হংকংয়ে পার্লামেন্ট ভবন ভাঙচুর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিক্ষভকারীরা মধ্যরাতে পার্লামেন্টে ভাঙচুর করে,  ছবি: সংগৃহীত

বিক্ষভকারীরা মধ্যরাতে পার্লামেন্টে ভাঙচুর করে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হংকংয়ে চীনা শাসনের ২২তম বর্ষপূর্তিতে বিক্ষোভকারীদের একটা দল হংকংয়ের পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর ও হামলা চালায়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, সোমবার (১ জুলাই) দিবাগত রাতে ১২টার পর এই ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ছুঁড়েন।

 হংকং বিক্ষোভ
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্টের দেয়ালে স্প্রে দিয়ে লিখে,  ছবি: সংগৃহীত

 

হংকংয়ের পুলিশ কমিশনার লো ওয়াই-চুং বলেন, সহিংসতার ঘটনায় ১৩ পুলিশ অফিসার আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, হংকং একটি নিরাপদ শহর। এখানে এই ধরণের সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়।

এদিকে, হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যাম মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানান। সহিংসতায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেন তিনি।

 হংকং বিক্ষোভ
 সহিংসতার সময় পুলিশের অনস্থান,  ছবি: সংগৃহীত

 

তিনি আরও বলেন, আমরা দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃশ্য দেখেছি, একটি শান্তিপূর্ণ ও যুক্তিসঙ্গত এবং অন্যটি হতাশা জনক ও হুমকি স্বরূপ।

‘হংকংয়ে আইনের শাসন ছাড়া কোন কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয়’ বলে তিনি উল্লেখ করে।

আরও পড়ুন,

হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

গণবিক্ষোভের মুখে হংকংয়ে সরকারি দফতর বন্ধ ঘোষণা

চীনের প্রত্যর্পণ বিলের প্রতিবাদে নতুন ‘আমব্রেলা মুভমেন্ট’

 

 

   

ইরানি হামলা প্রতিরোধে ইসরায়েলের ব্যয় ১৩৫ কোটি ডলার 



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি ইসরায়েলে সংগঠিত ইরানি হামলার ঘটনায় শত শত ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা প্রতিরোধ করতে দেশটিকে ব্যয় করতে হয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি ডলার। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ মাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

দৈনিক ইয়েদিওথ আহরনোথ ব্রিগেডিয়ার মো. ইসরায়েলি চিফ অব স্টাফের সাবেক আর্থিক উপদেষ্টা জেনারেল রাম আমিনাচ এই প্রসঙ্গে বলেন, শনিবার রাতে ১৩৫ কোটি ডলার প্রতিরক্ষা ব্যয় গুনতে হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘অ্যারো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে একটি ইরানি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকাতে প্রায় ৩৫ লাখ ডলার গুনতে হয়। যেখানে একটি ‘ম্যাজিক ওয়ান্ড’ ক্ষেপণাস্ত্রের দামও ১০ লাখ ডলার। এছাড়া ইরানি ড্রোনগুলো আটকাতে বিভিন্ন ধরনের ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। সেসব খরচ বাদ দিয়েই শুধু ইরানি হামলা মোকাবিলায় এই অর্থ খরচ হয়েছে।’

তেল আবিবের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের একজন সিনিয়র গবেষক ইহোশুয়া ক্যালিস্কি বলেন, শনিবার ইসরায়েলের ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ব্যারেজ আটকানোর খরচ আনুমানিক ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইসরায়েলি শেকেল বা ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। ডেভিড'স স্লিং এয়ার ব্যবহারসহ ইরানের অর্ধেক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন আটকানোর সাথে সম্পর্কিত ব্যয়কে বিবেচনা করে তিনি এই  অনুমান করেন। এতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, এবং জ্বালানি ও অস্ত্রসহ ১০০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানকে ছয় ঘণ্টা বাতাসে রাখার খরচও বিবেচনা করা হয়েছে।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

কালিস্কি বলেন, এই হামলার ব্যয় ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের খরচের সাথে তুলনীয়। তবে শনিবারের ইরানি হামলা প্রতিরোধের এই খরচ ইসরায়েলের অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে না।

এর আগে রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র দানিয়েল হাগারির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিল, ইরান থেকে ইসরায়েলে প্রায় ৩৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা করা হয়েছিল, যার বেশিরভাগই আকাশেই নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

তিনি নিশ্চিত করেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিয়ারশেবারের নেভাতিম বিমানঘাঁটিতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ৯৯ শতাংশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে।

দানিয়েল হাগারি আরও বলেন, ‘৩০টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে ২৫টি ধ্বংস করা হয়েছে এবং ১২০ টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র কয়েকটি ইসরায়েলের আকাশে প্রবেশ করতে পেরেছে। সেসব নেভাতিম বিমান ঘাঁটিতে পড়েছে।’ 

হাগারি উল্লেখ করেছেন, ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর সক্ষমতা ধ্বংস করতে ইরানের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং নেভাতিম ঘাঁটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শনিবার রাতে ইরানের পাশাপাশি লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের ভূখণ্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে।

 

;

ভারতে ফ্লাইওভার থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেল বাস, নিহত ৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফ্লাইওভার থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস নিচে পড়ে গেছে। এতে পাঁচ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে প্রায় ৪০ জন। নিহতদের মধ্যে চারজন পুরুষ এবং একজন নারী রয়েছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে পুরী থেকে কলকাতা আসার পথে জাজপুর জেলার বারবাতীর কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। জাতীয় সড়ক-১৬ ওপরে একটি ফ্লাইওভারে ওঠার সময় বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি নিচে পড়ে যায়।

বাসটিতে ৫০ জনেরও মতো যাত্রী ছিলেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। খবর পেয়েই পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর একটি দল বারবাটি সেতুর কাছে পৌঁছে উদ্ধারের কাজ শুরু করে। আহতদের ১০টি অ্যাম্বুলেন্সে স্থানীয় ধর্মশালা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহতদের পাঠানো হয়েছে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

;

ইরানের হামলার জবাবে ইসরায়েলের ৩ বিকল্প



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের এই প্রত্যক্ষ হামলার জবাবে ইসরায়েলের যুদ্ধ-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ৩ ধরনের বিকল্প উপায় গ্রহণ করতে পারবে বলে মনে করেন বিবিসির ফ্র্যাঙ্ক গার্ডনার। বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে তিনি এই উপায়গুলো জানিয়েছেন।

প্রথমত, ইসরায়েল একটি ‘স্ট্র্যাটেজিক পেশেন্স’ বা কৌশলগত ধৈর্য প্রদর্শনের রাস্তায় হাঁটতে পারে। অর্থাৎ সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো পাল্টা হামলা না চালিয়ে তারা ওই অঞ্চলে ইরানের যেসব শরিকরা আছে তাদের ওপর অভিযান চালিয়ে যাবে। এর মধ্যে আছে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী, সিরিয়াতে অবস্থিত ইরানের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ কেন্দ্রসমূহ।

দ্বিতীয়ত, ইরান যে ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরাইলও দূর পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা ঠিক সেই ধরনের হামলা চালাতে পারে। এসব হামলার নির্দিষ্ট লক্ষ্য হবে ইরানের সেই ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটিগুলো। তবে ইসরাইল যদি এই অপশনটা বেছে নেয়, তাহলে ইরান সেটাকেও ‘এসক্যালেশন’ বা যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা হিসেবেই দেখবে। কারণ বহু বছরের বৈরিতা সত্ত্বেও ইসরায়েল ইতিপূর্বে কখনওই সরাসরি ইরানের ভূখণ্ডে কোনো হামলা চালায়নি। বরং তারা ওই অঞ্চলে ইরানের সঙ্গী বা প্রক্সি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে আক্রমণেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছে।

তৃতীয়ত, ইসরায়েল যুদ্ধের উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টায় ইরানের চেয়েও অনেক শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে তারা শুধু নির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র বেসগুলোই নয়, ইরানের অত্যন্ত শক্তিশালী রিভোলিউশনারি গার্ডসের ঘাঁটি, প্রশিক্ষণ শিবির ও কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টারগুলোকেও আক্রমণের নিশানা করবে।

ইসরায়েল যদি এই শেষ দুটো অপশনের কোনওটা বেছে নেয়, তাহলে ইরানকেও অবশ্যই আবারও পাল্টা আঘাত হানার পথে যেতে হবে। আর একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল, এই সংঘাতে কি আমেরিকাও জড়িয়ে পড়তে পারে?

উপসাগরীয় আরব অঞ্চলের ছ’টি দেশেই কিন্তু মার্কিন সামরিক উপস্থিতি আছে। এছাড়া তাদের সামরিক ঘাঁটি আছে সিরিয়া, ইরাক ও জর্ডানেও। বহু বছরের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান যে ব্যালিস্টিক ও অন্য নানা ধরনের মিসাইলের বিপুল ভাণ্ডার তৈরি করেছে, মার্কিন এই সামরিক ঘাঁটিগুলো সেই সব ক্ষেপণাস্ত্রের নিশানায় পরিণত হতে পারে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরেই আর একটা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে যে তারা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে তারা হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেবে।

কৌশলগতভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই সমুদ্রপথটি যদি ইরান মাইন, ড্রোন ও ফাস্ট অ্যাটাক ক্র্যাফট দিয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম ব্যস্ত রুটটি অচল হয়ে পড়বে এবং বিশ্বব্যাপী তেল সরবরাহের এক-চতুর্থাংশ স্তব্ধ হয়ে যাবে।


;

সিডনিতে গির্জায় পাদ্রীসহ ৪ জনকে ছুরিকাঘাত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ক্রাইস্ট দ্য গুড শেফার্ড গির্জায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় একজন পাদ্রীসহ চারজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। 

স্থানীয় সময় সোমবার (১৫ এপ্রিল)  রাতে ওয়াকেলি শহরতলিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

পুলিশ জানিয়েছে, ছুরিকাঘাতের শিকার কারও আঘাতই প্রাণঘাতী নয়। এ ঘটনায় একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এই হামলায় কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি।

পাদ্রীর বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা ভিডিওতে হামলার আগে কালো পোশাক পরা এক ব্যক্তিকে পাদ্রীর কাছে আসতে দেখা গেছে। এরপর হামলাকারী তার ডান হাতে ধরা ছুরি দিয়ে পাদ্রীকে হামলা করতে উদ্যত হলে কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে এগিয়ে যান। এরপর চিৎকারও শোনা গেছে।

পুলিশ এক বিবৃতিতে বলেছে যে, আহত ব্যক্তিদের কারও জীবনই সংশয়ের মুখে নেই। নিউ সাউথ ওয়েলস অ্যাম্বুলেন্স প্যারামেডিকদের দ্বারা আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের বয়স ২০ থেকে ৭০ বছর। জনসাধারণকে হামলাস্থল এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে।

একই শহরের একটি শপিং মলে মাত্র দুইদিন আগে ছয়জন নিহত হওয়ার পরই ঘটল ছুরিকাঘাতের এই ঘটনা। শপিং মলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী। এই দুই ঘটনার মধ্যে কোনো সংযোগ আছে কিনা তা এখনো জানা যায়নি।

;