আজ মন ভালো নেই!



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সামুদ্রিক ঝড় 'তিতলি'র প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তৃত  অঞ্চল বৃষ্টিতে আচ্ছন্ন। মূল আঘাত দক্ষিণ-পশ্চিমের অন্ধ্র-উড়িষ্যার উপর দিয়ে বয়ে গেলেও দক্ষিণ-পূর্বের বাংলাদেশ-পশ্চিম বঙ্গও বর্ষণ কবলিত। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের সমুদ্রতট ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কাঁচা ঘরবাড়ি ধ্বস্ত হয়েছে। কলকাতাও হয়েছে বর্ষণসিক্ত।

যে 'তিতলি' ঝড়ের প্রভাবে কালরাত থেকে বৃষ্টি উপদ্রুত হয়েছে মানুষ, সে 'তিতলি' নামটি পাওয়া যায় উর্দু ও হিন্দি ভাষায়, যার অর্থ প্রজাপতি। ঝড় না হলেও বৃষ্টি হচ্ছে প্রজাপতি নৃত্যছন্দে। আর তখনই দুর্যোগের পাশাপাশি প্রেমকাতরতা আর মন খারাপের মেঘ জমে মানুষের একান্ত মনের আকাশে।

বিজ্ঞানিরা বৃষ্টির সঙ্গে প্রেমার্ত হৃদয়ের সম্পর্ক পেয়েছেন। আর পেয়েছেন মন খারাপের কার্যকারণ। আজকাল অবশ্য কেবল বৃষ্টির দিনগুলোতেই নয়, প্রায়-সব সময়ই মানুষের 'মন ভালো নেই' সমস্যা চলছে। আর্থ-সামাজিক নানা সমস্যায় শরীরের মতো মনও আকছার বিষণ্ন হচ্ছে নানা বয়সী মানুষের।

মন ভালো না থাকাটা একদা ছিল আকস্মিক। প্রেমে ব্যর্থ বা জীবনের অসফলতার জন্য ‘মন ভালো নেই’ বলে কেউ কেউ কিছুদিন চুপচাপ থাকতেন। আজকাল ‘মন ভালো নেই’ একটি সংস্ক্রামক ব্যধি হয়ে গেছে। বিশেষত শিশু, কিশোর, তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ‘ভাল্লাগে না’ প্রবণতা ভয়ঙ্করভাবে বেড়েছে। খারাপ মন নিয়ে নিজের ও পারিপার্শ্বিক জীবন বিষিয়ে তুলছে তারা। কখনো মাদক বা আত্মঘাতী প্রবণতায় জড়াচ্ছে। কেউ কেউ মারমুখী ও ভায়োলেন্ট হয়ে যাচ্ছে।

বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন হয়ে হতাশ জীবনের পথে চলে যাওয়া প্রজন্মের খোঁজ অনেক সময় বাবা-মা রাখতে পারেন না নানা ব্যস্থতায়। চরম একাকীত্ব ও হতাশায় নিজের সন্তানের মনের অতলে যে গভীর কালো জগত তৈরি হয়েছে, সে খেয়ালও অনেক অভিভাবক রাখেন না। সন্তানটি (ছেলে বা মেয়ে) নীল জগতের উদভ্রান্ত সীমানায় হারিয়ে যেতে থাকলেই টনক নড়ে পিতা-মাতার। ততক্ষণে হয়ত অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে!

বিষয়টি একদিকে যেমন সামাজিক, পারিবারিক সমস্যা। অন্য দিক থেকে স্বাস্থ্যগত সমস্যাও বটে। কারণ, স্বাস্থ্য বলতে বোঝানো হয়, শরীরিক ও মানসিক সুস্থতা, উভয়টিকেই। জন্ম ও মৃত্যুর মাঝে মানুষকে তার চারপাশের সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হয়। এই উভয় প্রকার পরিবেশ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। দুঃখের বিষয় হলো, আমাদের চারপাশে সুপ্রভাবের চেয়ে কুপ্রভাবই বেশি, যার নেতিবাচক ফলাফল কিশোর-তরুণদের জীবনে সুস্পষ্টভাবে দেখতে পাওয়া যায়।

শুধু প্লট-ভর্তি সুস্বাদু ও উচ্চমানের খাদ্য খাওয়া নয়, স্বাস্থ্য সচেতনতা হলো কিছু অভ্যাসের ও আচরণের বিষয় ও বিধি, যার দ্বারা আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি। সুস্বাস্থ্যের জন্য শারীরিক ও মানসিক উভয় ক্ষেত্রেই সুস্থ্যতা অপরিহায। অনেকেই জীবনযাপন প্রণালীতে শারীরিক ও মানসিক জীবনের ভারসাম্য এবং উভয় ক্ষেত্রেই সমান গুরুত্ব দিতে পারেন না। আর তখনই তৈরি হয় নানা সমস্যা ও সঙ্কট।

প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে, মাত্র দুদিন আগে ১০ অক্টোবর ছিল পৃথিবীর সকলের মানসিক স্বাস্থ্যশিক্ষা ও সচেতনতার দিন । এটি ১৯৯২ সালে প্রথমবার পালন করা হয়েছিল । কিছু দেশে একে মানসিক রোগ সচেতনতা সপ্তাহের অংশ হিসাবে পালন করা হয়। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয় সকলের জন্য সুস্থ্য মন ও সুস্থ্য শরীরের জন্য।

উনিশ শতকের আগে মন সম্পর্কীয় সকল অধ্যয়ন দর্শনের অন্তর্ভুক্ত ছিল, স্বাস্থ্য বা চিকিৎসার বিষয়ে পরিণত হয় নি। দার্শনিকগণ মানসিক আচার-আচরণ বা ক্রিয়া-কলাপ সম্পর্কে কেবল অনুমান করেছিলেন। মন সম্পর্কে গ্রীক দার্শনিক প্লেটো সর্বপ্রথম ব্যাখ্যা করেন। তিনি মনকে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন সত্তা হিসাবে গণ্য করেন। তারপর মন আর শরীর দিয়ে বিজ্ঞান হাজার বছর ধরেই চর্চা ও গবেষণা করেই চলেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির চরম আধুনিক যুগে স্নায়ুবিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞানের বিকাশের সাথে সাথে মনোবিজ্ঞানেরও নববিকাশ ঘটে ও আধুনিক বিজ্ঞানের এক অন্যতম শাখা হিসাবে মনোবিজ্ঞানের কার্যক্রর্ম আরম্ভ হয়।

স্নায়ুবিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞানের মধ্যেই যে মনোবিজ্ঞানের প্রাথমিক ভিত্তি নিহিত হয়ে আছে, সেই কথা সর্বপ্রথম বলেন জার্মান শরীর বিজ্ঞানী জোহানেস পিটার মুলার। অবশ্য মনোবিজ্ঞানকে বিজ্ঞান হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারটি করেছিলেন আরেকজন জার্মান বিজ্ঞানী হারমেন ভন হেল্মল্টজ্। ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী টমাস ইয়ঙের প্রস্তাবিত রং সংক্রান্ত নীতি নিয়ে গবেষণা করে তিনি ইয়ং-হেল্মল্টজ্ সূত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই সূত্র দ্বারা তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে, তিনটে বিভিন্ন রঙের (সবুজ, নীল ও লাল) অনুভূতির সৃষ্টি হয় মানুষের চোখের রেটিনার সাথে সংযুক্ত তিন ধরণের স্নায়ুর কর্ম-তৎপরতার ফলে।

এরপর পরবর্তী আধুনিক মনোবিজ্ঞান একের পর এক গবেষণায় আমাদের মন সম্পর্কীয় রহস্য উদঘাটন করে। এখনও রহস্যময় মন নিয়ে চিন্তা ও গবেষণার জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছেন মনোবিজ্ঞানীরা এবং মনের ভালো ও খারাপ অবস্থার দিক নিয়ে গবেষণা ও চিকিৎসা চালাচ্ছেন।

কিন্তু চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে পিতা-মাতা-পরিবেশ থেকে সন্তানদের প্রতি মনোযোগ ও লক্ষ্য রাখার কাজটিও গুরুত্বের সঙ্গে করতে হবে, এ কথাটি সব বিশেষজ্ঞই গুরুত্বের সাথে বার বার উল্লেখ করেছেন। আপনার ছেলে বা মেয়ে কোথায় যায়, কি করে, সেটা আগে-ভাগে জেনে সতর্ক হতে না পারলে বিপদই নেমে আসবে। খারাপ পরিবেশ না হটিয়ে উন্নত চিকিৎসা কোনও কাজেই আসবে না, এটাই হলে মূল কথা।

সাম্প্রতিক সময়ে এই বাংলাদেশেই এমন বহু মানসিক অস্থিরতা ও অপরাধের খবর প্রকাশিত হয়েছে, যা বেদনাদায়ক। এই বিপদ ও বেদনা রোধের পূর্ব-প্রস্তুতি স্বরূপ শারীরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে তীক্ষ্ণ নজর দেওয়া এবং খারাপ পরিবেশ ও পরিস্থিতি প্রতিরোধ করার দিকে সবচেয়ে বেশি মনোযোগী হওয়ার দরকার আছে। নইলে সমস্যাটি সমূলে উৎপাটন অসম্ভব।

প্রসঙ্গত বলা যায়, মানুষের মন খারাপের অভিব্যক্তি কবিতাতেও ছাপ ফেলে। কবি মহাদেব সাহার পেশাগত পরিচয় ছিল সাংবাদিক। একদার অপ্রতিদ্বন্দ্বি দৈনিক ইত্তেফাক-এর তিনি ছিলেন সহকারী সম্পাদক। রোমান্টিক-প্রেমের কবিতায় সিদ্ধহস্ত এই কবি একবার রচনা করেছিলেন সুন্দর কিছু পংক্তি: ‘বিষাদ ছুঁয়েছে আজ/ মন ভালো নেই/ মন ভালো নেই/ ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা/সারাদিন ডাকি সাড়া নেই...।

বাংলা সাহিত্যের আরেক জনপ্রিয় কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়াও ছিলেন সাংবাদিক। তারও চমৎকার কিছু লাইন আছে: ‘মন ভালো নেই মন ভালো নেই মন ভালো নেই/কেউ তা বোঝে না সকলি গোপন মুখে ছায়া নেই/চোখ খোলা তবু চোখ বুজে আছি কেউ তা দেখেনি…।’

কবিতা ও সাহিত্যের এমন রোমান্টিক ভাবালুতা যদি বাস্তব জীবনে চলে আসে, আপনার বা আমার ঘরের ভেতরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সঞ্চারিত হয়, তখন কিন্তু চরম বিপদ! এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে তখন প্রাণান্তকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ জীবনে।

বৃষ্টি বা মেঘলা দিনের খানিক মন খারাপ যদি সর্বক্ষণ আক্রান্ত করে, আপনাকে বা আপনার পরিবারের কোনও সদস্যকে, তখন সজাগ ও সতর্ক হোন। মানসিক স্বাস্থ্য দিবস তথা ১০ অক্টোবরই শুধু নয়, শরীর ও মনকে ভালো রাখতে খাদ্য, পুষ্টি, পরিবেশ, ব্যায়াম, বিশ্রাম দিয়ে এবং প্রকৃতি ও সুন্দরের দিকে ধাবিত হয়ে বছরের প্রতিটি দিনকেই ভরিয়ে তুলতে হবে ভালো লাগার অনিন্দ্য উপকূলে। জরা, ব্যাধি, কষ্টের সমীকরণের মধ্যেও সুন্দর আর আশাবাদী করতে হবে আমাদের যাপিত জীবনের এইসব দিনরাত্রিগুলোকে।

   

ইস্টার উদযাপন ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;

যেসব খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যকর ইফতার

স্বাস্থ্যকর ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ।

টানা একমাস রোজা রাখার কারণে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। জেনে নিন, রোজা ভাঙার সময় যেসব খাবার বেশি উপকারী হতে পারে-

ফল: রোজা ভাঙার সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজেই হজম করা যাবে। এজন্য ফল একটি ভালো উপকরণ হতে পারে। সারাদিন নির্জলা উপবাসের কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও হয়। তাই তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো ফল খেতে পারেন। এসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।  

ডিম: রোজা রাখার কারণে যে পেশিক্ষয় হয়, সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিম যেমন প্রোটিনের একটি উত্তম মাধ্য, তেমন খাওয়ার জন্য রান্না করতেও সময় কম লাগে। ডিম অমলেট, মামলেট বা সিদ্ধ যেভাবেই খেতে চান, প্রস্তুত করতে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেই হয়।

মাছ: মাছে প্রোটিন ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ভিটামিন ডি’ থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ মাছেই পর্যাপ্ত চর্বি থাকে। খাবার তেলের থেকে মাছের থেকে পাওয়া তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের উৎস হিসেবে, মাংসের চেয়ে মাছ উত্তম। বিশেষ করে রেডমিট (গরু, খাসি) খেয়ে একদমই রোজা ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এসব হজম করা বেশ কঠিন।

প্রোবায়োটিকস: সারাদিন রোজা রাখার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। তাই অন্ত্রে অস্বাভাবিকা দেখা দিতে পারে। হজমে সমস্যা ছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন- দই, কম্বুচা ইত্যাদি।  

অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একপ্রকার বিদেশী ফল। এটি অনেক নরম হয়, তাই সহজেই হজমযোগ্য। একটু খাওয়ার নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সাথে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি: রোজা রেখে ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে ফুলকপি, ব্রকলির মতো ফল রোজার পর অধিক কার্যকরী হতে পারে।   

তথ্যসূত্র: ফেয়ারপ্রাইস

;

দোলযাত্রায় রঙ খেলায় মেনে চলতে হবে যেসব নিয়ম



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দোলযাত্রায় রঙ খেলা / ছবি : বিং এআই

দোলযাত্রায় রঙ খেলা / ছবি : বিং এআই

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ রঙ উৎসবের দিন। সনাতন ধর্মাবলম্বদের দোলপূর্ণিমার এই উৎসবে নানা রঙের আবিরে চারদিক রঙিন হয়ে ওঠে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ধর্মের ভেদাভেদে আবদ্ধ থাকে না মানুষ। সকলকেই দেখা যায় মনের আনন্দে রঙ মাখামাখি হয়ে উল্লাস করতে। বসন্তে প্রকৃতির জীর্ণতা ছেড়ে রঙিন হয়ে ওঠার আনন্দে রঙ ছড়ায় তারা। দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা আয়োজন করা হয়। বিশেষ করে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা এবং শাঁখারি বাজারে মহা সমারোহে এই উৎসব উদযাপিত হয়।

রঙ-বেরঙের আবিরের সাথে মেতে ওঠা দোল উৎসব অসেক আনন্দের। তবে অনেক সময় দেখা যায়, রঙ খেলার পর অনেকের ত্বকে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়। রঙে ব্যবহৃত উপাদান অনেকের ত্বকে অস্বস্তি করতে পারে। অথবা চুলের নানারকম ক্ষতি করতে পারে। ত্বকের এই ক্ষতিকর দিক এড়িয়ে চলা খুব জরুরি। নয়তো ষোল আনা আনন্দের সঙ্গে উৎসবে মেতে ওঠা সম্ভব হবে না। চলুন জেনে নেওয়া যাক, হোলিতে রঙ খেলার আগে যেসব ব্যাপারে লক্ষ্য রাখতে হবে।

১. কম ক্ষতিকর রঙ ব্যবহারের চেষ্টা করুন। শ্রীকৃষ্ণ যখন রাধারানিকে রঙ মেখে হোলি খেলা শুরু করেছিলেন তখন আবির তৈরি হতো প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। বিভিন্ন রঙিন প্রাকৃতিক উপাদান থেকে ভিন্ন ভিন্ন রঙ তৈরি করা হতো। তবে এখন রঙ তৈরি করা হয় কারখানায়। আবিরের রঙ উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করা হয় রাসায়নিক উপাদান। তাই রঙ কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন রাসায়নিক উপাদান খুবই কম মাত্রায় থাকে। বেশি সস্তা রঙ কেনা এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ সেসব রঙে ক্ষতিকর উপাদান বেশি থাকার সম্ভাবনা থাকে।

২. রঙ নিয়ে খেলায় বেশি মত্ত হয়ে যাওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর স্থানগুলো থেকে যতটা সম্ভব রঙ দূরে রাখার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ করে চোখের চারপাশের অংশ খুব সাবধানে রাখতে হবে। রঙ চোখে গেলে অস্বস্তি, জ্বালাতন, এলার্জি, পানি পড়া ছাড়াও অন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর সমস্যাও হয়ে যেতে পারে। অনেকে চোখে লেন্স পড়েন। তাদের চোখে রঙ গেলে সমস্যা আরও গুরুতর হয়ে যায়।

৩. অনেকের ত্বকে হোলির রঙের কারণে ত্বকশুষ্ক, জ্বালাপোড়া, অস্বস্তি, চুলকানি, এলার্জির মতো অনেক সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই রঙ খেলার আগে ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে রঙ লাগা এড়াতে ত্বকে তৈলাক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এতে রঙ তোলা খুব সহজ হয়।

৪. ত্বকের মতো একই ভাবে রঙের ক্ষতিকর দিক থেকে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য চুলে নারকেল তেল ব্যবহার করা উত্তম। অথবা চুল ওড়না, স্কার্ফ বা টুপি দিয়ে ঢেকে রাখুন।

৫. রঙ খেলার আগে অবশ্যই নখ ছোট করে কেটে যাওয়া উচিত। রঙ খেলার পর এসে ভালো করে পরিষ্কারও করতে হবে। নয়তো খাবারের সাথে তা পেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৬. রঙ খেলার সময় হালকা রঙ গুলো বাছাই করুন। যেমন আকাশি, হলুদ, গোলাপি, ইত্যাদি। সবুজ, নীল, বেগুনীর মতো গাঢ় রঙ গুলো এড়িয়ে চলা ভালো। কারণ এগুলো তুলে পরিষ্কার করা কষ্টসাধ্য।

৭. রঙ খেলার সময় যথা সম্ভব শরীরের বেশিভাগ অংশ ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। ফুল হাতা এবং ঢিলাঢালা জামাকাপড় পড়লে শরীর রঙের ক্ষতির পরিমাণ কম হয়।    

তথ্যসূত্র: সিআইটিটিএ ওয়ার্ল্ড     

;

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘কল্লোলমার্ট.কম’-এর যাত্রা শুরু



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের দ্রুত-সম্প্রসারনশীল ভোগ্যপন্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের সব পণ্যের সমাহার নিয়ে অনলাইন জগতে যাত্রা শুরু করেছে নিজস্ব ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘কল্লোলমার্ট.কম’। এর মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্পন্ন নিজস্ব পণ্য সহজলভ্যে পৌঁছে যাবে।

এখন থেকে ই-কমার্স সাইট ‘kallolmart.com’ এর মাধ্যমে ক্যাশ অন ডেলিভারি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভোক্তারা দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে সহজেই কল্লোল গ্রুপের জেট ডিটারজেন্ট পাউডার, জেট লিকুইড, ফে টিস্যু, ফে এয়ার ফ্রেশনার, ফে কটন বাডস, ফে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মামা নুডলস, নিউট্রি-সি, সিস্টেমা টুথ ব্রাশ, মামা ডিশ ওয়াস, উজালাসহ যেকোনো পণ্য ক্রয় করতে পারবেন।

‘কল্লোল মার্ট’- এর ওয়েবসাইটটি স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার উপযোগী এবং আকর্ষণীয় নানান ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। যাতে ভোক্তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন ক্যাটাগরি থেকে বাছাই করে তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো অর্ডার করতে পারেন। ‘কল্লোল মার্ট’ শুধু নিজস্ব পণ্যের নিশ্চয়তাই দিচ্ছে না, পাশাপাশি সাশ্রয়ী মূল্য ও বিভিন্ন অফারের মাধ্যমে ভোক্তাদের কেনাকাটা উপভোগ্য করে তুলবে।

কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘‘ভোক্তাদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার লক্ষ্যেই তৈরি হয়েছে আমাদের নিজস্ব ই-কমার্স সাইট ‘কল্লোলমার্ট.কম’। এছাড়াও ভোক্তারা এখন তাদের সবচেয়ে বিশ্বস্ত ও প্রিয় ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো ‘কল্লোল মার্ট’-এর মাধ্যমে আকর্ষণীয় মূল্যে দ্রুত ও নিরাপদে নিজেদের দোরগোড়ায় পেতে পারেন।’

কল্লোল গ্রুপ অব কোম্পানিজের হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং রিফাত আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশের ঘরে ঘরে কল্লোল গ্রুপের পণ্য পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই আমাদের নিজস্ব ই-কমার্স সাইট ‘kallolmart.com’ এর যাত্রা শুরু। এছাড়াও ‘কল্লোল মার্ট’ ভোক্তাদেরকে নিজস্ব ও প্রকৃত পণ্যের নিশ্চয়তাও দিচ্ছে, যা তাদেরকে গুণগত মান নিশ্চিত করবে। বর্তমানে গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা বিবেচনায় আমরা দেশজুড়ে ফ্রি হোম ডেলিভারির সুবিধা দিচ্ছি এবং পণ্য বুঝে পাওয়ার পরই গ্রাহক মুল্য পরিশোধ করতে পারবেন। খুব শীঘ্রই অনলাইন পেমেন্ট সুবিধা যুক্ত করা হবে বলে তিনি জানান।’

;