শিল্পী গফুর হালীকে একুশে পদ দেওয়া উচিত : চবি উপাচার্য



  স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: চট্টগ্রামের আঞ্চলিক, মাইজভান্ডারী ও মরমী গানে দেশখ্যাত শিল্পী গফুর হালীকে একুশে পদকে ভূষিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।


শিল্পী গফুর হালীর জন্মদিন উপলক্ষে সুফী মিজান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। এসময় তিনি শিগগিরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে ‘গফুর হালী কর্নার’ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন।’


বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আবদুল গফুর হালী একাডেমির ভাইস চেয়ারম্যান ও মাইজভান্ডারী মরমী গোষ্ঠীর সভাপতি মো.সিরাজুল মোস্তফার এতে সভাপতিত্ব করেন।

সুফী মিজান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এবং পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক আনোয়ারুল হক চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় আবদুল গফুর হালীর ৩০০ গানের স্বরলিপিসহ তিনটি গীতিকাব্য ‘সুরের বন্ধন, শিকড় ও দিওয়ানে মাইজভান্ডারী’ এবং নাটকসংগ্রহ ‘আবদুল গফুর হালীর চাটগাঁইয়া নাটকসমগ্র’ প্রকাশিত হয়েছে। চট্টগ্রামের কিংবদন্তী শিল্পীদের মধ্যে একমাত্র গফুর হালীর ৩০০ গানের স্বরলিপিসহ গীতিকাব্য প্রকাশিত হয়েছে যা চাটগাঁইয়া গানের হাজার বছরের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/09/1533831284791.jpg

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য, ভাষাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, দৈনিক আজাদী বার্তা সম্পাদক, গীতিকবি একেএম জহুরুল ইসলাম, সংগীতজ্ঞ সঞ্জিত আচার্য্য, নোয়াখালীর এডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী। বিশেষ আলোচক ছিলেন দৈনিক সমকালের সিনিয়র সাব এডিটর ও আবদুল গফুর হালী একাডেমির সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন হায়দার।

চবি উপাচার্য বলেছেন, ‘আবদুল গফুর হালীর গানে প্রেম, প্রকৃতি ও মানবতার জয়গান বহুমাত্রিকতায় প্রস্ফুটিত হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক, মাইজভান্ডারী ও মরমী গানকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। গফুর হালী মোহছেন আউলিয়ার গান নামে স্বতন্ত্র একটি সংগীত ধারা সৃষ্টি করেছেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নাটক লিখে এবং তা মঞ্চায়ন করে শহরের পাশাপাশি গ্রামীন জনপদে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু গফুর হালীর রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যায়ন হয়নি, এটা দুঃখজনক। শিল্পীকে একুশে পদকে ভূষিত করা উচিত।

ড. আবুল কাসেম বলেন, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা এখন অবহেলিত। এই ভাষার চর্চা দিনদিন কমছে। সেক্ষেত্রে গফুর হালীর মতো কিংবদন্তী শিল্পীদের গান চাটগাঁইয়া ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখবে।’

ড. ফরিদ উদ্দিন আহামদ বলেন, ‘জীবদ্দশায় গফুর হালীর মতো দেশখ্যাত শিল্পীর মূল্যায়ন হয়নি। এখন অনেকে একুশে পদক পান। কিন্তু গফুর হালীর মতো শিল্পী একুশে পদক পাননি।’তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগ চালুর মাধ্যমে গফুর হালী চর্চা বেগবান করার দাবি জানান।

গীতিকবি একেএম জহরুল ইসলাম বলেন, ‘আবদুল গফুর হালীর গানে মাটির ঘ্রাণ আছে। তিনি মাটি থেকে উঠে আসা শিল্পী। এই দেশের প্রকৃতির সুর, নরনারীর প্রেম, মানবপ্রেম এবং আধ্যাত্মিকতা তার গানকে বিশিষ্টতা দিয়েছ।’

লোকসংগীত গবেষক নাসির উদ্দিন হায়দার বলেন, ‘আবদুল গফুর হালী চাটগাঁইয়া গানের প্রধানতম রূপকার। তিনি আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গানে নবযুগের প্রবর্তক। কিন্তু তার যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি।

শিল্পী সঞ্জিত আচার্য্য বলেন, গফুর হালীর ‘ন যাইও ন যাইও আঁরে ফেলাই বাপর বাড়িত ন যাইও’ দ্বৈত গান দিয়ে শেফালী ঘোষ-শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব জুটির উত্থান।’

সভাপতির বক্তব্যে সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘চট্টগ্রামের লিজেন্ড শিল্পীদের গান সংরক্ষণে সরকার ও সংগীতপ্রেমী বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। শিল্পীরা বয়সকালে দুঃস্থ হয়ে যান। ওইসময় তাদের পরিবারের সহায়তায় সবাইকে হাত বাড়াতে হবে।

দ্বিতীয় পর্বে সংগীতানুষ্ঠানে আবদুল গফুর হালীর গান পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী সঞ্জিৎ আচার্য্য, কল্যাণী ঘোষ, মোহছেন আউলিয়ার গানের জনপ্রিয় শিল্পী শিমুল শীল, গীতা আচার্য্য, ফেরদৌস হালী, নয়ন শীল, জাবেদ হালী প্রমুখ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ সংগীত পরিবেশন করবেন মাইজভাণ্ডারী মরমী গোষ্ঠীর শিল্পীরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দিয়েছেন আবদুল গফুর হালীর ছেলে আবদুল খালেক। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আবদুল হালিম মাসুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শ্রাবণী দাশ।

   

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

ড. হাফিজের লেখা ' আমরা মুক্তি সেনা'

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ড. হাফিজ রহমানের লেখা দেশাত্মবোধক গান 'আমরা মুক্তি সেনা' রিলিজ হয়েছে। বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকারের সুরে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও সহশিল্পীবৃন্দ।

এমকে মিউজিক ২৪ এর ব্যানারে গানটি গত ২৬ মার্চ তাদের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়েছে। গানটির মিউজিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রফিকুল আজাদ খোকন।

'আমরা মুক্তি সেনা' গানটি রিলিজের দুই দিনের মধ্যেই হাজার হাজার ভিউজ হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাফিজ রহমান বলেন,' মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে একটি গান লেখার ইচ্ছে ছিলো। ২৫ মার্চ। পৃথিবীর ইতিহাসের এক কাল রাত্রি। ১৯৭১ সালের এই রাতে নিরীহ নিরপরাধ ঘুমন্ত বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মম নৃশংসতা চালায় । তাই আমার লেখা গানটি সেই রাতেই রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছিলাম। অবশেষে বাস্তবে রূপায়িত হলো সেই অভিপ্রায়।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিখ্যাত সুরকার মিল্টন খন্দকার বলেন, "গানটির কথা খুবই সুন্দর ছিলো। সুর করেছি। কণ্ঠশিল্পীবৃন্দ সুন্দর কণ্ঠ দিয়েছেন। গানটি বাংলাদেশের ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে।"

;

জন্মদিনে চমকে দিলেন শাকিব খান



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

‘তুফান’-এ শাকিব খানের নতুন লুক

  • Font increase
  • Font Decrease

রীতিমতো ‘তুফানি’ কায়দায় প্রকাশিত হলো ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের আরও একটি নতুন সিনেমার পোস্টার। অভিনেতার জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিকেলে প্রকাশিত হয় সিনেমার পোস্টার।

দ্রুত শাকিবের নতুন লুক ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। লুফে নিয়েছেন ভক্তরা। লম্বা কোঁকড়ানো চুলে সাদা রোদচশমা, গলায় লকেট পরে সোফায় বসে আছেন হিরো! পাশেই মেশিনগান! আর পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভয়ানক রূপে পর্দায় হাজির হতে যাচ্ছেন শাকিব খান। নতুন সিনেমা আর জন্মদিনের অগ্রিম শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছেন জনপ্রিয় নায়ক।

শাকিব খানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ‘তুফান’-এর নতুন পোস্টার

অবশ্য মঙ্গলবার থেকেই বিশেষ ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ঝোড়ো তুফানের পূর্বাভাস দেন পরিচালক রায়হান রাফী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দেন পরিচালক। এরপর বুধবার বিকেলেই প্রকাশ করেন ‘তুফান’-এর ফার্স্ট অফিশিয়াল লুক। এই পোস্টার আসবে বলেই দুদিন ধরে নানা নাটকীয় আভাস দিচ্ছিলেন পরিচালক।

যদিও তুফানি বেগে উড়তে হলে অপেক্ষা করতে হবে আসছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত। তখনই সিনেমাটি মুক্তির কথা রয়েছে। তবে এত দ্রুত সিনেমাটির পোস্টার প্রকাশের পেছনেও আছে বিশেষ কারণ, তা হলো শাকিব খানের জন্মদিন। তারকার বিশেষ দিন উপলক্ষে আর দেরি করেনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এবং পরিচালক।

‘তুফান’-এ শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করবেন কলকাতার মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা

তুফানের যৌথ প্রযোজনা করছে বাংলাদেশের চরকি, আলফা আই আর ভারত থেকে যুক্ত হচ্ছে এসভিএফ। জানা গেছে, ছবিতে শাকিব খান ছাড়াও থাকছেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আর বাংলাদেশের ‘আয়নাবাজি’ অভিনেত্রী নাবিলা। ‘তুফান’-এর ভিলেন হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা যিশু সেনগুপ্তর নামও শোনা যাচ্ছে।

;

নতুন সিনেমায় ভিন্ন আঙ্গিকে আসাদুজ্জামান নূর



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আসাদুজ্জামান নূর

আসাদুজ্জামান নূর

  • Font increase
  • Font Decrease

মাঝে সব ধরনের অভিনয় থেকেই দূরে ছিলেন প্রখ্যাত অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর। এরপর একটু একটু করে শুরু করেন মঞ্চ ও টিভি নাটকে। তবে চলচ্চিত্রে কাজ করছিলেন না।

এরপর এক এক করে বেশ কয়েকটি নতুন সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন এই তারকা। এবার পাওয়া গেল নূরের নতুন আরেকটি ছবির খবর। তবে এবার আর অভিনয় নয়। একটু ভিন্নভাবে যুক্ত হওয়া ছবিটির সঙ্গে।

ভাষা আন্দোলনের আগেভাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র ‘যাপিত জীবন’। সেই ছবিতে যুক্ত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। ছবির একটি অংশের জন্য কবিতা আবৃত্তি করলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি স্টুডিওতে তার কণ্ঠে কবিতাটি রেকর্ডিং হয়। ছবির পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব জানান, ছবি শেষ হবে আসাদুজ্জামান নূরের কণ্ঠে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর ‘কোনো এক মাকে’ কবিতাটির পাঠের মধ্য দিয়ে।

পরিচালক বলেন, ‘এ অংশ ছবির জন্য খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এখানে কবিতাটি খুবই প্রাসঙ্গিক। ছবি শেষ হচ্ছে, নেপথ্যে কবিতাটি শোনা যাচ্ছে। গল্পের সঙ্গে চমৎকারভাবে কবিতাটির কথা, মর্ম মিলে যায়। আমার বিশ্বাস, ওই সময় প্রেক্ষাগৃহে দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি হবে দর্শকের মাঝে।’

কবিতাটি আবৃত্তির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিব আরও বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই নূর ভাইয়ের আবৃত্তি শুনে আসছি। তার আবৃত্তির ভঙ্গি দারুণ। আর ছবির এই জায়গায় তার কণ্ঠ ভালো মানিয়ে যায়। এ ছাড়া এই ছবিতে অনেক গুণীজন যুক্ত আছেন। আরেক গুণী মানুষ হিসেবে নূর ভাইকে চেয়েছি।’

আসাদুজ্জামান নূর

জানালেন, বেশ কিছুদিন আগে কাজটির জন্য আসাদুজ্জামান নূরকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। বলেন, ‘বিষয়টি বুঝিয়ে নূর ভাইকে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। শুনেই রাজি হন তিনি। নানা ব্যস্ততায় কাজটি করে দিতে সময় পাচ্ছিলেন না। আজ সময় বের করে কাজটি করে দিলেন তিনি। আমি মনে করি, নূর ভাইয়ের কারণে আমার ছবির মান আরও বেড়ে গেল।’

২০২১-২২ বছরের সরকারের অনুদানের ছবি এটি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এর শুটিং শুরু হয়।

পরিচালক আরও জানিয়েছেন, পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। আগামী সপ্তাহের শুরু দিকে প্রিভিউয়ের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে। চলতি বছরই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির কথা আছে ছবিটির। সেলিনা হোসেনের গল্প থেকে যৌথভাবে এটি চিত্রনাট্য করেছেন অনিমেষ আইচ ও ইশতিয়াক আহমেদ।

এতে অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, গাজী রাকায়েত, রোকেয়া প্রাচী, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ডলি জহুর, ইমতিয়াজ বর্ষণ, আশনা হাবিব ভাবনা, সমাপ্তি, মৌসুমি হামিদ প্রমুখ।

;

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলায়’ পদাতিকের ‘গুনজান বিবির পালা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

কলকাতার ‘পট্ট নাট্য মেলা’য় আমন্ত্রন পেয়েছে বাংলাদেশের মঞ্চ নাটকের দল পদাতিক নাট্য সংসদ টিএসসি। আগামীকাল ২৯ মার্চ কলকাতার অনুচিন্তন আর্ট সেন্টারে প্রদর্শিত হবে পদাতিকের ৪১ তম প্রযোজনা ‘গুনজান বিবির পালা’। এই শো উপলক্ষ্যে পদাতিক নাট্য সংসদেও ২২ সদস্য এখন কলকাতায়। নাটকটির রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন সায়িক সিদ্দিকী।

নাটকে অনেকটা অংশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পালা গানের আঙ্গিকে করা। যে পালা বসে গ্রামের আসরে, বয়াতিদের এক শৈল্পিক নাট্য বয়ানে। শুধু পালাগান নয়, নাটকটিতে কাওয়ালি, পুঁথিসহ আরও অনেক লোকজ দিক তুলে ধরা হয়েছে।

যার প্রেক্ষাপট একটি থিয়েটার দল। বিভিন্ন সমস্যার মধ্য যাদের পথচলা দীর্ঘদিনের। সেই দলের প্রধান নাটকের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ করতে রাজী। দলটির একটি নাটক ‘পালা’ আকারে মঞ্চায়ন করা হবে, যা সাত ভাই চ¤পা অবলম্বনে ‘গুনজান বিবির পালা’ নামে দর্শকদের কাছে মঞ্চায়িত হবে। অর্থাৎ নাটকের মধ্যে আরেক নাটক দেখা যায় এই প্রযোজনায়।

‘গুনজান বিবির পালা’ নাটকের দৃশ্য

এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মমিনুল হক দীপু, মশিউর রহমান, শামছি আরা সায়েকা, আমানুজ্জামান, রাবেয়া, নুরুন্নাহার পাপিয়া, শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, জয়, সালমান শুভ, আবু নাসেম লিমন, মোঃ ইমরান খাঁন, শরীফুল ইসলাম, জিতু, পলাশ, জিয়া, জেনি, সৃজা, নাজমা ও শ্রেষ্ঠা।

মঞ্চ-সঞ্জীব কুমার দে, আলো- অতিকুল ইসলাম জয়, পোশাক, দ্রব্য ও কোরিওগ্রাফিÑ সাঈদা শামছি আরা, সঙ্গীত- হুমায়ন আজম রেওয়াজ, প্রযোজনা অধীকর্তাÑ সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন টিটো।

;