মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ মসজিদ

  • মাওলানা মুনীরুল ইসলাম, অতিথি লেখক, ইসলাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সুলতান সালাহ উদ্দিন আবদুল আজিজ মসজিদ, মালয়েশিয়া, ছবি: সংগৃহীত

সুলতান সালাহ উদ্দিন আবদুল আজিজ মসজিদ, মালয়েশিয়া, ছবি: সংগৃহীত

সুলতান সালাহ উদ্দিন আবদুল আজিজ মসজিদ। মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গরের শাহ আলম এলাকায় এর অবস্থান। আয়তনের দিক থেকে এটি মালয়েশিয়ার সর্ববৃহৎ ও ইন্দোনেশিয়ার ইস্কিকলাল মসজিদের পর দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ।

গাঢ় নীল এবং রূপালি গম্বুজের বিশেষ কারুকার্যে সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে মসজিদটি। এটা স্থানীয় অনেকে ( ব্লু মসজিদ) নীল মসজিদ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

বিজ্ঞাপন

মসজিদের চার কোণে চারটি মিনার আছে। প্রতিটি মিনার সমতল ভূমি থেকে ৪৬০ ফুট উঁচু। লম্বা হিসেবে এই মিনারগুলো পৃথিবীর দ্বিতীয় (কাসাব্লাঙ্কার দ্বিতীয় হাসান মসজিদের পর) উচ্চতম মিনার।

মসজিদটি বিশ্বের প্রথম উচ্চতম গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছিলো। ১৯৭৪ সালে সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সুলতান সালাহ উদ্দিন আবদুল আজিজ সেলাঙ্গরকে নতুন রাজধানী ঘোষণা করেন। ঠিক তার আট বছর পর ১৯৮২ সালে এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৮৮ সালের ১১ মার্চ। তখনকার সময়ে পৃথিবীর সর্ব উচুঁ মিনার এবং গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ ছিল এটি।

বিজ্ঞাপন

মসজিদের মূল গেট পূর্বদিকে হলেও দক্ষিণ এবং উত্তরে আরও দু’টো গেট রয়েছে। অন্য তিন পাশজুড়ে আছে পানির ফোয়ারা এবং বাহারি ফুলের সমাহার। শ্চিম পাশে রয়েছে বিশাল কার পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা।

মসজিদটি তৈরিতে মূল্যবান পাথর, ইস্পাত, এ্যালমুনিয়াম, কাচের গুড়া, লেপা ইস্পাত, কাচ, সিরামিক টালি কংক্রিট ব্যাবহার করা হয়েছে। মসজিদের সঙ্গে রয়েছে কমপ্লেক্স, কার পার্কিং, খাবার হোটেল ও লেক ইত্যাদি।

মসজিদের স্থপতির নাম দাতো বাহারউদ্দিন আবু কাসিম। মসিজদটি রাজধানী কুয়ালালামপুর পাসার সিনি থেকে ট্রেন অথবা বাসে এক ঘন্টার পথ। পাসার সিনি থেকে প্রতি বিশ মিনিট পর পর বাস ছেড়ে যায় শাহ আলমের উদ্যশ্যে। শাহ আলম কমপ্লেক্সে নেমে শাহ আলম বড় মসজিদ বললেই যে কেউ দেখিয়ে দেবে মসজিদের রাস্তা।