প্যাসিভ স্মোকিংয়ে ক্যানসার ঝুঁকিতে আমরা সবাই!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ভয়াবহতা অনেক বেশি, ছবি: সংগৃহীত

প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ভয়াবহতা অনেক বেশি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুট করেই সাবের খানের ক্যানসার ধরা পড়লো।

একেবারে থ্রোট ক্যানসার। সাবের খানের তো বটেই, এমন ঘটনায় পুরো পরিবারের মাথায় হাত। যে মানুষটা কোনদিন একবারের জন্যেও ধূমপান করেননি, কোনভাবেই তামাক গ্রহণ করেননি তার সাথে এমন ঘটনা কীভাবে ঘটতে পারে!

শুধু সাবের খান একা নন খুঁজলে ক্যানসার আক্রান্ত এমন অনেককেই পাওয়া যাবে যারা, জীবনেও ধূমপানের মতো বাজে অভ্যাসের আশেপাশে থাকেননি। অথচ জীবনের একটা পর্যায়ে এসে দেখা দিয়েছে ক্যানসারের মতো ভয়াল রোগের থাবা।

ভাগ্যের পরিহাসের নয়, সাবের সাহেব সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোকিং তথা প্যাসিভ স্মোকিং এর শিকার।

কী এই প্যাসিভ স্মোকিং?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562758382657.jpg

ধূমপায়ীদের ধূমপানের ধোঁয়া নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করা হলো প্যাসিভ স্মোকিং তথা সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোকিং। এই প্যাসিভ স্মোকিংয়ের মাধ্যমে একজন অধূমপায়ীও ফুসফুসের ক্যানসার, স্বরনালির (Larynx) ক্যানসার ও আপার থ্রোট (Pharynx) ক্যানসারের শিকার হতে পারেন। অর্থাৎ ধূমপায়ী শুধু নিজেকে নন, ক্যানসারের ঝুঁকিতে ফেলে দেন তার আশেপাশের সবাইকেও।

ক্যানসারের পাশাপাশি প্যাসিভ স্মোকিং ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমনারি ডিজিজ (COPD) নামক ফুসফুসের রোগ, স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।

আরও একট বিষয়। নিশ্চয় খেয়াল করেছেন, ধূমপায়ীদের পরিধেয় পোশাক থেকে সিগারেটের উৎকট গন্ধ পাওয়া যায়। ধূমপায়ীদের পোশাকে শুধু এই গন্ধই নয়, তামাকের ক্ষতিকর প্রভাবও রয়ে যায়। ধূমপানের সবচেয়ে বাজে ব্যাপারটি হলো, এটা খুব দ্রুতই অদৃশ্য হয়ে যায়। কিন্তু ধূমপায়ীর চারপাশে, তার ত্বকে, পোশাকে এর ক্ষতিকর প্রভাব রেখে যায়। যা থেকে ক্ষতি হতে পারে তার সংস্পর্শে আসা অধূমপায়ী ব্যক্তিদের।

প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে কারা?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562758449465.jpg

ধূমপায়ীদের আশেপাশের সকলেই এর ঝুঁকিতে থাকে। একদম শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সকলেই প্যাসিভ স্মোকিং এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তবে এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে থাকে শিশুরা।

হামাগুড়ি দিতে পারে এমন শিশুদের শরীরে খুব সহজেই ধূমপানের নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার শুরু করে এবং ক্ষতিকর উপাদান শোষিত হয়। প্যাসিভ স্মোকিং এর ভয়াবহতার ফলে শিশুদের মাঝে শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন, শ্বাসকষ্ট, ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের পাশাপাশি সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রম (SIDS) বা কট (COT) ডেথ এর সম্ভবনাও বৃদ্ধি পায়। এর ফলে ঘুমের মাঝে কোন নির্দিষ্ট কারণ ব্যতীত হুট করেই শিশুর মৃত্যু ঘটে।

কী ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দেয় প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ফলে?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562758473027.jpg

একজন ধূমপায়ী যতখানি ক্যানসার তৈরিকারী উপাদানের সংস্পর্শে আসে, অধূমপায়ীও সমপরিমাণ ঝুঁকিতে থাকে। জেনে রাখুন, সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিংয়কে Class-A Carcinogen (ক্যানসার তৈরিকারী উপাদান) হিসেবে ধরা হয়। কোনভাবেই এই বিষয়টি নিরাপত্তার সীমানায় আসবে না। এখানে প্যাসিভ স্মোকিংয়ের কয়েকটি স্বাস্থ্যহানীর বিষয় তুলে ধরা হলো।

ফুসফুসের ক্যানসার

স্বাভাবিকভাবেই প্যাসিভ স্মোকিংয়ের প্রধান ফলাফল হিসেবে আসবে ফুসফুসের ক্যানসার। ধূমপায়ী ব্যক্তির সাথে বসবাস করা অঅধূমপায়ীর ফুসফুসের ক্যানসার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায় ২০-৩০ শতাংশ।

অন্যান্য ক্যানসার

প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ফলে ফুসফুসের ক্যানসারের পাশাপাশি নেক ক্যানসার, ব্লাডার ক্যানসার, কিডনি ক্যানসার, খাদ্যনালীর ক্যানসার, পরিপাকতন্ত্রের ক্যানসার এবং Acute Myelogenous Leukemia (AML) দেখা দেওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। ২০১৮ সালের একটি গবেষণা জানাচ্ছে, চীনে সার্ভিক্যাল ক্যানসার দেখা দেওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে প্যাসিভ স্মোকিংকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

হৃদরোগের সম্ভবনা

শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতি বছর প্যাসিভ স্মোকিং থেকে হৃদরোগের ফলে মারা যান ৩৪,০০০ জন এবং স্ট্রোকের ফলে মারা যান ৮০০০ জন। সময়ের সাথে যে সংখ্যাটি বৃদ্ধি পাচ্ছে সমানভাবেই। প্যাসিভ স্মোকিং হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫-৩০ শতাংশ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি ২০-৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/10/1562758502658.jpg

গর্ভকালীন জটিলতা

গর্ভাবস্থায় প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ফলে মিসক্যারেজ, স্টিলবার্থ ও স্বল্প ওজনের শিশু জন্ম নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। এছাড়া ধূমপায়ী বাবা, ধূমপায়ী মা ও প্যাসিভ স্মোকিং মায়ের ফলে গর্ভস্থ শিশুর হৃদরোগের সম্ভবনা তৈরি হয়।

দেখা দেয় বিষণ্ণতা

অনেকেই হয়তো এই বিষয়টি সম্পর্কে একেবারেই অবগত নন। কিন্তু চলতি বছরের একটি বিষদ গবেষণার তথ্য বলছে, সেকেন্ডহ্যান্ড স্মোকিংয়ের ফলে ৫৭ শতাংশ ক্ষেত্রে বিষণ্ণতা তৈরি হয়।

এখানে তো গুটি কয়েক ক্ষতিকর দিকের কথা তুলে ধরা হলো। আদতে প্যাসিভ স্মোকিংয়ের ক্ষতির মাত্রা আরও অনেক বেশি। যার সবচেয়ে চূড়ান্ত ও ভয়াবহ রূপ হলো ক্যানসার দেখা দেওয়া।

তাই প্রথমেই ধূমপায়ীদের নিজ থেকে সতর্ক হতে হবে। সচেতন হতে হবে। নিজের পরিবারের মানুষদের সুস্বাস্থ্যে কথা বিবেচনা করে হলেও, এই বাজে অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে। নতুবা নিজের সাথে সাথে প্রিয় মানুষদেরও স্বাস্থ্য ঝুঁকির মাঝে পরে যাবে খুব সহজেই।

আরও পড়ুন: ধূমপানে অন্ধত্ব!

আরও পড়ুন: দীর্ঘায়ু পেতে এড়াতে হবে ৮ খাবার

   

রমজানে যেসব কাজ এড়িয়ে যাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসে করা ভুল / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান সবচেয়ে পবিত্র মাস। ইবাদতের এই মাসে কেবল ভালো কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা জানেন রমজান মাসে কি করা উচিত। তবে অনেকেই জানেন না, এই এক মাস কোন কাজগুলো একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। জেনে নেওয়া যাক সেগুলো-     

অকারণে রোজা ভাঙা: রমজানে রোজা রাখা বাধ্যতামূলক এবং প্রধান নির্দেশনা। সংযমের মাসে রোজা রেখে সংযম চর্চা করা হয়। রমজান মাসে শেহরির পর এবং ইফতারের আগে কিছুই খাওয়া যাবেনা। রোজা রেখে ভেঙে ফেলা একদমই উচিত নয়। তাই খুব বিশেষ কারণ ছাড়া রোজা ভাঙবেন না।     

ঝগড়া-বিবাদ: সকল খারাপ অভ্যাস কমিয়ে ফেলা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা রমজানের একটি বিশেষ উদ্দেশ্য। যেকোনো ধরনের খারাপ আচরণ, ঝগড়া, তর্ক এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে রমজান মাসেস একদমই এসব করা যাবে না। এমনকি অহংকারও অত্যন্ত খারাপ একটি অভ্যাস। কোনো বিষয় নিয়েই অহংকার করে অথবা কাউকে ছোট করে কথা বলা উচিত না।   

দানশীলতার অভাব: দান দক্ষিণা প্রদান খুবই ভালো কাজ। নিজেদের কাছে থাকা অতিরিক্ত জিনিসগুলো, যাদের অত্যন্ত প্রয়োজন তাদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া উচিত। সকলেরই সাধ্য অনুযায়ী টাকা, খাবার, পোশাক- এসব গরীবদের দেওয়া উচিত।   

ইফতারের পর অপকর্মে লিপ্ত: অনেকে মনে করেন, রমজান মাসে শুধু দিনের বেলা ইবাদত আর ভালো করতে হয়। ইফতারের পরই পরই অনেকে মদ, সিগারেটের মতো নেশাজাত দ্রব্য সেবন শুরু করে। এসব কাজ রমজানের শিক্ষাকে ব্যর্থ করে দেয়।   

অলস সময় পার করা: সারাদির না খেয়ে রোজা থাকার ফলে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত থাক। অনেকে এই বাহানায় কাজ করতে চান না। তারা মনে করেন রোজা রেখে সারাদিন শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটালে কোনো অসুবিধা নেই। আদতে এমন নয়। নিতান্ত নড়াচড়া করতে পারেনা অথবা খুব অসুস্থ মানুষ ছাড়া সকলেরই প্রতিদিনেরই রুটিন অনুসারেই কাজ করে যেতে হবে।  

নামাজ না পড়া: মুসল্লীদের মধ্যে অনেকেই রোজা রাখলেও নামাজ পড়েন না। নামাজ না পড়লে রোজা রাখার মাহাত্ম্য নেই। রমজান মাসে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সওয়াব বেশি হয়। তাই একবেলাও নামাজ বাদ দেওয়া ঠিক না।  

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;