আক্রমণাত্মক ক্রিকেটেই সমাধান দেখছেন মোসাদ্দেক
তার ওপর অধিনায়কের আস্থা অনেক। চট্টগ্রাম টেস্ট চলার সময়ে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জানিয়ে দেন-আফগানিস্তানের স্পিন দক্ষতার সঙ্গে সামাল দিতে পারছে যে ক’জন, তার মধ্যে ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেকই সেরা।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেই দক্ষতার জন্যই দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়ে বিশাল প্রমোশন হয় মোসাদ্দেক হোসেনের। এক লাফে একেবারে ওয়ান ডাউন পজিশনে। সাকিব নাকি তাকে সেই ইনিংসে একেবারে ওপেন করানোর কথাও চিন্তা করেছিলেন! দ্বিতীয় ইনিংসে মোসাদ্দেক অবশ্য খুবই বাজে ভঙ্গিতে আউট হন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দলের জয়ে বড় ভুমিকা রাখে মোসাদ্দেকের ব্যাট। ২৪ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন তিনি।
চট্টগ্রাম পর্বের তিনজাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচেও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন অধিনায়কের বাজির ঘোড়া। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল অনুশীলনে অংশ নেয়। অনুশীলন পর্বে ব্যাটে-বলে বাকিদের সঙ্গে মোসাদ্দেকও বেশ ভালই ঘাম ঝরালেন।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ম্যাচে বাংলাদেশের হিসেবটা পরিস্কার-এই ম্যাচ জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত। আর তাই জেতার জন্য ছকও বাংলাদেশ সাজিয়েছে আক্রমণাত্মক কৌশল নিয়েই। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ জিতেছিল ৩ উইকেটে। তাও আবার একেবারে শেষ ওভারে এসে। সেই ম্যাচে দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছিলেন। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে ম্যাচ জেতার জন্য আক্রমণাত্মক ক্রিকেটের বিকল্প দেখছেন না মোসাদ্দেক-‘আমাদের একটা মোমেন্টাম জরুরি। একটা ম্যাচ জেতা আসলে দরকার। এখন পর্যন্ত একটা ম্যাচ জিতেছি। আরেকটা হেরে গেছি। তাই পরের ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জেতার জন্য আমরা শতভাগ আক্রমনাত্মক ক্রিকেটই খেলবো।’
চলতি সিরিজে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম আত্মবিশ্বাসহীনতা। বিশেষ করে আফগানিস্তানের স্পিনের বিপক্ষে ব্যাটসম্যানরা যেভাবে কাঁপাকাঁপি করছেন, এলোমেলো শটস খেলছেন, তা দেখে পুরো ড্রেসিংরুমেই আতঙ্ক ভর করেছে যেন!
এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসার উপায় কি?
মোসাদ্দেকের প্রেসক্রিপশনটা এমন-‘যখন রান মিলবে না তখন ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাস দুর্বল হয়ে হয়ে পড়ে এটাই স্বাভাবিক। আসলে আমরা আফগানিস্তানের কাছে ম্যাচটা হেরেছি হয়তো ২০ রানের (২৫) মতো ব্যবধানে। আত্মবিশ্বাস নিচু থাকার পরও যদি আমরা মাত্র ২০ রানে হারির তাহলে আমরা যদি আরেকটু পরিকল্পনামাফিক ব্যাটিং বা আরেকটু ক্যালকুলেশন করে খেলতে পারি তাহলে সেটা অবশ্য আমাদের জন্য ভালো হবে।’
সমস্যা হলো ক্যালকুলেশন করার সময়ই যে নিতে পারছেন না ব্যাটসম্যানরা। তার আগেই আউট!
দলের সাম্প্রতিক ব্যাটিং সঙ্কটকে খুব বড় কোনো সমস্যা হিসেবে দেখছেন না মোসাদ্দেক। জানালেন-‘আমাদের এক্সিকিউশন সবগুলোই মোটামুটি ঠিক আছে। কিছু কিছু জায়গায় হয়তো একটু ঘাটতি রয়ে গেছে। এই কারণে ছোট ছোট গ্যাপ তৈরি হচ্ছে, অল্প রানে আমরা ম্যাচ হেরেছি। এই ফাঁক ফোঁকড় গুলো যত কমিয়ে আনা যায় ততই আমাদের জন্য ভাল।’
সমস্যা হলো সময় খুবই কম। এরই মধ্যে ফাঁক ফোকড় কমিয়ে আনতে হবে। ফাইনালে খেলতে হলে ম্যাচ জিততে হবে।