ডা. এজাজের চোখে দেখা হুমায়ূন আহমেদ



মাহবুবর রহমান সুমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
হুমায়ূন আহমেদ ও এজাজুল ইসলাম

হুমায়ূন আহমেদ ও এজাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

এজাজুল ইসলাম পেশায় চিকিৎসক। ঢাকা মেডিকেল কলেজের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান তিনি। তবে তাকে ডা. এজাজ নামে পরিচয় করিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের ৫টি সিনেমাসহ বহু নাটকে কাজ করেছেন ডা. এজাজ। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।

ডা. এজাজ দীর্ঘ ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে খুব কাছ থেকে দেখেছেন হুমায়ূন আহমেদকে। হুমায়ূন আহমেদের চলে যাওয়ার ৭ বছরে ঠিক মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে শুনিয়েছেন সেই গল্প।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529984602.jpgপ্রথম দেখা ও প্রথম কাজ
১৯৮৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এজাজুল ইসলাম। তারপর কয়েক বছর পার হলেও সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি। ১৯৯২ সালে গেলেন সার্টিফিকেট নিতে। সার্টিফিকেট নিতে হবে প্রফেসর ড. এম এ করিমের কাছ থেকে। যিনি হুমায়ূন আহমেদের স্কুলবন্ধু। চেম্বারে গিয়ে জানতে পারেন, হুমায়ূন আহমেদের অফিসে গেছেন ড. এম এ করিম। সার্টিফিকেটে সই নেওয়ার অজুহাতে হুমায়ূন আহমেদের কাকরাইলের অফিসে ছুটে যান এজাজুল ইসলামও।

ডা. এজাজ বলছিলেন, ‘যেই সময় কাকরাইলে রওনা দেই সেই সময় সার্টিফিকেট ওঠানোর ব্যাপারটা মাথায় ছিল না, মাথায় ঘুরছিল—আজ আমার হুমায়ূন আহমেদে স্যারের সঙ্গে দেখা হবে। সেদিন আমার প্রথম স্যারের সঙ্গে দেখা হয়।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529688117.jpgপ্রথম আলাপচারিতায় হুমায়ূন আহমেদ এজাজুল ইসলামের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কোথায় পড়েন, কোন বিষয়ে, কী করেন, কোথায় থাকেন এসব। যখন হুমায়ূন আহমেদ জানলেন এজাজুল ইসলাম গাজীপুরে থাকেন ও চাকরি করেন তখন বলেছিলেন, ‘আমি তো গাজীপুরে শুটিং করি। অনেক ঝামেলা হয়। অনেক সহযোগিতারও প্রয়োজন হয়। তোমার যদি সময় হয় আমাকে একটু সহযোগিতা কর।’ প্রথম দেখায় হুমায়ূন আহমেদের কাছাকাছি যেয়ে কাজের প্রস্তাব পেয়ে হতবাক হয়েছিলেন এজাজুল ইসলাম। সেদিন শুধু মাথা নেড়ে টেলিফোন (টিএনটি) নম্বর দিয়ে এসেছিলেন তিনি।

দুই সপ্তাহ পরে হুমায়ূন আহমেদ ফোন করে এজাজুল ইসলামকে বলেছিলেন, 'আমি সবুজ সাথী নামে একটি সিরিয়াল করব। এটার জন্য লোকেশন ও থাকার জায়গা দরকার। তুমি ব্যবস্থা করে দাও?’ সেদিন ফোনের অপর প্রান্ত থেকে এজাজুল ইসলাম শুধু বলেছিলে, ‘স্যার আমি আপনার অফিসে আসছি। এসে কথা বলছি।’ সেই থেকে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে এজাজুল ইসলামের পথচলা শুরু।

এজাজুল ইসলাম থেকে ডা. এজাজ
চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করার সুযোগ পান এজাজুল ইসলাম। তার অভিনয়ে দর্শকরা হেসে উঠেছিল, যা তার অভিনয়ের ব্যাপারে আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়। এরপর ১৯৭৮-১৯৮৪ সাল পর্যন্ত রংপুর রেডিওতে কাজ করেন এজাজুল ইসলাম। তারপর চাকরির পাশাপাশি টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের তীব্র আগ্রহ থেকে ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অভিনয় শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু থিয়েটারের কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় তিনি কোন নাটকে অভিনয় করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না।

‘সবুজ সাথী’ সিরিয়ালের শুটিং চলাকালেও এসব কিছুই জানতেন না হুমায়ূন আহমেদ। শুটিং এর মাঝামাঝি সময়ে এজাজুল ইসলাম একদিন জানালেন সেসব কথা। সেদিন হুমায়ূন আহমেদ শুধু বলেছিলেন, ‘ঠিক আছে। আমি কালকেই তোমাকে সুযোগ দিচ্ছি।’ পরের দিন হুমায়ূন আহমেদ এজাজুল ইসলামের জন্য একটি সিকুয়েন্স লিখলেন। সেটার নাম ছিল ‘স্বাস্থ্য কর্মী’। সেদিন সেই দৃশ্যে অভিনয় করার পর হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ‘এই আমাদের ডাক্তার তো ভালো অভিনয় করে’। সেই থেকে শুরু হলো এজাজুল ইসলামের অভিনয় জীবন। আর সেখান থেকেই এজাজুল ইসলাম থেকে হয়ে উঠলেন ডা. এজাজ।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529709497.jpgশুটিংয়ের সময়ে হুমায়ূন
‘হুমায়ূন আহমেদের শুটিং সেটে কাজ ছাড়া অন্য কিছু ভাবার বা মোবাইলে কথা বলার চিন্তা করারও সাহস পেতাম না আমরা। উনি যেমন কাজের প্রতি মনযোগী থাকতেন সেটের সবাই তেমন মনযোগী থাকতে বাধ্য হতো। স্যার ভুল করলে বকতেন কিন্তু সেই বকায় অসম্ভব এক মায়া ছিল।’

শুটিংয়ের সময়ে কেমন ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ এমন প্রশ্নের এভাবেই উত্তর দিচ্ছিলেন ডা. এজাজ। শুটিং সেটে হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সাদামাটা। পরনে থাকত সাধারণ পোশাক। হুমায়ূন আহমেদের জন্য শুটিং সেটে থাকত না আলাদা কোন চেয়ার। তবে একটি নিয়ম ছিল তিনি যে চেয়ারে যেদিন বসতেন সেই চেয়ারে অন্য কেউ বসতেন না। ডা. এজাজ অনেক দিন দেখাশোনা করেছেন হুমায়ূন আহমেদের প্রোডাকশনের কাজ।

সেই গল্প বলতে ডা. এজাজ বলেন, ‘স্যারের কাছে সবাই সমান ছিল। স্যার আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন ডাক্তার শুটিং সেটে আমি যা খাব আমার সেটের প্রোডাকশন বয়ও তাই খাবে। আমার জন্য বিশেষ কোন খাবার হবে না। সবার জন্য একই আয়োজন যেন থাকে।’ স্যার যে খাবার খেয়েছেন সবাই তা-ই খাচ্ছে কিনা তা তদারকি করতেন। রমজান মাসজুড়ে শুটিংয়ের কাজ চলত ঈদের জন্য। সেই সময় ইফতারের আগে নিয়ম ছিল সবাই গোসল করে অজু করে ইফতার করার। সেই গল্পে এজাজ জানালেন, ‘রমজান মাসে স্যার মজা করে বলতেন তোমাদের আমার ভয়ে হলেও নামাজ পড়তে হবে।’
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529812943.jpgকাজপ্রেমী হুমায়ূন
হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন কাজপ্রেমী। কাজের প্রতি তিনি ছিলেন যথেষ্ট দায়িত্ববান। কেমন কাজপ্রেমী ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ সেই প্রশ্নের উত্তরে ডা. এজাজ বলেন আরেক গল্প—‘স্যারের একবার বাইপাস অপারেশন করা হয়েছিল সিঙ্গাপুরে। সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ১৫ দিনের মাথায় ফোন করে ডেকেছিলেন আমাকে। আমি মনে করেছিলাম স্যারের অপারেশন লাগেনি। কিন্তু স্যারের বাসায় যেয়ে শুনলাম স্যারের অপারেশন শেষ। স্যার সেদিন আমাকে দেখে প্রথম বলেছিলেন, ‘ডাক্তার শুটিং করব তুমি সব কিছু রেডি কর’। আমি অবাক হয়ে বলেছিলাম, স্যার এখন অনেক গরম, কয়েকদিন পরে কাজ শুরু করি।’

ডা. এজাজের দেখা একমাত্র ব্যক্তি হুমায়ূন আহমেদ যিনি বাইপাস অপারেশনের পর এত কম সময়ে কাজ শুরু করেছেন আর সেই কাজে কোন অসুস্থতা, বিরক্তি, অমনোযোগ বা ক্লান্তির ছাপ ছিল না।

হুমায়ূনের জাদু
ডা. এজাজের জীবনে সরাসরি হুমায়ূন আহমেদের জাদু দেখার সুযোগ হয়েছে একবার। সেই জাদু তিনি দেখেছিলেন ‘রূপালী রাত্রি’ নাটকে শুটিংয়ের জন্য সুইজারল্যান্ড গিয়ে। সেই নাটকের একটি দৃশ্য ছিল স্বাধীন খসরুর। দৃশ্যটি হলো—খালি হাত, হাত মুঠি করে খুললে দেখা যাবে টাকা। দৃশ্য ধারণের আগে হুমায়ূন আহমেদ বেশ কয়েকবার দেখিয়েছিলেন সেই জাদু।

হুমায়ূনের খাবার
‘স্যার খুব অল্প খেতেন তবে খাবার ব্যাপারে ছিলেন খুবই রুচিশীল। হুমায়ূন আহমেদের প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল ইলিশ মাছ, শিং মাছ, চ্যাপা শুঁটকির ভর্তা, মাসকলাইয়ের ডাল, গরু ও খাসির গোস্ত। তিনি দুধ চা খেতেন।’ তবে ডায়াবেটিকস ধরা পড়ার পর চায়ে চিনি খেতেন কি না সে কথা মনে নেই ডা. এজাজের।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529837767.jpgব্যক্তিগত সম্পর্ক
হুমায়ূন আহমেদ ডা. এজাজকে ডাক্তার বলে ডাকতেন। আর ডা. এজাজ হুমায়ূন আহমেদকে ডাকতেন স্যার বলে। নিজেদের সম্পর্কে বিষয়ে ডা. এজাজ বলেন, ‘স্যার আমাকে খুব বিশ্বাস করতেন, খুব মায়া করতেন, খুব ভালোবাসতেন। এতটাই বিশ্বাস করতেন যে, আমি শুটিং লোকেশন দেখে আসলে স্যার বলতেন ডাক্তার তোমার পছন্দ হয়েছে তো? আমি হ্যাঁ বললে তিনি লোকেশন না দেখতে যেয়ে বলতেন তোমার পছন্দ হয়েছে তাতেই হবে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/19/1563529898483.jpgনুহাশ পল্লীর ব্যাপারে ডা. এজাজ জানালেন, ‘অদেখা ভুবন’-এর শুটিংয়ের জন্য বাসে করে যাচ্ছিলাম আমরা। স্যার সামনের দিকে বসা। আমাকে ডেকে বলছিলেন, ডাক্তার আমার একটা সুন্দর বাগানবাড়ির স্বপ্ন। অনেককে বলেছি, সবাই বলে স্যার দেখব। কিন্তু কেউ আসলে দেখে না। আমাকে বলেই যায় দেখব। পরে কেউ দেখে না। আমি শুধু তোমাকে দায়িত্ব দিলাম তুমি আমাকে একটা জায়গা দেখে দেবে। কাউকে কিচ্ছু বলার দরকার নাই। এ দায়িত্ব শুধুই তোমার। সেই ছবির শুটিং শেষ করার পর অনেক খোঁজাখুঁজি করে এখনকার নুহাশ পল্লীর জায়গাটা স্যারকে খুঁজে দেই। স্যার অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন। নুহাশ পল্লীর জায়গা দেখে আসার পর স্যার আমাকে বলেছিলেন, ডাক্তার আমার জীবনে অনেক বড় একটা স্বপ্ন তোমার মাধ্যমে আল্লাহ পাক পূরণ করে দিলেন। আরও বলছিলেন, তুমি কী চাও? আমি বলেছিলাম স্যার আমি আপনার সঙ্গে থাকতে চাই। হুমায়ূন আহমেদ একবার স্বপ্ন দেখেছিলেন কয়েকটি বাচ্চা কোলে নিয়ে তার সামনে কয়েকজন ঘুরছে। সেকথা বলেছিলেন ডা. এজাজকে। সেই থেকে এজাজের পরামর্শে প্রায়ই নিজের স্কুলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করতেন হুমায়ূন আহমেদ।

   

বগুড়ায় সিনেমা হলে দর্শক টানতে বিরিয়ানি বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া।
সিনেমা হলে দর্শক টানতে বগুড়ার অভিনব পন্থা অবলম্বন

সিনেমা হলে দর্শক টানতে বগুড়ার অভিনব পন্থা অবলম্বন

  • Font increase
  • Font Decrease

সিনেমা হলে দর্শক টানতে বগুড়ার ধুনটে অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছে হল কর্তৃপক্ষ। উপজেলা সদরে ঐতিহ্যবাহী ঝংকার সিনেমা হলে ১০০ টাকার প্রতিটি টিকিটের সঙ্গে দর্শকের হাতে বিনামূল্যে এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দেয়া হচ্ছে।

রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর ১২টা থেকে দর্শক টানতে সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই খাবারের আয়োজন করেন। এই উদ্যোগ বিনোদন প্রিয় দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

দেশে এক সময় বিনোদনের বড় মাধ্যম ছিল সিনেমা। আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা ছিল আনন্দ উদযাপনের অন্যতম অংশ। কালের বিবর্তনে আর অপ সংস্কৃতির প্রভাবে  সিনেমা হলগুলো প্রায় বিলুপ্ত হওয়ায় সেই জায়গা দখল করেছে স্মার্টফোন, ট্যাব। 

ধুনট শহরে ঈসা খানের মালিকানাধীন ঝংকার সিনেমা হলটি ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। ভালো ছবি নির্মাণ না হওয়ার কারণে সিনেমা হলের দর্শক কমতে থাকে। এক পর্যায়ে দর্শক শূন্যতায় সিনেমা হলটিতে ছবি প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ এক দশক পর ২০ এপ্রিল থেকে আবারো ঝংকার সিনেমা হলে ছবি প্রদর্শন শুরু করেছেন হল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে হলে প্রদর্শন হচ্ছে আদর আজাদ ও পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা ‘লিপস্টিক’। ঝংকার সিনেমা হলে দর্শকের জন্য ৫০০ আসন রয়েছে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। এবার টিকিটের সঙ্গে প্রত্যেক দর্শকের হাতে ফ্রি এক প্যাকেট বিরিয়ানি তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী একমাস খাবারের এই ব্যবস্থা চালু থাকবে। সিনেমা হলে প্রতিদিন দুপুর ১২টা, বিকেল ৩টা, সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে প্রতিদিন দুপুর ১২টা ও বিকেল ৩টায় দর্শকের উপস্থিতি কম থাকে। তবে সন্ধ্যা ৬টা ও রাত ৯টায় হল ভর্তি দর্শক পাওয়া যায়। প্রতিদিন গড়ে আশানুরূপ দর্শকের সাড়া মিলেছ। এক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখছেন হলের পরিচালক।

হলের দর্শকরা জানান, সিনেমা হলে টিকিটের সাথে বিরিয়ানি ফ্রি পাওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম। হলে বসে ভালো ছবি দেখার পাশাপাশি বিরিয়ানির স্বাদ পেয়ে অনেক খুশি হয়েছি। এই ব্যবস্থা চালু রাখলে সিনেমা হলে দর্শক ফিরে আসবে বলে মনে করেন দর্শকরা।

ধুনটে ঝংকার সিনেমা হলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান হোসেন বলেন, সিনেমা হলে যতদিন দর্শক আসবে ততদিন টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি দেওয়া হবে। দর্শক টানতেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নির্মাতারা ভালো ছবি তৈরি করলে আবারও সিনেমা হলমুখী হবেন দর্শক। পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা পেলে এ ব্যবসায় ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব।

;

এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শতাধিক সংবাদকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত।

কে বা কারা এ হামলা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন শিল্পী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর।

জানা যায়, এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬’র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু শপথ পাঠ করান। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট, একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার।

;

‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানে তোরসা



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহ আবদুল করিম ও হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের ঢাকা, প্রেম-বিচ্ছেদের সুখ কিংবা বেদনা থেকে রাজপথের মিছিল—সবকিছুর মেলবন্ধন ঘটায় যে মানুষ, সেই মানুষের গান গাওয়ার সংকল্প তুহিন কান্তি দাসের। প্রথমবারের মতো এই সঙ্গীত শিল্পী নিয়ে এলেন একক অ্যালবাম। এর নাম রেখেছেন ‘সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম’।

এতে রয়েছে মোট চারটি গান। এগুলো হলো ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’, ‘আসমানেরও চাঁদ’, ‘দরদিয়া’ ও ‘হারিয়ে টের পাই’। তার মধ্যে ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানটি সম্প্রতি ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এতে মডেল হয়েছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৯’ মুকুট জয়ী রাফাহ নানজিবা তোরসা। তার সঙ্গে ছিলেন খালিদ মাহমুদ সাদ। ফরিদপুরের বিভিন্ন নানন্দিক লোকেশনে ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। এরই মধ্যে গান-ভিডিও শ্রোতামহলে সাড়া ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে মডেল তোরসা বলেন, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার আগে বেশকিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছিলাম। তারপর অনেক প্রস্তাব এসেছিল কিন্তু করিনি। ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানের নির্মাণ পরিকল্পনা, গান সবকিছু বেশ ভালো লাগে তাই আগ্রহ নিয়ে কাজটি করেছি। গানটি প্রকাশের পর সবাই বেশ প্রশংসা করছে। আশা করছি, সব শ্রেণির মানুষের গান-ভিডিওটি ভালো লাগবে।

;

শাকিবের ‘তুফান’-এ বিশেষ চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের শেষের দিকে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেয়া হয় বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’র। অভিনেতা শাকিব খান ও নির্মাতা রায়হান রাফি জুটির এই সিনেমা আসন্ন ঈদে মুক্তি প্রস্তুতি চলছে। মাঝে ঘোষণা দেয়া হয় এ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে আছেন কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা।

এবার তুফান’র আরেকটি তথ্য নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। কেননা তুফান সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

এই সিনেমায় নিজের উপস্থিতি নিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘তুফান সিনেমায় আমাকে বিশেষ একটা চরিত্রে দেখা যাবে। রায়হান রাফী এই সময়ের প্রতিভাবান একজন পরিচালক। সেই সাথে শাকিব-এর সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা একদম অন্যরকম। তাদের সাথে এক সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। আর এতো বড় তিনটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে অবশ্যই ভালো কিছুই হবে।’

‘তুফান’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘তুফান’ এর আগে আরেকটি বড় সিনেমার ঘোষণা দেয়। সিনেমাটির নাম ‘দম’। আর পরিচালনা করবেন রেদওয়ান রনি। ‘দম’ সিনেমার মূল ভূমিকায় দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।

পরিচালক রায়হান রাফীর এখন সময় যাচ্ছে সিনেমার শুটিং-এর শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে। রাফী বলেন, ‘চঞ্চল ভাই আমাদের দেশের শক্তিমান অভিনেতা। তুফান-এ শাকিব ভাইয়ের সাথে সাথে উনাকে পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দের।’

এসভিএফ-এর ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এর আগে ওটিটি কনটেন্টে কাজ হয়েছে। অনেকদিন ধরে তাকে নিয়ে বড় পর্দায় কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। আমি নিশ্চিত তিনি তুফান-কে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’

আলফা-আই স্টুডিওজ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘তুফানে শাকিব খান অন্যরকম, সম্পূর্ণ ভিন্নরপে ধরা দিবে দর্শকদের সামনে। এমন একটি শক্তিশালী চরিত্রের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতে পারে এমন একজন শক্তিমান অভিনেতা দরকার ছিল আমাদের। আমি মনে করি, চঞ্চল ভাইয়ের কারণে চরিত্রটির প্রতি জাস্টিস হবে তাই তুফানে উনার সম্পৃক্ততা।’

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, ‘চঞ্চল ভাইকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তিনি আমাদের জন্য গর্ব। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাইরেও তার কাজের সুখ্যাতি রয়েছে। তার সঙ্গে আমার বেশ কিছু কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তুফান সিনেমায় তার এই উপস্থিতি অন্যরকম মাত্রা যোগ করবে বলে আমি মনে করি।’

;