কলকাতার প্রতিটি শপিংমলে মাদার কেয়ার কক্ষ রাখতেই হবে

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক এলাকার নামকরা একটি শপিং মলে এক মহিলা তাঁর শিশুকে স্তন্যপান করাতে গেলে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভের মুখে পড়ে ওই শপিং মলের কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে সরব হন সমাজকর্মীরা। ফের এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছে না মুখ্যমন্ত্রীসহ কলকাতা পৌরসভা প্রশাসন। তাই কলকাতা পৌরসভা বাধ্যতামূলক করল শহরের প্রতিটি শপিং মল এবং বাণিজ্যিক ভবনগুলিতে শিশুদের পরিচর্যার জন্য পৃথক ঘরে ‘মাদার কেয়ার’ কক্ষ রাখতেই হবে। কলকাতা পৌরভবনে মেয়র পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকে স্থির হয়েছে, যে শপিং মলগুলিতে কোলের শিশুদের পরিচর্যার জন্য পৃথক কক্ষ রয়েছে, সেগুলিকে অনুমোদন দেওয়া হবে। বাকী বর্তমানে থাকা অনেক শপিং মলে এমন মাদার কেয়ার কক্ষ নেই। সেগুলির মলের কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, যত সম্ভব তাড়াতাড়ি ওই কক্ষ তৈরি করতে। এছাড়া নতুন শপিং মল বা বাণিজ্যিক ভবনের নির্মাণ নকশায় এই কক্ষ রাখতেই হবে। কোনোরকম টালবাহানা করা যাবে না। শুধু পৃথক কক্ষ তৈরি নয় পৌরসভা থেকে কক্ষের পরিমাপও নির্ধারিত করা হয়েছে, ছয় ফুট বাই আট ফুট। 

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, মাদার কেয়ার কক্ষ তৈরি করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। শহরে প্রতিটি শপিং মল তৈরি হলে, এই মাদার কেয়ার কক্ষ থাকতে হবে। এছাড়াও শহরের সুলভ কমপ্লেক্স (শৌচাগার) -গুলোতেও এ ধরনের কক্ষ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন সমাজকর্মীরা। তাঁদের কথায়, কলকাতা পৌরসভার এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত যুগোপযোগী।

একজন মা-কে শপিং মলের কর্তা-কর্মীরা যা খুশি বলবেন, তা চলতে পারে না। সাধারণ মানুষও তা মেনে নেয় না। যার অন্যতম প্রমাণ দক্ষিণ কলকাতার ওই শপিং মল কর্তৃপক্ষের বিতর্কের মুখে পড়া। এর আগে সমাজকর্মীদের দাবি অনুযায়ী  বিমানবন্দরে স্তন্যপান করানোর জন্য আলাদা জায়গা তৈরি হয়েছে। এবার শপিং মলেও বাধ্যতামূলক ভাবে দুধপান করানোর কক্ষের পরিকল্পনা হলো। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এ ব্যাপারে অনেক আগেই আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত দুইমাস ধরে আলোচনার পর এই মাদার কেয়ার কক্ষ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত হলো।