ধীর গতিতে এগোচ্ছে বিএনপি



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির পতাকা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি ভুগছে নানা জটিলতায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দলটির সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে এসেছে। দলটির সিনিয়র নেতারা বলেছিলেন- দল পুনর্গঠন আবশ্যক। তা না করলে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হওয়া যাবে না। এজন্য দল পুনর্গঠনে কাজও শুরু করেছেন বিএনপির হাইকমান্ড।

কিন্তু সেই গতি খুবই ধীর বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এতো ধীরে কাজ না করে আরও দ্রুত করা উচিৎ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৮টি ছায়া সংগঠনের মধ্যে মাত্র ছয়টির কমিটি গঠন বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সর্ব প্রথম দল পুনর্গঠনে কাজ শুরু হয় বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি গঠনের মাধ্যমে। গত ১৭ জানুয়ারি ফরেন অ্যাফেয়ার্সের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে প্রধান করে ২১ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

১১ ফেব্রুয়ারি বিএনপিপন্থী সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যাব) নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তিন মাসের মধ্যে সম্মেলনে করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনো নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি।

জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে ১৩ ফেব্রুয়ারি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আবদুর রহিম।

২৭ ফেব্রুয়ারি দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুকে আহ্বায়ক করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কমিটি ১৫৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ৩ এপ্রিল জাতীয়তাবাতী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।

বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) কাউন্সিলের মাধ্যমে গত ২৫ মে নতুন কমিটি গঠন করে। এতে সভাপতি হয়েছেন ডা. হারুন অর রশীদ, মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম।

সর্বশেষ গত ৩ জুন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি বাতিল করে বিএনপি। একইসঙ্গে ৪৫ দিনের মধ্যে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

তথ্য বলছে, বিএনপির সহযোগী সংগঠন দুইটি; জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল। অঙ্গ সংগঠন নয়টি; জাতীয়তাবাদী যুবদল, সেচ্ছাসেবকদল, মুক্তিযোদ্ধাদল, কৃষকদল, মৎসজীবী দল, তাঁতীদল, ওলামাদল, জাতীয়তাবাদী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংসদ (জাসাস) ও মহিলাদল।

পেশাজীবী সংগঠন ছয়টি; জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, ডক্টর'স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ড্যাব), অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব), এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট ও শত নাগরিক কমিটি।

রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন, দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে যদি বিএনপি কোনো আন্দোলনে যায় তাহলে তার আগে মূল দলসহ সব ছায়া সংগঠন নতুন করে সাজাতে হবে। নিজেদের এই শক্তিগুলোকে সচল করতে হবে। তাহলেই সরকারবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচি কার্যকর করা সম্ভব।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, আন্দোলনের জন্য বিএনপির নিজেদের মধ্যে যে শক্তি আছে সেটা সচল করতে হবে। সংগঠনগুলোকে শক্তশালী করতে হবে। আগে নিজেদের ক্ষমতাশালী করতে হবে। এটা করতে হবে সাধারণ মানুষদের নিয়ে। বিএনপি দল পুনর্গঠনে খানিকটা হাত দিয়েছে, কিন্তু গতিটা ধীর। আরও দ্রুত গতিতে অগ্রসর হওয়া দরকার।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন দলের বর্তমান নেতৃত্বকে যথার্থ মনে করেন না। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আমাদের নেতৃত্বের দুর্বলতা রয়েছে। এ অবস্থা থেকে আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। এজন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে হবে এবং তরুণদের সুযোগ দিতে হবে। আমরা যারা প্রবীণ আছি, বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত তাদের বাদ দিতে হবে। নতুন এবং পুরাতনের সমন্বয়ে নেতৃত্ব গঠন করতে হবে। বর্তমান নেতৃত্ব দিয়ে বিএনপি কোনো অবস্থাতেই আন্দোলনে সফল হবে না।’ 

তিনি বলেন, আমাদের সমস্যা অনেক, হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নামে মামলা করা হয়েছে। দেশে এখন পুলিশি শাসন চলছে। নেতারা আমাদের মামলা, হামলার ভয়ে মাঠে নামাতে সাহস পান না। আমাদের সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে হবে। আমাদের নেত্রী (খালেদা জিয়া) জেলে। বর্তমান স্থায়ী কমিটির সদস্যদের প্রায় সবার নামে মামলা রয়েছে। তাই নতুন নেতৃত্ব বিএনপিতে আনতে হবে। না হলে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা যাবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের কাছে দলের পুনর্গঠন সম্পর্কে জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, এটা আমাদের দলীয় ও সাংগঠনিক ব্যাপার। আমাদের মুখ্যপাত্র হচ্ছেন দলের মহাসচিব (বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর)। তিনি এ ব্যাপারে বলবেন।

   

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;

মানুষকে দুঃখে-কষ্টে ফেলে ফায়দা লুটাই বিএনপির রাজনীতি: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি-রফতানি একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। কিন্তু প্রতিবেশী দেশ থেকে যেটা আমদানি করলে খরচ কম হবে সেটা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ঠগবাজি, স্ট্যান্ডবাজির রাজনীতির নামে বাংলাদেশের মানুষকে আরও দুঃখ, কষ্টের মাঝে নিমজ্জিত করে যেন রাজনৈতিক ফায়দা লুটা যায় সেটাই হলো বিএনপি-জামায়াতের নষ্ট রাজনীতির ভ্রষ্ট নীতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইডিইবি ভবনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এগিয়ে যাবার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিরোধীতার নামে, সরকারের বিরোধীতার নামে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষের কষ্ট, বেদনাকে বাড়াবার জন্য বিএনপি-জামায়াতিরা যে অপরাজনীতি করছে, তার নতুন সংস্করণ হলো ভারত বিরোধীতার নামে ভারতী পণ্য বর্জন করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করা।

নাছিম বলেন, ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যতদিন বাংলাদেশ বেঁচে থাকবে, এ দিবসটি নতুন করে বঙ্গবন্ধু আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনুপ্রাণিত করবে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদ আর দু’লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রক্ষা করার জন্য এখনো যুদ্ধ করে যেতে হচ্ছে। যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষে পাকিস্তানের দালাল হিসেবে আমাদের দেশের মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসূরিরা এখন তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য তারা অপকর্ম দুষ্কর্মের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে বাংলাদেশের সতেরো কোটি মানুষকে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু যারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে, মুনাফালোভী, কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তাদের দমন করার জন্য অনেক ভাষণ দিয়েছেন। ৫৩ বছর পরও কতিপয় কালোবাজারি ব্যবসায়ী শুধু মানুষকে কষ্ট দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর রাজনীতি কেও পৃষ্টপোষকতা করছে। জাতির পিতার রাজনীতিতে মানুষকে আকৃষ্ট করতে হবে। তাই সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্ববোধের জায়গা গড়ে তুলতে হবে। দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা দেখি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমরা যদি মানুষের ভালবাসা অর্জন করতে পারি, তাহলেই শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী হবে। তাহলেই আমরা বাংলাদেশ বিরোধী নির্মূল করতে পারব।

আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, ৭৫ -এর নির্মম হত্যাকাণ্ডের পরে যারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলেন, ইতিবাচক রাজনীতির কথা বলেছেন, তারা কেউ জেলখানার বাইরে ছিল না। যারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত কসাইখানা বানাতে চায়, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা আর রাজনৈতিক নির্যাতন এক হতে পারে না।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জীসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় ও বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাক। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

;

দমন নিপীড়ন আ.লীগের প্রধান হাতিযার: মির্জা ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীর বলেছেন, এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। দমন নিপীড়ন তাদের প্রধান হাতিয়ার৷ দমন নিপীড়ন না করলে তারা (আ. লীগ) টিকে থাকতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে আমরা বিএনপি পরিবারের আয়োজনে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির প্রায় ৮০ ভাগ সদস্য আওয়ামী লীগের দমন নীতির শিকার হিয়েছেন৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য বিএনপি আন্দোলন শুরু করেছে। সেই শুরু থেকেই এই ফ্যাসিস্ট সরকার জনগণের অধিকার গুলোকে কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা একক করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দমন নিপীড়নের কবলে পড়ে আজ অনেকে বাবাকে ফিরে পেতে চায়। ছোট থাকতে বাবাকে হারিয়েছে। গুম করে রাখা হয়েছে বেঁচে আছে নাকি নেই তাও পরিবারের লোকজন জানে না। কেউ কেউ অনেক বড় হয়েছে তবুও হাসি মুখে কথা বলতে পারে না। এই হচ্ছে আমাদের নির্যাতিত, নিপীড়িত, খুন হওয়া, গুম হওয়া অসহায় পরিবার গুলোর বর্তমান অবস্থা।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজ শুধু এই পরিবার গুলোর নয়। সারা বাংলাদেশের একি অবস্থা শুরু হয়েছে। আমাদের দলের শুধু নয়। সারা বাংলাদেশে এমন একটা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষ সব সময় একটা ভয়ে থাকে। ত্রাসে থাকে। কখন কাকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়। কোন নিশ্চয়তা নেই।

এসময় মির্জা ফখরুল বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কখনো মনে করবা না যে সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। যুবকদের বলতে চাই কোনো ভিরুতা কোনো হতাশা যেন তাদের গ্রাস না করে। পাখা বন্ধ করা যাবেনা। পাখা উড়াতে হবে। চলতে হবে তীরে পৌঁছাতে হবে। শুভ দিন আমাদের আসবেই। বিচার হবেই। কারণ অন্যায় কোনো দিন টিকে থাকতে পারেনা। সত্যের জয় হবে।

বক্তব্য শেষে, বিএনপির নিপীড়িত, নির্যাতিত ও গুম খুন হওয়া নেতাদের পরিবার ও সন্তানদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন মির্জা ফখরুল।
এ সময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

‘বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা পৃথিবীতে গাজায় হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়, আর বিএনপি-জামায়াত এই হত্যার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

বুধবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে একটি হোটেলে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ইফতারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা ইসরাইলের দোসরে পরিণত হয়েছে, এদের চিহ্নিত করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজায় ৩২ হাজারের বেশি মানুষ হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়েছে, তারমধ্যে বেশিরভাগই শিশু ও নারী। লন্ডন, ওয়াশিংটন, সিডনীসহ বিশ্বের বহু জায়গায়, এমন কি ইসরায়েলের তেল আবিবেও মানুষ এই হত্যার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে। অথচ ক্ষমতায় যাবার লোভে বিএনপি-জামায়াত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করে নাই, কোনো বৃহৎ শক্তি নাখোশ হতে পারে এই ভয়ে। অর্থাৎ তারা আজ ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে।

মন্ত্রী হাছান বলেন, বিএনপি-জামায়াত ভেবেছিল একটি বড় দেশ তাদেরকে ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। ইসরায়েলি সেনাদের অনুকরণে তারা ঢাকায় পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর এখন তারা হাঁটে। হেঁটে হেঁটে লিফলেট বিতরণ করে। এটা তারা করুক, কিন্তু আগের মতো আগুন সন্ত্রাস যেন না করতে যায়, তাহলে জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।

এ সময় ইসলামের কল্যাণে সরকারের অবদান তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইসলাম ও আলেম সমাজের কল্যাণে যা করেছেন, অন্য কোনো সরকার তা করেনি। কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতিদান, প্রতিটি উপজেলায় মনোরম মসজিদ, শিক্ষকসহ মক্তব, আলেমদের সম্মান প্রতিষ্ঠা ও কল্যাণ আওয়ামী লীগ সরকারই করেছে।

ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে ফ্রন্টের ভাইস চেয়ারম্যান এএএম একরকমুল হক ও অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, যুগ্ম মহাসচিব মোশাররফ হোসেন হেলালী এবং স ম হামেদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মারুফ আজহারী প্রমুখ মাহফিলে বক্তৃতা দেন।

;