পিরিয়ডের সময়ে সচেতন থাকুন খাদ্যাভাসে



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ফ্রেশ সবজী খেতে হবে পিরিয়ডের সময়ে। ছবি: সংগৃহীত

ফ্রেশ সবজী খেতে হবে পিরিয়ডের সময়ে। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি মাসে নিয়মানুযায়ী পিরিয়ড হওয়া নারীদের সুস্বাস্থ্যের প্রধান লক্ষণ।

তবে বেশিরভাগ নারী পিরিয়ডের সঙ্গে বেশ কিছু শারীরিক অসস্থির সম্মুখীন হন। পেশীতে ব্যথাভাব দেখা দেওয়া, জ্বর জ্বরভাব, তলপেটে ব্যথা, পেটে ফাঁপাভাব ও মুড সুইং সহ নানান ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়।

এই সকল উপসর্গে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। পিরিয়ডের ফলে হরমোনের তারতম্য আসে। যা থেকে দেখা দেয় নানান ধরণের শারীরিক সমস্যা। দারুণ বিষয় হলো, ৪-৫ দিনের কষ্টকর এই সময়কে নিজের আয়ত্ত্বে আনা সম্ভব খাদ্যাভাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাধ্যমে। সঠিক খাদ্যাভাস ও কিছু খাদ্য উপাদান এড়িয়ে চললে পিরিয়ডের আগের সময় ও পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তুলনামূলক সুস্থ থাকা যাবে অনেকটা।

আরো পড়ুন: শরীরের যে অংশগুলো পরিষ্কার করা প্রয়োজন নিয়মিত

পিরিয়ডের সাথে খাদ্যাভাস কেন সম্পর্কিত?

শুধু খাদ্যাভাস নয়, পর্যাপ্ত পানি পান, ঘুম ও শরীরচর্চা পিরিয়ড সময়কালীন সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের উপসর্গ সমূহের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে সবুজ শাক, ডিম, কাজুবাদাম, সাইট্রাস ফল, স্ট্রবেরি সহ প্রভৃতি। প্রাকৃতিক মিনারেল তথা ভিটামিন-বি ও সি পিরিয়ডের সময়ে খুব চমৎকার ঔষধি উপাদান হিসেবে কাজ করে। উপকারী খাবার যেমন পিরিয়ডের সময়ে স্বস্তি দেয়, একইভাবে ক্ষতিকর খাদ্য বাড়িয়ে দেয় পিরিয়ডের অস্বস্তি।

পিরিয়ডের সময়ে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে যেতে হবে?

যেভাবে উপকারী খাবার গ্রহণ পিরিয়ডের যন্ত্রনাকে লাঘব করতে সাহায্য করে, ঠিক সেভাবেই ক্ষতিকর খাবার পিরিয়ডকে যন্ত্রনাদায়ক করে তোলে। জেনে নিন কোন খাবারগুলো এই সময়ে এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

রিফাইন্ড খাবার

প্রায় সকল রিফাইন্ড খাবার তৈরি করা হয় সিম্পল কার্বোহাইড্রেট থেকে। যা খুব দ্রুত বার্ণ হয়। ফলে দেখা দেয় ক্ষুধাভাব। এতে করে শরীর এনার্জি হারায়। এছাড়া বেশীরভাগ রিফাইন্ড খাবারে থাকে চিনি। যা মুড সুইংকে ত্বরান্বিত করে। রিফাইন্ড খাবারগুলো হলো- সাদা আটা, পাস্তা, প্যাকেটজাত চিপস, সিরিয়াল ইত্যাদি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/04/1536051386400.jpeg

ফ্যাটি ও ফ্রাইড খাবার

পিরিয়ডের সময়ে অনেকের শরীরে প্রদাহ দেখা দেয়। যার সাথে যকৃতের সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন (CRP) এর মাত্রার সংযোগ আছে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে- যে সকল মধ্যবয়ষ্ক নারীর যকৃতে সিআরপির মাত্রা ২৬-৪১ শতাংসের বেশি থাকে, পিরিয়ডের সময়ে পেট ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ওজন বেড়ে যাওয়া সহ নানান ধরণের উপসর্গ তাদের মাঝে বেশি দেখা যায়। শুধু মধ্যবয়ষ্ক নারীর ক্ষেত্রেই এমন প্রভাব দেখা দেয় তা কিন্তু নয়। প্রদাহ ও ব্যথাভাব তৈরি হওয়ার মতো উপসর্গগুলো যে কারোর ক্ষেত্রেই দেখা দিতে পারে। যে কারণে ডিপ ফ্রাইড খাবার যেমন: সমুচা, সিঙ্গারা, অনিয়ন রিংস, ফ্রেন্স ফ্রাই; রেড মিট তথা গরু ও খাসির মাংস; পনির ও অন্যান্য দুগ্ধজাত খাদ্য এড়িয়ে চলতে হবে।

মিষ্টি জাতীয় খাবার

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/04/1536051195388.jpeg

পিরিয়ডের সময়ে মুড সুইং করা (মন-মেজাজ ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হওয়া) ও মানসিক দুশ্চিন্তায় ভোগার সমস্যা খুবই সাধারণ। এ সময়ে মিষ্টি জাতীয় খাবার এই সমস্যাগুলো আরো বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া মিষ্টি খাবার রক্তে চিনির মাত্রা তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িয়ে দেয়। যা কিছু সময় পরেই অনেক নিচে নেমে যায়। এর ফলে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। তাই পিরিয়ডের সময়ে মিষ্টি খাবার খাওয়ার ইচ্ছা যতই প্রবল হোক না কেন, চকলেট, ক্যান্ডি, কেক, ডোনাট, বিস্কুট খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ক্যাফেইন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/04/1536051247275.jpeg

তালিকায় এই নামটি দেখে অনেকেই হয়তো বিরক্ত হবেন। এটা সত্যি, কফি এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আবার অন্যদিকে পিরিয়ডের সময়ে কফি পানের ফলে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের নিঃসরণ বেড়ে যায়। ফলে মানসিক চাপ ও মুড সুইং এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া ঘুমেও ব্যঘাত ঘটে। তাই চেষ্টা করতে হবে মাসের এই কয়েকটা দিন ক্যাফেইন তথা কফি, চা, চকলেট, কফি ফ্লেভার্ড ক্যান্ডিকে দূরে রাখার।

লবনাক্ত খাবার

পিরিয়ডের সময়ে অনেকেই মুখে কিংবা হাত পায়ে পানি আসার অভিযোগ করেন। এই সমস্যাটি অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব লবনাক্ত কিংবা অতিরিক্ত লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে গিয়ে। বেশি লবণযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে ফ্লুইডের মাত্রায় ব্যাঘাত ঘটে, যার ফলেই মূলত পানি আসার সমস্যা তৈরি হয়। এছাড়া উচ্চরক্ত চাপের সমস্যা তো আছেই। তাই চেষ্টা করতে হবে প্যাজেকজাত খাদ্য (এ ধরণের খাবার অতিরিক্ত লবণ ব্যবহার করা হয়), আচার, সয়া সস ও সয়া সসযুক্ত খাবার ও ক্যানড খাবার এড়িয়ে যাওয়ার।

এতোক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কেন পিরিয়ডের সময়ে খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। সামান্য সচেতনতাই নিজেকে ভালো রাখবে অনেকটা।

   

তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-

সূর্যের তাপ:

ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। 

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার:

রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া:

‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:

ঘর ঠান্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠান্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠান্ডা পানির বোতল রাখলে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন:

ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা:

ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দা টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠান্ডা হয়ে আসে।

চুলা বন্ধ রাখা:

চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এই সময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় ও ঠান্ডা হয়ে আসে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

;

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপদাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই গরমে মাথা ঘেমে চুল ভেজা থাকায় অনেকেই বিরক্ত থাকেন। ঘামে ভিজে চুলের অবস্থাও নাজেহাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলপড়া বেড়ে যায় গরমে। তাই চুলের বাড়তি যত্ন দরকার হয় এই মৌসুমে।

অনেকেই চুলের যত্ন নিতে নিয়মিত পার্লারে যান। এতে করে সময় এবং অর্থ দুই ব্যয় হয়। অনেকের সময় সুযোগ হয়ে ওঠে না নানা ব্যস্ততায়। তাই সময় এবং টাকা বাঁচিয়ে চুলের যত্ন নিন ঘরে বসেই। 

কীভাবে চুলের যত্ন নেবেন চলুন তা জেনে নিই:

ব্যস্ত সময়ে আমরা অনেকেই চুলে তেল নেই না। আর গরমে তেল না নিলে চুল আরও রুক্ষ হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন চুলে তেল দিতে হবে। চুলের গোড়া মজবুত করতে ‘হট অয়েল ট্রিটমেন্ট’ নিতে পারেন বাড়িতেই।

অনেকের অভ্যাস আছে তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে মাথার ওপর তুলে রাখার। এই অভ্যেস থাকলে ত্যাগ করুন। কারণ এতে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। এর থেকে ভালো হয় পুরোনো ও নরম টি-শার্ট দিয়ে আলতো হাতে চেপে চেপে চুলের পানি শুকিয়ে নিন। চুল শুকিয়ে এলে মোটা দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। সেক্ষেত্রে প্লাস্টিক না বরং ব্যবহার করুন কাঠের চিরুনি ।

কাজুবাদামের হেয়ার ওয়েল তেল, মধু আর দইয়ের প্যাক চুলের রুক্ষতা দূর করতে বিশেষ কার্যকর। লেবুর রস আর ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিয়েও লাগাতে পারেন। এই প্যাক ফিরিয়ে আনতে পারে চুলের হারানো জেল্লা।

;