নগরে ডায়াবেটিস মেলা



প্রভাষ আমিন
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে অনেক রকম মেলা হয়, বইমেলা, বাণিজ্য মেলা, ফল মেলা, ফুল মেলা, মধু মেলা, শেয়ার বাজার মেলা; মেলার কোনো শেষ নেই। নগরে এবার বসছে ডায়াবেটিস মেলা। বই মেলায় বই মিললেও ডায়াবেটিস মেলায় ডায়াবেটিস পাওয়া যাবে না, বরং পাওয়া যাবে ডায়াবেটিস থেকে মুক্তির উপায়। না ডায়াবেটিস একবার ধরলে মুক্তির উপায় নেই, উপায় আছে নিয়ন্ত্রণের। সেটাই জানা যাবে ডায়াবেটিস মেলায়।

ডায়াবেটিস আশীর্বাদ না অভিশাপ? যে রোগ একবার ধরলে আর ছাড়ে না, বরং তিলে তিলে টেনে নেয় মৃত্যুর দিকে; তাকে তো সবাই অভিশাপই বলবেন। কিন্তু যে ব্যাধি থেকে মুক্তির কোনো পূর্ব প্রস্তুতি নেই, তাকে অভিশাপ ভেবে নিজের ভাগ্যকে শাপ শাপান্ত করে তো লাভ নেই। বরং চাইলে আপনি ডায়াবেটিসকে আশীর্বাদে বদলে দিতে পারেন। যে রোগ আপনাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দিচ্ছে, চাইলে সেই রোগই আপনার জীবন লম্বা করতে পারে।

ডায়াবেটিস নেই, এমন মানুষ অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করেন। মনে করেন, আমি সুস্থ, যা ইচ্ছা তাই করতে পারব, আমার কিছু হবে না। তাতে তার শরীরে গোপনে নানা রোগ বাসা বাধে। একদিন হুট করে মরে যান। কিন্তু সেই লোকেরই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে গেলে বাধ্য হয়ে তাকে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হয়। খাওয়া, ঘুম সব নিয়ম মেনে। লোভ সামলাতে হয়। সকালে হাঁটতে হয়।

সবমিলিয়ে জীবন চলে আসে দারুণ রুটিনে। যেটা আসলে সবারই দরকার। ডায়াবেটিস হলে ভয়ে আমরা মানি, নইলে মানি না। মানলে যেটা হয় হুট করে মরার ঝুঁকি কমে যায়। আয়ু বেড়ে যায়। যে রোগ আপনার আয়ু বাড়িয়ে তাকে অভিশাপ বলবেন কোন মুখে। তবে সাবধান, ডায়াবেটিসকে আশীর্বাদ ভেবে উৎফুল্ল হওয়ার সুযোগ নেই। নিয়মে একটু ঢিল পড়লেই, ডায়াবেটিস আপনাকে ধ্বংস করে দেবে।

ডায়াবেটিস একা নয়, সুযোগ পেলে ডায়াবেটিস আরও অনেককে আমন্ত্রণ জানিয়ে আনবে। রক্তে চিনি বেড়ে গেলে আপনার ঘা শুকাবে না, অপারেশন করতে পারবেন না, ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাবে আপনার কিডনি, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গ। তাই ডায়াবেটিস বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আসলে ভয়ঙ্কর অভিশাপ। ডায়াবেটিস ঠেকানোর কোনো উপায় নেই।

বজ্রপাতের মতো আচমকা হানা দিতে পারে যে কারো শরীরে, যে কোনো বয়সে। বংশে কারো ডায়াবেটিস থাকলে ঝুঁকি বেশি, তবে না থাকলেও হতে পারে। বয়স ৪০ পেরুলে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি, তবে আগেও হতে পারে। ডায়াবেটিস ভূমিকম্পের মতো, বজ্রপাতের মতো; কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই আঘাত করবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে ডায়াবেটিস সংক্রমণের আশঙ্কা কমে যায়। তারপরও ডায়াবেটিস আপনার শরীরে বাসা বেঁধে ফেললে তাকে অভিশাপ বানাবেন না আশীর্বাদ, সেটা কিন্তু আপনার ওপর নির্ভর করছে।'

তবে আপনি যাতে ডায়াবেটিসকে আশীর্বাদ বানাতে পারেন, সে জন্য আপনার পাশে দাঁড়াতে, কৌশল শেখাতেই বসছে তিনদিনের ডায়াবেটিস মেলা। কংগ্রেসিয়া নামের একটা সংগঠন এই মেলার আয়োজন করছে। রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে আগামী ১১ এপ্রিল দুপুর ২টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে ১৩ এপ্রিল বিকেল ৩টা পর্যন্ত। ডায়াবেটিস মেলায় এক ছাদের নিচে মিলবে সব সেবা।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, ডায়াবেটিস সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া এবং ডায়াবেটিসের যত্ন ও সেবাদানকারী সকল প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীর যোগাযোগ স্থাপন করা, জনসাধারণকে সম্ভাব্য ডায়াবেটিসের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা, কর্মশালা, বক্তৃতা ছাড়াও হাতে-কলমে ডায়াবেটিসের যত্ন ও নিয়ন্ত্রণের শিক্ষাদান এবং সুলভে ডায়াবেটিসের পণ্য ও সেবা প্রদানের আকাঙ্ক্ষা থেকেই এ মেলার আয়োজন।

সারা বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান নবম স্থানে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে প্রায় ৯০ লাখ, বছরে বাড়ছে আরও ১ লাখ রোগী। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এখনই কার্যকর উদ্যোগ না নিলে বিশ্বে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ৫৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, 'সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করলে রোগী নিজেই ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে জীবনযাপন পদ্ধতি ও খাদ্যাভ্যাসে ব্যাপক পরিবর্তনের কারণে ডায়াবেটিস মহামারী আকার ধারণ করছে। এ মহামারী ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। এরকম একটি উদ্যোগই ডায়াবেটিস মেলা।'

তিনদিনের এই মেলায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী, তাদের পরিবারের অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ, চিকিৎসক, পুষ্টিবিদসহ ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেলায় অংশগ্রহণ করতে কোন প্রবেশ মূল্য লাগবে না। যে কেউ যে কোন সময় যে কোন সেশনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। তবে যারা ডায়াবেটিস মেলার নির্ধারিত ওয়েবসাইট কিংবা ফেসবুক পেজে ‘ডায়াবেটিস মেলা’য় নিবন্ধন করবেন তারা মেলার পক্ষ থেকে নিয়মিত আপডেট পাবেন।

আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে, তাহলে তো আপনি আসবেনই। না থাকলেও আসুন, জেনে রাখুন ভবিষ্যৎ সতর্কতাগুলো। সুস্থ থাকুন, দীর্ঘ নিরোগ জীবন লাভ করুন।

   

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;

হুপিং কাশিতে আক্রান্ত, মেনে চলুন এই বিষয়গুলো!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

হুপিং কাশিতেন আক্রান্ত শিশু / ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুপিং কাশি খুবই গুরুতর একটি রোগ। বোর্ডেটেলা পারটুসিস ব্যাকটেরিয়ার কারণে এই রোগ হয়। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ব্যাকটেরিয়া। মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ মানুষের শ্বাসনালীতে আক্রমণ করার ফলে হয়। হুপিং কাশির প্রাথমিক উপসর্গ হলো কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট। ইদানিং বেশ কয়েকটি দেশে হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়তে দেখা যায়। গত বছরের তুলনায় এই বছর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায় ২০ গুণ বেশি। তাই হুপিং কাশির ক্ষেত্রে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

সতর্কতা বাড়ানোর আগে অবশ্যই রোগের উপসর্গ সম্পর্কে জানতে হবে। এছাড়াও সংক্রমণ শিথিল করার উদ্দেশ্যে কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। জেনে নিই হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হলে কি করতে হবে-

১. টিকা: যেকোনো রোগের প্রতিরোধের প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো টিকাগ্রহণ। বেশির ভাগ রোগের জন্যই প্রতিরোধমূলক টিকা রয়েছে। শিশুদের ছোট থেকেই বাধ্যতামূলক কিছু টিকাদান করা হয়। সাধারণত ২ মাস বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করা হয়।

২. স্বাস্থ্যবিধি: ছোট থেকেই সকলের পরিষ্কার করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অনুশীলন করতে হবে। বাড়ি বড়দের উচিত সাবান পানিতে দিয়ে হাত ধোয়ার জন্য শিশুদের উৎসাহিত করা। বিশেষ করের বাইরে থেকে ফেরত আসার পর, হাঁচি-কাশির পরে বা নোংরা কিছু ধরার পর। এছাড়া টয়লেট থেকে এসে এবং অবশ্যই খাওয়ার আগে হাত ধুতে হবে। এছাড়াও কাপ, চামচ, গ্লাস বা মগ ইত্যাদি জিনিস ব্যক্তিভেদে ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার করাই ভালো।   

৩. নাক-মুখ ঢাকা: শুধু হুপিং কাশি নয়, বেশিরভাগ ছোঁয়াচে রোগই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ায়। তাই অবশ্যই হাঁচি বা কাশি আসলে সবসময় রুমাল বা টিস্যু ব্যবহার করা উচিত। অথবা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে নিন যেন জীবাণু না ছড়াতে পারে। হাতের কাছে কিছুই না পেলে কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে নিন। হাঁচি এবং কাশির সময় ‍মুখ ঢেকে নিলে রোগ ছড়ানো অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব।

৪. বাড়িতে থাকা: হুপিং কাশিতে আক্রান্ত হওয়া নিশ্চিত হলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। একেবারেই বের না হলে আরও ভালো। অত্যাধিক সংক্রমণ ঝুঁকি থাকার কারণে অন্যদেরও উচিত আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে দূরত্ব বজায় রাখা।

৫. চিকিৎসা: আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর অতি দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। তাছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসাও গ্রহণ করতে হবে। 

;

নারী শরীরে থাইরয়েড এবং গর্ভাবস্থায় শিশুর উপর এর প্রভাব



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

থাইরয়েড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইরয়েড হলো একটি ছোট প্রজাপতি আকারের গ্রন্থি। মানবশরীরের গলায় কণ্ঠমণির ঠিক পেছনে এর অবস্থান। এই ছোট অঙ্গটি শরীরের অ্যান্ডোক্রাইন গ্রন্থির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, বিভিন্ন হরমোনের সংশ্লেষণ এবং নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে এই অঙ্গ।

বিপাক নিয়ন্ত্রণ, শক্তি উৎপাদন এবং শারীরিক বৃদ্ধিসহ অনেক অভ্যন্তরীণ শারীরিক কাজে ভূমিকা রাখে থাইরয়েড। এর ফলে এই গ্রন্থি আমাদের হৃদস্পন্দন, পরিপাকতন্ত্র, ওজন এবং মেজাজকে প্রভাবিত করতে পারে।

থাইরয়েড মূলত দুটি প্রধান হরমোন তৈরি করে। থাইরক্সিন (টি৪) এবং ট্রায়োডো থাইরোনিন (টি৩)। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি এবং হাইপোথ্যালামাসের নিয়ন্ত্রণে থাইরয়েড এইসব হরমোন উৎপন্ন করে। সেখান থেকেই তা নিঃসৃত হয় এবং সমগ্র শরীরের সুস্থতা নিয়ন্ত্রণ করে।

থাইরয়েড আমাদের শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের নানাবিধ কাজে থাইরয়েড প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত। থাইরয়েডের সক্রিয়তা তাই শরীরে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করে। তবে, থাইরয়েডের উৎপাদনকৃত হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত কম বা অতিরিক্ত বেশি হরমোন বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।  

অত্যধিক সক্রিয় থাইরয়েড গ্রন্থি হরমোনগুলোর উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় (হাইপারথাইরয়েডিজম)। ফলে শরীরের বিপাক দ্রুত হয়। হাইপারথাইরয়েডের কারণে ওজন হ্রাস, হাত কাঁপানো এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দন সমস্যা দেখা যায়। এইজন্য পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা এবং হাড় ভঙ্গুর হওয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

হাইপোথাইরয়েডিজম সমস্যা হলো পর্যাপ্ত হরমোন তৈরি করতে সক্ষম হওয়া। এর কারণে শরীরে ওজন বৃদ্ধি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ধীর হৃদস্পন্দনের মতো লক্ষণগুলি দেখা যায়।

এমনকি হাইপারথাইরয়েডিজম এবং হাইপোথাইরয়েডিজম উভয় কারণেই স্বাভাবিক মাসিক ব্যাহত হতে পারে। মাসিক ধরনের পরিবর্তন হওয় যেমন কম হওয়ার বা একেবারেই না হওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  

তাছাড়া, সেক্স হরমোনের সাথেও এর সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। এমনকি মায়ের থেকে থাইরয়েঢের হরমোন জনিত জটিলতার কারণে গর্ভের সন্তানের উপরও প্রভাব পড়তে পারে। যেমন- গর্ভপাত, প্লাসেন্টার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ প্রিক্ল্যাম্পসিয়া, অকাল জন্ম এবং শিশুর কম বুদ্ধিবৃত্তিক কার্যকারিতা।

তাই থাইরয়েডের সমস্যা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং গর্ভাবস্থায় ঘন ঘন পরীক্ষা করা উচিত।  

;