বয়স যখন চল্লিশ!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
চল্লিশ বছরেও থাকা যায় প্রাণবন্ত, ছবি: সংগৃহীত

চল্লিশ বছরেও থাকা যায় প্রাণবন্ত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সময় এতো দ্রুত পার হয়ে যায় যে, মাঝে মাঝেই খেই হারিয়ে ফেলতে হয়।

অনিচ্ছা সত্ত্বেও মেনে নিতে হয় সময়ের গতিকে। এই সেদিন মাত্র দুই বেণী ঝুলিয়ে যে মেয়েটি স্কুলে ছুটেছে, তাকেই আজ নিজের মেয়েকে নিয়ে যেতে স্কুলে! কিছু বুঝে ওঠার আগেই বয়স বিশ ও তিরিশের কোঠা পেরিয়ে চল্লিশের ঘরে চলে আসে। চল্লিশ বছর! একেবারেই কম নয় কিন্তু! তারুণ্য ও যৌবনকে যেন এই বয়সটা অনেকখানি পেছনে ফেলে দেয়। ঠিক এই কারণেই চল্লিশ বছর বয়সে জীবনে, মনোভাবে এমনকি চেহারাতেও বড়সড় পরিবর্তন দেখা দেয়।

সামনেই কি আপনার বয়স চল্লিশ বছর হবে? তাহলে চোখ বুলিয়ে নিন আজকের ফিচারটিতে। যেখানে আলোচনায় রাখা হয়েছে চল্লিশ বছর বয়সে যে পরিবর্তনগুলো দেখা দিয়ে থাকে।

ওজন কমবে না সহজে

একটা বয়স পর্যন্ত নিত্যদিনের রুটিনে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই ঝটপট ওজন কমিয়ে ফেলা সম্ভব হতো। কিন্তু বয়স যখনই চল্লিশের ঘর ছুঁয়ে দিবে, ওজনকে কোনভাবে কমানো সম্ভব হবে না। এক সপ্তাহ টানা ৫০০ ক্যালোরি ডায়েট চার্ট মেনে চললেও এক কেজি ওজন কমতে চাইবে না। কিন্তু এক চামচ বাড়তি খাবার খেলেও ওজন বেড়ে যাবে অবিশ্বাস্যভাবে। এমনটা হওয়ার কারণ হলো, বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে শরীরের মেটাবোলিজমের মাত্রা কমতে থাকে। বয়স চল্লিশে পোঁছালে মেটাবলিজমে হার লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পায় বলেই ওজন নিয়ে বিড়ম্বনা দেখা দেয়।

নিজেকে ভালোভাবে বুঝতে পারা

প্রতিটা মানুষই জীবনের বেশ অনেকখানি সময় পার করেন নিজের বিষয়ে প্রশ্ন রেখে। ‘কে আমি’, ‘কী হতে চাই আমি’, ‘কী এই জীবনের লক্ষ্য’, ‘কোন কাজে আগ্রহ আছে’, ‘কী করতে ভালোবাসি’ এমনতর হাজারো প্রশ্নের মাঝে খেই হারিয়ে ফেলতে হয়।

কিন্তু জীবনের চল্লিশটি বছর পার করে ফেলার মাঝে এই বিষয়টি অনেকটাই আয়ত্ত্বে চলে আসে। এতোদিনে কোন কাজটি পছন্দ, সেটা জানা হয়ে যায়। নিজের মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা হয়। নিজের কাজের গুরুত্ব সম্পর্কে বোঝা যায়। যে বিষয়ে দ্বিধাদন্দ কাজ করতো, সে বিষয়ে পরিস্কার ধারণা চলে আসে।

কোন কিছু মনে রাখা দারুণ চ্যালেঞ্জিং

স্কুল, কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে পড়ার সময় যেখানে কোন একটি কথা শুনলেই মনে থাকতো, সেখানে এখন একই কথা বারংবার বলা হলেও মনে রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে। চল্লিশ বছর বয়সে মস্তিষ্ক অনেকটাই যেন অচেনা হয়ে যায়। প্রখর স্মৃতিশক্তিও হুট করে নেই হয়ে যায়। সন্তানের স্কুলের পড়া দেখিয়ে দেওয়ার সময়ে দেখা যায়, পারা অংকর সূত্রটাও যেন আর মনে আসছে না।

কোনো বিষয়ে বিচলিত না হওয়া

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/26/1561561335049.jpg

সত্যি বলতে, এই বয়সে আশেপাশের কথায়, অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা একেবারেই কমে যাবে। বয়স যখন কম ছিল, তখন এই আপনিই অন্যের মতামতকে নিজের মতামতের চাইতেও বেশি প্রাধান্য দিতেন। অথচ এখন যেন গায়েই মাখেন না একদম। এছাড়া যেকোন বিষয়ে, ঘটনায় ঝামেলা এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা প্রবলভাবে দেখা দিবে। সবাইকে সবার মতো থাকতে দিয়ে নিজেকে নিজের মতো করে সময় দেওয়ার প্রতিই থাকবে মূল লক্ষ্য।

চেহারার পরিবর্তনটা চোখে পড়বে খুব বেশি

বয়স বিশের কোঠা পেরুলেই চেহারায় পরিবর্তন আসতে শুরু করে। তবে এই পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি দেখা দেবে বয়স যখন চল্লিশে পড়বে। হুট করেই চোখের পাশে, ঠোঁটের পাশে ভাঁজ দেখা দেবে। ত্বকের মেলানিন যেন আর কাজই করছে না- এমনটা মনে হবে। এতে মন খারাপের কিচ্ছু নেই। প্রতিটা বয়সের আলাদা সৌন্দর্য আছে। সেটাকে বুঝতে হবে ও মেনে নিতে হবে।

কোনটি গুরুত্বপূর্ণ- সেটা বুঝতে পারা

নিজের গণ্ডি, আপন জগত, পরিবারের মানুষ, প্রিয় মানুষ, সন্তান, ক্যারিয়ার, সংসার- এগুলোই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করে আপনার জীবনে। মিথ্যে আশ্বাস, সম্পর্ক, বন্ধুত্ব ও নানা রকম ভনিতা এ বয়সের মাঝেই অনেকখানি দেখা হয়ে যায়। ফলে খুব সাধারণ ও সহজভাবেই জীবনে কে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কোন জিনিসটি কতটা গুরুত্ব বহন করে সেটা অনুধাবন করা সম্ভব হয়। এখানে এসে বলতেই হয়, চল্লিশ বছর বয়স হিসেবে অতোটাও খারাপ নয়!

আরও পড়ুন: যোগব্যায়ামের সাথে শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা

আরও পড়ুন: অলসতা ঝেড়ে ফেলুন আজ থেকেই

   

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;

সিডনীর উইলি পার্কে উৎসব মুখর বৈশাখী মেলা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ মানেই নতুন সূচনা। বছরের প্রথম মাসে নতুন করে চারদিক আন্দোলিত হয় নতুন আনন্দে। এই আনন্দে মেতে ওঠে বাঙালিরা। আমাদের দেশে বেশ ধুমধাম করে পহেলা বৈশাখে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়া হয়। সকালে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, এরপর মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা, পাশাপাশি বিখ্যাত রমনার বৈশাখীমেলা। দেশের বিভিন্ন স্থানেই বৈশাখে কয়েকদিন যাবত মেলা চলে।

তবে দেশের বাইরেও বিভিন্নস্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন অনেক বাঙালি। তাদের ভেতরের বাঙালি সত্ত্বাও নতুন বাংলা বছরে জেগে ওঠে। প্রায় সময় দেখা যায় প্রবাসে বসবাসকারীরা বিভিন্ন উৎসব নিজেদের উদ্যোগে উদযাপনের চেষ্টা করে। সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করেন যেকোনো উৎসব আয়োজন করার।


রোববার (২১ এপ্রিল) অস্ট্রেলিয়ায় সিডনিতে বসবাসকারী বাঙালিরা আয়োজন করেছিলেন বৈশাখী মেলার। নিউ সাউথ ওয়েলসের উইলি পার্কে আয়োজন করা হয়েছে এই মেলার। সেখানে স্থানীয় বাঙালিরা ভিড় জমান এবং বৈশাখ বিলাসে মেতে ওঠেন। লাল-সাদা পোশাকে সকলে একত্রিত হন পরিবার পরিজন এবং বন্ধুদের সাথে। ছোট ছোট শিশুরা বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নাচে-গানে সেজে উঠেছিল সেই অনুষ্ঠান। ঢোল, তবলা, করতালের ছন্দে বাংলার আভায় মেতে ওঠে এক টুকরো সিডনি।

মেলার মাঠে ছোট ছোট তাবুতে স্টল বসেছে। সেখানে সাজানো হয়েছে বাঙালির ঐতিহ্যময় নানান জিনিস। তাঁতের শাড়ি, নানান গহনা, খেলনা, বাঙালি খাবার , পোশাকসহ নাগরদোলা এবং বাচ্চাদের খেলার ব্যবস্থা। খাবারের মধ্যে ছিল সিঙ্গারা, সমুচা, ফুচকা, চটপটি, হালিম সহ নানান পদ।


শুধু বিদেশের মাটিতে বাঙালীর মেলার আয়োজন হয়েছে তা নয়! আমাদের দেশেও বেড়াতে আসা ভিনদেশীদেরা ঐতিহ্যে নিজেদের খাপ খায়িয়ে নেন। প্রায়ই দেখা যায়, অনেক বিদেশীরাও বৈশাখী আনন্দে মেতে ওঠে। গালে শুভ নববর্ষ লিখে মেলায় যায়। মানুষের সাথে মানুষের যে আত্মার বন্ধন; পোশাক, জীবনধারা, ভাষা- কিছুই যে বাঁধা নয় তারই প্রমাণ মেলে। আমরা যেমন আবরণ ভুলে সকলকে জরিয়ে আপন করে নেই, তেমনি তারাও আমাদের সংস্কৃতির ছাঁচে তাদের আবদ্ধ করে নেয়। এমন করে দেশ থেকে বিদেশের মাটিতে বাঙালির সংস্কৃতি ছড়িয়ে যাক! যুগ যুগ বেঁচে থাকুক বাঙালি এবং বাংলা সংস্কৃতি…

;