আবারও বেঁকে বসেছে রোহিঙ্গারা



মুহিববুল্লাহ মুহিব ও নুরুল হক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কক্সবাজার
টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প | ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনকে ঘিরে দফায় দফায় বৈঠক, ট্রানজিট ঘাট প্রস্তুত, ক্যাম্প থেকে ঘাট পর্যন্ত নিরাপত্তা নিয়ে রূপরেখা তৈরিতে ব্যস্ত প্রশাসন। তবে যাদের ঘিরে এত আয়োজন সেই সব রোহিঙ্গারা স্বদেশে ফিরে যেতে মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। অনেক রোহিঙ্গা নেতা সাফ বলেই দিয়েছেন, তারা তখনই যাবেন যখন নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে।

অন্যদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বলছেন, রোহিঙ্গাদের শেষ পর্যন্ত বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

গত রোববার (১৮ আগস্ট) অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে ডেকে এনে শরণার্থী কমিশনার বৈঠক ডাকেন রোহিঙ্গা টাস্কফোর্স কমিটির। এরপর প্রত্যাবাসন ইস্যুতে দফায় দফায় স্থানীয় প্রশাসন, এনজিও, আইএনজিও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কমিশনার।

ওই বৈঠকে সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গে টেকনাফের শালবাগান, জাদিমোরা, লেদা ক্যাম্পে তৈরি করা হয় বৈঠকখানা। কেরুনতলী জেটিঘাটে শুরু হয় ধোয়ামোছার কাজ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়।

যে সমস্ত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে প্রশাসনের এত প্রস্তুতি, তাদের নেতাদের মুখে ছিল ভিন্ন সুর। শালবন ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতারা বলছেন, তাদের আওতাধীন তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গারা দেশে ফিরতে রাজি নন।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/21/1566372904981.jpg

নয়াপাড়া শালবাগান রোহিঙ্গা শিবিরের ডি-২ ব্লকের হেড মাঝি সৈয়দুল আমিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমাদের নির্যাতনের বিচার ও নাগরিক অধিকার না দেওয়া পর্যন্ত জোর করে মিয়ানমারে নিয়ে যেতে পারবে না। প্রয়োজনে এ দেশে গুলি করে হত্যা করা হোক, তাতে আমরা খুশি। এ দেশে অন্তত আমাদের মৃতদেহ জানাজা ও কবরের একটা জায়গা পাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশ মিয়ানমার, সে দেশে আমরা জন্ম নিয়েছি। সেখানে আমাদের অনেকের মা-বাবা, ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনকে মেরে ফেলা হয়েছে। অনেক মা-বোনকে নির্যাতন করেছে। বাড়িঘর, গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সময় কোন উপায় না পেয়ে মুসলিম দেশ হিসাবে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছি। বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের মাঝে যেন শান্তি ফিরে আসে সে জন্য বাংলাদেশ চেষ্টা চালাচ্ছে। এর ফলে বহির্বিশ্ব আমাদের অধিকার নিয়ে মিয়ানমারকে চাপ সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

একই সুর আরেক মাঝি সুলতান মিয়ার কণ্ঠেও। তিনি বলেন, সিদ্ধান্তবিহীন মিয়ানমারের প্রত্যাবাসন নিয়ে মতামত দিয়ে কী হবে? আমরা তো আলোচনার মাধ্যমে যেতে চাই। কিন্তু মিয়ানমার তা মানছে না। মিয়ানমারের নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাই। বাংলাদেশে আর পালিয়ে আসতে চাই না। নিজ দেশের নাগরিকত্ব, অধিকার, ফেলে আসা সম্পদ, ভিটা-বাড়ি এবং জীবনের সুরক্ষার নিশ্চিয়তা ফেলে স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফিরে যেতে প্রস্তুত আমরা।

শুধু শালবন নয়, লেদা ক্যাম্প, আলিখালি, জাদিমোরা ক্যাম্প থেকেও তালিকায় আসা রোহিঙ্গাদের মনোভাব বোঝা গেল প্রায় একই রকম। তারা বলছেন, আগে দাবিপূরণ তারপর স্বদেশে প্রত্যাবর্তন।

এ বিষয়ে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, রোহিঙ্গাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রত্যাবাসন স্থলপথে করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে মিয়ানমারকে। প্রতিদিন তিনশো করে রোহিঙ্গাদের দেশে পাঠানো হবে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ২২ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা থেকে ৩ হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গার মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার কথা রয়েছে। এ কার্যক্রম ঘিরে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। যদি তারা স্বেচ্ছায় যেতে রাজি না হয় তাহলে কিছুই সম্ভব নয়। তবে এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সক্রিয় রয়েছি।

অন্যদিকে মঙ্গলবারের মতো বুধবারও (২১ আগস্ট) শুরু হয়েছে রোহিঙ্গাদের মতামত নেওয়ার কার্যক্রম। মঙ্গলবার ২১ পরিবারের ১০৫ রোহিঙ্গার মতামত নেওয়া হয়েছে। তবে মতামত দিতেও অনীহা প্রকাশ করছেন রোহিঙ্গারা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;