বঙ্গবন্ধু একটি বিপ্লব ও ধ্রুবতারার নাম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। এই দিনে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ঐতিহাসিক ভাষণের উপর অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা প্রায় ৩ ঘণ্টা আলোচনা করেছেন।

আলোচনায় তারা বলেছেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বিপ্লব, একটি ইতিহাস, একটি অভ্যুত্থান ও এক ধ্রুবতারা নাম। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় অনেক রাজনৈতিক নেতার জন্ম হয়েছে কিন্তু তারা বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বাদ দিতে পারেননি। এক মাত্র বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। তিনি জনতার মধ্যে অভূতপূর্ব সেতুবন্ধন তৈরি করেছিলেন। দেশের জনগণ তাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছিলেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল মাস্টারমাইন্ডদের শনাক্ত করতে একটি গণ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান।'

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনার সূত্রপাত করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অধ্যাপক আলী আশরাফ, সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, বাংলাদেশ জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল, গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ, জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নু,তাহজীব আলম সিদ্দিকী প্রমুখ।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'বঙ্গবন্ধু একটি মাত্র ভাষণে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি সৃষ্টি করেছেন। নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করেছিলেন, একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন এই পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য হয়নি। বাংলার ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ বাঙালিরা করবে। তাই এই দিনটির জন্য বঙ্গবন্ধু অপেক্ষা করছিলেন। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর সামনে দুটি পথ খোলা ছিল। একটি হলো স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করা, আরেকটি যাতে তাঁকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যায়িত না করা। দুটোই নিখুঁতভাবে করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। চশমাটা খুলে মুক্তিযুদ্ধে কি করণীয় সেই তাত্ত্বিক ভাষণে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে পরিণত করে দেশকে স্বাধীন করেছিলেন।'

আমির হোসেন আমু বলেন, 'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে যে বিশ্বাস নিয়ে ১৩টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন, দুবার ফাঁসির মঞ্চে গিয়ে জনগণের বিজয়ের জয়গান গেয়েছেন, ৭ মার্চের ভাষণে সেটিই তুলে ধরেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অমর বাণী, নির্দেশ বাঙালি জাতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুর গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা অনুযায়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি স্বাধীনতার লালসূর্য ছিনিয়ে এনেছিলেন।'

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, '৪৮ বছর পার হয়ে গেছে, ৭ মার্চের আবেদন এতটুকুও কমেনি। বাংলাদেশে বসে বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে পরিমাপ করি, বিদেশের নেতারা বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়ের মতোই দেখেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে স্বাধীনতার ইঙ্গিতের পাশাপাশি গেরিলা যুদ্ধের দিক-নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। এতো সহজভাবে হৃদয়গাঁথা ভাষণ বিশ্বের কোন নজির নেই। মৃত্যু-ভয় তাঁকে কখনো লক্ষ্যস্থল অর্জন থেকে পিছু হঠাতে পারেনি।'

রাশেদ খান মেনন বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল তার দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের এক অভূতপূর্ব কবিতা। লাখো বাঙালির হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা সেই স্বাধীনতার রূপরেখাই দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। একটি ভাষণে গোটা ঐক্যবদ্ধ জাতিকে যোদ্ধা জাতিতে পরিণত করেছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ভাষণের মধ্যে দিয়ে তাঁর রাষ্ট্র ভাবনা প্রকাশিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর এই যুদ্ধ কৌশলের ভাষণে গোটা জাতি হাতিয়ার তুলে নিয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের নয়, গোটা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের অনুপ্রেরণার ভাষণ।'

শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, '১৯৭১ সালের ৭ মার্চসহ ওই সময়ে যা কিছু হয়েছে, তা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও পরিকল্পনায় হয়েছে। এক্ষেত্রে অন্য কারো কোন বিশেষ কৃতিত্ব নেওয়ার কিছু নেই। এই ভাষণ জাতিকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছিল। যা কখনোই পুরানো হবার নয়। অথচ জিয়াউর রহমান এই ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু সেই ভাষণ আজ বিশ্ব স্বীকৃত। মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন ব্যর্থ হয়েছে। সশস্ত্র আন্দোলনের জন্য দেশ ত্যাগ করে নেতাজি সুভাষ বোস নিখোঁজ হয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সফল হয়েছে। অনেকের অনেক পরামর্শ ও চাপ সত্ত্বেও তিনি দেশ ত্যাগ করতে রাজি হননি। তাঁর নেতৃত্বেই স্বাধীন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।'

হাসানুল হক ইনু বলেন, 'তিনিই (বঙ্গবন্ধু) ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বীর। তাঁর নেতৃত্বে সমগ্র বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে তাঁর দেওয়া ভাষণ ইতিহাসের দরজা খুলে দিয়েছে। ওই ভাষণ ইতিহাস বদলে দেওয়ার ভাষণ, নির্বাচন গণআন্দোলনের অপূর্ব সমন্বয় সাধনের ভাষণ, নিরস্ত্র জনগণকে সশস্ত্র করার ভাষণ, অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার ভাষণ, বাংলাদেশের কর্তৃত্ব গ্রহণের ভাষণ, তখন থেকে স্বাধীনতা প্রবেশের ভাষণ, দেশের মানুষের অন্তরে মুক্তি ও স্বাধীনতার ভাষণ। কোন কিছুই বঙ্গবন্ধুকে খাটো করতে পারে না। কোন কিছুই নাই, যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে মাপা যায়। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ অমর ছিল, অমর আছে থাকবে।'

মইন উদ্দিন খান বাদল বলেন, 'একজন পরিপূর্ণ বাঙালির হাত ধরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আপাদমস্তক দেশপ্রেমিক বাঙালি নেতা। ৭ মার্চ বাঙালি মানুষের হৃদয়ের তার বাজিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ ৭ মার্চেই সত্যিকারের স্বাধীনতা ঘোষণা। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা তাঁর ধারাবাহিকতা মাত্র।'

সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের মাস্টারমাইন্ডদের শনাক্ত করতে একটি গণ তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানাচ্ছি। শুধু ফারুক-রশিদ-নূর গংরা নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমানসহ অনেক মাস্টারমাইন্ড জড়িত রয়েছে। এদের শনাক্ত করে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।'

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;