মেয়র আ জ ম নাছির বললেন মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মনে পড়ে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: ছয় মাস আগে গত বছরের ডিসেম্বরে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন চট্টগ্রামের আওয়ামী রাজনীতির কিংবদন্তি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। রাজনীতির মাঠে, সামাজিকতায়, আপ্যায়নে, সংগঠনকে সংগঠিত করা ও মানুষকে কাছে টানা একই সঙ্গে ভালোবাসবার এক অসাধারণ আর বিরল মনের অধিকারী ছিলেন তিনি।

মহিউদ্দিনের অনুসারীই হয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। নেতায় নেতায় বিভাজনের রাজনীতিতে অনেক ঘটনা প্রবাহের পর নাছির চলে গেলেন প্রয়াত শিল্পপতি ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর কাছে। কয়েকবছর পর সেখানেও টানাপড়েন। নাটকীয়ভাবেই আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আ জ ম নাছিরকে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করলেন। মেয়র মনোনয়ন দেওয়ার পর নাছির এখন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রও।

১৭ বছর  টানা মেয়র ছিলেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বয়স ও বার্ধক্য এ বিবেচনায় মনোনয়ন পাননি তিনি। পেয়েছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন। জীবদ্দশায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গৃহকর নিয়ে প্রথম প্রতিবাদ করেন দলীয় মেয়রের বিরুদ্ধে মহিউদ্দিন চৌধুরী। তখন মেয়র হলেন আ জ ম নাছির।

তাঁর সেই প্রতিবাদে শেষ পর্যন্ত গৃহকর বাড়ানোর উদ্যোগ থেকে সরে আসে করপোরেশন। মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যাওয়ার ছয় বছর আগে দেশের শীর্ষ স্থানীয় ও মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এক প্রভাবশালী শিল্পপতি বলেছিলেন,  চৌধুরী না থাকলে চট্টগ্রাম আসলে অভিভাবকহীন হয়ে পড়বে।’

মহিউদ্দিন চৌধুরীকে এখনও মনে রেখেছে চট্টগ্রামবাসী। অন্যদের মতো তাঁর (মহিউদ্দিন চৌধুরী) কথা মনে পড়ে মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনেরও। সে কথাই বার্তা২৪ এর সঙ্গে ছোট এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে গত বুধবার রাতে বলেছেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

প্রশ্ন : মহিউদ্দিন চৌধুরীকে মনে পড়ে আপনার?

আ জ ম নাছির : মনে পড়বে না কেন, খুব মনে পড়ে। কত স্মৃতি, কত কথা। সুসময়-দুঃসময় পার করেছি। তিক্ততাও ছিল। অস্বীকার করারও উপায় নেই যে তিনি আওয়ামী রাজনীতির একজন বটগাছ ছিলেন। বিন্দু থেকে নিজেকে সিন্দুতে পরিণত করেছেন।

প্রশ্ন : জীবদ্দশায় আপনার সঙ্গে তো দূরত্ব ছিল, ছিল বিরোধও?

আ জ ম নাছির : এ বিরোধ স্বার্থ নিয়ে নয়। মতভিন্নতা ছিল বিভিন্ন সাংগঠনিক ইস্যুতে। হয়তো আমাদের মধ্যে ইনফরমেশন গ্যাপ ছিল। দুজনের শুভাকাক্সক্ষীরাই এ বিরোধ তৈরি করেছে হয়তো নিজেদের স্বার্থের জন্য অথবা নেতার প্রিয়ভাজন হওয়ার জন্য। আমিতো শেষ দিন পর্যন্ত একই সঙ্গে রাজনীতি করেছি, কর্মসূচি পালন করেছি।

প্রশ্ন : মহিউদ্দিনের কোন গুণ আপনাকে আকৃষ্ট করে, প্রেরণা জোগায়?

আ জ ম নাছির : মানুষকে কাছে টানার এক অদ্ভুত গুণ ছিল তাঁর। বকা দিয়েছেন ঠিকই আবার পরক্ষণে কাছে টেনে নিয়েছেন নেতাকর্মীদের। বকা যে দিয়েছেন সেটি শতভাগ যৌক্তিক ছিল-এটা বোঝা যেত অনেক পরে। এতটাই বিরল গুণের অধিকারী ছিলেন মহিউদ্দিন ভাই। আর দলকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে তাঁর দক্ষতাও ছিল অপরিসীম।

প্রশ্ন : মহিউদ্দিন চৌধুরী মানুষকে খুব খাওয়াতে পছন্দ করতেন। ইদানিং আপনার ভেতরেও এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে?

আ জ ম নাছির : চট্টগ্রামবাসী অতিথিপরায়ণ। এটি আমাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ও রেওয়াজ। মহিউদ্দিন চৌধুরী এক সঙ্গে রীতি ও রেওয়াজকে যেমন গুরুত্ব দিয়েছেন তেমনি আপ্যায়নের এ কৌশলও অবলম্বন করেছেন। এক বেলা ভাত খাইয়ে একজন মানুষের মন সহজেই জয় করে ফেলা যায়। হয়তো টাকা দিয়েও সেটি আপনি পারবেন না। তিনি আজীবন দল আর মানুষের জন্য নিবেদিত ছিলেন। এটা কেউ স্বীকার করুক আর নাই করুক তাতে কিছু যাবে আসবে না।

প্রশ্ন : তার মানে মহিউদ্দিনের পথেই আপনি এগুতে চান?

আ জ ম নাছির : শোনেন, আওয়ামী লীগ একটি মাল্টিক্লাস পলিটিক্যাল পার্টি। অনেক মত-পথের মানুষ নিয়ে আমাদের চলতে হয়। চট্টগ্রামে দলকে সুসংগঠিত করার ক্ষেত্রে মহিউদ্দিন চৌধুরী যা করেছেন যা দেখিয়ে গেছেন সেটিইতো আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা। আমি চেষ্টা করছি আমার সামর্থ্যের মধ্যে মানুষকে আপ্যায়ন করবার। চট্টগ্রামে আওয়ামী রাজনীতির মহীরূহ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি। দলের ভালো চাইলে তাঁর পথ অনুসরণ করে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে।

   

৭ বছর পর কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ ৭ বছর পর ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এক বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করেন।

বাংলা ভাষা ও বাংলা সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী আল মাহমুদ কায়েসকে সভাপতি এবং একই বিভাগের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম সরকার রিয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫২ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে ৩৪ জনকে সহ-সভাপতি, ৮ জনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ৮ জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।

এক বছরের কমিটিতে ৬ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর গত বছরের ৪ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করার পর নতুন কমিটির জন্য নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সিভি আহবান করে এবং গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মি সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কর্মি সভার প্রায় ৬ মাস পর ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

;

আমার স্ত্রী ভারতীয় শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করেছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি নেতারা শাল পোড়ান, কিন্তু বউদের শাড়ি পোড়ান না কেন?- প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, আমার নানার বাড়ি ভারতে। বিয়ের পর ভারতে একবার গিয়েছিলাম, আমার ছোট মামা সেখানে থাকেন। আসার সময় আমার স্ত্রীকে একটি শাড়ি দিয়েছিল তারা। আমি কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম ওই শাড়িটা কই? আমার স্ত্রী বললেন ওটা দিয়ে তো অনেক আগেই কাঁথা সেলাই করা হয়েছে। আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ আছে পুরাতন শাড়ি দিয়ে কাঁথা সেলাই করা। আমি মনে করি ডামি সরকারকে যে দেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করে সেদেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে 'আমরা বিএনপি পরিবার' আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে গুম, খুন ও পঙ্গুত্বের শিকার পরিবারের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা, আপনি দেশের স্বার্থ নিয়ে তামাশা করেন? আপনি বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা পালিয়ে গেলে যুদ্ধটা করলো কে? যুদ্ধ করেছে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, যুবকেরা।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে পার্শ্ববর্তী দেশের কূটনীতিক এসে ভোটারবিহীন সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়ে গেলেন। ২০১৮ সালে রাতে ভোট হলো, সে নির্বাচনও তারা স্বীকৃতি দিলেন। এবার ২০২৪ সালে এত বড় একটা ডামি নির্বাচন হয়ে গেলো, তারপরও প্রকাশ্যে তারা বলছেন আমরা এই সরকারের পাশে আছি। অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বলছে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে, আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যারা একটি ভোট ডাকাত সরকারকে প্রকাশ্যে সমর্থন করে সে দেশের পণ্য বর্জন করা ন্যায়সঙ্গত। তাদের বিরুদ্ধে যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছে আমরা সেই আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করি।

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, কেউ মারা গেলে তার আত্মার মাগফেরাত করার মধ্যেও একটা শান্তি আছে। গুম হওয়া একটি পরিবার তার আত্মার মাগফেরাতও কামনা করতে পারে না, তার কবরে গিয়ে মোনাজাতও করতে পারে না। সরকার এমন ভয়াবহ পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সেলের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

দেশের প্রত্যেক মানুষ স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের প্রত্যেক মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল পাচ্ছেন। অগণতান্ত্রিক ও উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ বিএনপির ফ্যাসিবাদী দর্শনে জনগণ কখনো সাড়া দেয়নি, দেবেও না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না বলেই বিএনপি স্বাধীনতার মর্মার্থকে অকার্যকর করতে চায়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যকে নেতাদের মিথ্যা, বানোয়াট ও দুরভিসন্ধিমূলক আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের ঘর-বাড়ি ও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়া হচ্ছে বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল মিথ্যাচার করেছেন। তিনি সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ না দিয়ে ঢালাওভাবে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়েছেন। বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। কোথাও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন না।

তিনি বলেন, অথচ ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে লাখ লাখ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে ঘর-বাড়ি ছাড়তে হয়েছিল। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্মম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের ক্যাডারবাহিনী দ্বারা হাজার হাজার নারী ধর্ষিত হয়েছিল। সারাদেশে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর খুনি জিয়া-মোশতাক চক্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধূলিসাৎ করে। সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ও অসাংবিধানিক ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে ধর্মের কার্ড ব্যবহার করেন। তিনি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রচলন করেন। তিনিই রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তরে সাম্প্রদায়িকতার বিষবৃক্ষের বীজ বপন এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেন। তখন থেকে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বিরোধীদল বিশেষ করে আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অত্যাচার-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালানো হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। পাকিস্তানি ভাবাদর্শকে পুঁজি করে রাজনীতি করা বিএনপির একান্ত কাম্যই হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল, জনকল্যাণ নয়। তারা ক্ষমতায় গিয়ে নিজেরে আখের গুছিয়ে নিয়েছিল। বাংলার জনগণ তাদের দ্বারা প্রতারণার শিকার হয়েছিল। সুতরাং জনগণ এই প্রতারক গোষ্ঠীকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মী কারাগারে

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ৪৭ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

হাইকোর্ট থেকে নেয়া আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার তা নামঞ্জুর করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় ৩ নেতা-কর্মীর জামিন দেন তিনি।

এদিকে, একে একে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিলে হাজিরা দিতে আসা প্রায় ৫৩ জন নেতা-কর্মী আদালত থেকে পালিয়ে যান।

বিএনপি দলীয় আইনজীবী অ্যাড. শাহাজাহান মুকুল জানান, নাশকতা মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আগামী রোববার (৩১ মার্চ) আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ১০৭ জন নেতা-কর্মী চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন আবেদন করেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জামিন ও ৪৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়া হায়দার। এসময় আদালত থেকে ৫৩ জন নেতা-কর্মী হাজিরা না দিয়ে চলে যান। তিনি আরও জানান, তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার বিভাগ, পুলিশ-প্রশাসনসহ সবকিছু হাতের মধ্যে নিয়ে নিয়েছে। মানুষের বিচার বিভাগের প্রতি যে আস্থা ছিল, সেটিও হারিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা প্রকৃত ন্যায়বিচার পাননি। আদালত ফরমায়েশিভাবে নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠিয়েছে।

;