কার নির্দেশে শপথ নিলেন না ফখরুল?



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পুরনো ছবি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, পুরনো ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রাম্য একটা শ্লোক আছে, ‘সেই তো নথ খসালি, কেন লোক হাসালি’। সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট জোটের নির্বাচিত সদস্যদের শপথ নিয়ে যে নাটকীয়তা, টানা-হেচড়া আর গুঞ্জন হল তাতে সেই শ্লোকটি ঘুরে আসছে রাজনীতির ময়দানে।

দফায় দফায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের  নির্বাচিত সদস্যদের শপথ ও তাদের নিয়ে নাটকীয়তার চূড়ান্ত রূপ দেখা গেল সোমবার (২৯ এপ্রিল)।

শপথ গ্রহণের সময়সীমা শেষের অন্তিম মুহূর্তে বিএনপির চারজন নির্বাচিত যখন সংসদের পথে তখন দলটির পল্টনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপির নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে সরকার চাপ দিচ্ছে, জুলুম জবরদস্তি করছে।

কিন্তু মূল চমক দেখা যায় সন্ধ্যায় শপথ নেওয়ার পরই। শপথ নেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশেই শপথ নিয়েছেন। এর কিছুক্ষণ পর গুলশান কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একই কথা বলেন। তিনি জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই বিএনপি থেকে নির্বাচিত চার নেতা শপথ নিয়েছেন।

তিনি তাহলে শপথ নিলেন না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সময় হলেই তা জানতে পারবেন।’

স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন একটি প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে অন্যরা তারেক রহমানের নির্দেশে শপথ নিতে গেল তাহলে ফখরুল গেলেন না কেনো? তাহলে তিনি কি তারেক রহমানের আদেশ মানতে চাইছেন না! নাকি অন্য কোনো রহস্য রয়েছে। বিএনপি কার নির্দেশে চলে এ নিয়ে অনেক দিন ধরেই নানা রকম মুখরোচক আলোচনা রয়েছে। সেই আলোচনাকেই আবার উস্কে দিলো বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

আর সেটা বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে পেছনের ঘটনায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্ট জোট থেকে ৮ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফলকে প্রত্যাখ্যান করে জোটের নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না বলে জোটের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত টেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত। ওই দিন ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচিত সদস্য সুলতান মনসুর (মৌলভীবাজার-২) জোটের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন। সুলতানের শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজনীতিতে নতুন গুঞ্জনের সূত্রপাত হয়। সেই গুঞ্জনকে আরো উষ্কে দেন সুলতান মনসুর নিজেই। তাকে বহিস্কার করে গণফোরাম। তিনি বলেন, ‘আমি তো শপথ নিয়েছি। অপেক্ষা করেন আরো আসবে।’

সুলতান মনসুরের সে ভবিষ্যতবাণীকে সত্য করে ২ এপ্রিল শপথ নেন গণফোরামের মোকাব্বির খান (সিলেট-২)। মোকাব্বির খান শপথ নিলে একদিকে গণফোরাম তাকে শোকজ করে, বহিস্কৃত হবেন বলে দলের নেতারা জানায়। অন্যদিকে দলের কাউন্সিলেই আবার তাকে ড. কামালের পাশের মঞ্চে বসতে দেখা যায়।

মোকাব্বির খানের শপথের পরই রাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যায়। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ওঠে বিএনপি থেকে নির্বাচিতরাও শপথ নেবেন, বিনিময়ে দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি অসুস্থ চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্ত হবেন। সাংবাদিকরা যতই এই গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্ন করেন; বিএনপি নেতারা বিষয়টিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দেন। খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্ত হবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন দলের শীর্ষ নেতারা। সংসদ সদস্য হিসেবেও কেউ শপথ নেবেন না।

কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) শেষ সময়ে আচমকাই সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান। বিএনপির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নেবেন তারা গণদুশমন। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য ও দলীয় প্রধানকে কারাগারে রেখে যারা শপথ নিচ্ছে তারা জনগণের থুথুর ঢলে ভেসে যাবে।’

দুই দিন পর ২৭ এপ্রিল রাতে বসে স্থায়ী কমিটির বৈঠক। তাতে স্কাইপির মাধ্যমে লন্ডন থেকে যোগদেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান। বৈঠক শেষে দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গের দায়ে জাহিদুরকে বহিস্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জাহিদুরের বহিস্কারের ঘটনায় যখন অন্যদের নিরুৎসাহিত হওয়ার কথা। কিন্তু না অন্যরাও শপথের প্রস্তুতি নিয়েই ঢাকায় ঘুরাঘুরি করতে থাকেন। অবশেষে ২৯ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টায় অনেক বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো স্পিকারের কক্ষে শপথ নেওয়ার জন্য হাজির হন হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচিত মোশাররফ হোসেন। তারা শপথ নেওয়া শেষেই ‘বোমা ফাটান’। জানান, তারেক রহমানের নির্দেশ পেয়েই শপথ নিতে এসেছেন।

অথচ দু’দিন আগেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল শপথ না নেওয়ার। কিন্তু দুই দিন পরেই তারেক রহমানের একক নির্দেশে দলীয় সে সিদ্ধান্ত পাল্টে গেল। স্থায়ী কমিটির কোনো বৈঠকও হল না। এমনকি যার খবর সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভীও জানেন না।

আরও নানান রকম প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কেননা কয়েকদিন ধরেই বিএনপি বলা বলি করছিলো শপথ নিতে সরকারের চাপ রয়েছে। বিশেষ করে জাহিদুর রহমানের শপথের পর তারা আরও গলা ফাটিয়ে বলতে থাকেন। রুহুল কবীর রিজভী ছিলেন কয়েকধাপ এগিয়ে। এখন বলা হচ্ছে তারেক রহমানের নির্দেশেই শপথ। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে এতোদিনের বক্তব্য কি স্ট্যান্ডবাজি, নাকি অন্যকিছু। অন্যকিছু যদি নাই হয় তাহলে তারেক রহমান বলার পরেও কার নির্দেশে এখনো শপথ নিলেন না মির্জা ফখরুল।

তৃণমূলের নেতারা বলছেন, তারেক রহমানের নির্দেশে শপথ নিয়ে থাকলে ভালো। আর যদি না হয় তাহলে খবর আছে।

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ফখরুল বাদে বিএনপির বাকিরা

আরও পড়ুন: সংসদ অধিবেশনে যোগ দিলেন বিএনপির ৫ এমপি

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;