বঙ্গবন্ধুর আদর্শের তরুণ প্রজন্মই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখবে: শোভন



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগ- ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অসাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানের সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে চান বলে বার্তা২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন শোভন।

শোভন বলেন, বর্তমানে সাম্প্রদায়িক শক্তি একটি বড় সমস্যা। তারা মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বাস করে না, এরা প্রতিক্রিয়াশীল। এই অপশক্তি দেশের ভেতরে নানা ষড়যন্ত্র করছে। এই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে; রুখে দিতে হবে তাদের।

ছাত্রলীগ অসম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মুখপাত্র দাবী করে তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে কখনোই মাথানত করবে না ছাত্রলীগ। যেকোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে বিকশিত করতে হবে; সেই সঙ্গে বাংলাদেশকে সুখী-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং তরুণ প্রজন্মকে প্রগতিশীল করে দেশের নাগরিক থেকে বিশ্ব নাগরিকে রূপান্তরিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ যেহেতু ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি; তাই সাধারণ ছাত্র সমাজের কাছে যাব; তাদেরকে বলব সম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত না হওয়ার; যারা অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী; তারা আমাদের সঙ্গী হবেন- এ বিশ্বাস আছে।’

ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্রকর্মী হিসেবে দীর্ঘ ১০ বছর রাজনীতি করার পর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ায় নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন শোভন। 

তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা ও আবেগের জায়গা দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি নিজে আমাদেরকে পছন্দ করেছেন, এর চেয়ে সৌভাগ্যের বিষয় আমার কাছে আর কিছু নেই। আমি খুবই ভাগ্যবান।’

ছাত্রলীগের দায়িত্ববোধ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দায়িত্ব হচ্ছে একটা বোঝার মতো। গাধার ওপরে যেমন বোঝা দিলে তাকে টানতে হয়, আমি সেই দায়িত্ব পেয়েছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আমি যেন বোঝাটা টানতে পারি ।’

আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম নেওয়া রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, ‘আমার পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। রক্তে আওয়ামী লীগ। আমি আওয়ামী লীগের সন্তান। দাদু বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে চলাফেরা করেছেন। আমাদের পারিবারিক যে ছবির এ্যালবাম, সেখানে আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছবি দেখতাম; ভাবতাম আমাদের পরম আত্নীয় তিনি, আমাদের আপনজন। নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল আমাদের বাসায়, আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন থেকেই দেখতাম- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের বাড়িতে আসত। চা দেয়া লাগত; আমি ছোটবেলায় চা দিতাম। নিজে না পারলে কাজের লোকজনদের বলতাম চা দিতে। এভাবে আমার রাজনীতিটা শুরু।’

দাদার মুখে বঙ্গবন্ধুর নানা গল্প শুনেছেন। বলেন, ‘আমার দাদা ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে পড়াশুনা করেছেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকেই বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পরিচয়। তারপর ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। তখন আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত হচ্ছে। রাজনীতির ধারাবাহিকতায় ঊনসত্তরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের পথেপ্রান্তে ঘুরে বেরিয়েছেন। সত্তরের নির্বাচনে দাদুকে কুড়িগ্রাম আসন থেকে মনোনয়ন দেন বঙ্গবন্ধু। তিনি নির্বাচিত হন, পরে তিয়াত্তর সালে সংসদ সদস্য হন।’

রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দাদার কাছে বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনে। এটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আসার আগে বঙ্গবন্ধুকে আমি চিনেছি। ভীষণ মাত্রায় বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতাম। সেখান থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা বাংলাদেশটা পেয়েছি।’

১৯৬৯ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু দেশের নানা প্রান্তে ছুটে বেড়ান, এটা তাকে আকৃষ্ট করে সবসময়, সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সারাদেশের ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করতে চান তিনি।

তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেরিয়েছেন। তখন আমাদের উত্তরবঙ্গেও বঙ্গবন্ধু আসেন; তার মধ্যে কুড়িগ্রাম গিয়েছিলেন। কুড়িগ্রাম শহর থেকে ভুরাঙ্গামারী অনেক দূরে; যেতে হয় নদী পার হয়ে। বঙ্গবন্ধু নদী পার হয়ে গিয়েছিলেন বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায়।

‘মেঠোপথে আর কাশফুলের বনের ঘেরা পথ ধরে ঘুরে বেরিয়েছেন। তিনি রাজনীতিটা নিজের জন্য করতেন না। অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনীতির মূল লক্ষ্য।’

বঙ্গবন্ধু মতো তরুণ প্রজন্মকে সৎ ও আদর্শবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময় অসহায় ও নির্যাতিতদের পাশে ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের অধিকার আদায়ের জন্য তার ছাত্রত্ব পর্যন্ত বাতিল করা হয়।’

বঙ্গবন্ধু ছিলেন ন্যায়ের পথে, সত্যের পথে। তাই বর্তমান ছাত্র সমাজের প্রতি উদাত্ত আহ্বান, তারাও যেন সৎ এবং নিষ্ঠাবান হন। তারা যেন কখনও নীতির সঙ্গে আপোষ না করেন।

শোভন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইতিবাচক সংগঠন। ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা আন্দোলনসহ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সব আন্দোলনে অবদান রেখেছে। ছাত্রলীগ অসাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মুখপাত্র। সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে আমরা কখনও মাথানত করব না। তাদেরকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করব। ছাত্রলীগ ছাত্র সমাজের প্রতিনিধি; তাই সকল অসম্প্রদায়িক চেতনায় ছাত্র সমাজকে একত্রিত করে আগামীতে পথ চলতে চাই।’

ডাকসুসহ সারাদেশের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে ডাকসু নির্বাচন হোক। তার স্বপ্ন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভোটে নির্বাচিত ডাকসু ভিপি-জিএস দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়া।’

ভবিষ্যতে রাজনীতি করে ছাত্রলীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি একজন সৎ ও আদর্শবান নাগিরক হতে চাই। যাতে দেশের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারি এবং বঙ্গবন্ধুর যে আদর্শ তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’

   

শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখনও আতঙ্ক কাটেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিবসহ দলের অন্যান্য নেতাদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা তার গদি নিয়ে আতঙ্কে আছেন মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা জানে জনগণ তাকে ভোট দেয়নি, ৯৭ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। তিনি আমি আর ডামি, আমরা আর মামুদের নির্বাচন করেছেন। তিনি ভালো করেই জানেন তার গদি চোরাবালির উপর দাঁড়ানো। যেকোনো সময় বালুর মধ্যে ঢুকে যাবে। তিনি সে আতঙ্কেই হাবিবুর রশিদ হাবিব, রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দিনের আলোয় থাকার চেয়ে বেশি লাল দেয়ালের মধ্যেই থাকেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এতটাই আতঙ্কিত যে, নেতাকর্মীদের ধরপাকড় ও গ্রেফতার কর্মসূচি যেন শেষই হচ্ছে না। তবে এর কারণও আছে। শেখ হাসিনা জানে তার সরকারের কোনও জনসমর্থন নেই।

বিএনপির নেতাকর্মীদের বন্দীদশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেন যে, তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোন রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার করা হয়নি, তারা বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী। তাই তারা জেলে। কিন্তু আপনি যে ১/১১ এর সময় চাঁদা নিয়েছিলেন যার সাক্ষী আপনারই ফুফাতো ভাই এবং ওবায়দুল কাদের। তারা গোয়েন্দাদের কাছে অনেক কথা বলেছেন। আপনার তো কিছু হল না, আপনি তাহলে কে, আপনার মামলার কি হল?

তিনি বলেন, যারা স্বৈরাচারী, যারা একনায়ক, তারা জনগণের পক্ষের মানুষকে কারাগারে ভরে রাখে। হাবিবুর রশিদ হাবিব কি কারো ঘরবাড়ি দখল করেছে, নাকি নারায়ণগঞ্জের মাফিয়া এমপিদের মতো নিষ্পাপ শিশু ত্বকি হত্যার অভিযোগ রয়েছে? তাহলে তাদের গ্রেফতার না করে কেন বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিবকে গ্রেফতার করা হল?

রিজভী আরও বলেন, আজ জনগণের টাকা লুট হচ্ছে। মানুষের টাকা এমপিদের পকেটে ঢুকছে, বিদেশে পাচার হচ্ছে। সেদিকে আপনি দেখছেন না, আপনি বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন। মনে রাখবেন, ভালোর জয় হবেই।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব মজনু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদসহ দলের অন্যান্য সিনিয়র নেতাকর্মীরা।

;

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক আগামী ৩০ এপ্রিল। এদিন সন্ধ্যা সাতটায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্বে করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলের নির্দেশনা অপেক্ষা করে যেসব এমপি, মন্ত্রীর স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবে তাদের বিষয়ে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়া তৃণমূলের যেসব নেতাকর্মী দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার ও বিশৃঙ্খলা কর্মকাণ্ড করেছে তাদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন বার্তা২৪.কম কে বলেন, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। এ বিষয় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হবে বৈঠকে। এছাড়াও উপজেলা নির্বাচনের আগে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির এ বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।

;

‘উপজেলা নির্বাচনকালে আ. লীগের কমিটি গঠন-সম্মেলন বন্ধ থাকবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনকালীন সময়ে আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়াটা বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটাত্মীয়দের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে নির্বাচন করতে চায় তাদেরকেও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে কিভাবে বলা যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

উন্নয়নের পাশাপাশি দুর্নীতি চলতে পারে না: নাছিম  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে রাজধানী খামার বাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে কৃষকলীগের ৫২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এমন্তব্য করেন।

নাছিম বলেন, উৎপাদন, উন্নয়ন, অগ্রগতি খুবই সমার্থক শব্দ। এর পাশাপাশি আমরা কখনো দেখি, দুর্নীতিও মাঝে মধ্যে মাথা চাড়া দেয়। উন্নয়ন, অগ্রগতির পাশে দুর্নীতির কোন সুযোগ আছে বলে আমরা মনে করি না। এখন সময় এসেছে, দুর্নীতিবাজদের যে চক্র গড়ে উঠেছে এই চক্রকে ভেঙ্গে দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্ব সভায় সম্মানের জায়গায় আমরা পৌঁছে দিতে চাই।

আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী নিজেরা উৎপাদন করবো সে মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ, কৃষক লীগের নেতৃবৃন্দদের বলেছেন, আমাদের প্রতি ইঞ্চি মাটি, প্রতিটি উৎপাদনের জায়গায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সচেষ্ট থাকবো।

এদেশের কৃষকরা দুর্নীতি করে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের ঘাম পায়ে ফেলে যারা উৎপাদন করে তারা দুর্নীতি করে না। জাতির পিতা বলেছেন, ৫ শতাংশ মানুষের ভিতরেই দুর্নীতিবাজ। সেটা হলো যারা শিক্ষিত, যারা অফিস আদালতে চাকরি, রাজনীতি করে, মাঠে ময়দানে বিভিন্ন ব্যবসা বাণিজ্য করে এদের মধ্যেই দুর্নীতির আখড়া। এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। 

তিনি বলেন, কৃষক লীগের বন্ধুরা যারা মাঠে ময়দানে কৃষকদের সঙ্গে কাজ করেন, আপনারাই দুর্নীতিবাজদের চক্র ভেঙ্গে দেয়ার জন্য প্রস্তুত হন। আমরা আগামী বাংলাদেশকে, নতুন প্রজন্মকে আর যাই হউক দুর্নীতিবাজদের কাছে, সন্ত্রাসী চক্রদের কাছে, দানবদের কাছে রেখে যেতে চাই না। আমাদের আগামী প্রজন্ম, আমাদের নতুন প্রজন্ম, আমাদের সম্ভাবনাকে নিরাপদ রেখে, দুর্নীতিমুক্ত রেখে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবোই, তুলবো। এটাই হউক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রত্যয়। 

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, সঞ্চালনা করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

;