দলে নতুন সদস্য সংগ্রহের ব্যাপারে কৌশলী আওয়ামী লীগ



রেজা-উদ্-দৌল্লাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর এখন ঘর গোছাতে মনোযোগী ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

সংগঠনকে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দলে 'নতুন রক্ত' সঞ্চালন, আগামীর নেতৃত্ব তৈরি, বিশাল তারুণ্যের আবেগের সঙ্গে আদর্শিক সম্মিলন ঘটানোসহ কয়েকটি লক্ষ্য পূরণে দলে নতুন রিক্রুটমেন্ট অর্থাৎ নতুন সদস্য সংগ্রহ শুরু করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া দল আওয়ামী লীগ।

কেন্দ্রীয় ঘোষণা অনুযায়ী চলতি মাসের ২১ তারিখ থেকে নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু করবে সম্প্রতি ৭০ বছরে পদার্পণকারী দলটি। আগামী অক্টোবরে সম্ভাব্য ২১তম জাতীয় সম্মেলনের আগ পর্যন্ত একযোগে সারাদেশে এ অভিযান চালানো হবে। এরই মধ্যে এ কার্যক্রমের বিষয়ে চিঠি দিয়ে তৃণমূলকেও নির্দেশনা পৌঁছে দিয়েছে কেন্দ্র।

*পারিবারিক ঐতিহ্যের সঙ্গে দেখা হবে ব্যক্তি ইমেজ

*টার্গেট নারী ও নতুন ভোটার

*জায়গা হবে না দুর্নীতিবাজ, মাদকাসক্তদের


আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

তারা বলছেন, এবারের সদস্য সংগ্রহ অভিযান সফল ও গ্রহণযোগ্য করতে বেশ কিছু কৌশল হাতে নিয়েছে দলটি। দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে তথ্যভাণ্ডার গঠন করা হবে। নারী ও নতুন ভোটারদের আওয়ামী লীগের সদস্য হতে উদ্বুদ্ধ করা হবে। অন্য দিকে, স্বাধীনতা বিরোধী ও জঙ্গিবাদে জড়িতদের পাশাপাশি দুর্নীতিবাজ, মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্তদেরও জায়গা হবে না দলে। সব মিলিয়ে প্রায় দুই কোটি নতুন সদস্যের টার্গেট নিয়ে সদস্য সংগ্রহের এ অভিযান চালানো হবে।

গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সদস্য সংগ্রহ শুরু করার জন্য কেন্দ্রের চিঠি পেয়েছি। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৫ এর (১) ধারায় বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশ্বাস করে নির্ধারিত ফরমে দেওয়া ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে ত্রি-বার্ষিক ২০ টাকা চাঁদা দিয়ে ১৮ বছরের বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ সদস্য হতে পারবেন। তবে উপধারায় কারা সদস্য হতে পারবেন, তা-ও উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী নয়, নাগরিকত্ব পরিত্যাগকারী বা বাতিলকৃত ব্যক্তি নয়; অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য নয়; ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণি বা পেশায় বৈষম্যে বিশ্বাস করে না; আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থি কোনো সংগঠনের সদস্য নয়-এমন ব্যক্তিরা সদস্য হতে পারবেন। এ ধারায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকা ও নিয়মিত চাঁদা পরিশোধের কথা বলা হয়েছে।

অতীতে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে আওয়ামী বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শ তথা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগের সদস্য না করার ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হলেও এবার বিষয়টি নিয়ে কৌশলী আওয়ামী লীগের নেতারা।

কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের আদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাস করে- এমন তরুণ ও মেধাবীদের দলে জায়গা দেওয়া হবে। প্রাধান্য দেওয়া হবে, বিগত নির্বাচনে যারা দলের পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছেন তাদের।

সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির পরিবারের কেউ যদি অন্য দলের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাতেও আপত্তি থাকবে না। পারিবারিক ঐতিহ্যের চেয়ে ব্যক্তি ইমেজকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে পরিবারের কেউ যদি দেশের স্বাধীনতা বিরোধী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন সে ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দলের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো এবং ডাটাবেজ করা হচ্ছে। পরিকল্পিত সাংগঠনিক অবস্থাকে সুসংহত করার জন্যই এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে জুলাই থেকে আবার নতুন করে সদস্য সংগ্রহ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

সদস্য সংগ্রহ অভিযান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, এবার সদস্য নবায়নের চেয়ে নতুন সদস্য সংগ্রহে গুরুত্ব দেওয়া হবে। জেলা, উপজেলা শাখা নিয়মাবলী মেনে সদস্য সংগ্রহের বই করবে এবং সদস্য সংগ্রহ করবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদের নির্বাচনে সরকার গঠন করার পর ২০১০ সালের ৩০ জানুয়ারি সদস্য সংগ্রহ ও নবায়নের কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সাত বছর বিরতি দিয়ে ২০১৭ সালের ২০ মে গণভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংগঠনের সদস্য পদ সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধন করার পর সারাদেশে আওয়ামী লীগের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম শুরু হয়। তবে উদ্বোধনের ছয় মাস পরেই গতি হারায় এ কার্যক্রম। এ সময়ে ৭৮টির মধ্যে ৩৫টি সাংগঠনিক জেলা সদস্য সংগ্রহের কাগজপত্র কেন্দ্রের কাছ থেকে সংগ্রহ করে। সদস্য সংগ্রহে স্থবিরতার কারণ হিসেবে ষোড়শ সংশোধনীর রায়, বন্যা ও রোহিঙ্গা পুনর্বাসনকে সামনে আনে কেন্দ্র।

   

সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর সরকার সন্ত্রাসীদের উপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কোনো জনগণ নাই, জনগণের ভোটের প্রয়োজন হয় না। তবে সন্ত্রাস নির্ভর সরকারের পরিণতি ভালো হবে না।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের রক্তাক্ত করতে আওয়ামী লীগ জনপথের পর জনপথে শিমুলদের মতো এমপি বানিয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যদের সন্ত্রাসী বাহিনীরা দেশে নৈরাজ্য ও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী গত ১৩ মার্চ দুপুর ১২টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিয়ে মোটরসাইকেলে করে সিংড়ার দিকে রওনা হন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ফুলবাগান এলাকায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে মাইক্রোবাসে থাকা সন্ত্রাসীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার বাম হাত ভেঙে দেয়। পায়ে তিনটি গুলি করে।

খবর পেয়ে বিএনপির দুই কর্মী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে তাৎক্ষণিক রাজশাহীতে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থানান্তর করা হয়।

নাটোরের এমপি শিমুলের সন্ত্রাসী বাহিনীরা ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, তার উপর গুলি চালিয়েছে। তিনি জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও সংগ্রামে তিনি অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। আর এ কারণেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তার উপর ক্ষুব্ধ। কিন্তু হত্যা করে, নিপীড়ন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

;

আ. লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আওয়ামী লীগ হচ্ছে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য, এটা বর্জন করলেই শেষ।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) 'মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও আজকের বাংলাদেশ' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে 'অন্তরে মম শহীদ জিয়া'।

আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য হলো আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা। এটা বর্জন করলেই শেষ। বর্জন করার তো করছেনই, এখন এটাকে তাড়ানো যায় কিনা। তাহলেই তো শেষ। এই একটা পণ্য বর্জন করলেই তো জাতির মুক্ত হওয়া সম্পন্ন। অন্য পণ্য বর্জন করার প্রয়োজন হয় না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা গণতান্ত্রিক দেশের লোক আমাদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল, ভারত যদি পাশে না থাকতো, তাহলে আমরা এই ৭ তারিখের আমি, ডামি, স্বামী, সমকামী নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারতাম না। এজন্যই এই ঝামেলার শুরু হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহহমান যদি স্বাধীনতার পাঠক হন, তাহলে লেখক কোথায়? সেই কাগজটি কোথায়? জিয়াউর রহমানকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের (বিএনপি) কোনো প্রচেষ্টার প্রয়োজন নেই। জিয়াউর রহমান নিজেই নিজের কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত জাতির অন্তরে, ইতিহাসে। জিয়াউর রহমানকে ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস লেখা কখনোই সম্ভব নয়। আজকের ইতিহাস কখনোই পরিপূর্ণ ইতিহাস নয়।

অন্তরে মম শহীদ জিয়ার উপদেষ্টা ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোঃ রহমতুল্লাহ, এডভোকেট রফিক সিকদার, জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক ডঃ কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।

;

জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 'স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর হিসেবে কাজ করেছে। জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজকে পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা (বিএনপি) এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজকে নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫-এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ নতুন ইতিহাস জানতে পেরেছে। জিয়াউর রহমান যে প্রকৃত পক্ষে একজন খলনায়ক ছিল সেটিও মানুষ জানতে পেরেছে।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকারী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, সংগঠনের সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংগঠনের সহ-সভাপতি সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।

;

বিদেশী প্রভুর কাছে নতজানুদের বিপক্ষে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম বলেছেন, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নাছিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতার বিপক্ষে যারা অবস্থান নেয়, যারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, যারা বিদেশী প্রভুদের কাছে নতজানু হয়ে পদলেহনে যারা ব্যস্ত তাদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, মানবিক বিবেচনায় সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমাদের যেমন কমিটমেন্ট আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বাচিয়ে রাখার জন্য, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাচিয়ে রাখার জন্য বিএনপি-জামায়াত দেশবিরোধী অপশক্তি, সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে বাংলাদেশকে যারা কলুষিত করতে চায় তাদের নির্মূল করার জন্য এই ঐতিহাসিক মার্চ মাসে আমাদের শপথ, প্রতিজ্ঞা আরও জয়োধ্বনিতো হউক।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;