জানা-অজানায় অপরাজিতা ফুলের চা!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
অপরাজিতা ফুলের চা, ছবি: সুমন শেখ

অপরাজিতা ফুলের চা, ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

চায়ের ছোট কাঁচের কাপ জুড়ে বেগুনি-নীলচে রঙের আভা ফিনিক দিয়ে বের হচ্ছে।

পরিচিত লাল চা কিংবা দুধ চায়ের বদলে কাপে রয়েছে নীলাভ পানীয়। আগ্রহী হয়েই ভিন্ন ধরনের নীলচে পানীয়ের স্বাদ আস্বাদন করছেন অনেকে। ফেসবুকের ফুড রিভিউ গ্রুপের কল্যানে খুব অল্প সময়ের মাঝেই ভাইরাল হয়েছে হাল সময়ের ট্রেন্ড অপরাজিতা ফুলের চা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকাতে বিক্রি হওয়া ভিন্ন ঘরানার এই ভেষজ চা খুব সহজেই সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে। প্রশংসা যেমন জুটেছে, তেমনি তিরস্কারও পেয়েছে অপরাজিতা চা।

এ আবার কেমন চা?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/29/1567070639654.jpg

গাড় লিকার, ঘন দুধ ও বাড়তি চিনি ছাড়া চা হয় নাকি আবার? হয় বটে। ভেষজ ঘরানার চায়ের মধ্যে গ্রিন টি, জেসমিন টি, তুলসি চা বা লিকারবিহীন পুদিনাপাতার চা ও আদা চা চেনাজানা হলেও, পরিচিত ফুল অপরাজিতায় তৈরি নতুন ধরনের এই চা এখনও বেশ অনেকটাই অপরিচিত চা পানীয়দের মহলে। ফলে অপরাজিতা ফুলের পাপড়িতে তৈরি এই চা কে চা বলতে নারাজ অনেকেই। তবে অপরাজিতা চাও অন্যান্য ভেষজ চায়ের মতোই এক ধরনের হারবাল বা ভেষজ চা।

লতানো গাছের অপরাজিতা হলো ফ্যাবেসি (Fabaceae) প্রজাতির ফুল। নীলকণ্ঠ নামেও পরিচিত সুন্দর এই ফুলটি। অপরাজিতা ফুলে তৈরি চায়ের প্রচলন কিন্তু ইদানিংকালের নয়। বেশ কয়েক বছর আগে অনেকেই ঘরোয়াভাবে এই চা তৈরি করেছেন ইউটিউবের ভিডিও দেখে। বানিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকেই মূলত প্রসার পায় অপরাজিতা চা।

অপরাজিতা চায়ের কি উপকারিতা আছে?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/29/1567070656364.jpg

অপরাজিতা চায়ের উপকারিতার খোঁজ করতে কথা হয় আজগর আলী হাসপাতালের সিনিয়র ডায়েটেশিয়ান শায়লা সাবরিনের সাথে। তিনি জানালেন, গ্রিন টিয়ের মতো ব্লু টি বা অপরাজিতার চা আমাদের মাঝে এখনও অতো বেশি প্রচলিত নয়। তবে ভেষজ উপাদান হওয়ায় এই চায়েরও বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

প্রথম উপকারিতার বিষয়ে শায়লা জানান, অপরাজিতা ফুলের চা শরীরের মেটাবলিজমের হার বাড়ায়। যা দ্রুত ক্যালোরি পুড়িয়ে বাড়তি ওজনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে।

পাশাপাশি ভেষজ এই চায়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মূলত আমাদের শরীরে ডিটক্সিফিকেশন বা ক্ষতিকর প্রভাবকে দূর করতে সাহায্য করে।

এছাড়া অপরাজিতা ফুলে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফ্ল্যাভিনয়েড, যা ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ভূমিকা রাখে।

তবে উপকারিতার সাথে তিনি আরও যোগ করেন, অপরাজিতার চা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন গবেষণা বা পরীক্ষা হয়নি। তাই এই স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো যে পরীক্ষিত, সেটা বলা যাচ্ছে না।

স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্ভাবনা আছে কি?

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/29/1567070673500.jpg

অপরাজিতা ফুলের চা নিয়ে শুধু ঢালাওভাবে উপকারিতার কথা বললেই হবে না, এই চা পানে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না, সেটা সম্পর্কেও খোঁজ করতে হবে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ডায়েটেশিয়ান শায়লা জানালেন, ভেষজ সকল উপাদানেরই স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, তবে কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা ক্ষতিকরও হয়ে উঠতে পারে। যদি সঠিক ও নিয়ন্ত্রিত প্রস্তুত প্রণালির মাধ্যমে ভেষজ উপাদান গ্রহণ করা না হয়, সেক্ষেত্রে ঝুঁকি থেকে যায়।

বর্তমানে অপরাজিতার ফুল রোদে শুকিয়ে ও এরপর পানিতে ফুটিয়ে চা তৈরি করা হচ্ছে। রোদের যদি ঠিকমতো শুকানো না হয় তবে এতে শরীরের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সহজেই জন্মাবে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করতে পারে।

সেক্ষেত্রে তিনি পরামর্শ দেন সঠিক প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত ও প্যাকেটজাত অপরাজিতা ফুলের চা বাজারে পাওয়া গেলে সেটা গ্রহণ করলেই সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: ধমনির সুস্থতায় উপকারী ৯ খাবার

আরও পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমে দারুচিনি গ্রহণে

   

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;

গরমে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম হয়ে বের হয়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরে ক্লান্ত লাগে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে আপনাকে খেতে হবে পানি ও পানিযুক্ত খাবার।

গরমে কী ধরনের খাবার শরীরের জন্য ভালো চলুন তা জেনে নিই–

পানি

পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার, পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার সুপেয় পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।

গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে।

সবজি
কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া পাতলা করে রান্না করা টক ডাল, শজনে ডাল শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।


মৌসুমি ফল

পানিশূন্যতা দূর করার জন্য কাঁচা আম খুবই ভালো। কাঁচা আমে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এ ছাড়া ভিটামিন সি ও ম্যাগনেশিয়ামও আছে, যা শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এতে আছে ভিটামিন ও খনিজ লবণ, যা এই গরমে শরীরের জন্য দরকার।

বাঙ্গি খুবই পুষ্টিকর একটি ফল, যা খুবই সহজলভ্য এবং দামেও তুলনামূলক সস্তা। শরীর ঠান্ডা রাখতে বাঙ্গির তুলনা নেই।

আখের রস

আখের রস শরীরকে ঠান্ডা রাখতে খুবই কার্যকরী। আখের রসের সঙ্গে বিট লবণ, পুদিনাপাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর স্বাদও বাড়ে, পুষ্টিগুণও বাড়ে।

বেলের শরবত

বেলের শরবত পাকস্থলী ঠান্ডা রাখতে খুব কার্যকর। বেলে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১ এবং বি২, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফাইবার।


পুদিনার শরবত

শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে এবং সতেজ অনুভূতির জন্য পুদিনার শরবত অতুলনীয়।

জিরা পানি
নোনতা স্বাদযুক্ত এই পানীয় হজমে সাহায্য করে। তবে ডায়াবেটিস রোগীরা শরবতে আলাদা করে চিনি বা মধু অ্যাড করবেন না।

যা খাবেন না

অনেক কার্বনেটেড বেভারেজ আমরা গরমের সময় প্রচুর খেয়ে থাকি, যা ঠিক না। এই পানীয়গুলো শরীরকে সাময়িক চাঙা করলেও এর কোনো পুষ্টিগুণ নেই, বরং শরীরকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝাল, বাইরের খোলা শরবত, বাইরের খাবার, ভাজাপোড়া এ সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। পাতলা ঝোল ঝোল খাবার খাওয়া এ সময় সবচেয়ে ভালো।

 

;