছাড়াও এক ঝাক তারকা শিল্পীকে নিয়ে নির্মিত সরকারি অনুদানের এই সিনেমাটি গত ২৪ নভেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা ছিল।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

কিন্তু সে সময় ছবিটি আর মুক্তি পায়নি। তখন নির্মাতা সৌদ জানিয়েছিলেন, ‘‘দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত। চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম, এমন পরিস্থিতিতে দর্শক সিনেমা হলে এসে ছবি দেখতে চাইবেন না। দর্শকের জন্যই তো আমাদের সিনেমা। তাদের নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করা জরুরী। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ‘শ্যামাকাব্য’ জাতীয় নির্বাচনের পরেই মুক্তি দেব।’’

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

অবশেষে ছবিটি মুক্তির নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ছবিটির নায়ক সোহেল মণ্ডল জানান, ‘‘আসছে ৩ মে আপনার নিকটস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামাকাব্য’।’’

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ধাচের ছবিটিতে প্রেমের বিষয়টিও বেশ স্পষ্ট। এতে নীলাকে দেখা যাবে শ্যামা’র চরিত্রে। আর সোহেল মণ্ডল রয়েছেন আজাদ নামের একটি চরিত্রটি।

নীলাঞ্জনা নীলা ও সোহেল মণ্ডল। ছবি : নূর এ আলম

নায়ক-নায়িকা দুজনই বললেন, তাদের চরিত্র দুটি একেবারেই নতুন। তাদের রসায়নও দর্শকের মন ছুঁয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী। নীলার ভাষায়, শ্যামা মেয়েটি খুব শান্ত। দেখলে চোখে আরাম দেবে। আর সোহেল এখনই তার চরিত্রের কোন গোমর ফাঁস করতে চান না।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা। ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে একটি মাত্র গান রয়েছে। নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদের লেখা ‘পাখি যাও যাও’ শিরোনামের সেই গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত পরিচালক ইমন সাহা। চমকপ্রদ বিষয় হলো সেই গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ভারতের বিখ্যাত দুজন শিল্পী। একজন হিন্দুস্তানি ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের কিংবদন্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, অন্যজন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী।

;

ধর্মকর্মে মন দিয়েছেন অশ্লিল যুগের নায়ক মেহেদি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

চিত্রনায়ক মেহেদির একাল-সেকাল

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢালিউডে যে সময়টা অশ্লিলতায় ছেয়ে গিয়েছিল, সে সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নায়ক ছিলেন মেহেদি। ‘পাগল মন’ চলচ্চিত্র দিয়ে সিনেমা জগতে জায়গা করে নেওয়ার পর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার মধ্যে অশ্লিল ছবির সংখ্যাই বেশি। এখনো ইউটিউবে তার অশ্লিল নাচ গানের ভিডিও’র দেখা মেলে।

কিন্তু মানুষ মাত্রই বদলায়। বাংলা সাহিত্যে বিখ্যাত উক্তি রয়েছে, ‘মানুষ মরে গেলে পচে যায়, কিন্তু বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’

তেমনি বদল ঘটেছে চিত্রনায়ক মেহেদির জীবনেও। অনেক দিন থেকেই চলচ্চিত্র আঙিনায় তাকে দেখা যায় না। আজ তাকে দেখা গেল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে। সেখানেই গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন মেহেদি।

চিত্রনায়ক মেহেদি

জানালেন, তিনি এখন ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করেছেন। বললেন, নিয়মিত তবলিগ জামাত চিল্লায় যেতে হচ্ছে। যেহেতু আমি মুসলিম, তাই আমাকে নিয়মিত নামাজ রোজা করতে হবে। এখন সেটা খুব মনোযোগের সঙ্গে করতে হচ্ছে।

চলচ্চিত্র থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন হননি তিনি, সামনে তার চলচ্চিত্র আসছে বলেও জানালেন। বললেন, আমি চলচ্চিত্র থেকে একেবারেই হারিয়ে যাইনি। সামনে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আমার চারটি চলচ্চিত্র।

;

শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে ৪০০ সাংবাদিক!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আজ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসির একটি চিত্র

আজ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসির একটি চিত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনে কোন উত্তাপ নেই। আজ ১৯ এপ্রিল সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও ভোটার উপস্থতি কম। এর কারণ হিসেবে অনেকেই বলছেন, শুক্রবার হওয়ায় ভোটগ্রহণ কম।

তবে এই নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহই নাকি করছেন ৪০০ জন সংবাদকর্মী। এমনটা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু বলেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে প্রায় ৪০০ জন সাংবাদিক চূড়ান্ত করে পাস দিয়েছি।

এতো সংবাদকর্মী কেন? এই প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, ধরেন একটা টেলিভিশন চ্যানেল, তারা আবেদন করে ১০ জনের জন্য। কারণ ক্যামেরা পারসন, সংবাদকর্মী, সহকারী থাকেন। তারা আবার দুই শিফটে কাজ করবেন। তাহলে বলুন একটা প্রতিষ্ঠান থেকে যদি ১০ জন হয়। তাহলে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের ৪০০ জন হবে না?

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকালে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা৩০ মিনিটে অভিনেতা ডা. এজাজের ভোট প্রদানের মাধ্যমে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ৩০ মিনিটি পরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির এই নির্বাচনে ৬ জন স্বতন্ত্রসহ ২টি প্যানেল থেকে ৪৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্যানেল দুটি হলো মিশা-ডিপজল ও মাহমুদ কলি-নিপুণ।

;