কমলালেবুর খোসা ব্যবহারে ত্বক থাকবে সুরক্ষিত



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ত্বকের জন্য উপকারী বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার সারা বছর ধরে করা হলেও, শীতকালে কমলালেবুর খোসা গুঁড়ার কথা ভুলে গেলে চলবে না। ফলটির খোসা রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে পাটা পিষে কিংবা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে কমলালেবুর খোসা গুঁড়া বানিয়ে নিতে হবে।

আবহাওয়ার বদলে ত্বকে নানাবিধ নতুন সমস্যা দেখা দেয়। ব্রণের উপদ্রব, র‍্যাশ, অসমান ত্বকের রঙ সহ ত্বকের শুষ্কভাব। এই সকল সমস্যাকে খুব সহজে মোকাবিলা করার জন্য একটি উপাদানের সঠিক ব্যবহারই যথেষ্ট। আজকের ফিচার থেকে জানুন কমলালেবুর খোসা গুঁড়া দিয়ে তৈরি তিনটি উপকারী ফেস প্যাকের বিবরণ।

কমলালেবুর খোসা গুঁড়া, মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের ফেস প্যাক  

মুলতানি মাটি ও গোলাপজল আলাদাভাবে ত্বকের জন্য উপকারিতা বহন করে। এই দুইটি উপাদানের সঙ্গে কমলালেবুর খোসার গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। একইসঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। শুধু তাই নয়, ত্বকের গভীরে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান দূর করতেও এই ফেস প্যাকটি কার্যকর। যার ফলে খুব অল্প সময়ের মাঝেই ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে।

এই ফেস প্যাকটি তৈরিতে ১ চা চামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়ার সঙ্গে ১ চা চামচ মুলতানি মাটি এবং পরিমাণ মতো গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। পেস্টটি মুখে ও গলায় ম্যাজাস করে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ভালো করে মুখ ও গলা ধুয়ে ফেলতে হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/13/1542097136779.jpg

কমলালেবুর খোসা, বাদাম গুঁড়া ও চন্দন গুঁড়ার ফেস প্যাক

প্রথমেই কমলালেবুর খোসা, বাদাম ও চন্দনের গুঁড়ার প্রতিটি এক চা চামচ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এতে ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস ও গোলাপজল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। যখন দেখবেন প্রতিটি উপদান ভাল করে মিশে গেছে, তখন মিশ্রনটি মুখে লাগিয়ে কম করে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

প্রতিদিন এই ফেস প্যাকটি ব্যবহারে ত্বকের উপরে জমে থাকা মরা চামড়া দূর হবে। সেই সাথে ত্বকের ভেতর থেকেই পুষ্টি পাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে।

কমলালেবুর খোসা, হলুদ ও মধুর ফেস প্যাক

ত্বকের রোদেপোড়া ভাব দূর করতে কমলালেবুর খোসা দারুণ কার্যকরি। এই ফেস প্যাক তৈরির জন্য ১ চা চামচ কমলালেবু খোসার গুঁড়ার সঙ্গে এক চিমটি হলুদ গুঁড়া ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি মুখে এবং গলায় ম্যাসেজ করে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে গোলাপজল মিশ্রিত পানি দিয়ে মুখ-গলা ধুয়ে ফেলতে হবে।

এই নিয়মে সপ্তাহে ২-৩ দিন কমলালেবুর খোসা ব্যবহার করলে রোদেপোড়া সমস্যা কমে যাবে এক মাসের মাঝেই। তবে ব্রণের সমস্যা থাকলে এই ফেস প্যাকটি ব্যবহার না করাই শ্রেয়।

আরো পড়ুন: ত্বকের যত্নে কেন দুধ ব্যবহার করবেন?

আরো পড়ুন: পাঁচ ধাপে রাত্রিকালীন ত্বকের যত্ন

   

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;