খালেদা-তারেকের আশীর্বাদে এতদূর এসেছি: রুমিন ফারহানা



মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ছবি: কাজল শিকদার

বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, ছবি: কাজল শিকদার

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাষা সংগ্রামী ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রয়াত অলি আহাদের একমাত্র সন্তান ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। আইনি পেশার পাশাপাশি যুক্ত জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে। দায়িত্ব পালন করছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক হিসেবে। একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

 

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া, আজকের অবস্থান, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে তরুণ এই রাজনীতিবিদের নানা ভাবনা। কথা বলেছেন, সংসদে গিয়ে কীভাবে কাজ করবেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়েও জানিয়েছেন নিজের পরিকল্পনা। 

বার্তা২৪.কম: রাজনীতিতে আসা ও আজকের এই অবস্থান কীভাবে হয়েছে?

রুমিন ফারহানা: আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠাও রাজনৈতিক পরিবারে। ২০১২ সালে বাবাকে হারানোর পর বিএনপির সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। পদে না থাকলেও কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে বিএনপির ডেলিগেশন টিমের সঙ্গে আমাকে চীনে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে খালেদা জিয়া আমাকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সঙ্গে রাখেন। ২০১৬ সালের কাউন্সিলে আমাকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক করা হয়। খালেদা জিয়ার আশীর্বাদ, তারেক রহমানের দোয়া এবং দলের সিনিয়র নেতাদের ভালোবাসায় আমি আজকে এতদূর এসেছি।

বার্তা২৪.কম: খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে তারেক রহমানের কোনো সিদ্ধান্ত বা ইঙ্গিত আছে কি-না?

রুমিন ফারহানা: তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে যতগুলো সিদ্ধান্ত এসেছে প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক, যুগোপযোগী, সময়োপযোগী এবং অত্যন্ত চিন্তাপ্রসূত। তিনি কিন্তু সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দলটাকে পরিচালনা করছেন। স্থায়ী কমিটি সঙ্গে বসছেন, আমাদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন মাধ্যমে দীর্ঘ সময় আলাপ আলোচনা করছেন। সুতরাং কোনো সিদ্ধান্তই কিন্তু কারো একক সিদ্ধান্ত না। তারেক রহমানের চাপিয়ে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নয়। তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেকারণে সিদ্ধান্তগুলো সঠিক এবং নেতাকর্মীরা যা চায়, তারই প্রতিফলন আমরা তার সিদ্ধান্তে পেয়েছি।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, তিনি জীবনে কোনো দিন আপস করেন নাই। সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে আজকে তাকে কারাগারে থাকতে হচ্ছে। আইনি লড়াই চলছে, আইনি লড়াই চলবে। সেই সঙ্গে আমরা সাংগঠনিকভাবে যে সিদ্ধান্তে যাচ্ছি, আমাদের শীর্ষ নেতৃত্ব যে দিক নির্দেশনা দেবেন, নিশ্চয়ই আমরা সময়ের সঙ্গে সেই পদক্ষেপগুলো নেব।’

বার্তা২৪.কম: সংসদ অবৈধ বলেও সংসদে গেলেন। গুঞ্জন ছিল বিএনপি সংসদে গেলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন, কিন্তু পাননি। কোনো সমঝোতা কি হয়েছিল?

রুমিন ফারহানা: সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন আজকে প্রায় মাস খানেক হয়ে গেল। আপনারা কি দেখেছেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন? তিনি মুক্ত হননি। সুতরাং এই পর্দার আড়ালের খেলা বিএনপি কোনো দিনও খেলে নাই। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, জনগণের সঙ্গে ধোকাবাজি এটা বিএনপির রাজনীতি না। কৌশলগত কারণে সিদ্ধান্তের পরিবর্তন হয়েছে। প্রথমে দলগতভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল আমরা শপথ নেব না। যেহেতু দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে শপথ নিয়েছে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। পরবর্তীতে যখন দলীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে যারা শপথ নিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন এবং তারা সংসদে যাবেন। আমার ব্যাপারেও দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত এসেছে। সুতরাং এখানে ধোঁয়াশার কিছু নেই।’

বার্তা২৪.কম: দলের মহাসচিব শপথ নিলেন না, এতে নেতাকর্মীরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন কি-না?

রুমিন ফারহানা: দলের মহাসচিব নিজেই তা স্পষ্ট করেছেন। দু’টি কারণে তিনি শপথ নেননি। একটি হলো তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবেন। সংগঠন গোছানোর জন্য তাকে সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হয়ে। সব কিছু মিলিয়ে তার পক্ষে সংসদে যোগদান করা, সংগঠনকে শক্তিশালী করা, একইসঙ্গে তৃণমূল ও শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা। এতো বড় দায়িত্ব তার পক্ষে একসঙ্গে পালন করা সম্ভব নয়। যে কারণেই শপথ নেননি। এবং সেটা তিনি খোলামেলাভাবেই বলেছেন। এতে বিভ্রান্তির কিছু নেই।

বার্তা২৪.কম: সিনিয়র নেতা থাকতে শেষ পর্যন্ত আপনার উপর দল কেন আস্থা রাখছেন?

রুমিন ফারহানা: ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে, দলের শীর্ষ নেতাদের, যারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। মনে করেছেন, আমি পারব। এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তাদের যে আস্থা ও বিশ্বাস তার মর্যাদা যেন আমি রাখতে পারি।

বার্তা২৪.কম: সংসদে কতটা ভূমিকা রাখতে পারবেন?

রুমিন ফারহানা: আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার আগেও আমি খুব স্পষ্ট করে বলে আসছি যে, এটা কোনো সংসদ নয়। কারণ এটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি। এরপরও আমরা সংসদে গেছি কেন? বিএনপির মতো এতবড় একটা দলকে মাঠে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না। সভা সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয় না। এসব বলার জন্য তো একটা স্পেস দরকার। মানুষের কথা, দেশের কথা বলার জন্য একটা ফোরাম দরকার। আমরা মনে করি, সংসদ একটা পথ, যে পথে আমরা কথা বলতে পারব। আমরা জানি, সাতজন এমপি দিয়ে সরকারের কোনো অবৈধ কাজকে উল্টে দিতে পারব না। সরকারকে এমন কোনো চাপ দিতে পারব না যে, সরকার শুনতে বাধ্য হবে। কিন্তু আমাদের যে কণ্ঠ, যে প্রতিবাদ, তা সুশীল সমাজ জানবে, দেশের মানুষ জানবে, দেশের ঘরে ঘরে সেগুলো পৌঁছাবে। এটুকুই আমাদের লক্ষ্য।

‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে একজন আইনজীবী হিসেবে পরিষ্কার বলছি, জামিন কিন্তু তার অধিকার। যে মামলাগুলোতে তাকে আটকে রাখা হয়েছে সেই মামলার প্রত্যেকটা জামিনযোগ্য। সংসদে গিয়ে নিশ্চয়ই এ বিষয়ে আমরা কথা বলব। তার মামলার যে মেরিট, তার বয়স, শারীরিক অবস্থা, তার জেন্ডার; সবকিছু বিবেচনায় তিনি তাৎক্ষণিক জামিন লাভের যোগ্য।’

আরও পড়ুন: সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির প্রার্থী রুমিন ফারহানা

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;