‘তরুণদের স্বপ্ন দেখতে হবে, ভাবতে হবে আমি পারব’
‘আমাদের যার যেটা পছন্দ, যার যেটা প্যাশন, যার যেটা স্বপ্ন সবকিছুই কিন্তু একটা স্ট্রাগল। আমি মনে করি, আমাদের তরুণ প্রজন্মের যারা আছি; তাদের উচিত প্রত্যেককে নিজেদেরকে লিডার মনে করা। প্রত্যেকদিন সকালে উঠে মনে করতে হবে ‘আমি পারব করতে।’ আমাদের স্বপ্ন দেখতে হবে। আমরা মাঝখানে স্বপ্ন দেখা ভুলে গেছিলাম। আমাদের নিজেদেরকেই বলতে হবে- ‘আই অ্যাম দ্যা চেঞ্জ; উই উইল বি দ্যা চেঞ্জ।’ আমি জানি অনেক অসুবিধা আছে- কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করব; নিজে যতুটুকু ভালো কাজ করতে পারি আমি করে যাবো।’
কথাগুলো বলছিলেন- শেখ সারহান নাসের তন্ময়।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের মধ্যে রাজনীতিতে আসা এ তরুণ বাগেরহাট-২ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অন্যতম কনিষ্ঠ প্রার্থী শেখ তন্ময়। সুদর্শন চেহারা, চমৎকার বাচনভঙ্গি ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব দিয়ে ইতিমধ্যে সারাদেশে আলোচিত তরুণ হিসেবে নিজের একটা স্বতন্ত্র স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের একমাত্র ছেলে তিনি।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর রোববার রাতে (২৫ নভেম্বর) বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে নানা বিষয়ে কথা বলেন তিনি। তন্ময়ের জীবন, দর্শন, স্বপ্ন সবকিছুই উঠে আসে ওই আলাপে।
আলাপকালে রাজনীতির অনুপ্রেরণা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধীকারী তন্ময় বাবা শেখ হেলাল ও ফুফু প্রধানমন্ত্রীর কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমার দাদা শেখ আবু নাসের তিনি বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ছোট ভাই ছিলেন। দাদাকে দেখিনি। আমার বাবাও কিন্তু নেত্রীর হাতধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন। ১৯৮১ সালে তিনি ফেরত আসার পরে আমার বাবা সব সময় তার সঙ্গে থাকত। আমি বাবা ও নেত্রীকে দেখে শিখেছি। যার জন্য অনুপ্রেরণাটা ওখান থেকেই এসেছে। ওখান থেকেই আমি শিখেছি, ওখান থেকে উৎসাহিত।’
দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমের কথা তুলে ধরে তন্ময় বলেন, আজকে যখন দেখি আমাদের প্রধানমন্ত্রী কত বাঁধা পেরিয়ে, কতরকম ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এই পরিস্থিতি আমাদের জন্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। ভালো বলবে মানুষ, মন্দ বলবে মানুষ। কিন্তু চেষ্টাতো করেছেন। ১০ বছরে যে কাজ তিনি করেছেন এটা কেউ অস্বীকার করে তাহলে আমার মনে এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যা হবে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কাজ করেননি। এটা সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা হবে। আমি জানি আমি নিজে দেখেছি তাঁর পরিশ্রম।’
‘আমরা বঙ্গবন্ধুকে দেখিনি, তবে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেখেছি। অবশ্যই আমাদের ফ্যামিলির ঐতিহ্য কিন্তু তা বাদেও আমরা ইন্সপায়ার্ড হয়েছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে ইন্সপায়ার্ড হয়েছি। তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন। কিন্তু তার একার পক্ষে তো সব কাজ সম্ভব নয়- তাই আমরা যদি অল্পকিছু অবদান রাখতে পারি সেটা আমরা রাখার চেষ্টা করব। আমি মনে করি এটাই আমার স্বপ্ন, আমি আসলে কাজ করতে চাই’, যোগ করেন তরুণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যার যে যেটা পছন্দ করে তার সেটা করা উচিত। কেউ যদি গিটার বাজাতে পছন্দ করে তার গিটার বাজানো উচিত। কেউ যদি মিউজিশিয়ান হতে চায় তার মিউজিশিয়ান হওয়া উচিত, কেউ যদি হাফেজ হতে চায় তার হাফেজ হওয়া উচিত, ক্রিকেটার হতে চায় সে ক্রিকেটার হওয়া উচিত। আমরা রাজনীতিতে আসতে চাই নেত্রী সেই সুযোগটা করে দিচ্ছেন। তার মানে সুযোগটা খুলছে...ফর দি ইয়ং জেনারেশন। দে ক্যান কাম এন্ড পারফর্ম।’