বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন দশটি মসজিদ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন দশটি মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের দৃষ্টিনন্দন দশটি মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদ হচ্ছে আল্লাহর ঘর। ‘মসজিদ’ আরবি শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ‘সিজদা’ শব্দ থেকে। এখানে আল্লাহতায়ালার সামনে তার বান্দা সিজদায় অবনত হয় বলে- এর নাম দেওয়া হয়েছে মসজিদ। মসজিদকে মুসলমানদের ঐক্য ও সংহতির কেন্দ্রবিন্দু বলা যায়। বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে ধনী-গরীব সবার জন্য মসজিদের দরজা উন্মুক্ত।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মসজিদ দেয়াল দিয়ে ঘেরা থাকলেও কোথাও কোথাও দেয়ালবিহীন মসজিদও দেখতে পাওয়া যায়। কোনো কোনো মসজিদে রয়েছে রেশমি কার্পেট আবার কোনো কোনো মসজিদে বালুর তপ্ত ভূমির ওপরে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে হয়। কোনো কোনো মসজিদে রয়েছে সুউচ্চ ছাদ, আকাশচুম্বী মিনার এবং দেয়ালে রয়েছে চোখ ধাঁধানো কারুকাজ।

বিজ্ঞাপন

আবার কোনো কোনো মসজিদে এসবের কোনো কিছুর বালাই নেই। কিন্তু পবিত্রতা এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জিনের দিক দিয়ে এই দুই ধরনের মসজিদের মধ্যে কোনো গুণগত পার্থক্য নেই। ইবাদত কবুল হওয়ার জন্য মসজিদের বাহ্যিক বেশভূষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।

বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মসজিদ রয়েছে। প্রতিটি মসজিদই নিজস্ব স্থাপত্য ও ডিজাইনের জন্য মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রকৃত পক্ষে এক মসজিদ থেকে অন্য মসজিদের নির্মাণের বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্যের কারণে, এক মসজিদ থেকে অপরটি থেকে ভিন্ন হয়ে থাকে। আর এভাবেই সৌন্দর্যের দিক থেকে ভিন্নতর হয়ে থাকে কিছু মসজিদ। এমনই স্থাপত্য নির্মাণে ভিন্ন ও দৃষ্টিনন্দন দশটি মসজিদ নিয়ে আজকের আয়োজন।

বিজ্ঞাপন
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352066257.jpg
মসজিদে হারাম, মক্কা শরিফ, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে হারাম
মসজিদ আল হারাম বা মসজিদে হারাম ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র স্থান, যা পবিত্র কাবাকে ঘিরে অবস্থিত। সৌদি আরবের মক্কা শহরে এর অবস্থান। মুসলিমরা নামাজের সময় কাবার দিকে মুখ করে দাঁড়ান।

হজ ও ওমরার জন্য মসজিদুল হারামে যেতে হয়। এর ভেতরে ও বাইরে নামাজের স্থান মিলে মসজিদের বর্তমান কাঠামো প্রায় ৮৮.২ একর। এখানে একসঙ্গে ১০ লাখ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারেন।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ এই মসজিদ সব সময় খোলা থাকে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে যে, হজরত ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) দু’জন একত্রে কাবা নির্মাণ করেন। মক্কায় যেসব গোষ্ঠী বা সম্প্রদায় মর্যাদাবান ছিল, তাদের দায়িত্ব থাকত কাবা শরিফ রক্ষণাবেক্ষণের। এ দায়িত্ব পালনকে তারা সম্মানিত ও গর্বের মনে করত। ইসলামের বিধান মতে, যারা এই মসজিদে প্রবেশ করবে তারা সুরক্ষিত থাকবে এবং তাদের কোনো প্রকার ক্ষতি করা যাবে না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535351993229.jpg
মসজিদে নববী, মদিনা শরিফ, সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে নববী
কাবা শরিফের পরেই গুরুত্বপূর্ণ ও পবিত্র নিদর্শন মসজিদে নববী। মসজিদে নববী অর্থ নবীজির মসজিদ। এটি সৌদি আরবের মদিনায় অবস্থিত। এই মসজিদের অভ্যন্তরে দক্ষিণে অবস্থিত হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর রওজা।

মসজিদের নববীর জায়গা আল্লাহর রাসূল কিনে, তা ওয়াকফ করে দেন এবং মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও এর নির্মাণ কাজে নবী করিম (সা.) নিজে অংশ নেন।

বর্তমানে মসজিদে নববী বহুগুণ বড় ও সম্প্রসারিত। নতুন নকশার ভিত্তিতে এটিকে সম্প্রসারণ ও পুনঃনির্মাণ করা হয়েছে। এখন একসঙ্গে কয়েক লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন।

১৪৮১ খ্রিস্টাব্দে মামলুক সুলতান কয়েত-বে মসজিদে নববীতে গম্বুজ স্থাপন করেন। ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দে এ গম্বুজে রংয়ের আস্তরণ দিয়ে সবুজ গম্বুজ বানিয়ে দেন উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ। সেই থেকেই আজ অবধি মসজিদে নববীর ওপর এই সবুজ গম্বুজ আশেকে রাসূলদের মাঝে নবীপ্রেমের প্রতীক হয়ে আছে। বিভিন্ন সময় সংস্কার হলেও সবুজ গম্বুজ, সবুজই রয়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352149268.jpg
সুলতান আহমেদ মসজিদ, ইস্তাম্বুল, তুরস্ক, ছবি: সংগৃহীত

ইস্তাম্বুলের সুলতান আহমেদ মসজিদ
এই মসজিদটি অটোম্যান যুগের একটি অনন্য নির্মাণ। তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের মসজিদটির অবস্থান। এর নির্মাণ কাজ ১৬০৯ সালে শুরু করা হয় এবং ১৬১৬ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সুলতান আহমাদ আওয়ালের নির্দেশে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। মসজিদের ভেতরে নীল টাইলসের ডিজাইন থাকার কারণে ইউরোপিয়ানদের কাছে এটি ‘নীল মসজিদ’ হিসেবে বেশি প্রসিদ্ধ। ১৯৩৪ সালে তুরস্কের ঐতিহাসিক ‘আয়া সোফিয়া’ মসজিদ জাদুঘরে রূপান্তরিত হওয়ার পর মুসলমানদের ইবাদত-বন্দেগি ও আমলের জন্য সুলতান আহমেদ মসজিদের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352226391.jpg
লালেহ মোস্তফা পাশা মসজিদ, সাইপ্রাস, ছবি: সংগৃহীত 

সাইপ্রাসের লালেহ মোস্তফা পাশা মসজিদ
সাইপ্রাসের ‘ফামাগুস্তা’ শহরে অবস্থিত ‘লালেহ মোস্তফা পাশা’ মসজিদটি ১২৯৮ থেকে ১৪০০ সালে মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের মূল ভবন নির্মাণের প্রথম দিকে অর্থাৎ ১৩২৭ সালে সেন্ট নিকোলাস ক্যাথলিক গির্জা হিসেবে দান করা হয়েছিল এবং তখন গির্জা হিসেবেই প্রসিদ্ধ ছিল। তবে ১৫৭১ সালে ফামাগুস্তা শহর অটোম্যান সাম্রাজ্যের আধিপত্যের অধীনে আসার পর মসজিদে রূপান্তরিত হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352300048.jpg
কুল শরিফ মসজিদ, তাতারস্তান, ছবি: সংগৃহীত 

তাতারস্তানের কুল শরিফ মসজিদ
তাতারস্তানের কাজান শহরে কুল শরিফ মসজিদটি অবস্থিত। এটি ইউরোপের বৃহত্তম মসজিদের একটি। কুল শরিফ মসজিদটি মধ্যযুগের বৃহত্তম মসজিদ হিসেবে পরিগণিত। এটি ১৬ শতাব্দীতে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের সংলগ্ন একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী রয়েছে। সেখানে অনেক প্রাচীন গ্রন্থ, ঐতিহাসিক দলিল সুরক্ষিত। মসজিদটির সৌন্দর্যের জন্য ১৬ শতাব্দীতে এটিকে খানদের রাজধানী বলা হতো।

দ্বিতল-বিশিষ্ট এই মসজিদের প্রথম তলায় নামাজের স্থান এবং দ্বিতীয় তলায় জাদুঘর রয়েছে। এই মসজিদের প্রধান গম্বুজের উচ্চতা ৩৯ মিটার এবং প্রধান ৪টি মিনারের উচ্চতা ৫৭ মিটার। কুল শরিফ মসজিদ নির্মাণের অধিকাংশ খরচ তাতারের মুসলমানেরা বহন করেছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535351652888.jpg
মস্কো জামে মসজিদ, রাশিয়া, ছবি: সংগৃহীত

মস্কো জামে মসজিদ
মস্কো জামে মসজিদটি ১৯০৪ সালে বিখ্যাত আর্কিটেক্ট "নিকোলাই জুকভ’র ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর থেকে মসজিদটি বেশ কয়েক বার সংস্কার করা হয়েছে। অনেকে মসজিদটিকে তাতারদের মসজিদ হিসেবে চেনেন। কারণ তাতার গোত্র এটি বেশি ব্যবহার করেন।

প্রাচীন এই মসজিদটি ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর পুনর্নির্মাণ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ ২০০৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে মসজিদটির স্বীকৃত ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের শেষের দিকে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকা থেকে মসজিদটির নাম সরিয়ে নেওয়া হয়। অর্থাৎ মসজিদটি যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় তখন সরকারের তত্ত্বাবধানে ছিল না।

পরবর্তীতে মসজিদটি পুনর্র্নিমাণের জন্য মুসলমানদের অনবরত আহ্বানের জন্য মসজিদটি পুনরায় নির্মাণ করা হয়। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের উপস্থিতিতে মস্কোর জামে মসজিদটির উদ্বোধন হয়। এই মসজিদে একসঙ্গে ১০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352395550.jpg
সুলতান কাবুস মসজিদ, ওমান, ছবি: সংগৃহীত

ওমানের সুলতান কাবুস মসজিদ
ওমানের মাসকাট শহরের একটি আকর্ষণীয় স্থান হচ্ছে সুলতান কাবুস মসজিদ। আধুনিক যুগের সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি মসজিদ। মসজিদটিতে ওমান ও মধ্যপ্রাচ্যের সমন্বিত স্থাপত্য দেখা যায়। সুলতান কাবুস মসজিদটি ২০০১ সালে উদ্বোধন করা হয়। মসজিদটি নির্মাণ করতে ৬ বছর সময় লেগেছে। এখানে একসঙ্গে ২০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। ওমানের সর্ববৃহৎ মসজিদ হিসেবে এই মসজিদ বেশ প্রসিদ্ধ।

মসজিদটি আয়তক্ষেত্রাকারে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদের প্রত্যেক কোনায় ৪৫ মিটার উচ্চতার ৪টি মিনার রয়েছে। সুলতান কাবুস মসজিদে পুরুষ ও নারীদের নামাজ আদায়ের জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে। মসজিদ সংলগ্ন একটি সমৃদ্ধ লাইব্রেরী এবং সেমিনার হল রয়েছে। ওমানে কোনো দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান সফরে এলে এই মসজিদটি দেখতে যান।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352496591.jpg
পিঙ্ক মসজিদ, ফিলিপাইন, ছবি: সংগৃহীত

ফিলিপাইনের পিঙ্ক মসজিদ
ফিলিপাইনের মাগুইন্ডানাও প্রদেশের গোলাপি রঙের একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই মসজিদের দেয়াল এবং মেঝেতেও গোলাপি রঙ করা হয়েছে।
এই মসজিদটি গোলাপি রঙ করার মূল কারণ হচ্ছে, মাগুইন্ডানাও প্রদেশের ডাটু শহরের মেয়র তার পারিবারিক সম্পত্তিতে ইবাদতের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেন। যাতে করে সেখানে সবাই আল্লাহতায়ালার ইবাদত-বন্দেগি করতে পারেন। কিন্তু ডাটু শহরে বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা বিশেষ করে খ্রিস্টান ও মুসলমানেরা একসঙ্গে বসবাস করে। তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এবং শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ থাকুক। এই কারণেই গোলাপি রঙের এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। কারণ সেদেশে গোলাপি রঙটি ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং শান্তির প্রতীক। মসজিদ নির্মাণের জন্য খ্রিস্টানদেরও কাজে লাগানো হয়েছে। যাতে করে খ্রিস্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সর্বদা বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক বজায় থাকে।

২০১৪ সালের রমজান মাসে শান্তির এই কেন্দ্র মসজিদের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। বর্তমানে এটি পিঙ্ক মসজিদ হিসেবে বেশি প্রসিদ্ধ। ইতোমধ্যেই মসজিদটি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352582156.jpg
পুত্রা মসজিদ, মালয়েশিয়া, ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ার পুত্রা মসজিদ
মালয়েশিয়ার রাজধানী প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়া। পুত্রজায়ায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সঙ্গেই লেকবেষ্টিত দৃষ্টিনন্দিত পুত্রা মসজিদ অবস্থিত। এ মসজিদ দেখতে প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের দেখা মেলে ঝিলপাড়ে।
পুত্রা মসজিদ মসজিদটি মনোরম গোলাপি বর্ণের। এখানে ১৫ হাজার লোক একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। এর প্রধান মিনারটি দক্ষিণ এশিয়ার সর্বোচ্চ মিনার। পুত্রা মসজিদের নির্মাণ কাজ ১৯৯৭ সালে শুরু করা হয়। মসজিদটি নির্মাণ করতে দুই বছর সময় লেগেছে। মসজিদের গোলাপি রঙের গম্বুজটি লাল রঙের গ্রানাইড দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদটির বেজমেন্ট প্রাচীরটি মস্কোর কাসাব্লাঙ্কার হাসান শাহ মসজিদের প্রাচীরের মতো।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/27/1535352649364.jpg
শেখ জায়েদ মসজিদ, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ছবি: সংগৃহীত

আমিরাতের শেখ জায়েদ মসজিদ
মসজিদের নামেই স্পষ্ট যে, এই মসজিদটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা এবং আবু ধাবির শাসকের নির্দেশে নির্মাণ করা হয়েছে। শেখ জায়েদ মসজিদটি নতুন ইসলামি স্থাপত্যের একটি উদাহরণ। ২০০৪ সালে শেখ জায়েদ ইন্তেকাল করেন। মসজিদের উত্তর দিকে তাকে দাফন করা হয়েছে। প্রাচীন ও আধুনিক ডিজাইনে এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

এই মসজিদ নির্মাণের জন্য মূল উপকরণগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। শেখ জায়েদ মসজিদটি নির্মাণের জন্য দুই বিলিয়ন এবং ১৬৭ মিলিয়ন আমিরাতি দিরহাম ব্যয় হয়েছে। এই মসজিদটি ৯ মিটার উঁচু একটি পাহাড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ইসলামি সম্মেলন সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, মসজিদটির গম্বুজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ গম্বুজ। শেখ জায়েদ মসজিদের গম্বুজের উচ্চতা ৮৩ মিটার এবং এর ভেতরের ব্যাস ৩২.৮ মিটার।