ঈদের আগে খালেদার মুক্তি চেয়ে সহস্রাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদার মুক্তি চেয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিকরা, ছবি: সংগৃহীত

খালেদার মুক্তি চেয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিকরা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির চেয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের ১০১৭ জন সাংবাদিক।

রোববার (২৬ মে) বিকালে বিবৃতির বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী।

ঐ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আমরা দেশের তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগেই তাঁর বন্দিত্ব অবসানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হোক।'

আমরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভীষণ উদ্বিগ্ন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর দুই হাত ও কাঁধের ব্যথা মারাত্মক পর্যায়ে। তাঁর ডায়াবেটিসও বিপজ্জনক মাত্রায়। মুখের ভেতরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর স্বাস্থ্যের এমন অবনতি হয়েছে যে তিনি স্বাভাবিকভাবে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত করতে পারছেন না।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। অসুস্থ অবস্থায় এক বছরের বেশি সময় আগে তাঁকে জেলে নেওয়া হয়। রাখা হয় নাজিমউদ্দিন রোডের জনমানবহীন পরিত্যক্ত কারাগারের স্যাঁতস্যাঁতে কক্ষে। জেলে নেওয়ার পর চিকিৎসায় অবহেলার কারণে তাঁর অসুখের মাত্রা বেড়ে যায়। নতুন নতুন উপসর্গ দেখা দেয়।

এক পর্যায়ে বেগম জিয়া নিজেই আদালতে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানাতে বাধ্য হন। সরকার গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড তাঁকে পরীক্ষা করে তাদের রিপোর্টে জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বাম কাঁধে ব্যথা বাড়ার পাশাপাশি তিনি বাম কাঁধ ঠিকমতো নাড়াতে পারেন না। বাম বাহু, বাম পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ব্যথায় তিনি অস্থির থাকেন। তাঁর হাতের গ্রিপও দুর্বল। চিকিৎসকরা রিপোর্টে তাঁর ‘কার্পাল টানেল সিনড্রোমের’ কথা উল্লেখ করেন।

আমরা গভীর উৎকণ্ঠার সঙ্গে বলতে চাই, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে করা একটি উদ্দেশ্যমূলক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট কিংবা চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তাছাড়া যে দুই কোটি টাকা নিয়ে মামলা, সেই দুই কোটি টাকার একটি টাকাও নষ্ট হয়নি। ইতোমধ্যে সেই টাকা ব্যাংকে তিনগুণ বেড়ে ছয় কোটিরও বেশি হয়েছে। কিন্তু প্রবীণ বয়সে অন্যায়ভাবে শাস্তি পাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া। এই মামলায় উচ্চতর আদালত থেকে জামিন হওয়া সত্ত্বেও এক বছরের বেশি সময় ধরে নানান ফন্দিফিকির করে তাঁকে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ৩৪টি হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাঁর মুক্তিলাভে সুকৌশলে ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, আমানুল্লাহ, আলমগীর মহিউদ্দিন, আবুল আসাদ, অধ্যাপক আবদুল গফুর, শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী, কবি আল মুজাহিদী, মোবায়েদুর রহমান, ফজলুর রহমান মুন্সী, মোস্তফা কামাল মজুমদার, সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, কামাল উদ্দিন সবুজ, এম এ আজিজ, এম আবদুল্লাহ, কবি আবদুল হাই শিকদার, এরশাদ মজুমদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গণি চৌধুরী, আবদুস শহিদ, গোলাম তাহাবুর, ছড়াকার আবু সালেহ, মাশুক চৌধুরী, খায়রুল আনোয়ার মুকুল, বাকের হোসাইন, শহিদুল ইসলাম, সৈয়দ মেজবাহ, কবি হাসান হাফিজ, কবি মাহমুদ শফিক, এ ইউ এম ফখরুদ্দিন, শেহাব উদ্দিন আহমেদ নাফা, চিন্ময় মুৎসুদ্দী, জিয়াউল হক,রীটা রহমান, মাহমুদা চৌধুরী, মমতাজ বিলকিস বানু, রোজী ফেরদৌস, মুন্সী আবদুল মান্নান, কাজী রওনাক হোসেন, নূরুল হুদা, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ইলিয়াস হোসেন, শফিউল আলম দোলন, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, বদিউল আলম, নূরুল হাসান খান, বখতিয়ার রানা,গোলাম মোস্তফা, আবদুল আউয়াল ঠাকুর, জাহিদ চৌধুরী, কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, শাহ আহমদ রেজা, ড. আবদুল হাই সিদ্দিক, মাসুমুর রহমান খলিলি, মাসুদ মজুমদার, আজম মীর, রেজাউর রহমান সোহাগ, নুরুদ্দিন আহমেদ, একেএম মোহসীন, মিজানুর রহমান ভূইয়া, কবি আনোয়ারুল কবির বুলু, আতাহার খান, এনাম আবেদীন, শামসুদ্দিন হারুন, আনোয়ার আল দীন, লোটন একরাম, কায়কোবাদ মিলন, আবুল কালাম মানিক, মুরসালীন নোমানী, মাহফুজুর রহমান, শাহাদাত হোসেন খান, এস এস জাহাঙ্গীর,সৈয়দ আলী আসফার, মোঃ শহীদুজ্জামান,মাঈনুদ্দিন আহমেদ, আবু জাফর পান্না, রফিকুল ইসলাম আজাদ, আনিসুর রহমান খান, মোকাররম হোসেন, ফারুক আহমেদ, মুজতাহিদ ফারুকী,বাছির জামাল, শাহীন হাসনাত, জহিরুল আলম, ফখরুল আলম কাঞ্চন, মোস্তফা খন্দকার, সালাউদ্দিন বাবলু, আমিরুল মোমেনিন মানিক, শফিউল আলম গ্যালমান, শফিক আহমেদ, আমিনুর রহমান সরকার, খন্দকার হাসনাত করিম, ড. মাহবুব হাসান, নির্মল চক্রবর্তী, কামার ফরিদ, সৈয়দ শাহজাহান, খালেদ হায়দার,শামসুদ্দিন আহমেদ, আবু সাঈদ জুবেরী, আবু রূশদ, শিরিন সুলতানা, লিসা ইসলাম, লুৎফুর রহমান বীনু, নুরুল আলম রোকন, মোদাব্বের হোসেন, আহমদ মতিউর রহমান, মোহন হাসান,আলী মামুদ, আবু সালেহ আকন, ওবায়দুর রহমান শাহীন, আসাদুজ্জামান আসাদ, সানাউল হক, খুরশিদ আলম, শাহীন চৌধুরী, আতিকুর রহমান রুমন , এরফানুল হক নাহিদ, মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক (গাজী আনোয়ার), মোঃ শাহজাহান সাজু, মো. দিদারুল আলম, দেওয়ান মাসুদা সুলতানা, আবুল কালাম, খন্দকার আলমগীর হোসাইন

শহীদুল ইসলাম, রফিক মুহাম্মদ, কাজী তাজিম উদ্দিন, ডি.এম আমিরুল ইসলাম অমর, এইচ এম আল-আমীন, রফিক লিটন, শামসুল হক হায়দরী, মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, জাহিদুল করিম কচি, শামসুদ্দিন হারুন, মাহবুবুর রহমান, এস এম জাহেদুল হক, মজুমদার নাজিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মোহাম্মদ হোছাইন, মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, সুপলাল বড়–য়া, আবু ইউসুফ, রেজাউল করিম রাজু, সরদার আবদুর রহমান, আবদুস সবুর, মুহাম্মদ আবদুল আউয়াল, মইন উদ্দিন, সাদিকুল ইসলাম স্বপন, মো. আনিসুজ্জমান, এহতেশামুল হক শাওন, আবুল হাসান হিমালয়, আবদুর রাজ্জাক রানা, এইচ এম আলাউদ্দিন, মো. রাশিদুল ইসলাম, রফিউল ইসলাম টুটুল, নূর ইসলাম, এম আইয়ুব, শহীদ জয়, তরিকুল ইসলাম তারেক, কাজী আশরাফুল আজাদ,আহসান কবীর, মোস্তফা রুহুল কুদ্দুস, সাইফুর রহমান সাইফ, মো. আকরামুজ্জামান, মীর্জা সেলিম রেজা,গনেশ দাস, সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার,মতিউল ইসলাম সাদী, এফ শাহজাহান, মো. আবদুল ওয়াদুদ, এস এম আবু সাঈদ, মো. আবদুর রহীম, মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম, জিএএম আশেক উল্লাহ, হাসানুর রশীদ, মোহাম্মদ হাসিম, মো. আনছার উদ্দিন, রমিজ খান, মো. লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ শাহ আলম শফি, মো. শহীদুল্লাহ মিয়াজী, মো. মনিরুল হক, শাহীন মির্জা, আবদুল গোফরান ভ’ঁইয়া, মো. জসিম উদ্দিন চাষী, মো. আবুল হাশেম, জি এম মঈন উদ্দিন হিরু, মোফাচ্ছিলুল মাজেদ, মো. মাহফিজুল ইসলাম রিপন, আতিউর রহমান, মো. বেলাল হোসেন রাজু, মো. কোরবান আলী সোহেল, মোশাররফ হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, মতিয়ার রহমান, মোর্শেদুল আলম, এম আইয়ুব আলী, সুপ্রিয় ধর বাচ্চু, সাইফুল ইসলাম, আমান উল্লাহ আকন্দ জাহাঙ্গীর, মো. মোখলেসুর রহমান, এইচ এম দেলোয়ার, মো. হেদায়েত উল্লাহ, মো. আমিনুল ইসলাম, শেখ আজিজুল হক, মো. রেজাউল বারী বাবুল, আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু, আবু বকর প্রমূখ।

   

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;