অনেক দূরে যাওয়া সম্ভব: সাকিব



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লন্ডন থেকে
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টাকে স্পেশাল বলছেন সাকিব

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়টাকে স্পেশাল বলছেন সাকিব

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিংয়ে ৮৪ বলে ৭৫ রান। বোলিংয়ে ১০ ওভারে ৫০ রানে ১ উইকেট। কাভারের রিং সার্কেলে বাঁদিকে ঝাপিয়ে পড়ে একটা ক্যাচ। সবমিলিয়ে পুরো ম্যাচে পারফেক্ট অলরাউন্ড নৈপূণ্য সাকিব আল হাসানের।

২১ রানে জয়ী বাংলাদেশের এই ম্যাচের সেরা পারফর্মার কে? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ম্যাচ অ্যাডজুডিকেটরদের বেশি চিন্তা করতে হয়নি। চতুর্থ বিশ্বকাপের নিজের শুরুটা করলেন সাকিব দারুণ কায়দায়। পাঁচহাজার রান ও ২৫০ উইকেট শিকারি অলরাউন্ডারদের এলিট ক্লাবে যোগও দিলেন এদিন, এই ম্যাচে।

ব্যক্তিগত পারফরমেন্সে সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন। দলও জিতলো বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। নিজের এবং দলীয় সাফল্যের এই বিশেষ দিনে সাকিব ভীষণ আনন্দিত। বললেন-‘আমার তো মনে হয় বাংলাদেশ দলের জন্যই এটা একটা বিশেষ দিন। বিশ্বকাপের মতো কঠিন টুর্নামেন্টে এসে প্রথম ম্যাচেই এভাবে শুরু করাটাও আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সেদিক থেকে এই ম্যাচে জয়টা অবশ্যই স্পেশাল। আমাদের ভেতরে বিশ্বাসটা ছিলো। শুধু মাঠে কাজ করে সেটা দেখানোর দরকার ছিলো। সবাই এমন পারফরমেন্সের জন্য খুবই উদগ্রীব ছিলো। আমরা খুব সৌভাগ্যবান যে আমাদের সবার পরিকল্পনাটা সফল হয়েছে।’

ম্যাচে নিজের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে দু’লাইনে কথা সেরে সাকিব আবার ফিরে গেলেন সম্মিলিত শক্তিতে বাংলাদেশের ম্যাচ জেতার প্রসঙ্গে- ‘দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি, এটাতে আমি অনেক খুশি। ব্যক্তিগত কিছু অর্জনও হয়েছে এই ম্যাচে। মুশফিক ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যাটিং জুটিটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। আমাদের ব্যাটিংয়ের ভিতটা গড়ার জন্য ঐ জুটিটার অনেক প্রয়োজন ছিলো। ওপেনিংয়ের শুরুটা ভালো করার একটা ব্যাপার ছিলো। যা আমরা করতেও পেরেছি।’

শুরুটা তো দুর্দান্ত হলো। তাহলে সামনের সময়ে আরো ভালো কিছু আসছে?

প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন সাকিব-‘চেষ্টা থাকবে। মাত্র তো একটা ম্যাচ হলো। এখনো গ্রুপ পর্বে আরো আটটা ম্যাচ আছে আমাদের। হয়তো সামনের ম্যাচগুলোতে অনেক কঠিন সময় ও পরিস্থিতি আমাদের মোকাবেলা করতে হবে। কারণ এই রেজাল্টের পরে সবগুলো দলই আরো সতর্কভাবে আমাদের সঙ্গে খেলবে। আমাদেরকেও আরো ভালো ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিকল্পনাগুলো আরও ভালোভাবে প্রয়োগ করতে হবে। সবাই আমাদেরকে নিয়ে এখন বাড়তি সতর্ক থাকবে। নার্ভাসও থাকতে হবে। এটা একদিক দিয়ে বেশ ভালো। সব প্রতিপক্ষের মধ্যে একটা টেনশনও কাজ করতে পারে। তবে এটার আবার অন্য একটা সমস্যাও আছে। সবাই এখন বাংলাদেশ দলের দিকে বাড়তি নজর দিচ্ছে। হয়তো তারা মাঠে ভুল কম করবো। আগে অনেক সময় এমন হতো যে বাংলাদেশকে নিয়ে বেশি ফোকাসে না থাকা দল গুলো মাঠে ভুল বেশি করতো, আর আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারতাম।’

বিশ্বকাপে সাকিবের অভিষেক হয়েছে ২০০৭ সালে। সেই থেকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ মানেই ব্যাট হাতে সাকিবের ভালো পারফরমেন্স। ২০০৭ সালে ভারতের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি। চার বছর পরে আরেকটি বিশ্বকাপে সেই একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফের হাফসেঞ্চুরি। ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ী ম্যাচেও সাকিবের ব্যাটে হাফসেঞ্চুরির আনন্দ। সেই ধারাবাহিকতা এবারো বজায় থাকলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে। নিজের খেলা প্রতিটি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এমন পারফরমেন্সের রহস্য প্রসঙ্গে সাকিবের কাছে জানতে চাওয়া হলো তিনি পেছনের সাফল্যে না মজে গিয়ে আরো নতুন কিছু অর্জনের দিকেই মনোযোগ দিলেন-‘ শুরুটা এবারো ভালো হয়েছে। তবে অন্যান্য বিশ্বকাপের মতো শেষটা অমন করতে চাই না। এবার শেষটা আরো ভালো কিছু করতে চাই। তবে শুরুটা ভালো হলে সুবিধা তো অবশ্যই কিছুটা থাকে। তবে শুরুটা ভালো হয়েছে এখন মাঝের এবং শেষটাও ভালো কিছু করতে চাই আমি এবং আমরা।’

যে কায়দায় দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলকে বাংলাদেশ এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারিয়েছে তাতেই তো আরেকবার প্রমানিত হলো বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ এখন বিপজনক দল। বাকি ‘বড়ো’ দলগুলোর মতোই একটি দল বাংলাদেশও?

মুখে সাফল্যের হাসি নিয়ে সাকিবের ব্যাখা-‘এটা তো আমরা সবসময় বলার চেষ্টা করি। কিন্তু লোকেরা খুব একটা পাত্তা দেয় না। তাই বলতে চাই এখনো আমাদের প্রমান করার অনেক কিছু আছে। শুরুটা ভালো হলো। সবাই মানসিকভাবে খুবই ভালো একটা অবস্থায় আছে। এভাবে যদি আমরা যেতে পারি তাহলে আমি মনে করি আমাদের অনেক দূরে যাওয়া সম্ভব।’

   

নিজের অবসর প্রসঙ্গে জানালেন লিওনেল মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা এবং সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন, তিনি লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ফুটবল খেলে যতরকম সাফল্য অর্জন করা যায়, বিশ বছরের ক্যারিয়ারে তার প্রায় সবই নিজের নামে করে নিয়েছেন মেসি। সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাটা তুলে ধরে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

এত সাফল্যমণ্ডিত ও বর্নাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের মাঝে খারাপ সময়ও পার করতে হয়েছে তাকে। একের অধিকবার ফাইনালে নিজের দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ তাকে ভেতর থেকে যন্ত্রণা দিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬- টানা তিন বছর তিনটি আন্তর্জাতিক ফাইনালে হারের পর হতাশায় তো ফুটবল থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন।

তবে হার মেনে নেওয়ার সময় সেটি ছিল না, তার আরও কিছু অর্জন করার বাকি, দেশের জন্য এবং নিজের জন্যও, এমনটাই তার মন বলছিল। তাইতো ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে আবারও ফিরে এলেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপেও তাকে হতাশা হজম করতে হয়েছে। তবুও থেমে থাকেননি মেসি, নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছেন মাঠের খেলায়, দেশের জন্য।

২০২১ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবার আর্জেন্টিনার জন্য আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা হাতে তুলে নেন মেসি। তখনই হয়তো বুঝেছিলেন যে আরও কিছু অর্জন বাকি আছে তার। কোপার শিরোপার পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে জিতে নিলেন ফিনালিসিমার ট্রফিটাও। শেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও পেল মেসির হাতের স্পর্শ। ফুটবল যেন পূর্ণতা পেল ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর রাতে।

অনেকে ধরেই নিয়েছিল বিশ্বকাপ অর্জনের পর হয়তো ফুটবলকে বিদায় জানাবেন লিওনেল মেসি। তবে না, নিজের ক্যারিয়ারটা আরেকটু দীর্ঘ করতে চান তিনি। আপাতত ২০২৪ কোপা আমেরিকাতে খেলবেন এমনটা নিশ্চিত করেছেন এই ফুটবল জাদুকর।

সম্প্রতি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমবিসি’র ‘বিগ টাইম পডকাস্টে’ কথা বলেন তিনি। সেখানেই জানিয়েছেন কবে নিবেন অবসর। মেসি বলেন, ‘অবসরের মুহূর্তটা কেমন হবে জানি, যখন টের পাব আর পারফর্ম করতে পারছি না। নিজেকে উপভোগ করছি না, সতীর্থদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না। আমি বুঝি কখন আমি ভালো খেলছি, কখন খারাপ খেলছি। যখন আমার মনে হবে এখন সেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া সময় হয়েছে, আমার বয়স কত সেটি মনে না রেখেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেব।’

ঠিক কবে অবসরে যাবেন এটি না বললেও মেসির কথা থেকে এটি পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে, এখনই থামছেন না তিনি। যতদিন সম্ভব নিজেকে টেনে নিতে থাকবেন ফুটবল স্বর্গের অনন্য এক উচ্চতায়।  

;

দি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতারা আটক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন আগে আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আনহেল দি মারিয়া হত্যার হুমকি পান। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কিছুটা আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে তার পরিবার এবং আত্মীয়দের মধ্যে। গতকাল সেই হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ ও তাদের বিশেষ ইউনিট পিডিআই।

আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ জানিয়েছেন, এই হুমকি দেওয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। দি মারিয়াকে হুমকি দেওয়ায় তাকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে।

রোজারিওতে নিজ বাসায় তার পরিবারের উদ্দেশে হত্যার হুমকি সম্বলিত বার্তা দিয়ে যায় শহরের দুর্ধর্ষ মাদক চোরাকারবারিরা। সোমবার ভোরে হুমকি–সংবলিত কাগজ লিখে ছুঁড়ে ফেলে যায় অজ্ঞাত একটি দল। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা সেই কাগজে দি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, ‘আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নরও এই ফুটবলারের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না।‘

পাবলো আকোত্তো এই হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিন হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

;

মুম্বাই-হায়দরাবাদ ম্যাচে যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে বুধবার রাতের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচটি দীর্ঘদিন মনে থাকবে বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের। এই ম্যাচেই বিশ্ব ক্রিকেট দেখল একাধিক রেকর্ড। এদিন দুই ইনিংস মিলে মোট রান হয়েছে ৫২৩। ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে প্রায়ই যে রানের দেখা মিলে, আইপিএলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই ম্যাচেই তা দেখা গেল।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট হাতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে হায়দরাবাদ, যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে রান তাড়ায় ২৪৬ রান তোলে মুম্বাই। এতে ৩১ রানের জয় পায় ‘টিম অরেঞ্জ’।

৫২৩ রানের এই ম্যাচে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছাড়াও হয়েছে অনন্য সব রেকর্ড। সেসব রেকর্ডে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের করা এই ম্যাচে ২৭৭ রানের সংগ্রহ আইপিএলের ১৭ আসরের সর্বোচ্চ। এতদিন রেকর্ড ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দখলে। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল তারা। তার এক দশক পেরিয়ে আজ রেকর্ডটি ভেঙে দিল হায়দরাবাদের।

ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

হায়দরাবাদের ২৭৭ এর বিপরীতে মুম্বাইয়ের ২৪৬ রান। এতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান ৫২৩। যা শুধু আইপিএল নয়, স্বীকৃত যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আইপিএলের গত রাতের ম্যাচটি এখানে পেছনে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৫১৭ রানের আগের রেকর্ডটি।

সবচেয়ে বেশি ছক্কা

দুই দল মিলিয়ে এই ম্যাচে ছক্কা হাঁকিয়েছে মোট ৩৮টি। এটা ক্রিকেটের যেকোনো ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড, বিশ্ব রেকর্ডই বলা যায়। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল জাওয়ানানের মধ্যকার ম্যাচে ৩৭টি ছক্কা নিয়ে।

সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি

দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৬৯টি বাউন্ডারি হয়েছে এ ম্যাচে, ৩৮টি ছক্কার ও ২১টি চার। যা আইপিএলের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ড। যৌথভাবে এই রেকর্ড ধরে আছে ২০১০ আসরের চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচটি।

;

আফ্রিদির অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া ঠিক হবে না, বললেন আফ্রিদি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তান সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে তাকে এই মুহুর্তে তার দায়িত্ব থেকে এভাবে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না বলে জানালেন শাহিনের শ্বশুর সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি।

শাহিন আফ্রিদির অধীনে মাত্র একটি সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান, যেটি ছিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেখানে মাত্র একটি ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছিল শাহিনের দল।

সম্প্রতি পিএসএলে শাহিনের দল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের করুণ পারফরম্যান্সের পর তার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এ প্রসঙ্গে সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘কাউকে অধিনায়কত্ব দিলে তাঁকে সময়ও দেওয়া দরকার। আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, বোর্ডে পরিবর্তন এলে দলের পরিচালনায়ও বদল আসে। যে আসে, সেই ভাবে আমি যা করছি, পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য ভালোই করছি।‘

তার মেয়ে জামাই শাহিন আফ্রিদিকে নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড ভুল ধারণা পোষণ করছে বলেই মনে করেন তিনি। প্রথমত শাহিনকে অধিনায়কত্ব দেওয়া, এরপর এখন এভাবে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করাটা ভুল বলে মনে করেন শহীদ আফ্রিদি।

;