শপথে না বিএনপির: মানবে নির্বাচিতরা?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নিতে অনেকটা মুখিয়ে আছেন বিএনপি থেকে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে নির্বাচিত কয়েকজন প্রতিনিধি। ঘরোয়া বৈঠকে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। শপথের পক্ষে শীর্ষ নেতৃত্বের উপর চাপ সৃষ্টিতে উঠেপড়ে লাগলেও, শীর্ষ নেতৃত্বও অনড় রয়েছে তাদের সিদ্ধান্তে।   

নির্বাচিতরা মনে করছেন, সংসদে গেলে তারা সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে সক্ষম হবেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়েও জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। যা সরকারি দল থেকেও বলা হয়ে আসছে। এখন অপেক্ষা দল থেকে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের। তাদের প্রত্যাশা, শেষ সময়ে হয়তো শপথের পক্ষেই অবস্থান নিবে বিএনপি।

দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত শপথের বিপক্ষে। শপথ নিয়ে সংসদে গেলে এই সরকারের বিতর্কিত নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া হবে। কেননা নির্বাচনের আগের রাতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছিল। এছাড়া তারা যে নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করেছিল, সংসদে গেলে তারও কোনো মূল্য থাকবে না।

ফলে শপথ নেয়া বা না নেয়া উভয়দিক থেকে চাপে রয়েছে দলটির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। নির্বাচিতরা বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন, তাদের নির্বাচনী এলাকার ভোটার এমনকি দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা শপথের পক্ষে। আবার দল যেহেতু মনোনীত করেছেন সেক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করাও সম্ভবপর নয়। ফলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়তে হচ্ছে তাদের।  

নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যাতে শপথে না যান এজন্য তাদেরকে নানাভাবে বোঝাচ্ছে দল, যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকের পরই হয়তো নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করবেন তারা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২২ এপ্রিল সিনিয়র নেতারা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন। স্কাইপিতে লন্ডন থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যুক্ত হন এই বৈঠকে। দলের সিনিয়র নেতারা তারেক রহমানের কাছে শপথের পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। তারেক রহমানও নেতাদের মত জানতে চান। এ সময় সিনিয়র নেতারা সংসদে যোগ না দেওয়ার পক্ষে জোরালো মত দেন। এক পর্যায়ে তারেক রহমানও শপথ না নেয়ার পক্ষে সম্মত হন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচিতরা যদি সংসদে গিয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে তাহলে অন্তত ৬ টি আসনে তাদের শক্ত অবস্থান তৈরি হবে। সেই এলাকায় নেতাকর্মীরা হামলা মামলা থেকে রেহায় পাবে। সংসদে নিজের বক্তব্য তুলে ধরতে পারলে বড় আন্দোলনও গড়ে তোলা সম্ভব। সংসদের ভেতরে-বাইরে তারা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শপথের সময়সীমা আরও ছয় দিন বাকি আছে। শেষ মুহূর্তে শপথ নিতেও পারে। যেহেতু তাদের বিকল্প কোন পথ নেই। শপথ নেয়ার পরেও যদি খালেদা জিয়ার মুক্তি না হয় সেক্ষেত্রে তারা শপথ নিয়ে দ্বিতীয় অধিবেশনে যোগ দিয়ে ৯০ দিনের জন্য সংসদ বর্জন করতে পারে। যেহেতু শপথের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি জড়িত। তবে সবকিছুর শেষ দেখতে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে।’

দলের নির্বাচিত এক প্রতিনিধি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগামীকাল দলের নয়াপল্টন কার্যালয়ে আমাকে ডেকেছেন। সবাইকে ডেকেছেন কিনা আমি জানি না। দেখি ওখানে কি সিদ্ধান্ত দেন। ওখান থেকে ফিরে আমার ব্যক্তিগত মতামত জানাবো। তার আগে দেখি দল ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেয় কিনা।’

এ বিষয়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, শপথ নেয়া মানে সরকারের ভোট ডাকাতির নির্বাচনকে বৈধতা দেয়া। আমরা এই নির্বাচনের বিরুদ্ধে টোকেন মামলা করেছি। সেখানে সংসদে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। দলের সিদ্ধান্ত কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি শপথ নেবে না। যেটা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও সিদ্ধান্ত। যদি কেউ শপথ নেন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

   

‘বিনা কারণে কারাগার বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিএনপির জন্য দিনের আলো যেনো নিষিদ্ধ। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্ত বাতাস গ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ। এদেরকে সবসময় কারাগারে থাকতে হয়। বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা হয়ে গেছে। বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে ঢুকানো, ধরে ফেলা এই কর্মসূচি যেন শেখ হাসিনার শেষই হচ্ছে না। আমার মনে হয় তিনি (শেখ হাসিনা) একটা আতঙ্কের মধ্যে ভুগছেন। এর কারণ হলো, তিনি (শেখ হাসিনা) জানেন তার কোনো জনসমর্থন নেই। জনসমর্থন না থাকলে সেই সরকাররা প্রচণ্ড স্বেচ্ছাচারী হয়, ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠে এবং জনগণের আওয়াজ পেলেই তারা নিপীড়নভাবে সেটাকে দমন করে।

তিনি বলেন, বিএনপির ২৫ থেকে ২৬ হাজার নেতাকর্মী একটা ডামি নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় চারমাস কারাগারে ছিলেন। কয়েক হাজার নেতাকর্মী এখনো কারাগারে বন্দী রয়েছে। এর জবাব কি শেখ হাসিনা দিতে পারবেন? এর জবাব যদি শেখ হাসিনা দিতে পারতেন তাহলে তিনি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেন। শেখ হাসিনা যেভাবেই হোক ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি (শেখ হাসিনা) আজকে বলেছেন, ‘রাজবন্দী কেউ নেই ; রাজনৈতিক কারণে কেউ বন্দী নেই। যারা বন্দী রয়েছে তারা বিভিন্ন মামলার আসামি।’

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী; রাজবন্দী নামে কোনো শব্দ কি আইন গ্রন্থে লেখা আছে? রাজনীতি যারা করে তাদেরকে কারাগারে বিভিন্ন মামলা দিয়েই ঢুকানো হয়। এ রীতি ব্রিটিশ আমল থেকেই চলে আসছে। আপনার বাবা পাকিস্তান আমলে অনেকবার জেলে গিয়েছে। সেখানে আপনার বাবা যে রাজনৈতিক কারণে জেলে গিয়েছে সে কথা লেখা নেই। গাফফার চৌধুরীর একটা লেখা পড়ে জানতে পেরেছি, পাকিস্তান আমলে শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১৭টা দুর্নীতির মামলা দিয়েছিল আইয়ুব খান। কিন্তু, সারাদেশের মানুষ মনে করতো শেখ মুজিবসহ যারা রাজবন্দী রয়েছে তাদের নামে বিভিন্ন মামলা দিয়েই মুলত কারাগারে ঢুকানো হয়। উপমহাদেশে এরকমভাবে অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। মহাত্মা গান্ধীসহ আরও অনেকেই কারাগারে গিয়েছেন। কিন্তু কোথাও রাজনৈতিক কারণে কারাগারে গিয়েছে সেটা লেখা থাকে না। যারা কায়েমি শাসক গোষ্ঠী তারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দিয়ে তাদের নাম দেয়। আপনি বলছেন তারা (বিএনপির নেতাকর্মী) বিভিন্ন মামলার আসামি। গোটা জাতি মনে করে আপনি ষড়যন্ত্র করে আন্দোলনকামী, গণতন্ত্রকামী, যারা সত্যকথা বলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার মামলা, মিথ্যা মামলা দিয়ে আপনি তাদেরকে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনার নামে যে ১৫টি মামলা ছিল। সেগুলো কি রাজনৈতিক কোনও মামলা ছিল? সেগুলো দুর্নীতির মামলা ছিল। আপনি ক্ষমতার জোরে সেটি বাতাসে উড়িয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে বলে রাখি, প্রত্যেকটা জিনিসের রেকর্ড আছে।

জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এডভোকেট পারভীন কাউসার মুন্নীর সভাপতিত্বে এবং জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেলের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, বিএনপির সেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী শফু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির প্রমুখ।

;

উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের মন্ত্রী–সংসদ সদস্যদের স্বজনদের নির্বাচনে অংশ না নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্দেশনায় মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক ও উপদপ্তর সম্পাদক। এতে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার কথা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক। এ সময় তিনি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সাংসদদের স্বজনদের তালিকা করারও নির্দেশনা দেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচন প্রভাব মুক্ত রাখার যে কঠোর নির্দেশনা তা সবাইকে তিনি অবগত করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈঠকে আমাদের সাধারণ সম্পাদক মন্ত্রী-সাংসদদের সন্তান, ভাই বা নিকটাত্বীয়রা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী যেনো না হয় তা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমাদের জানিয়েছেন।

;

ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বারিধারায় ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কার্যালয়ে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ অংশ নেন। ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন সারাহ কুক।

এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দুপুরের দিকে বৈঠক হয়েছে বলে আমি জানি। তবে, বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে কিছু জানা নেই।

;

জামিন না দেওয়া প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিথ্যা মামলায় দলের নেতাকর্মীদের সাজা প্রদান ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোকে আওয়ামী সরকার তাদের প্রাত্যহিক কর্মসূচিতে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব, মাকসুদ হোসেন এবং সদস্য মোহাম্মদ আরিফ হাসানকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় অন্যায়ভাবে সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ কয়েকজন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি ডামি ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের পর দখলদার আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক জোরালোভাবে শুরু হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর অবর্ণনীয় জুলুম—নির্যাতন। ডামি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ঘায়েল করতে লাগামহীন গতিতে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে আদালতকে দিয়ে ফরমায়েশি সাজা দিচ্ছে। জামিন নামঞ্জুর করে কারান্তরীণ করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

;