বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিলের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বগুড়া
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছে জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন বগুড়া বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা। বগুড়া জেলা যুবদলের কমিটি বাতিলের প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় এই দাবি জানানো হয়।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেল ৪টায় বগুড়া শহরের নবাব বাড়ি সড়কে জেলা বিএনপি অফিসের সামনে 'হঠাও সিরাজ বাঁচাও দল' শিরোনামে 'জেলা বিএনপির তৃণমূল নেতা-কর্মী ব্যানারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

সভায় বক্তারা বলেন, সরকার বিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতারা কী করেছেন তা দেশবাসী দেখেছে। কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলন করতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জেলে। 

বক্তারা আরও বলেন, সংস্কারপন্থী নেতা গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের টাকা খেয়ে তাকে বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বানানো হয়েছে। এই সিরাজ বিএনপিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিরাজের পরিবহন ব্যবসার স্বার্থে তিনি বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ এবং বগুড়ায় বিমান বন্দর চালু করতে দেননি।

সেই সিরাজকে আবারও বগুড়ায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। জেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা বগুড়ায় আন্দোলন করেছে,পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন।

সভায় বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা প্রশ্ন রাখেন, আন্দোলনের সময় সিরাজ কোথায় ছিল? তার নামে কয়টা মামলা হয়েছে? দলকে ধ্বংস করার জন্যই সিরাজ টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

প্রতিবাদ সভা থেকে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়। সেই সঙ্গে বগুড়ায় একের পর এক কমিটি বাতিল এবং বহিষ্কার করার আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে ঢেলে সাজানোর দাবি জানানো হয়।

বগুড়া পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল নেতা ইউছুবের বাবা আব্দুর রাজ্জাক,বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলাম আউয়াল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহবুব হোসেন লেমন, বহিস্কৃত বিএনপি নেতা পরিমল চন্দ্র দাস প্রমুখ।

   

টেকনাফের যুবদল নেতাকে তুলে নিয়ে গেল সাদা পোশাকদারীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার জেলা বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও কারানির্যাতিত নেতাকর্মী এবং বিএনপির আন্দোলনে নিহত শহীদ পরিবারের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে টেকনাফ উপজেলা যুবদলের সদস্য, হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমকে তুলে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকালে ইফতার শেষে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কবিতা চত্বর থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়। শাহ আলম রাজনৈতিক মামলার আসামি হলেও জামিনে রয়েছে বলে জানিয়েছে তার পরিবারের সদস্যরা।

ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে শাহ আলমকে গ্রেফতার দাবি করে নিন্দা জানিয়েছেন জেলা বিএনপি।

নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এড. শামীম আরা স্বপ্না বলেন, বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক এড. হাসান সিদ্দিকী প্রেরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ইফতার মাহফিলের মতো প্রোগ্রাম থেকে শাহ আলমকে তুলে নিয়ে যাওয়া অমানবিক বলে দাবি করে নিন্দা জানান এবং দ্রুত শাহ আলমের মুক্তি দাবি করেন।

;

বিএনপি শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় শক্তিশালী দল: আমীর খসরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। দলটি আজ অনেক বেশি পরিণত। বিএনপি আজ শুধু বাংলাদেশে নয়, দক্ষিণ এশিয়ায় অনেক বেশি শক্তিশালী দল। আমাদের এ যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আমাদের সঙ্গে যেসব বিরোধী দল আছে, সবাইকে সাথে নিয়ে, হাতে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে মুক্ত করতে হবে। এটা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রাম। এ সংগ্রামে বিজয়ী হতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন নেভাল এভিনিউস্থ মেরিটাইম মিউজিয়াম ক্যাপেতে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে)'র ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমীন গাজী ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেভাবে চলছে, রাষ্ট্রের অঙ্গগুলো যেভাবে চলছে, সাংবাদিকতা তার চেয়ে ভালো অবস্থানে নেই। বিশেষ বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যারা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের সাংবাদিকতা পরিচালিত হয় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় যারা চলে তারা সাংবাদিকতা করতে পারে না। সাংবাদিকদের হতে হবে ওয়াচডগ। এখন তারা হয়ে গেছে ল্যাপডগ মানে কোলের কুকুর। ওরা ওয়াচডগের বদলে এখন ল্যাপডগ হয়ে গেছে বাংলাদেশে। যারা সাহস করে কথাবার্তা বলছে, লিখছে, তাদের বিরুদ্ধে একটা বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে।

তিনি বলেন, যেসব সাংবাদিক সংগঠন, মিডিয়ার মানুষ, কিছু কথা বলার চেষ্টা করছে তারা কিন্তু এখন বড় চাপের মধ্যে আছে। ফ্যাসিস্ট রেজিমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এখনও যে সাংবাদিকগুলো দাঁড়িয়ে আছে, বিশেষ করে আজ এখানে যারা আছে, এখানে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে, ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অনেক সাংবাদিক চেষ্টা করে যাচ্ছে, অনেক বাধা অতিক্রম করে তারা কিন্তু করে যাচ্ছে, সাহসিকতার সাথে করে যাচ্ছে। আগে ভারতে আমরা শুনতাম ইন্দিরা গান্ধীর ইমার্জেন্সির সময় সরকার থেকে সাংবাদিকদের বলা হয়েছিল একটু বাঁকা হয়ে সরকারের পক্ষে কথা বলতে। কিন্তু তারা বাঁকা হয়ে হামাগুড়ি দিচ্ছিল। সরকার বলেছিল একটু ব্যাং হয়ে আমাদের পক্ষে লিখ, কিন্তু অতি উৎসাহী সাংবাদিকরা হামাগুড়ি দিচ্ছিল। বাংলাদেশ সরকার বলছে হামাগুড়ি দিতে, এরা এখন শুয়ে গেছে, সিজদায় পড়ে গেছে। বাংলাদেশ সরকার বলেছে হামাগুড়ি দাও, এরা সিজদায় পড়ে গেছে। এই হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার অবস্থা।

গণতন্ত্র ফেরানোর দায়িত্ব বিএনপির একার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি সবাইকে বলি, বিএনপির একার দায়িত্ব না এটা। বিএনপি গুম হবে, খুন হবে, মৃত্যুর মুখে যাবে, চাকরি হারাবে, ব্যবসা হারাবে, শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব না। সাংবাদিকদের দায়িত্ব আছে, পেশাজীবীদের দায়িত্ব আছে, সর্বস্তরের মানুষের আজ দায়িত্ব আছে। ৯৫ শতাংশ মানুষ যারা ভোটকেন্দ্রে যায়নি, তারা কিন্তু তাদের একটা দায়িত্ব পালন করেছে। বিএনপি এবং বিরোধী দলের ডাকে তারা দায়িত্ব পালন করেছে, তারা কথা বলেছে, ঘরে বসে কথা বলেছে।

আমীর খসরু বলেন, তারেক রহমান সাহেব অবশ্য ৯৭-৯৮ শতাংশ বলে থাকেন। ২-৩ শতাংশ কারা, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু ভোট পায়নি। তারা হালুয়া রুটির কারণে গিয়েছিল, কিন্তু হালুয়া রুটি পায়নি, এখানে ২-৩ শতাংশ আছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ভোট করে জিততে পারেনি, তারাও বলছে ভোট হয়নি।

তিনি বলেন, এটা নির্বাচন নয়, গণভোট হয়েছে। নির্বাচনে যাব কি যাব না? আমরা বলেছি আপনারা নির্বাচনে যাবেন না। শেখ হাসিনা বলেছে যেতে হবে, না গেলে আপনার ভাতা কাটা যাবে, না গেলে এলাকায় থাকতে পারবেন না। পুলিশের ধমক, আওয়ামী মাস্তান লীগের ধমক। আমরা বলেছি, আপানার দেশের জনগণের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। এটা একটা গণভোট হয়েছে।

এতে সন্মানিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, সিএমইউজের সাবেক সভাপতি ইস্কান্দার আলী চৌধুরী, শামসুল হক হায়দরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট কপিল উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. জানে আলম সেলিম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন, আলী আব্বাস প্রমূখ।

;

সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কোনো জনগণ নাই, জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না। তবে সন্ত্রাস নির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে আওয়ামী লীগ জনপথের পর জনপথে শিমুলদের মতো এমপি বানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশে নৈরাজ্য ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী গত ১৩ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে মাইক্রোবাসে থাকা সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। পায়ে তিনটি গুলি করে।

খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।

নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, তার উপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

;

আ. লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) 'মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'অন্তরে মম শহীদ জিয়া'।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেনই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কিনা। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা এই ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ডঃ কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

;