গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে ২২৩ জন নিয়োগ



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর

গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর

  • Font increase
  • Font Decrease

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের রাজস্ব খাতভুক্ত ১৯ পদে ২২৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে।

পদের নাম: জুনিয়র লাইব্রেরিয়ান
পদসংখ্যা: ১৩টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ গ্রন্থাগার বিজ্ঞান অথবা গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে ডিপ্লোমা। কোন সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতনস্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা

পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৭টি
যােগ্যতা: স্নাতক ডিগ্রি। বিজ্ঞান বিভাগের প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। ২ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিভাগীয় ডাটা এন্ট্রি/ কন্ট্রোল অপারেটরদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যােগ্যতা শিথিলযােগ্য।
বেতনস্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

পদের নাম: টেকনিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট (ক্যাটালগার)
পদসংখ্যা: ৩০টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ে ডিপ্লোমাসহ সরকারি বা আধা-সরকারি প্রতিষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতনস্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা

পদের নাম: রিডিং হল এ্যাসিসটেন্ট
পদসংখ্যা: ১টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স পাস।
বেতনস্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

পদের নাম: লাইব্রেরি এ্যাসিসটেন্ট (রিডিং হল এ্যাসিসটেন্ট)
পদসংখ্যা: ৩টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স পাস।
বেতনস্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

পদের নাম: পাঠকক্ষ সহকারী-কাম, রেফারেন্স সহকারী
পদসংখ্যা: ৪টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিসহ গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স পাস।
বেতনস্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা

পদের নাম: লাইব্রেরি এ্যাসিসটেন্ট
পদসংখ্যা: ৪টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে সার্টিফিকেট কোর্স পাস।
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: ডাটা এন্ট্রি অপারেটর
পদসংখ্যা: ৪২টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান হতে কম্পিউটার বিষয়ে ডিপ্লোমা ডিগ্রি/ সার্টিফিকেট কোর্সসম্পন্ন।
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: একাউন্টস এ্যাসিসট্যান্ট
পদসংখ্যা: ১টি
যােগ্যতা: বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি।
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ২টি
যােগ্যতা: স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ ও ইংরেজিতে ২৮ শব্দের গতিসম্পন্ন হতে হবে।
বেতনস্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা

পদের নাম: ডেসপ্যাচ রাইডার
পদসংখ্যা: ১টি
যােগ্যতা: এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মোটরসাইকেল ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ১ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।
বেতনস্কেল: ৮,৮০০-২১,৩১০ টাকা

পদের নাম: বুকসর্টার
পদসংখ্যা: ৩৩টি
যােগ্যতা: মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতনস্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা

পদের নাম: বুকসটার (অফিস সহায়ক)
পদসংখ্যা: ২টি
যােগ্যতা: মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতনস্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা

পদের নাম: বাইন্ডার
পদসংখ্যা: ৪টি
যােগ্যতা: মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। বই বাঁধাই কাজে ১ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

পদের নাম: অফিস সহায়ক
পদসংখ্যা: ২টি
যােগ্যতা: মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

পদের নাম: অফিস সহায়ক/ নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ১টি
যােগ্যতা: মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী
পদসংখ্যা: ৪১টি
যােগ্যতা: মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

পদের নাম: চেক পােস্ট এটেনড্যান্ট
পদসংখ্যা: ১৯টি
মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

পদের নাম: পরিচ্ছন্নতা কর্মী
পদসংখ্যা: ৩টি
যােগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস এবং সংশ্লিষ্ট কাজে বাস্তব অভিজ্ঞতা।
বেতনস্কেল: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে dpl.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১৫ অক্টোবর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। 

   

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলির ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৪৭৯৯৮১ জন

  • Font increase
  • Font Decrease

১৮তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধনের (এনটিআরসিএ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে স্কুল পর্যায়ে দুই লাখ ২১ হাজার ৬৫২ জন, স্কুল-২ পর্যায়ে ২৯ হাজার ৫১৬ জন এবং কলেজ পর্যায়ে দুই লাখ ২৮ হাজার ৬৮১৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। আর সর্বমোট উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছেন ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৮১ জন। পাসের গড় হার ৩৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। 

পরীক্ষার ফলাফল http://ntrca.teletalk.com.bd/result/ লিংকের মাধ্যমে জানা যাবে। এছাড়াও উত্তীর্ণদের মোবাইলে এসএমএস'র মাধ্যমেও ফলাফল জানিয়ে দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন এর স্কুল, স্কুল পর্যায়-২ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে দশটা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগের ২৪ জেলা শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

একই দিন বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ।

জানা যায়, ২ নভেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে প্রায় ১৯ লাখ চাকুরীপ্রার্থী আবেদন করেন।

;

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫৪৫৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

প্রাথমিকের দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৪৫৬ জন।

বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপের ২২ জেলায় (খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ) লিখিত পরীক্ষায় ২০ হাজার ৬৪৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। এসব প্রার্থী পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

প্রকাশিত ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.govt.bd এ পাওয়া যাবে। 

উল্লেখ্য, প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে এবারই প্রথম আবেদন ও নিয়োগ পরীক্ষা ধাপে ধাপে নেওয়া হচ্ছে। গুচ্ছভিত্তিক এ নিয়োগে তিন ধাপে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষাও আলাদাভাবে নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে।

;

দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে চাই সবসময় : আবির হাসান



ক্যারিয়ার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

আবির হাসান, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দরিদ্র কৃষক-গৃহিণী দম্পতির কোল আলো করে জন্ম নেন আবির হাসান। কে জানতো এই আবির হাসানই একদিন সেনাবাহিনীর অফিসার হয়ে এলাকার নাম উজ্জ্বল করবেন। এমনটাই করে দেখিয়েছেন পাবনার চাটমোহর এলাকার সন্তান আবির হাসান।

চাটমোহর এলাকার আবির হাসান ছিলেন ছোটবেলা থেকেই দুরন্ত। ইচ্ছে ছিল একদিন অনেক বড় হবেন, কিন্তু বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় দারিদ্রতা। তবে দারিদ্রতা যে সফলতার রাস্তার বাঁধা হতে পারে না, সেটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন আবির।

বাবার সঙ্গে লাঙ্গল নিয়ে মাঠে চাষ করেছেন আবার ঠিকই লেখাপড়াও করেছেন। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছেলে সে। তার মনের বাসনায় ছিল পরিবারের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন। পরিবারের সবার ছোট ছেলেটাই এখন আর্মি অফিসার।

যদিও প্রথমে সেনাবাহিনীতে চাকরি করার ইচ্ছে ছিল না তার, তবুও পরিবারের চাওয়ায় যুক্ত হোন সেনাবাহিনীতে। তার পর থেকে কঠোর পরিশ্রম আর মেধা সৃজন দিয়ে নিজেকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন আবির হাসান।

গ্রাম থেকে নবম শ্রেণি পাশ করে মনিপুর স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হোন, সেখান ভালো ফলাফল করে। গ্রাজুয়েশনের জন্য ভর্তি হোন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিউপি)। সেখান থেকে স্নাতক পাশ করেন। আমেরিকান কমান্ডো ট্রেনিংও করেছেন আবির।

দরিদ্র পরিবার থেকে বেড়ে উঠার কারণে দারিদ্রতা কাছ থেকেছেন আবির। তাই দরিদ্র মানুষের পাশে থাকেন সবসময় আবির। মানুষের দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হতে চেষ্টা করেন। যেমন তিনি নিয়েছেন নিজ পরিবারের দায়িত্ব, তেমনি গরীব পরিবারের দায়িত্বও নিজ হাতে নিয়েছেন তিনি।

আবির হাসান বলেন, দারিদ্রতাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। আল্লাহর রহমতে এখন আমি সফল। আমি দরিদ্র মানুষেরদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই।

আবির হাসান সবসময় নিজেকে একজন আর্দশবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তার প্রত্যাশা আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

;

গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাশের হার ৩৬.৩৩ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুষ্ঠিত গুচ্ছভুক্ত জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।

এ পরীক্ষায় পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের ফলাফল জানতে পারবেন।

রোববার (৫ মে) দুপুরে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের কাছে টেকনিক্যাল কমিটির পক্ষ থেকে ‘বি’ ইউনিটের ফলাফল তুলে দেওয়া হয়।

বিকেলে জিএসটি সমন্বিত ভর্তি কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর তা প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ সেশনে প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য এবছর ‘বি’ ইউনিটে ৯৪ হাজার ৬৩১ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করে। এর মধ্যে ৮৫ হাজার ৫৪৮ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৩১ হাজার ৮১ জন শিক্ষার্থী ৩০ নম্বরের উপরে পেয়ে ভর্তির ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করেছেন। যার হিসাবে পাসের হার ৩৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এছাড়া বিভিন্ন কারণে শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ তথা ২৩ জন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটের গতবার পাসের হার ছিল ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিক্ষার্থীরা আজ রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে জিএসটির ওয়েবসাইট (https://gstadmission.ac.bd/) থেকে ফলাফল জানতে পারবেন।

ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটে সর্বোচ্চ ৭৬ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রুকাইয়া ফেরদৌস লামিয়া। কৃতিত্বপূর্ণ এ শিক্ষার্থী ঢাকার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী।

এছাড়া ৭৫ নম্বরের উপরে ১ জন, ৭০ নম্বরের ওপরে ৭ জন, ৬৫ নম্বরের উপরে ৪৯ জন, ৬০ নম্বরের উপরে ২১৯ জন, ৫৫ নম্বরের উপরে ৭৮৩ জন, ৫০ নম্বরের উপরে ২৪২৫ জন, ৪৫ নম্বরের উপরে ৫৮৩০ জন, ৪০ নম্বরের উপরে ১১৬৪৬ জন, ৩৫ নম্বরের উপরে ২০১৩২ জন এবং ৩০ নম্বরের উপরে ৩১০৮৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ‘বি’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ হাজার ৫১৫টি আসন রয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ফলাফল প্রকাশের সময় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো তিনটি ইউনিটে জিএসটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩ মে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ যারা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরের সামরিক-বেসমারিক, আধা-সামরিক, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

ফলাফল প্রকাশের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসিম আখতার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের অধ্যাপক ড. কাজী সাইফুদ্দিন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান, টেকনিক্যাল উপ-কমিটির অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব প্রমুখ।

এদিকে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের আর্কিটেকচার (ড্রয়িং) পরীক্ষার ফলাফলও ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ড্রয়িং (ব্যবহারিক) পরীক্ষার মোট নম্বরের ৩০ শতাংশকে পাস হিসেবে বিবেচনা করে ৮৭৭ জনকে উত্তীর্ণ হিসেবে দেখানো হয়েছে। পাসকৃত শিক্ষার্থীরাও আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের আগেই জিএসটির ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের ফলাফল দেখতে পাবেন। গুচ্ছভুক্ত চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্কিটেকচারে ভর্তির জন্য মোট ১৬৫টি আসন রয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ১ ঘণ্টা পূর্বেই কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;