মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্রলীগের মানববন্ধন
রাজধানীর পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশ দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কবি নজরুল কলেজ শাখার সভাপতি হাবিবুর রহমান মোহন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাওলাদার তাদের সাতজন নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। তারা এ মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
শুক্রবার (১২ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে অন্তত শতাধিক নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে মামলার আসামি ও শাখা ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ইয়াছিন আল অনিক বলেন, 'সামনে কবি নজরুল কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সম্মেলন। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নেতা বানাতে আমাদের সাতজন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন। ১০০ টাকা চাঁদাবাজির মামলা করা হয়েছে আমাদের বিরুদ্ধে। আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।'
মামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'পুরান ঢাকার একজন সবজি বিক্রেতা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর থেকে আমরা নাকি ১০০ টাকা চাঁদাবাজি করেছি। এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।'
তবে ঘটনার অনুসন্ধানে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ১২ তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মাহমুদ হাসান নিজের পড়াশুনাসহ অন্যান্য খরচ জোগাড় করতে সন্ধ্যার পর পুরান ঢাকা লক্ষ্মীবাজারে সবজি বিক্রি করত। চলতি বছরের গত ২৫ মে তার দোকান থেকে কবি নজরুল ইসলাম কলেজ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা না পেয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দোকান থেকে পেঁয়াজ, মরিচ ও সবজি নিয়ে যায়। প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে। এ ঘটনায় জবি শিক্ষার্থী মাহমুদ বাদী হয়ে সুত্রাপুর থানায় ৩৮৫, ৩৮৭, ১১৪ ধারায় মামলা করেন। যার মামলা নং- ৩০(৫)১৯।
মামলার আসমিরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের সদস্য মাসুদ রানা, উপ পাঠাগার সম্পাদক ইয়াসিন আল অনিক, সদস্য শুভ, উপ সমাজ সেবা সম্পাদক সুমন, সহ সভাপতি আকাশ, সহ সভাপতি নাদিম, সহ সভাপতি আল আমিন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মায়নুল হালদার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'তারা আমাদের দোষারোপ করতে পারে না। এটা মীমাংসাও হয়েছে। আমার যতটুকু মনে হয়, সামনে কমিটি হবে। তাই তারা মূলত প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে নিজেদের নির্দোষ প্রচার করতে চয়।'
তবে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ব্যানারে মানববন্ধন করার কোনো অনুমতি তিনি দেননি বলেও জানান।