কোন পথে হাঁটবেন বিমানের এমডি মোকাব্বির?



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোকাব্বির হোসেন/ছবি: সুমন শেখ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোকাব্বির হোসেন/ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

গত রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও হিসেবে যোগ দিয়েছেন মোকাব্বির হোসেন। তিনি সরকারের অতিরিক্ত সচিব।

বর্তমান দায়িত্ব নেওয়ার আগে মোকাব্বির হোসেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

২০০৭ সালে বিমান করপোরেশন থেকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে (পিএলসি) রূপান্তরের আগে দেশের আমলারাই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সাধারণত সরকারের একজন যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাই এ পদে নিয়োগ পেতেন- এটাই ছিল দীর্ঘদিনের রেওয়াজ। ২০০৭ সালে সর্বশেষ এমডি হিসেবে যুগ্ম সচিব ড. এমএ মোমেন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রশাসক নিয়োগের ক্ষেত্রে ভালোভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালিয়েছিলেন। কিন্তু বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করতে পারেননি। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ালাইন্স বিমানের যাত্রা শুরু হয়। তখন থেকে সরকারের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাই এয়ারলাইন্স প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিমান একটি লোকসানি সংস্থার খাতায় নাম লিখিয়েছে। বিমানের লোকসান নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে অজস্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। একপর্যায়ে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠানটিকে লোকসানের চক্র থেকে বের করতে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করাও ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য। যদিও এর শতভাগ মালিকানা সরকারের হাতেই রাখা হয়। একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বাণিজ্যিকভাবে পরিচালনা করাই ছিল এর উদ্দেশ্য। আর এজন্যই এ খাতে কাজ করা অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দেওয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী যাত্রাও শুরু করে বিমান। ২০১৩ সালে এজন্য ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও ইতিহাদ এয়ারওয়েজসহ স্বনামধন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে কাজ করা ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞ কেভিন স্টিলকে নিয়োগ দেওয়া হয় বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে। তিনিই ছিলেন প্রথম বিদেশি ব্যবস্থাপনা পরিচালক। নিয়োগ পেয়ে তিনি সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন সময় মতো ফ্লাইট ছাড়ার ওপর এবং অন টাইম ফ্লাইট ডিপার্চার প্রায় ৭০ শতাংশে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বিমানের মতো প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ আমলাতান্ত্রিক চেহারা মাত্র দুই বছরের মধ্যে বদলে ফেলা সম্ভব নয়। তাছাড়া তিনি যেসব জায়গায় হাত দিতে চেয়েছিলেন, তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের থেকে আসে নানা বাধা। আর তাই দুই বছরের মেয়াদে নিয়োগ হলেও মাত্র এক বছরের মধ্যেই তাকে বিদায় নিতে হয়। এরপর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ও এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্সের মতো খ্যাতনামা এয়ারলাইন্সে কাজ করা কাইল হেউডকে এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনিও এক বছরের মধ্যে বিমান থেকে বিদায় নেন। এরপর আবার দেশীয় লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়। একপর্যায়ে সর্বশেষ সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মোসাদ্দেক আহমেদের বিরুদ্ধে পাইলট নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিমানের পরিচালনা পর্ষদ তাকে সরিয়ে দেয়।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন মূলধন সংকটে রয়েছে। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির মূলধনের চেয়ে ঋণ কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় তার ঋণ নেওয়ার যোগ্যতাও হারিয়েছে। মূলত মূলধনের চেয়ে ঋণ বেশি হওয়ার কারণেই এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এক হিসেব থেকে দেখা গেছে, বিগত ১০ বছরে বিমান ছয় বছরই লোকসান দিয়েছে। এ সময়কালে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। বারবার লোকসানের ফলে প্রতিষ্ঠানটি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। টাকার অঙ্কে তা এক হাজার ৪৫৬ কোটি টাকা। আর তিন বছরে লাভের পরিমাণ ৫৫৯ কোটি টাকা। লাভ থেকে লোকসান বিয়োগ করলে এ সময়কালে লোকসানের পরিমাণ ৯০০ কোটি টাকা।

লোকসানের বাইরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) বিমানের দেনার পরিমাণ ২৫০০ কোটি টাকার ওপরে। লোকসান ও দেনার কারণে প্রতিষ্ঠানটি মূলধন সংকটে আবর্তিত। অবশ্য সর্বশেষ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে পাওনা হিসেবে ৫৩ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।

২০১৭-১৮ অর্থ বছরেই বিমান লোকসান দিয়েছে ২০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। ওই অর্থ বছরে বিমানের আয় ছিল ৪ হাজার ৯৩১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা আর ব্যয় ছিল ৫ হাজার ১৩৩ কোটি ১১ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৪৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ২৩৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও ২০১৪-১৫ সালে ২৭৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা লাভ করে বিমান।

২০১০-১১ অর্থ বছরে ২২৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ২০১১-১২ অর্থ বছরে ৯৪ কোটি ২১ লাখ টাকা এবং ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ১৯১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে বিমান।

সামনে লোকসানের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসাই এখন বিমানের বড় চ্যালেঞ্জ। বিমানের বর্তমান এমডি মোকাব্বির হোসেন কি লোকসানের চক্র থেকে বের হতে পারবেন? আমলারা ব্যর্থ হওয়াতেই ২০০৭ সালে বিমানকে পিএলসি করা হয় এবং বাণিজ্যক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদেরই এ পদে নিয়োগ দেওয়া শুরু হয়। ৩৫ বছর ধরে আমলারা যে প্রতিষ্ঠানটিকে চালাতে পারেননি, এটি নতুন করে বলার কিছু নেই। তারা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বলেই মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে এটিকে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি করা হয়।

এখন প্রশ্ন, আবার কি বিমান সেই পুরনো পথেই হাঁটবে? প্রতিষ্ঠানের সিইও হিসেবে যোগদানের চার দিনের মাথায় গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের সভা কক্ষে তিনি প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। ওই সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ সংগ্রহের সুযোগ হয়েছিল। সেখানে তাকে দেখে টিপিক্যাল একজন আমলাই মনে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিমানের চতুর্থ বোয়িং উড়োজাহাজ উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন, আরো দু’টি বোয়িং কেনার সুযোগ এসেছে আমাদের সামনে। এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কথার বাইরে একটি কথাও বলেননি। বিমানের বর্তমান ডিজিএম পিআর তাহেরা খন্দকারের বিরুদ্ধে সহযোগিতামূলক আচরণ না করার যে অভিযোগ, সে বিষয়ে সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলেও এমডি বারবার পেছনের তিক্ততা ফেলে সামনের দিকে তাকানোর কথা বলেন।

সত্যি বলতে একজন আমলা হিসেবে একজন যতটা দক্ষতার পরিচয়ই দেন না কেন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান চালাতে সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞ লোকের কোনো বিকল্প নেই। যদি আমলা দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে তা লাভজনক সংস্থায় পরিণত করা যেত, তাহলে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল ফোন অপারেটর টেলিটক, বাংলাদেশ টেলিকমিউনেকশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), টেলিফোন শিল্প সংস্থাসহ (টেশিস) আরো যেসব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তা যুগ যুগ ধরে লোকসানি না হয়ে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতো। এখন দেখার বিষয় বর্তমান এমডি একজন আমলা হয়ে তার পুরনো সহকর্মীদের দেখানো পথে হাঁটবেন নাকি টিপিক্যাল আমলাতন্ত্রের খোলস থেকে বের হয়ে বিমানকে তিনি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার পথে হাঁটতে পারবেন।

   

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঋতু সুলতানা (১৫) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. ইসমাইলের মেয়ে। সে স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসির ফলপ্রত্যাশী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেন- ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক মনির হোসাইন।

এর আগে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা ইসমাইল জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক ধারণা করেন- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর সংবাদে তার সহপাঠী, শিক্ষকবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান। কোনোভাবেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৩৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০৮ পিস ইয়াবা, ৮৬ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ৮০ পুরিয়া গাঁজা, ৭৪ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন, ৮২ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি। এদিকে ষোলতম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকার অবস্থান ১৬।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৪৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো সিটি, ১৭৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬০ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার শহর মিদান। এছাড়া চীনের বেইজিং ১৫৯ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৩৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষোলতম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

;