সোহেল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানিয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির প্রাক্তন সহসম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেলের হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা সরাসরি সম্পৃক্ত এবং নেপথ্যে ছিল তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব হাসান রিপন।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মূলত পাহাড়তলী বাজার ও আশেপাশের এলাকাকে সিসি ক্যামেরা আওতাধীন করার উদ্যোগ, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত এলাকা ঘোষণা করা এবং এর কার্যক্রম শুরু, রাতের বেলায় পাম্প হাউস কোলনির রাস্তা সমূহ আলোকিত করারসহ স্থানীয় এলাকায় ও বিশেষ করে বস্তিবাসীর জন্য ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প, গ্রন্থাগার ও মিলনায়তন করার উদ্যোগ নেওয়ায় তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মহিউদ্দিন সোহেল কোন ছিঁচকে সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ছিলেন না। তার পারিবারিক ঐতিহ্য রয়েছে এবং তার সাংগঠনিক ভিত্তি ছিল এবং তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদারও ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, মহিউদ্দিন সোহেল দীর্ঘদিন ছাত্র এবং কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি একজন স্বনামধন্য ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দীর্ঘদিন তিনি ঢাকায় অবস্থানের পর গত বছর চট্টগ্রামে তার জন্মস্থান পাহাড়তলীকে সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত করার সংগ্রামের প্রথম কাজ হিসাবে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দিশারী ক্লাবকে পুনরায় সংগঠিত করেন। এবং স্থানীয় কয়েকটি মাদকের আখড়া ভেঙে দেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের সওদাগর এর নেতৃত্বে ও সাবেক জামায়াত নেতা বর্তমানে স্থানীয় জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খান এর পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা অনৈতিক ব্যবসার আখড়া ভেঙে দিয়ে এলাকাবাসীর জন্য জানাযা নামাযের মাঠ নির্মাণ করে দেন। এমন অনেক জনকল্যাণকর উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে স্থানীয় ভূমিদস্যু, মাদক এবং অসামাজিক কার্যকলাপকারী ব্যক্তিদের রোষানালে পড়েন তিনি। মহিউদ্দিন সোহেলের নামে কোন থানায় মামলা তো দূরের কথা, কোন জিডি পর্যন্ত নেই। সেই মহিউদ্দিন সোহেলকে পরিকল্পিতভাবে এক শ্রেণির ঘৃণ্য নরপশুরা শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, তাকে চাঁদাবাজ তাকমা দিয়ে তার সারা জীবনের শ্রদ্ধা রাজনৈতিক চর্চাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস চালিয়েছেন।

সাবেক এই ছাত্রনেতা আরো বলেন, আমরা আমাদের সহকর্মীকে আর ফিরে পাবো না। আমাদের দুর্দিনের সহযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার জন্য কি আমরা এতোটুকু প্রত্যাশা করতে পারিনা?

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রাশেদুল মাহমুদ রাসেল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান টুটুল, রিপন পোদ্দার, ইকবাল মাহমুদ বাবুল প্রমুখ।