মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই

  • কলকাতা ডেস্ক
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান ও জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজহার

জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান ও জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজহার

জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান ও জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই রয়েছে বলে জানান পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি।

মাসুদ আজহার যে তার সমস্ত কাজকর্ম পাকিস্তান থেকেই চালায় সেই ব্যাপারটি এই প্রথম পাকিস্তানের সরকার স্বীকার করে নিল। সিএনএন'কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেন, মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছে। অন্তত আমি যতদূর জানি। কিন্তু, সে খুব অসুস্থ। এতটাই অসুস্থ যে, বাড়ির বাইরে পা রাখার ক্ষমতা নেই তার। আমার কাছে এটুকু তথ্যই রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু, মাসুদ আজহার যদি পাকিস্তানেই থাকে, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শাহ মেহমুদ কুরেশি সেই কথাই বলেন, যা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তান বলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেটি হল- আমাদের হাতে ওর বিরুদ্ধে কোনও যথাযথ প্রমাণ নেই।

তিনি বলেন, যদি ওরা (ভারত) আমাদের হাতে যথাযথ প্রমাণ তুলে দেয়, যা পাকিস্তানের আদালত গ্রাহ্য করে নেবে- দিনের শেষে আমাদের মাসুদ আজহারকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে তার স্বপক্ষে প্রমাণ থাকা চাই- ভারতের কাছে যদি প্রকৃত অর্থেই নিখঁত প্রমাণ থাকে মাসুদ আজহারের বিরুদ্ধে, তাহলে তারা সেটা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করুক। যাতে আমরা মানুষকে এবং পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থাকেও তা নিয়ে বোঝাতে সক্ষম হই।

প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে সংসদে হানা দিয়েছিল মাসুদ আজহারের নেতৃত্বাধীন জইশ-ই-মহম্মদ। ২০১৬ সালে জইশ-ই-মহম্মদ ফের হানা দেয় পাঠানকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার বেসক্যাম্পে। ২০১৬ সালেই তারা হানা দেয় কাশ্মীরের উরিতে সেনাশিবিরে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামাতে তাদের আত্মঘাতী হামলায় শহিদ হন ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান।

এরেই প্রেক্ষিতে গত প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে এই প্রথমবার ভারত বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান পাঠায় পাকিস্তানি ভূখণ্ডে। যা এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে ধ্বংস করে দেয় বালাকোটের জইশের সব থেকে বড় ঘাঁটিটি।