পৃথিবী বিখ্যাত পাঁচ ব্যয়বহুল কফি!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পছন্দের কফিশপে গড়ে দুই-তিন’শ টাকা খরচ করলেই মিলে যায় মনজুড়ানো গন্ধ ও স্বাদের লোভনীয় কফি।

উষ্ণ এই পানীয়ের আবেদন রয়েছে বিশ্বের সবখানেই। কফি পানের জন্য কফি বিনস যতটা ভালো মানের হবে, কফি ততটাই সুস্বাদু হবে।

সর্বোচ্চ দামের কফি হিসেবে অনেকেই কপি লুয়াককে চেনেন। আদতে কপি লুয়াকের চাইতেও আরও দামী কফি বিনস আছে, যেটা সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই অনেকেরই। আজকের পোস্টে তাই তুলে ধরা হয়েছে পৃথিবীখ্যাত সর্বোচ্চ দামের পাঁচ কফি বিনসের বিশদ পরিচিতি।  

৫. হাসিয়েন্ডা এল রোবেল (Hacienda el Robel)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582316706.jpg

পুরো এক বছরে এই কফিটি পাওয়া যায় খুবই স্বল্প পরিমাণে, মাত্র ২২ কেজি। দক্ষিণ কলম্বিয়ার ফুলটাইম কৃষিবিদের তত্ত্বাবধানে পাওয়া যায় এই কফি বিনস। এই কফির গাছগুলো পরিচর্যায় ব্যবহৃত হয় মুরগীর বিষ্ঠার সার। গাছগুলো বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন হয় সঠিক পদ্ধতি রোদের আলো ও ফার্মেন্টেশন প্রক্রিয়া। তবে দক্ষিণ কলম্বিয়ায় চড়া মূল্যের এই কফি গাছ বেড়ে উঠলেও কফি বিনস প্রস্তুত ও রোস্ট করার জন্য শুধু একটি স্থানই রয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন। যেখানে কফি বিনস ও কফি সম্পর্কিত সকল তথ্য গোপন রাখা হয় খুব যত্ন সহকারে। এই কফি বিনস প্রতি পাউন্ডের দাম পড়বে ১০০ মার্কিন ডলার তথা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৪১২ টাকা।

৪. অসপিনা ডিনেস্ট্রি গ্র্যান ক্যাফে প্রিমিয়ার গ্র্যান্ড সিআরইয়ু (Ospina Dynasty Gran café Premier Grand cru)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582357662.jpg

অন্যতম পুরনো কফি বিনস হিসেবে সুপরিচিত অসপিনা ডিনেস্ট্রি কফি বিনস। ১৮৩৫ সালে জেল পালানো দুই ভাইয়ের হাত ধরেই সর্বপ্রথম এই কফির উৎপত্তি হয়। নামের মতোই বেশ খানদানি পরিবেশে বেড়ে ওঠে এই কফি গাছ। কলম্বিয়ার অ্যান্টিওকিয়া (Antioquia) প্রদেশে প্রায় ৭৫০০ ফিট উঁচু আগ্নেয়গিরির ভস্মযুক্ত স্থানে এই কফি গাছগুলো পাওয়া যায়। অমন পরিবেশ ও স্থানে বেড়ে ওঠার ফলে এই কফির স্বাদ ও গন্ধ যেকোন কফি থেকেই ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া কফি প্রস্তুত করার হলে ভেলভেটের মতো নমনীয় তবে প্রখর সুগন্ধের কফি তৈরি হয়। প্রতি পাউন্ড অসপিনা কফি কিনতে গুণতে হবে ১৫০ মার্কিন ডলার তথা ১২,৬১৮ টাকা।

৩. হাসিয়েন্ডা লা এসমেরাল্ডা (Hacienda la Esmeralda)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582384771.jpg

এই কফিটি গেইশা (Geisha) কফি বিনস হিসেবেও পরিচিত, যার আদি উৎপত্তিস্থল হলো ইথিওপিয়া। তবে পরবর্তীতে পানামাতে এসে জনপ্রিয় ও মূল্যবান কফি বিনস হিসেবে পরিচিত লাভ করে গেইশা। এই কফিটির ব্যতিক্রমী স্বাদ ও গন্ধের প্রধান কারণ কফি বিনস বেড়ে ওঠে ভিন্ন মাত্রার উচ্চতায়। মাটি থেকে প্রায় ১৫০০-১৯০০ মিটার উপরে জন্ম নেওয়া এই কফি বিনসের স্বাদ ও গন্ধ একেবারেই ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া এই কফি তৈরিতে শারীরিক পরিশ্রম ও যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন হয়। যে কারণে দামটাও গুণতে হয় বেশি। প্রতি পাউন্ড হাসিয়েন্ডা লা এসমেরাল্ডা কফি বিনস পাওয়া যাবে ১০০-৩৫০ মার্কিন ডলার তথা ৮৪১২-২৯,৪৪৩ টাকায়।

২. কপি লুয়াক (Kopi Luwak)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582501710.jpg

বিশ্বজোড়া অন্যতম জনপ্রিয় ও বিখ্যাত (নাকি কুখ্যাত!) কফি হলো এই কপি লুয়াক। মূলত এই কফি বিনস তৈরির মূল প্রক্রিয়াটির জন্যেই কপি লুয়াককে এতো বেশি মানুষ চেনে। পাম সিভেট (Palm Civet) নামক প্রাণী যাকে ইন্দোনেশিয়ার স্থানীয় নামে টডি ক্যাট নামেই ডাকা হয়ে থাকে, এই প্রাণীর মল থেকে পাওয়া যায় চড়া মূল্যের এই কফি বিনস।

বড় চোখের প্রাণী পাম সিভেট দারুণ বাছবিচার করে তবেই কফি চেরি খায়। সবচেয়ে ফ্রেশ, মিষ্টি ও সুন্দর কফি চেরিগুলো বেছে নেয় তারা খাওয়ার জন্য। কফি চেরিগুলো খাওয়ার পর সেগুলো সিভেটের পেটে ভালোভাবে পরিপাক হয়। এটাই মূলত কফি চেরিগুলোর সবচেয়ে ভালো ও প্রাকৃতিক ফার্মেনটেশন প্রক্রিয়া। পরিপাককৃত কফি চেরিগুলো মলের সাহায্যে বের হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো বেছে কয়েক ধাপে পরিষ্কার করে, রোস্ট করে তবেই কফির জন্য জ্বাল দেওয়া হয়। এই কপি লুয়াক কেনা যায় প্রতি পাউন্ড ৬০০ মার্কিন ডলার তথা ৫০,৪৭৫ টাকায়। তবে দুঃখজনক হলো, বেশ কিছু সুযোগ সন্ধানী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি সিভেটকে খাঁচায় আটকে রেখে কপি লুয়াক কফি বিনস প্রস্তুতের চেষ্টা করছে অর্থলোভে। এতে করে সিভেটের উপরে প্রভাব পড়ার পাশপাশি, রিয়েল কপি লুয়াকের মানও কমে যাচ্ছে।

১. ব্ল্যাক আইভরি (Black Ivory)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/26/1553582543558.jpg

বিখ্যাত কপি লুয়াকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণের বেশি দামী ব্ল্যাক আইভরি দখল করে নিয়েছে এক নাম্বার স্থানটি। নামের মতোই বেশ গাম্ভীর্যপূর্ণ ও রহস্যময় মনে হতে পারে এই কফিকে। কিন্তু এই কফিটির সাথে কপি লুয়াকের খুব দারুণ একটি মিল রয়েছে। ব্ল্যাক আইভরিও তৈরি করা হয় হাতির মল থেকেই!

উত্তর থাইল্যান্ডের হাতিদের অ্যারাবিকা কফি বিনস খাওয়ার মধ্য দিয়ে এই ব্ল্যাক আইভরি তৈরির প্রস্তুত প্রণালি শুরু হয়। হাতি এক বিশেষ ধরণের এনজাইম তৈরি করে, যার ফলে কফি বিনস সম্পূর্ণভাবে পরিপাক হতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। পরবর্তীতে হাতির মল থেকে কফি বিনস আলাদা করা হয়।

এই কফির অবিশ্বাস্য উচ্চমূল্যের পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। হাতি যে পরিমাণ কফি বিনস খায়, যে পরিমাণ পরিপাককৃত কফি বিনস পাওয়া যায় না। কারণ হাতি বেশিরভাগ কফি বিনস সম্পূর্ণ চিবিয়ে ফেলে। এছাড়া হাতির মল থেকে আস্ত কফি বিনস খুঁজে বের করাও বেশ কষ্টসাধ্য ও সময় সাপেক্ষ বিষয়। সর্বোচ্চ দামের ব্ল্যাক আইভরি কফি পান করতে চাইলে প্রতি পাউন্ড কফি বিনস কিনতে হবে ১৫০০ মার্কিন ডলার তথা ১,২৬,১৮৮ টাকায়।

আরও পড়ুন: কতটা উপকারী প্রিয় পানীয় কফি?

আরও পড়ুন: কোল্ড কফি ও হট কফি: কোনটা বেশি উপকারী?

   

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;