অসাধু বন্ড ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিজিএমইএ



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্ডেড লাইসেন্সের অপব্যবহার করে খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি হচ্ছে। হাতে নাতে ধরার পর অপরাধ স্বীকারও করেছে। এমন অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে দেশে ও বহির্বিশ্বে সমগ্র বন্ডেড ব্যবসায়ীদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

কিন্তু তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বরং অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যাতে জরিমানা কিংবা বন্ড লাইসেন্স বাতিল করতে না পারে সে জন্য বোর্ডের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

তারপরও এনবিআর ৬৬টি প্রতিষ্ঠানকে কর ফাঁকির অভিযোগে ৩২৪ কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার ৭২০ টাকা জরিমানা করেছে। এনবিআরের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম বন্ড কমিশনারেট এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ মিলে প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ডেড অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে।

পোশাক শিল্প রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপরীতে বন্ড সুবিধা অপব্যবহারের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিজিএমইএ-কে গত ১৯ আগস্ট চিঠি দিয়েছে কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট।

এতে বলা হয়, বন্ড লাইসেন্সপ্রাপ্ত পোশাক রফতানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাঁচামালের ব্যবহার সঠিক নিশ্চিতকল্পে প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ডে বিজিএমইএ’র সহযোগিতা কামনা করছি। এর প্রেক্ষিতে বিজিএমইএ কেবল প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছেন কার কি অবস্থা।

অবৈধভাবে বন্ডের ব্যবহারের দায়ে সবচেয়ে বেশি জরিমানা করা হয়েছে গাজীপুরের তুরাগের মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজকে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর প্রতিষ্ঠানটিকে ১২০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। মাসটেক্স অনৈতিক ব্যবসার কথা স্বীকার করে এনবিআরকে টাকাও পরিশোধ করেছে। একইভাবে আইম্যান টেক্সটাইলকে ৮৫ কোটি ১২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। প্রতিষ্ঠানটিও দোষ স্বীকার করে টাকা পরিশোধ করছে। 

এভাবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের টিম, পূর্ব রামপুরার আশিয়ানা গার্মেন্টস লিমিটেডকে ৩৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা, টঙ্গীর কেপরি এ্যাপারেলস লিমিটেডকে ৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা, খিলক্ষেত নামাপাড়ার নাফ ফ্যাশন লিমিটেডকে ৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা রামারবাগের মিশুয়ার হোসিয়ারী মিলসকে ১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা, চট্টগ্রামের চট্টশরী রোড, গাজী শাহ লেনের এ্যাপারেলস অপসনকে ৬৮ লাখ টাকা, চট্টগ্রামের লালপাড়ার ফ্যাশন ক্রিয়েট লিমিটেডকে এক কোটি ৪৬ লাখ টাকা, চট্টগ্রামের কালুরঘাটের ডিকে এ্যাপারেলস লিমিটেডকে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ক্যাসিওপিয়া সোয়েটারসকে ৮ লাখ টাকা এবং জেএবি লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সব মিলিয়ে ২৭৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানার টাকাও পরিশোধ করেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস: গাজীপুরের পূর্ববাগবাড়ীর এম এইচ এ্যাপারেলস লিমিটেডকে ৩৫ লাখ টাকা, গাজীপুরের কোনাবাড়ির এআরএইচ নীট কম্পোজিট লিমিটেডকে ১৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

একইভাবে টঙ্গীর ক্রস লাইন নীট ফেব্রিক্স লিমিটেডকে ৮ লাখ, আশুলিয়ার ডিজাইনার ফ্যাশনকে এক লাখ ৫০ হাজার, চট্টগ্রামের সরাইপাড়া গার্মেন্টস হোম (প্রা:) লিমিটেডকে দেড় লাখ, রাজধানীর মগবাজারের গ্রীন ওয়ার্ল্ড ফ্যাশনস লিমিটেডকে ১০ লাখ ৫০ হাজার, টঙ্গীর ভাদামের নিট বাজার (প্রা.) লিমিটেডকে ৫০ হাজার, গাজীপুরের ডেগেরচালার মেসার্স লেলফ ইনভেটিভ লিমিটেডকে ২ লাখ, গাজীপুরের মেসার্স স্প্যারো এ্যাপারেলকে ২ লাখ, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীর মেসার্স সুফী অ্যাপারেল লিমিটেডকে ৭৫ লাখ, ময়মনসিংহের ভালুকার মেসার্স সুপ্তি সোয়েটার লিমিটেডকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অপরাধ স্বীকার করে জরিমানা পরিশোধ করে মালামাল খালাস করে নিয়েছে। 

ঢাকা কাস্টম হাউস: মেরিনা এ্যাপারেলস লিমিটেড ও টিএন্ডজেড এ্যাপারেলসকে ২৫ হাজার করে ৫০ হাজার এবং ওসিস ফ্যাশন লিমিটেডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো জরিমানার টাকা পরিশোধ করে মালামাল খালাস করে নিয়েছে।

কাস্টম বন্ড কমিশনারেট ঢাকা, ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ১৬ হাজার ৩৭৬ টাকা জরিমানা করেছে।

এগুলো হচ্ছে-রাজধানীর দক্ষিণখানের নীপা নীট ওয়্যারস, সাভারের মেসার্স রেজা ফ্যাশন লিমিটেড, মোহাম্মদপুরের মেসার্স সেলিব্রেটি এক্সপোর্ট গার্মেন্টস ও মেসার্স সেলিব্রেটি এক্সপোর্ট গার্মেন্টস লিমিটেড, কচুক্ষেতের মেসার্স সিনটেক্স টেক্সটাইল, এস এ্যাপারেলস লিমিটেড, মিরপুরের মেসার্স কার্ডিয়াল ডিজাইন লিমিটেড, গাজীপুরের কুনিয়ার মেসার্স ট্রাউজার ওয়ার্ল্ড লিমিটেড, কাশিমপুরের মেসার্স ইউটা নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড।

এছাড়াও রয়েছে বটম গ্যালারী, মেসার্স আল ইসলাম টেক্সটাইল লিমিটেড, মেসার্স করতোয়া এ্যাপারেলস, মেসার্স কায়সার সানকো জেবিটেক্স, টিএনজেড এ্যাপারেলস, এপেক্স ল্যানজারিং, জেনোসিস ফ্যাশনস এবং লেভেন্ডার গার্মেন্টস লিমিটেড।

এর মধ্যে মেসার্স কার্ডিয়াল ডিজাইন ও মেসার্স সিনটেক্স টেক্সটাইল লিমিটেডের বন্ডেড অপব্যবহার খুঁজে পেয়েছে অডিট কমিটি। আর বাকি ১৪ প্রতিষ্ঠানের বন্ডেড অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন প্রিভেন্টিভ কার্যক্রম টিম। তাদের কাছে প্রতিষ্ঠানগুলো অপরাধ স্বীকার করে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৪ কোটি ৫ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৪ টাকা জরিমানা করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- চট্টগ্রামের টিকেএম গার্মেন্টস লিমিটেড, আদিল এ্যাপারেলস, ফোকাস এ্যাপারেল, মনটেক্স এ্যাপারেলস, আজমাইন ফ্যাশন, প্রিটি এ্যাপারেলস, সার্ক গার্মেন্টস, ফ্যাশন ক্রিয়েট এ্যাপারেলস, এক্সিয়ম ফ্যাশন, ওসেন এ্যাপারেলস, টিম এ্যাপারেলস, এ অ্যান্ড বি আউটওয়্যার, টিম এ্যাপারেলস, কর্ণফুলী ইপিজেডের হংকং ডেনিম, ভেনকট, বেসটেক এবং বিডি ডিজাইন লিমিটেড।

সার্বিক বিষয়ে বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, এনবিআর ও আমরা এক সঙ্গে কাজ করতে চাই। সব সেক্টরের কিছু অসাধু লোক থাকে। এই সেক্টরে ১-২ শতাংশ ব্যবসায়ী রয়েছে, যারা এই কাজ করছে। আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস পণ্য সম্পূর্ণভাবে রফতানিমুখী। সুতরাং দেশের কোন কারখানা নিয়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হলে ক্রেতারা অর্ডার বাতিল করে। দেশের উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই।

উল্লেখ্য,বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ এসব প্রতিষ্ঠানের সদস্য বাতিল করলে বন্ড লাইসেন্স সুবিধাসহ সরকারের বেশি কিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।

   

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে কমেছে উৎপাদন খরচ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। হার্ভেস্টার মেশিন ব্যবহারে উৎপাদন খরচও কমেছে। ফলে কৃষকের মুখে ফুটেছে সোনালি হাসি। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, শ্রমিক সংকট সহ নানা কারণে একসময় গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার কৃষকরা। 

সরকারি প্রণোদনায় কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে অর্ধেক খরচে কম সময়ে গম কাটা ও মাড়াই করতে পারায় গম চাষ বেড়েছে কুষ্টিয়ায়। 

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এবছর জেলায় ১২ হাজার ৭১৬ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী দৌলতপুর উপজেলায় চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে। 

মেশিনে প্রতি বিঘা জমির গম কাটা মাড়াইয়ে কৃষকের খরচ হচ্ছে মাত্র ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা; যা শ্রমিক দিয়ে গম কাটা ও মাড়াইয়ের মজুরির অর্ধেকেরও কম। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে।

প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে কৃষকের আয় হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। 

দৌলতপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চুয়ামল্লিকপাড়া গ্রামের কৃষক রানা হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভাল হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে গমের ফলন হচ্ছে গড়ে ১৮ মণ থেকে ২০ মণ হারে। 

কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিনে গম কাটা ও মাড়াইয়ে কৃষকের উৎপাদন খরচ কমেছে। ফলে কৃষকদের গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে। 

মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের খয়েপুর এলাকার কৃষক তিন কৃষক (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় দুই একর জমিতে বারি-৩০ গম আবাদ করেছেন। এতে করে গম আবাদে তুলনামূলকভাবে খরচ কম হওয়ায় এবং লাভ বেশি হওয়ায় আগামীতে আরও বেশি করে গমের আবাদ করবেন। 

মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মতিয়র রহমান জানান, ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার প্রোগ্রাম) এর আওতায় আমাদের উপজেলার আমলা ব্লকে আব্দুল হালিম, আব্দুস সাত্তার ও মোস্তফা কামাল তারা যৌথভাবে দুই একর জমিতে গমের আবাদ করেন। এতে আমরা সার বীজ প্রণোদনা করেছি। পাশাপাশি কৃষি অফিসের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে গম কাটা ও মাড়াই যন্ত্র প্রদান করেছি।’  

এদিকে সরকারি প্রণোদনায় পাওয়া কম্বাইন্ড হার্ভেস্টার মেশিন দিয়ে প্রতিদিন ১৫ বিঘা থেকে ২০ বিঘা জমির গম কাটা ও মাড়াই করছেন মেশিন মালিকরা। এতে তাদের উপার্জন বেড়েছে।

উন্নতজাত সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, প্রদর্শনী ও প্রণোদনা প্রদানসহ সবধরনের সুবিধা দেওয়ায় কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়েছেন এবং এ বছর গমের ফলন ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছেন দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধিতে দেশ হবে সমৃদ্ধ। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন কৃষকদের সবধরনের সুযোগ সুবিধার।

;

পায়ুপথে ৭০ লাখ টাকার সোনা, 'পাচারকারী' আটক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের সময় মনোরউদ্দিন নামে এক যুবককে ৭০ লাখ টাকা মুল্যের ৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক করেছে বিজিবি সদস্যরা। আটক পাচারকারী মনোরউদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ২১ ব্যাটালিয়নের বিজিবি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাত ১১ টার দিকে সীমান্তের পুটখালি মসজিদবাড়ী বিজিবি চেকপোষ্টের সামনে থেকে তাকে আটক করে বিজিবি। পরে তার স্বীকারোক্তিতে শরীরের পায়ু পথে লুকিয়ে স্বর্ণপাচারের কথা স্বীকার করলে এ স্বর্ণের বার উদ্ধার হয়।

বিজিবি জানান, গোঁপন একটি তথ্যের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন পাচারকারীরা স্বর্ণের একটি চালান ভারতে পাচার করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করে। এক পর্যায়ে রাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তি ইজিবাইক চালিয়ে সীমান্তের দিকে প্রবেশের সময় তাকে ধরা হয়। এ সময় তাকে আটক করে বেনাপোল বাজারে রজনী ক্লিনিকে শরীর স্ক্যানিং করে পায়ুপথে ছয় পিস সোনার বারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং তা উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭০০ গ্রাম। এবং যার মূল্য আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার সোনাসহ এক পাচারকারী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্ধার সোনার চালানটি যশোর ট্রেজারিতে এবং আসামিকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

;

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান মাস ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ কমিটি।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে রাজধানী গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করেই আজকের এই আয়োজন। আমাদের মানবিক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা অসহায় মানুষদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার পৌঁছে দিচ্ছি।

ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

;

গাজীপুরে চোর সন্দেহে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মনির উদ্দিনের ছেলে মো. চান মিয়ার বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। পরে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়।

অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানখেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধান খেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরি রোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহাড়া বসিয়েছিলেন। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন। গ্রামবাসী গরুর চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়বাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে একজনসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আরো চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

এবিষয়ে জানতে কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

;