চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আয়-প্রবৃদ্ধি বেড়েছে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
সংসদে অর্থমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

সংসদে অর্থমন্ত্রী, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রাজস্ব আয় ও প্রবৃদ্ধি বাড়লেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। প্রথম প্রান্তিকে বাজেট ভারসাম্য অনুকূলে থাকায় ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণ করা হয়নি। বরং পূর্বের ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে সাধারণ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি উভয়ই গড় কমেছে। স্বাভাবিক সরবরাহ পরিস্থিতি, সহায়ক মুদ্রানীতি এবং বিশ্ববাজারে খাদ্য পণ্য ও জ্বালানি তেলের কম মূল্য, মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং আয়-ব্যয়ের গতিধারা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। 

অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত দুই মেয়াদে উন্নয়নের মহাসড়কে আমাদের যে অভিযাত্রা ছিল তা অব্যাহত থাকবে। কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত। আমাদের রয়েছে অকুতোভয়, সৃজনশীল ও কর্মঠ জনশক্তি। শেখ হাসিনার সাহসী, প্রাজ্ঞ, গতিশীল ও জন-হিতৈষী নেতৃত্বের মাধ্যমে এই জনশক্তিকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে এবং সর্বমহলের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে আমরা ২০৩০ সাল নাগাদ টেকসই উন্নয়নের অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্য অর্জন এবং উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা লাভ করব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, '২০৪১ নাগাদ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবে। সর্বোপরি ব-দ্বীপ পরিকল্পনা তথা ডেল্টা প্লান-২১০০ বাস্তবায়নের পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে আমরা সক্ষম হবো। আমি আস্থার সঙ্গে বলতে পারি যে, সঠিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, সুদূরপ্রসারী কৌশল ও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছবো, অর্থাৎ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করতে পারব ইনশাল্লাহ।'

প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী জানান, এই সরকারের কান্ডারি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ আস্থা রেখে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যপূরণে এগিয়ে যেতে চাই। বর্তমান অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে অর্থনীতির খাতভিত্তিক অগ্রগতির যে চিত্র, তাতে আশাবাদী হওয়ার পূর্ণ সুযোগ রয়েছে। যেমন, বিগত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের তুলনায় এই প্রান্তিকে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি ও সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যক্তি খাতের ঋণ প্রবাহের প্রসার ঘটেছে।

মন্ত্রী জানান, খাদ্য মূল্যস্ফীতিসহ সার্বিক মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে ছিল বাজেটের প্রথম প্রান্তিকে। উন্নত অর্থনীতির দেশসমূহের প্রবৃদ্ধির ফলে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং প্রবাসে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। আবার চলমান মেগা প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়নে অগ্রগতি ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে উন্নতি সাধিত হয়েছে।

মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল আরও বলেন, 'সরকারের সর্বশেষ দুই মেয়াদে ধারাবাহিক উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়ে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সমৃদ্ধির একটি শক্তিশালী ধারা সৃষ্টি হয়েছে। চলতি অর্থবছর আমাদের সরকারের একটানা তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বছর। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই যে, বর্তমান অর্থবছরেও অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখা হবে। প্রথম বছরটিতে আমরা বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখছি। বিগত এক দশকে দেশের সার্বিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখায় সরকার যে অভূতপূর্ব সাফল্য প্রদর্শন করেছে। সেই ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতি যেন উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনের পথে অগ্রসর হতে পারে।

অর্থমন্ত্রী বাজেট প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, সরকারের গত দুই মেয়াদে আমরা আর্থ-সামাজিক অগ্রযাত্রার গুরুত্বপূর্ণ বহু মাইলফলক অতিক্রম করেছি। সরকার পরিকল্পিত ও অনুভূতিমূলক উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০০৭ থেকে শুরু হওয়া বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার দীর্ঘায়িত প্রভাব ও সময়ে সময়ে উদ্ভূত দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতাকে প্রজ্ঞা ও দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছে। দেশে ধারাবাহিকভাবে ও উচ্চ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে, যা সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রেকর্ড ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। রাজস্ব ও মুদ্রানীতির যথাযথ সমন্বয়, সার্বিক আর্থিক শৃঙ্খলা ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে সরকার জিডিপি প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি মাথাপিছু আয়, খাদ্য উৎপাদন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, আমদানি-রফতানি, প্রবাস আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বিগত দশ বছরে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছে।

   

সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গ্রাম আদালত বিল চূড়ান্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪’ বিল চূড়ান্ত করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। বিলটি আগামী সংসদ অধিবেশনে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় সংসদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিলটি চূড়ান্ত করা হয়।

বৈঠকে কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মো. ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু করা হয়। বৈঠকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবসহ শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সব বীর মুক্তিযোদ্ধার রুহের মাগফেরাত কামনা করে তাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক হওয়ায় উপস্থিত সদস্যদের পরিচিতি পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/অধিদপ্তর/সংস্থাগুলোর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

বৈঠকে গ্রাম আদালত (সংশোধন) বিল, ২০২৪-এর ওপর বিস্তারিত আলোচনা করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করে বিলটি কমিটিতে গৃহীত হয়।

এছাড়া, বৈঠকে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সিনিয়র সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগ, সমবায় অধিদপ্তর, বার্ড, বিআরডিবি, আরডিএ’র মহাপরিচালক, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

জাতীয় সংসদের আরও ১০ স্থায়ী কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের চতুর্থ দিনে আরও ১০টি স্থায়ী কমিটি গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ৭৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে চীফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী কমিটি গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে কমিটিগুলোর মধ্যে ৫টিতে সাবেক মন্ত্রীরা সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন।

এর আগে গত রোববার ১২টি ও সোমবার ১৬টি কমিটি গঠিত হয়। জাতীয় সংসদের মোট ৫০টি স্থায়ী কমিটি রয়েছে।

গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জাহিদ মালেক, বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি জিয়াউর রহমান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি রমেশ চন্দ্র সেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি মাহফুজুর রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি এম এ মান্নান এবং অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্বাচিত হয়েছেন।

 

;

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর অধিবেশন শুরু হয়।

সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

;

দ্বাদশ সংসদ বসছে মঙ্গলবার, ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) থেকে শুরু হচ্ছে। সংসদীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বিকেল ৩টায় প্রথম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

এই সংসদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া আওয়ামী লীগ সরকারি দল ও মাত্র ১১টি আসন নিয়ে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে চায় জাতীয় পার্টি। তবে আসন সংখ্যা কম হলেও জাতীয় পার্টির সদস্যরা সংসদে কার্যকর বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অবশ্য পাশে থাকছে তাদের থেকে প্রায় ৬গুণ বেশি ৬২টি আসনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হয়েছে আজ সোমবার। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে এই সংসদের প্রথম অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র আরও জানায়, স্পিকার নির্বাচন শেষে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। পরে সংসদে ভাষণ দিবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি সরকারের সফলতা ও আগামীতে করণীয় বিষয়ে অধিবেশনে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখবেন। পরে ওই ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে পুরো অধিবেশনে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা আলোচনা করবেন। এই অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস হতে পারে।

এদিকে দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রথম দিনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সংসদ ভবন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অধিবেশনকে কেন্দ্র করে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।অধিবেশনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনের বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী বলেন, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। গত সংসদের থেকে এবার বেশি সময় অধিবেশন চলবে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে। সংসদে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানাতে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আসন বিন্যাসের কাজ চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

চিফ হুইফ আরও বলেন, একাদশ সংসদের মতো দ্বাদশ সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করবেন মাত্র ১১টি আসনে বিজয়ী জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা। ইতিমধ্যে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধী দলীয় নেতা, জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিরোধী দলীয় উপনেতা ও জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্ন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।

দ্বাদশ সংসদের অধিবেশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রে বিরোধী দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে আমরা প্রস্তুত। সরকারের ইতিবাচক কর্মসূচিতে সহযোগিতা ও নেতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার মাধ্যমে জনগণের স্বার্থরক্ষায় সংসদে বিরোধী দলের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে আমাদের দলের সদস্যরা।

;