অভিমান করে নাতিকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায় দিলারা জামান। কিন্তু এই বের হওয়াটাই দাদী-নাতির জীবনে এক বিপদ ডেকে নিয়ে আসে। কিছু নির্বোধ জনতা ভুল বুঝে দিলারা জামানকে ছেলেধরা সন্দেহে আহত করে। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিশেষ টেলিফিল্ম ‘ছেলেধরা’।
আদিত্য জনি নির্মিত বিশেষ এ টেলিফিল্মে আরও অভিনয় করেছেন আহসান হাবিব নাসিম, মাইমুনা ফেরদৌস মম প্রমুখ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচার হবে টেলিফিল্মটি।
ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর মাঝে দ্বন্দ্ব যেন থামছেই না! সুযোগ পেলেই একে অন্যকে খোঁচা মারতে ভোলেন না দুজন। এর আগেও একাধিকবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন দেশের শীর্ষ দুই নায়িকা। এবার আরেকটি ইঙ্গিতমূলক পোস্ট করে আলোচনায় অপু বিশ্বাস।
গত ২০ নভেম্বর ছিল বুবলীর জন্মদিন। দিনটিতে পরিবারের মানুষদের নিয়েই ঘরোয়া পরিবেশে কেক কেটেছেন তিনি। সেই মুহূর্ত তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। যেখানে ভালোবাসা জানিয়েছেন ভক্তরা। তবে বুবলীর জন্মদিনের তিন দিন পর রবিবার (২৪ নভেম্বর) অপু বিশ্বাস ফেসবুকে লেখেন, ‘লেট পোস্ট। হ্যাপি টয়লেট ডে, ২০ নভেম্বর।’ সঙ্গে একটি অট্টহাসির ইমোজি জুড়ে দেন তিনি।
সরাসরি কিছু না বললেও পরোক্ষভাবে বুবলীর জন্মদিন নিয়েই ঠাট্টা করেছেন এই নায়িকা, এমনটাই ভাবছেন নেটিজেনরা। যদিও আইডিটি অপুর ভেরিফায়েড আইডি নয়।
তবে বিষয়টি ভালোভাবে নেননি নায়িকার ভক্তরাও। সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা চলছে। অপুকে উদ্দেশ করে অনেকে লিখেছেন, বুবলীকে নিয়ে আপনার হিংসা কমছে না। কারো মন্তব্য, আপনাদের কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করুন। এমন কিছু পোস্ট দেখা গেছে নেটিজেনদের।
এর আগে, ২০২২ সালেও বুবলীর জন্মদিনে খোঁচা দিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। ওই বছর বুবলী গণমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, জন্মদিন উপলক্ষে শাকিব খানের কাছ থেকে ডায়মন্ডের নাকফুল উপহার পেয়েছেন তিনি। সেই খবর ফেসবুকে শেয়ার করে অনেকগুলো হাসির ইমোজি দিয়ে অপু লিখেছিলেন, ‘কী যে মজা’! চুপ থাকেননি বুবলীও। দুজনে জড়িয়ে পড়েন ভার্চুয়াল যুদ্ধে। একজন অন্যজনকে নিয়ে নানা রকম কটু মন্তব্যও করেন। এ ছাড়া শাকিব খান প্রসঙ্গেও প্রায়ই তর্কযুদ্ধে জড়াতে দেখা গেছে দুই নায়িকাকে।
এবারই প্রথম নয়, মানুষের অধিকার তো বটেই, অবলা প্রাণীর অধিকার নিয়েও বরাবরই সচেতন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। তার ফেসবুক ঘুরলে মানুষের সঙ্গে যতো ছবি পাওয়া যাবে, ঠিক ততোই পাওয়া যাবে কুকুর, বেড়ালসহ নানা পশু পাখির সঙ্গে ছবি। তিনি এসব প্রাণীর জন্য নানা ধরনের কাজও করেন।
ফলে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের অভিজাত আবাসিক এলাকা জাপান গার্ডেন সিটিতে বিষ প্রয়োগে কুকুর হত্যার ঘটনায় দারুণভাবে ভেঙে পড়েছেন নওশাবা। প্রথমে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর তিনি জনমত গড়ে তুলতে একাধিক পোস্টও করেন। আর আজ জানালেন, এই ঘটনার তদন্তের স্বার্থ নিয়ে তিনি থানায় জিডি পর্যন্ত করলেন।
গতকাল ২৩ নভেম্বর ‘পিপল ফর এনিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’-এর পক্ষে এর সমন্বয়ক অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ রাজধানীর আদাবর থানায় জিডি করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই অভিনেত্রী নিজেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জিডির কপির একটি ছবি প্রকাশ করেছেন নওশাবা। যার ক্যাপশনে সবাইকে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জিডির আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা আপনার থানার অন্তর্গত জাপান গার্ডেন সিটিতে বসবাসকারী ও বাংলাদেশের প্রাণী অধিকারকর্মীরা জানতে পারি যে, জাপান গার্ডেন সিটিতে আবাসিক এলাকায় বিষ প্রয়োগে ১০টি পথ কুকুর ও ১টি বিড়াল হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে এমন কিছু হলে আমরা মানববন্ধন করি, বিচার চাই। কিন্তু পশু-পাখিরা তো বোবা প্রাণী। ওদের কোনো সমস্যা হলে ওরা নিজেদের জন্য কিছু করতে পারে না। সে জায়গা থেকে আমরা দায়িত্ববান যারা আছি, তাদের উচিত এসব নিষ্ঠুরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে করছি। আশা করছি সাধারণ সচেতন নাগরিক যারা আছেন তারাও এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করবে এবং মানুষের মতো ওদের যে একটা বাঁচার নিশ্চয়তা সেটা নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে আমরা জিডি করেছি। পরবর্তীতে যদি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে আমরা মামলার দিকে যাব।’
জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর। ফলে এসব প্রাণীর দ্বারা প্রায়ই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুকুর নিয়ে অভিযোগ এনে পোস্ট করেছেন অনেকেই। এতে দেখা যায়, সেখানকার শিশুদের কুকুর কামড়েছে বলে অভিযোগ আনা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরেই জাপান গার্ডেন সিটিবাসীর পক্ষ থেকে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। তারই বাস্তবায়ন হয় শুক্রবার দিবাগত রাতে। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও দেশের প্রখ্যাত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার মন্ত্রণালয়ের কাজের আপডেট নিয়মিত দিচ্ছেন ফেসবুকের মাধ্যমে।
তারই ধারাবাহিকতায় একটু আগেই তিনি একটি পোস্ট দিয়েছেন। তিনজন তরুণের ছবি পোস্ট করে ফারুকী জানিয়েছেন তাদেরকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
সেই তিন তরুণ হলেন লেখক এবং শিক্ষক সুমন রহমান, পরিচালক-প্রযোজক তানিম নুর ও আদনান আল রাজীব। ফারুকী তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘লেখক এবং শিক্ষক সুমন রহমান, পরিচালক-প্রযোজক তানিম নুর এবং আদনান আল রাজীবকে এক্সটারনাল এক্সপার্ট হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে একটা সার্চ কমিটি করা হয়েছে আজকে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাফরিজা শ্যামা এই কমিটির সভাপতি হিসাবে থাকছেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আপনারা জানেন আমাদের সাতটা প্রায়োরিটি প্রোগ্রামের একটা “রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলুশন”। এর একটা উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে ৮ বিভাগ জুড়ে প্রোডাকশন ওরিয়েন্টেড ফিল্মমেকিং ওয়ার্কশপ করা। যে ওয়ার্কশপগুলোর লক্ষ্য দুইটা-
১. প্রতি বিভাগে দশ জন করে প্রতিশ্রুতিশীল ফিল্মমেকারকে হাতে কলমে কাজ শেখানো। এই ওয়ার্কশপ পরিচালনা করবেন আটজন ফিল্মমেকার।
২. এই আট ফিল্মমেকার একই সাথে একটা করে ৪০ মিনিট দৈর্ঘের ছবি বানাবেন যে ছবিগুলো জুলাই মাসে রিমেম্বারিং মুনসুন রেভুলেশন ফেস্টিভ্যাল উপলক্ষ্যে দেখানো হবে। পরবর্তীতে টেলিভিশন এবং অনলাইনেও দেখানো হবে এগুলো। এই ছবিগুলোতে সহকারী পরিচালক হিসাবে হাতেকলমে কাজ শেখার সুযোগ পাবেন ওয়ার্কশপে অংশগ্রহনকারীরা।
এই আটটা ওয়ার্কশপ কারা নিবেন এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্টগুলো কারা বানাবেন এটা নির্বাচন করার জন্য সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে। আট বিভাগের ভাই-বোনেরা, চোখ রাখুন ওয়ার্কশপের ঘোষণার জন্য। তার আগে চোখ রাখুন আপনার বিভাগে কে আসছেন জানতে। আশা করি সার্চ কমিটি দ্রুত বসে নির্বাচন সম্পন্ন করবেন।’
সবশেষে উপদেষ্টা লেখেন, ‘আমি তাকিয়ে আছি আজ থেকে পাঁচ বছর পরে যেন এটা শুনতে পাই কোন একজন ফিল্ম মেকার হয়তো এসে আমার সঙ্গে দেখা করে বলবেন- ভাই, আমি একটা ছবি বানিয়েছি। আপনারা যে একটা ওয়ার্কশপ করেছিলেন অমুক বিভাগে, আমি ওইটাতে পারটিসিপেট করেছিলাম। আমি বিশ্বাস করি যে ৮০ জন ওয়ার্কশপ পার্টিসিপেন্টকে নিয়ে ৮জন ফিল্মমেকার ওয়ার্কশপ করবেন, এই ৮০ জনের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন নিজেরা ফিল্মমেকার হয়ে দাঁড়াবেন। এই আগুনটাই আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই। পাশাপাশি এটাও চাই ৮ জন ফিল্মেকার যে ৮ টা ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট বানাবেন সেই কন্টেন্টগুলো যেনো দেশে এবং দেশের বাইরে আমাদের সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবে বিবেচিত হয়। সবাইকে ধন্যবাদ। অনওয়ার্ডস এন্ড আপওয়ার্ডস।’
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর গানের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয়। জনগণের দাবি দাওয়া নিয়ে প্রায়ই কথা বলেন তিনি। সম্প্রতি এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন তিনি। যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে কুমিল্লা জেলা নিয়ে বিভিন্ন সংস্কারের দাবি জানানো হয়েছে, করা হয়েছে কিছু প্রশ্ন। সরকারের কাছে তার করা প্রশ্নের জবাব চেয়েছেন গায়ক আসিফ আকবর।
আসিফ আকবর কী বলেছেন সেই পোস্টে, পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘মিডিয়ায় বলেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের একশ দিন পূর্ণ না হলে আলোচনা-সমালোচনায় যাবে না। নতুন সরকারকে একশ দিন সময় দেয়া এক ধরনের সৌজন্যতা। আমার তরফ থেকে সৌজন্যতা শেষ, এখন থেকে ভাল-মন্দ লিখতে হবে, পুরোনো অভ্যাস। শুরু করতে চাই আমার জেলা কুমিল্লা নিয়ে। আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ দুজনই কুমিল্লার সন্তান, দুজনেই সরকারের প্রভাবশালী সভাসদ, আপনাদের অভিনন্দন।
১. এই মওসুমে বিপিএল ক্রিকেটে কুমিল্লা নেই কেন! এই প্রশ্নের উত্তর তিন নম্বর আসিফ, অর্থাৎ আমার কাছে জানতে চায়, আমি নিজেও জানতে চাই। আসিফ মাহমুদ আপনি এই সহজ ব্যাখ্যাটা দিয়ে দিন প্লিজ।
২. কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি এখনো কেন দেয়া হয়নি! কেন এখনো অনিশ্চয়তা! মূল কমিটি তাহলে কবে হবে? খেলাধুলার ইয়ার ক্যালেন্ডার কীভাবে হবে? এদিকে লোকাল খেলাধুলা বন্ধ হয়ে আছে!
৩. ঢাকার ফুটবল টিমকে কুমিল্লা স্টেডিয়াম বরাদ্দ দেওয়ার কারণ কী! তারা হোমগ্রাউন্ড বানিয়ে খেলবে আর কুমিল্লার খেলোয়াড়রা থাকবে মাঠের বাইরে, এটা কোন ধরনের যুক্তি! ক্রিকেট মওসুম শুরু হয়ে গেছে, অথচ মাঠ দখল করেছে ঢাকার ক্লাব ফুটবল দল! কুমিল্লার খেলোয়াড় সৃষ্টিতে মহা প্রতিবন্ধক এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত কেন!
৪. পতিত স্বৈরাচার হাসিনা কুমিল্লা বিভাগ নিয়ে কলোরেক্টাল (Colorectal) অ্যালার্জিতে ভুগে শেষমেশ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো। আপনারা এবার কাইন্ডলি কুমিল্লাবাসীকে জানান, কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নে বাঁধা কোথায়! অগ্রগতি কতদূর!
৫. কুমিল্লা, ফেনী, চাঁদপুর নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, এই ছয় জেলায় প্রবাসী আধিক্য বেশি। কুমিল্লা এয়ারপোর্ট পুনরায় চালু করার দাবি বহু আগে থেকেই সরব, আপনাদের পদক্ষেপ কী জানতে চাই।
আসলে স্বাধীনতার পরে কুমিল্লা জেলাবাসী বিরাট বিরাট নেতা মন্ত্রী পেয়ে শুধু তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছে, মেডিক্যাল কলেজ আর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কুমিল্লাবাসীর পক্ষ থেকে করা এই জরুরি প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।