নিশ্চিন্তে খান লো-ফ্যাট কোলস্লো
ভীষণ মজাদার সান্ধ্যকালীন নাস্তা হলো কোলস্লো।
যেকোন ভাজাপোড়া কিংবা চিকেন ফ্রাইয়ের সঙ্গে এই আইটেমটি যেন ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। অন্য কোন খাবার নয়, শুধু কোলস্লো খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। এক্ষেত্রে বাধ সাধে কোলস্লোতে ব্যবহার করা হাই ফ্যাট, কোলেস্টেরল ও ক্যালোরিযুক্ত মেয়োনেজ। কিন্তু মেয়োনেজ ব্যবহার না করলে কোলস্লো তৈরি করাও সম্ভব নয়।
তবে কি কোলস্লো খাওয়া যাবে না? অবশ্যই খাওয়া যাবে। তার জন্য জানতে হবে আজকের রেসিপিটি। চটজলদি দেখে নিন লো-ফ্যাট কোলস্লোর এই রেসিপিটি।
উপাদানসমূহ
১. সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখা ১ কাপ কাজুবাদাম।
২. ১/৩ কাপ পানি।
৩. ১ চা চামচ সরিষা বাটা/ গুঁড়া।
৪. টেবিল চামচ ম্যাপল সিরাপ।
৫. দেড় টেবিল চামচ হোয়াইট ভিনেগার।
৬. দেড় টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার।
৭. আধা কাপ পেঁয়াজ কুঁচি।
৮. ২ কাপ গাজর কুঁচি।
৯. ৩-৪ কাপ বাঁধাকপি।
১০. স্বাদমতো লবণ।
১১. স্বাদমতো কালো গোলমরিচের গুঁড়া।
প্রস্তুত প্রণালি
১. সারারাত ভিজিয়ে রাখা কাজুবাদাম, পানি, ম্যাপল সিরাপ, হোয়াইট ভিনেগার, অ্যাপল সাইডার ভিনেগার, পেঁয়াজ, সরিষা বাটা/ গুঁড়া, লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া ফুড প্রসেসর কিংবা ব্লেন্ডারে নিয়ে ব্লেন্ড করতে হবে। সকল উপাদান একসাথে ব্লেন্ড হয়ে ক্রিমি ও ঘন পেস্টের মতো তৈরি হলে বুঝতে হবে পেস্টটা ঠিক আছে। প্রয়োজনে বাড়তি পানি কিংবা কাঁচা কাজুবাদাম অথবা অন্যান্য উপাদান যোগ করা যাবে।
২. পেস্ট তৈরি হয়ে গেলে একটি ভিন্ন পাত্রে ঢেলে তাতে গাজর কুঁচি ও বাঁধাকপি কুঁচি মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হবে ঘন্টাখানেক সময়ের জন্য।
রেফ্রিজারেটর থেকে বের করে পরিবেশন করতে হবে মজাদার লো-ফ্যাট কোলস্লো।